মোখা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এসব ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য আবারও কমলো, বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আহ্বান
এতে আরও বলা হয়,ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শুকনো খাদ্য, তাঁবু, ঔষধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ মোট ১২০ টন ত্রাণ সামগ্রী।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজে শুক্রবার (০২ জুন ২০২৩) চট্টগ্রাম থেকে ইয়াংগুনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। জাহাজটি আগামী ০৫ জুন ২০২৩ তারিখে ইয়াংগুন বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অতীতে ২০১৫ সালে বন্যা এবং ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’ পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ মিয়ানমারের জনগণের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে আসছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী কোভিড অতিমারী এবং সিরিয়া, তুরস্ক ও আফগানিস্তানে সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ ত্রাণ সামগ্রী এবং চিকিৎসক দল প্রেরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ হতে এসব মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: কৌশলগত অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সম্পর্ক গড়তে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি
১ বছর আগে
৩০০০ ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও রোহিঙ্গা শিবিরগুলো ভয়ানক মোখা থেকে রক্ষা পেয়েছে
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় দুই হাজার ৮২৬টি ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কক্সবাজারে সরকারের পয়েন্ট ম্যান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অফিসের তৈরি করা প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
রবিবার রাত ১১টার দিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে ঝড়ের সময় সাতজন শরণার্থী আহত হয়েছে।
যদিও সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য হিসাব বের হতে অন্তত আরও এক দিন সময় লাগতে পারে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ও কিছু কর্মকর্তা এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন ইঙ্গিত দেয় যে মিয়ানমারের সীমান্তের কাছে শরণার্থী শিবিরগুলো, যেগুলোকে আঘাত করতে হয়েছে। 'খুব তীব্র' ঘূর্ণিঝড়, মোখার সবচেয়ে খারাপ আঘাত থেকে রক্ষা পেতে সক্ষম।
ইউএনবি সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে টুইটারে তাদের বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টের উপর নজর রাখছিল, যেগুলো তারা নিয়মিতভাবে সংগঠিত ও সমন্বয় করতে এবং 'সংখ্যাটি জানার জন্য' ব্যবহার করে।
যদিও বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ঝড় আঘাত হানার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দ্বীপের ৫৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, কক্সবাজার ক্যাম্পে যারা বেশির ভাগই অবস্থান করে, ঝড়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা তাদের শালীন বাসস্থানগুলোকে শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করে।
ইউএনএইচসিআর বিজিডি, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কার্যালয়, রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় টুইট করেছে, ‘বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রথম প্রতিক্রিয়াশীলদের নেতৃত্বে শরণার্থী শিবিরে সাম্প্রদায়িক আশ্রয়ের ঝুঁকিতে থাকা লোকদের সময়মতো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সংস্থাগুলি, # সাইক্লোনমোখা চলাকালীন জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে।’
আইওএম-এর মিশন প্রধান, আবদুসাত্তর এসোয়েভ, ঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সাথে সঙ্গেই টুইট করেছেন, ‘#রোহিঙ্গারেসপন্স-এর নেতৃস্থানীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে, আইওএম #জিওবি এবং এর সঙ্গে সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় অন্যান্য সমস্ত মানবতাবাদী ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।’
কয়েক ঘন্টা পরে, তিনি আবার টুইট করেছেন, ‘# সাইক্লোনমোখা-এর শক্তিশালী বাতাস, যদিও প্রত্যাশার চেয়ে মৃদু, # রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সুবিধাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ঘূর্ণিঝড় শেষ হয়ে গেলে আমাদের সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ আশ্রয়কেন্দ্র সহ তাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
আইওএম হলো ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ(আইএসসিজি) বা রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্সের পিছনে সমন্বয়কারী সংস্থা, যা গত ৬ বছর ধরে এই প্রচেষ্টায় জড়িত অসংখ্য সংস্থার ছাতা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
