খাবার
চিপসের পরিবর্তে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার
ব্যস্ত লাইফস্টাইল, কাজের চাপ এবং মানসিকতার পরিবর্তনের কারণে প্রায়ই আমরা এমন কাজ করি, যা আমাদের শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অফিসে কাজের ফাঁকে বা টিভি দেখতে দেখতে আমরা হালকা কিছু খাবার খেয়ে থাকি। যেগুলো খেলে পেট খুব বেশি না ভরে উঠলেও, শরীরে অস্বাস্থ্যকর পদার্থের পুরু স্তর জমে। আমাদের স্বল্প সময়ের ক্ষুধা মেটানোর জন্য বেশিরভাগই আমরা ভাজা চিপস ও চর্বিযুক্ত বিভিন্ন খাবার বেছে নিই।
এগুলোর বিকল্প হিসেবে আমরা যদি এমন খাবার বেছে নেই যেগুলো সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর; এর চেয়ে ভাল আর কিছুই হতে পারে না।
আসুন বিকল্প কিছু স্ন্যাক্সের কথা জানা যাক, যেগুলো আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে কাজে লাগতে পারে।
পপকর্ন
সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যকর এমন খাবারের মধ্যে পপকর্ন সেরা বিকল্পগুলোর একটি। এটি আলুর চিপসের মতোই তৃপ্তিদায়ক ও মুড়মুড়ে। তবে এতে আলুর চিপসের তুলনায় অর্ধেক ক্যালোরি এবং অনেক কম চর্বি রয়েছে।
এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এমন পপকর্ন খেতে হবে যা বেশি তেল বা মাখনে ভাজা হয়নি এবং মুখরোচক বিভিন্ন মশলার বদলে যাতে শুধুমাত্র হালকা লবণ থাকবে।
আরও পড়ুন: গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ৬ খাবার
চট্টগ্রামে খাবারের খোঁজে ৩ তলা ভবনে গন্ধগোকুল!
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর একটি তিনতলা ভবনে খাবারের খোঁজে এসে আটকা পড়ে বিপন্ন প্রাণী গন্ধগোকুল।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর সদরের মীর পাড়ার নিগার সীমা তুলির বাসায় আটকা পড়ে গন্ধগোকুলটি।
নিগার সীমা বলেন, 'প্রাণীটি গত এক সপ্তাহ ধরে ভবনের কার্নিশ বেয়ে বাসায় ঢুকে খাবার চুরি করছিল। বিষয়টি টের পেলেও তাকে আমরা খাবার দিতাম। খাবার বলতে বিস্কুট, মুরগির মাংস- এইসব। তবে শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাসায় প্রবেশ করে সে আর বের হতে পারেনি। পরে এটিকে খাঁচায় বন্দি করে বন বিভাগের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা রবিবার এসে প্রাণীটি নিয়ে যাবে জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাণীটি থেকে এক ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে। প্রাণীটির নিরাপত্তার কথা ভেবে লোকালয়ে আপাতত ছাড়ছি না। বন বিভাগের লোকের হাতেই তুলে দেব।
বোয়ালখালী বন বিভাগের কর্মকর্তা আজম খান বলেন, শনিবার একটি বাসায় খাবারে সন্ধানে গন্ধগোকুলটি ধরা পড়েছে এমন খবর পেয়েছি। রবিবার এটি উদ্ধার করে বনে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার
বিশ্বনাথে বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
এক টাকার রেস্টুরেন্ট!
এক টাকায় পেটপুরে খাওয়ার কথা আমরা কি ভাবতে পারি? তবে এখন থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বদৌলতে দারিদ্র্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ চাইলেই এক টাকায় পেটপুরে খেতে পারবেন। এ ফাউন্ডেশন উদ্যোগে এবার এই জেলায় চালু হলো এক টাকার রেস্টুরেন্ট।
এক টাকায় শহরের রেস্টুরেন্টের খাবার পেয়ে খুশি হতদরিদ্র মানুষেরা।
দেশের প্রেক্ষাপটে বাজারে এক টাকা এখন নেহাত মূল্যহীন। প্রায় বিলুপ্তির পথে এক টাকার নোট। দোকানিরা এর চাহিদা সারেন চকলেট দিয়েই। কিন্তু এক টাকায় রেস্টুরেন্টের খাবার অবিশ্বাস্য।
সত্যি এমন ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
জেলার সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চরসুভারকুঠি গ্রামে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্থায়ীভাবে বিশেষ একটি রেস্টুরেন্ট চালু হয়েছে।
এক টাকার এই রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাচ্ছে বিরিয়ানি, পোলাও, ভাত, মাছ, মাংস, ডিমসহ বারো পদের খাবার।
যা ক্ষুধার্ত মানুষেরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ইচ্ছামতো তাদের পছন্দের খাবার খেতে পারছেন। মনোরম ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসে তৃপ্তি সহকারে পছন্দের খাবার খেতে পেরে খুশি সুবিধাভোগীরা। দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতির বাজারে সমাজে এমন অনেক অসহায়, দরিদ্র এবং গৃহহীন মানুষ তিনবেলা খাওয়া কষ্টকর।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় এক টাকায় ঈদ বাজার
রাজশাহীতে অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে ২০ মাদরাসা শিক্ষার্থী হাসপাতালে
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাদরাসার ২০ শিক্ষার্থী।
পৌরসভার কেল্লা বারুইপাড়া এলাকার মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসার অসুস্থ ওই শিশু শিক্ষার্থীদের বুধবার বিকালে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাদের বয়স ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রলির ধাক্কায় মাদরাসাছাত্র নিহত
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ ফারুক জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ জন গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুপুরে তারা মুরগীর গোসত, শাক, ডাল ও ভাত খেয়েছে। কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। আপাতত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কারও অবস্থা গুরুতর নয়।
