নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আলুর দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে থাকলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমতেই থাকবে।’
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী প্রশ্ন তোলেন, ডিম ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? তারপরও কেন বাড়ছে ডিমের দাম? তারপরও সয়াবিন তেলের দাম বেশি কেন?
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরও নিম্ন আয়ের মানুষ যেমন কৃষক, রিকশাচালক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
বিএনপি নেতা আক্ষেপ করে বলেন, 'জনগণ কিছুটা স্বস্তির প্রত্যাশা করেছিল, কিন্তু তারা যদি তা না পায় তবে গণতান্ত্রিক চেতনা, ত্যাগ, রক্তপাত এবং বহু প্রাণহানি সবই বৃথা যাবে।’
তিনি কিছু উপদেষ্টার বেপরোয়া বক্তব্য দেওয়ার এবং সাধারণ মানুষ যখন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তখন। তাদের খেয়ালখুশি মতো কাজ করার সমালোচনা করেন। ‘এটা চলতে দেওয়া যায় না’।
আরও পড়ুন: ৬ বছরে প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন খালেদা জিয়া
রিজভী আরও বলেন, ‘বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টাদের অবশ্যই বিপ্লবী হতে হবে, গতিশীল মানসিকতা থাকতে হবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিরা কখনো জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে না।’
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে সহকর্মী চালকদের হত্যার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করেন সাধারণ রিকশাচালকরা।
রিজভী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি আহত ও পঙ্গুদের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (নিটোর) পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমি দেখেছি এখনো অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কাতরাচ্ছেন। হাত-পা ও দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। রাষ্ট্র কি এর দায় নেবে না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদার সেনানিবাসের বাড়ি ফেরতের দাবি জানালেন বিএনপির আলাল