কক্সবাজারে অবস্থান করা গ্রুপের প্রধান সমন্বয়কারী, অর্জুন জৈন, রবিবার রাত ১০টার দিকে টুইট করেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ ছেড়েছে। কক্সবাজার ১০ থেকে ৩ নম্বর সিগন্যাল নিচে দাঁড়িয়ে আছে। ঝড়ের কবল থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি এখনো ব্যাপক। বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ভূমিধসের ঝুঁকি বাস্তব। জিওবি এবং #রোহিঙ্গা #শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ। বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।’
এদিকে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ, শিবিরে মানবিক প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত একটি দাতব্য গোষ্ঠী, ঘূর্ণিঝড় মোখায় আঘাত হানার পরপরই, উখিয়া ক্যাম্প ৭-এ তাদের ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়স্থল মেরামত করার জন্য আইআরবি কর্মীদের এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা করার ছবি টুইট করেছে।
এর মানে এই নয় যে ছাদ উড়ে যাওয়ার, বা গুহায় পড়ে যাওয়ার, গাছগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে ছিটকে পড়ার কোনও চিত্র বা রিপোর্ট নেই এবং কী নেই৷
‘বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা ফটোগ্রাফারদের সমষ্টির স্বাধীন ফটোগ্রাফি’ রোহিঙ্গা ফটোগ্রাফার ম্যাগাজিনের টুইটার অ্যাকাউন্টে রবিবার এ ধরণের চিত্রে পূর্ণ দেখা যায়।
তবুও তারা রবিবার রাত সোয়া ১১টায় স্বস্তিতে আপাতদৃষ্টিতে টুইট করেছে, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ ছেড়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেয়েছে। তা সত্ত্বেও, বিপুল সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র ও সুযোগ-সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টেকনাফের ক্যাম্পগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আমরা দেখব আগামী দিনে এই দাবিগুলো প্রমাণিত হয়, বা না হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
১ বছর আগে
ঘুর্ণিঝড়ের সময় জন্ম, নবজাতকের নাম রাখা হলো 'মোখা'
অতি প্রবল ঘুর্ণিঝড় মোখা'র ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে কক্সবাজারের পেকুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর কোল আলোকিত করা নবজাতকের নাম রাখা হলো 'মোখা'। যার পুরো নাম মোকাম্মেল হোসেন মোখা।
মোখা'র পিতা-মাতারা হলেন পেকুয়া উপজেলার রাজখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বামুলা পাড়ার মো. আরকান ও জয়নব বেগম।
রবিবার (১৪ মে) রাত ১টার দিকে পেকুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে ওই নারী (অন্তঃসত্ত্বা) প্রসববেদনায় কাতরাতে শুরু করলে আশ্রয়কেন্দ্রের নিচে গাড়ি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন নারীর স্বামী আরকান। কিন্তু মধ্যরাতে তিনি কোনো গাড়ি পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়লে আশ্রয়কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে থাকা পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার নিজের সরকারি গাড়িতে করে জয়নব বেগমকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
পরে এই দুর্যোগের মধ্যেই পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৃথিবীর মুখ দেখেন 'মোখা। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছিলাম। এসময় একটি খবর আসে এক গর্ভবতী নারী প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন। পরে আমাদের গাড়ি নিয়ে তকে সুস্থভাবেই হাসপাতালে নিয়ে আসি। তারপর সেখানেই মোখা'র জন্ম হয়। আমাদের উপস্থিতিতেই মোখার পরিবার মোকাম্মেল হোসেন মোখা নামকরণ করে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
১ বছর আগে
মিয়ানমার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ৩ জন নিহত
মিয়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়া শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় কয়েক হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মঠ, প্যাগোডা ও স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছে।
মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রটি রবিবার বিকালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিত্তওয়ে শহরের কাছে ২০৯ কেপিএম (১৩০ মাইল প্রতিঘণ্টায়) গতিতে আছড়ে পড়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক তথ্য অফিস জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে সিত্তওয়ে, কিয়াউকপিউ ও গওয়া শহরে ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, সেলফোন টাওয়ার, নৌকা ও ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তারা জানায়, ঘূর্ণিঝড়টিতে দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৪২৫ কিলোমিটার (২৬৪ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমের কোকো দ্বীপপুঞ্জের ক্রীড়া ভবনগুলোর ছাদও ধসে পড়েছে।
