আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
খুলনায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য ৪০৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। এসব সাইক্লোন শেল্টারে মোট দুই লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
তিনি জানান, সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। আবহওয়া অফিসের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় আতঙ্ক, ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল করিম জানান, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। বিপদ সংকেত জারি হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, বর্তমানে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ রয়েছে, তা পরিবর্তন না হলে আপাতত ঘূর্ণিঝড় খুলনা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। তবে ঝড়ের প্রভাবে হালকা বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরও জানান, ১৩ মে থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় আতঙ্ক, ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় মোখা ধেঁয়ে আসার খবরে বাগেরহাটের উপকূলবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কখন, কোথায় ঝড় আঘাত হানবে এবং কত উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হবে তা নিয়ে উপকূলের মানুষের ভাবনার শেষ নেই। বিশেষ করে শরণখোলায় বলেশ্বর, মোংলায় পশুর এবং মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদী পাড়ের মানুষ আকাশে মেঘ আর নদীতে পানি বাড়লেই তাদের নির্ঘুম রাত কাটে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আর স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারে পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পেলে অধিকাংশ এলাকায় বাঁধ উপচে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।
জলোচ্ছ্বাস হলে কয়েক হাজার মৎস্যঘের ডুবে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে যেতে পারে। সব মিলে জেলার উপকূলবাসী আতঙ্কে রয়েছেন।
জেলা প্রশসানের পক্ষ থেকে জেলায় ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে জেলায় মোট আবাদের ৯৮ শতাংশ জমির বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে।
বাগেরহাটে জলোচ্ছ্বাসে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নদী পাড়ের বাঁধ। প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। মানুষের ঘরবাড়ি, সম্পদ, ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি কি জলোচ্ছ্বাসে মানুষও ভেসে যায়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
১ বছর আগে