প্রত্যাবাস
সুদান থেকে ৫৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে
চলমান সংঘাতের কারণে সুদানে আটকে পড়া ৫৭০ জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সহায়তায় তাদের প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
৮ মে থেকে প্রত্যাবাসন শুরু হয়ে শুক্রবার (১২ মে) পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এদিন সৌদি আরব থেকে দুটি পৃথক ফ্লাইটে ২৬২ জন অভিবাসী ঢাকায় অবতরণ করেছেন।
শুক্রবার আইওএম জানিয়েছে, আরও ফ্লাইট আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুদান ও জেদ্দায় তার মিশনের মাধ্যমে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য একসঙ্গে কাজ করেছে।
সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারী কবির বলেন, ‘আমি একজন অভিবাসী কর্মী হিসেবে সুদানে গিয়েছিলাম এবং আমি বেশ ভালো কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই সংকট দেখা দেয়, আমার জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। এমনকি সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা মেটাতেও আমি সংগ্রাম করেছি।’
আরও পড়ুন: সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ এবং স্বস্তিবোধ করছি, বাংলাদেশ সরকার ও আইওএম আমাদের দেশে প্রত্যাবর্তন সহজতর করেছে।’
শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ২৬২ বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে খাবার ও পরিবহন ভাতা দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো এই কঠিন সময়ে আপনারা যে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন তা দূর করা। সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাও (আইওএম) সহায়তাও দেবে।’
রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রত্যেক বাংলাদেশির মঙ্গল নিশ্চিত করতে নিবেদিত, তারা বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে সুদান থেকে আমাদের নাগরিকদের নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে আইওএম-এর মূল্যবান সহায়তা ও দক্ষতা আমাদের সাহায্য করেছে।’
বিমানবন্দরে ফেরত আসাদের স্বাগত জানাতে আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান আবদুসাত্তর এসোয়েভ বলেন, ‘সুদান থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে একটি দুর্দান্ত সহযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের প্রধান উদ্বেগ এই ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও কল্যাণ। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা এবং একটি নির্বিঘ্ন ও কার্যকর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার গ্যারান্টি দেওয়ার প্রচেষ্টার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
এছাড়াও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন আইওএম এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সারাহ লু ইসমাইল আরিওলা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সুদানের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কোনো শেষ নেই, বাংলাদেশ সরকার ও আইওএম সতর্ক রয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫১ প্রবাসী বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছেছেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
১ বছর আগে