সিত্তওয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবী টিন নিন ওও বলেছেন, সিত্তওয়ের তিন লাখ বাসিন্দার মধ্যে চার হাজারেরও বেশি মানুষকে অন্য শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ শহরের উচ্চভূমিতে অবস্থিত মঠ, প্যাগোডা ও স্কুলের মতো মজবুত ভবনগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় অনেক মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন মিটারেরও বেশি উঁচু এলাকায় বাস করে, সেখানকার বাসিন্দারা মনে করছেন তাদের এলাকা পর্যন্ত ঝড়ের জলোচ্ছ্বাস পৌঁছাতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘ঝড় এখনও আঘাত হানেনি, তাই আমাদের খুব একটা অসুবিধা নেই। তবে, আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক মানুষ এবং পর্যাপ্ত টয়লেট নেই।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এখনও শুরু হয়নি
স্থানীয় একটি দাতব্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লিন লিন বলেছেন, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি লোক আসায় সিত্তওয়ের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার নেই।
মিয়ানমারে ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রতিনিধি টিটন মিত্র এই টুইটে জানিয়েছেন, ‘মোখা আঘাত হেনেছে। দুই মিলিয়ন মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও ধ্বংসলীলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত এবং ক্ষতিগ্রস্ত সকল মানুষের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন সহযোগিতা প্রয়োজন।’
রবিবার সকালে মিয়ানমারে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যের একটি উদ্ধারকারী দল তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছে, তারা এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে। টাচিলেক শহরে ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে নিজ বাড়িতে চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মধ্য মান্দালয় অঞ্চলের পাইন ও লুইন শহরে একটি বটগাছ উপড়ে পড়ে পিষ্ট হয়ে একজন ব্যক্তি মারা গেছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম আরও জানিয়েছে, সিত্তওয়েতে প্রবল বাতাসে একটি সেলফোন টাওয়ার উপড়ে পড়েছে এবং অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২০০৮ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় নার্গিস মিয়ানমারে আঘাত হানে, সেসময় ইরাবতি নদীর ডেল্টার আশেপাশের জনবহুল এলাকাগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। এতে কমপক্ষে এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা যায় এবং কয়েক হাজার বাড়ি এবং অন্যান্য স্থাপনা পানিতে ভেসে যায়।
পুনে শহরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজির জলবায়ু বিজ্ঞানী রক্সি ম্যাথিউ কোল বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বঙ্গোপসাগরে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে।
জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় এখন অনেক দিন তাদের শক্তি ধরে রাখতে পারে। ২০২০ সালে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পূর্ব ভারতে আঘাত হানে এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
কোল বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত মহাসাগর উষ্ণ থাকে এবং বাতাস অনুকূল থাকে, ততক্ষণ ঘূর্ণিঝড়গুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য তাদের তীব্রতা ধরে রাখে।’
ঘূর্ণিঝড় বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে একটি, বিশেষ করে যেগুলো দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হানে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা নেই: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘সকালে ভাটা শুরু হয়েছিল এবং মোখা এখন ৬৫ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি প্রায় ২২০ কিলোমিটার। তাই জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবার যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে এনামুর বলেন, ইতোমধ্যে সাত লাখ মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এখনও শুরু হয়নি
সরকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যেই শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং নগদ অর্থ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, যখন মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর সৈকত এলাকা খালি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে মহাবিপদ সংকেত ১০ ঘোষণা করা সত্ত্বেও অনেককে সেলফি তুলতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোনে আমাকে সমুদ্র সৈকতে মানুষ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।’
সমুদ্র সৈকতে কৌতূহলী মানুষের উপস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে এবং সমস্ত পর্যটন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায়। এছাড়া রবিবার সকাল থেকে চলছে রোদ আর মেঘের লুকোচুরি।
এদিকে গরম পড়ছে। তবে গত দুই দিনের তুলনায় আজ গরম একটু কম।
এছাড়া মোখা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকর আলী বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলে মোখা তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে হয়তো পারবে না। তবে নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে।
সুন্দরবনবর্তী মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী বলেন, সকাল থেকে প্রচন্ড রোদ। গরমও পড়ছে। আকাশে মাঝে মাঝে সামান্য মেঘ ভাসতে দেখা যাচ্ছে।
সুন্দরবন ঘেষা গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সকাল থেকেই রোদ। মোখার কোনো ধরনের প্রভাব এখানে নেই। তবে মানুষের মধ্যে মোখা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, মানসিকভাবে সবাই প্রস্তুত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সাইক্লোন সেন্টারগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, জলোচ্ছ্বাস নিয়ে সব চেয়ে বেশি ভয়। কারণ শ্যানগরের একাধিক পয়েন্ট-এ বেড়িবাঁধের অবস্থা নাজুক। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে অনেক এলাকা ভেসে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো সংস্কার করার চেষ্টা চলছে।
বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষকে সর্তক করা হয়েছে। খাদ্য, ওষুধপত্র মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে শুরু করায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
১ বছর আগে
রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় আরও ঘনীভূত হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার জানিয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে, উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এটি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে কেন্দ্রীভূত ছিল বলে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার রাত নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের প্রারম্ভিক প্রভাব পড়বে।
অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার, দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ায় তা বেড়ে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত ডিজিএইচএস
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের থেকে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কন্ট্রোল রুম খুলেছে বিটিআরসি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের ঢালে ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজনকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়ে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
এছাড়া, শনিবার (১৩ মে) বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
শনিবার জারি করা এক জরুরি গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ৩ পার্বত্য জেলায় ভূমিধসের আশঙ্কা
বিজ্ঞপ্তিতে অতিপ্রবল এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মানুষের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া আসন্ন মোখার আঘাত থেকে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ সকল ছুটি বাতিল করা বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় রাঙ্গামাটিতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটিতে দুর্যোগমোকাবেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘনিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: কন্ট্রোল রুম খুলেছে বিটিআরসি
ঘূর্ণিঝড় মোখা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে +৮৮০১৫৫২-২০২৮৫৪ ও +৮৮০১৫৫২-২০২৮৮৬ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলাগুলোর স্থানীয় প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা এগিয়ে আসছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রেখেছি এবং এটি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
শেখ হাসিনা বলেন, জীবন বাঁচাতে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।
এদিকে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ১৪ মে (রবিবার) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আরও পড়ুন: অক্টোবর থেকে কলড্রপে টকটাইম ফেরত: বিটিআরসি
এক এনআইডিতে ১৫টির বেশি সিমকার্ড বন্ধ করছে বিটিআরসি
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: ছয় শিক্ষাবোর্ডের ১৪ ও ১৫ মে’র এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ছয়টি বোর্ডের অধীনে রবিবার ও সোমবারের (১৪ ও ১৫ মে) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ছয়টি শিক্ষাবোর্ড হলো- চট্টগ্রাম বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড, যশোর বোর্ড, বরিশাল বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ড।
শনিবার বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লিখিত শিক্ষা বোর্ডগুলো ছাড়াও বাকি বোর্ডগুলোর পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
স্থগিত পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি পরে ঘোষণা করা হবে বলে এতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোর রবিবারের পরীক্ষা স্থগিত
ঘূর্ণিঝড় মোখা: পাঁচটি বোর্ডের রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
১ বছর আগে