এদিকে এদের কয়েকজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসাপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসার সুপার মুজিবুর রহমান বলেন, খাইরুল ইসলাম নামে একজনের বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আর কোন খাবার খাইনি।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ ছাত্রীদের চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, খাবারে বিষক্রিয়ার হওয়ায় ছাত্রীদের বমি ও পেটের পিড়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অপহৃত মাদরাসাছাত্র উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানরের ছুটাছুটি
কুড়িগ্রাম পৌরশহরে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে দু’টি বানর। এতে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
মঙ্গলবার সকালে শহরের থানা পাড়া এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা গেছে,কুড়িগ্রাম পৌরশহরের জলিল বিড়ি মোড়,পুরাতন থানা পাড়া, সাদ্দির মোড়,কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ও গাছের ডালে খাবারের জন্য বানর দু’টি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কুড়িগ্রাম শহর থেকে ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত এলাকার দুরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: মাছের আঁশ: রপ্তানি বৈচিত্র্যে আশা জাগানো নতুন পণ্য
কুড়িগ্রাম বনবিভাগ জানান,এসব বানর সীমান্ত এলাকা ভারত থেকে আসতে পারে। ক্ষুধার্ত বানরগুলো খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে। পরে বানরদের সুবিধামত জায়গায় নেমে খাবারের সন্ধান করে। প্রতিনিয়তই লোকালয়ে এমন অভুক্ত বানর দেখা যায়। বাড়ির ছাদে উঠলে লোকজন খাবারও দিচ্ছে। অনেকের মাঝে আবার ভীতিও বিরাজ করছে।
পুরাতন থানা পাড়ার বাসিন্দা বিপ্লব বলেন,সকাল ৮টার দিক আমার বাড়ির সামনে বানরগুলোকে দেখতে পাই, এসময় আমরা কলা,আপেল,বাদাম এসব খাবার দিয়েছি। চালের ওপর থেকে খাবারগুলো নিয়ে তারা খাচ্ছে।'
আরেক বাসিন্দা অর্পনা সরকার বলেন,'গত দু’দিন ধরে বানর দেখা যাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত কাউকে আঘাত করেনি। খাবার না পেয়ে হয়তো বন থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে।'
কুড়িগ্রাম বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম বলেন,হয়তো বানরগুলো দল ছুট হয়ে ভারত থেকে ভুরুঙ্গামারীর সীমান্ত দিয়ে চলে এসেছে। তারা এরকম খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসে। তাদের খাবার কিংবা ঢিল দিয়ে বিরক্ত করা যাবেনা। তারা এমনিতেই আবার বনে চলে যাবে। বানরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
ফেনীর অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর ধরে বাক্সবন্দী
ভেজাল খাবারে দেশ ভরে গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ নাই। এছাড়া বিষাক্ত ওষুধ মেশানো ভেজাল খাদ্য দিয়ে দেশ ভরে গেছে।
তিনি বলেন, যে খাবারগুলোই আমরা খাচ্ছি তার সবই প্রায় ভেজাল মেশানো। চাল, ডাল, মশলা, মাছ থেকে শুরু করে শাকসবজি সহ প্রায় সব খাদ্যেই বিষ মেশানো হচ্ছে। সেই বিষ মেশানো খাবারগুলো আমরা নিজেরা খাচ্ছি, আমাদের পরিবারের ছোট-বড় সবাই খাচ্ছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে মানুষের দেহে ক্যান্সার, কিডনী সহ বড় বড় জটিল রোগগুলো এখন দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে একটি মত বিনিময় সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয় ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে পারবে কিন্তু মশা মারতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ভেজাল খাবারের কারণেই দেশে ওষুধের ব্যবসা এত বেড়ে গেছে, হাসপাতালে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালের ফ্লোরেও রোগীদের এখন জায়গা হয়না। উন্নত দেশগুলোতে আর যাই হোক খাদ্যে বিষ মেশালে সেই কোম্পানি যত ক্ষমতাধরই হোক কোনো ছাড় দেয়া হয়না। আমাদের দেশে এখন হোটেলে ভেজাল খাবার, দোকানে ভেজাল খাবার, বাজারে ভেজাল খাবারসহ সর্বোত্র ভেজাল খাবার দেয়া হচ্ছে। মানুষ যাবে কোথায়? খাবে কী?
এভাবে তো চলতে দেয়া যায়না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ জীবন দিতে হলে এই ভেজাল কারবারিদের এখনই থামিয়ে দিতে হবে। খাদ্যে ভেজাল দেয়া বন্ধ করতে হবে। এটি করতে আমাদের স্বাস্থ্যখাতের ভুমিকা আরও জোড়ালো করার পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে। ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সেটি নিয়ে পড়ে থাকলে এই ভেজাল আর বন্ধ হবে না। ভেজাল প্রতিরোধ করা ও নিয়ন্ত্রণ করা অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হতে পারে, কিন্তু চিকিৎসা'তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই দিতে হবে। কাজেই আগামী এক মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু টিম গঠন করে মাঠে নেমে যেতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেই রিপোর্ট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আমরা বসে খুব দ্রুত এর সমাধান করব।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একে একে উপস্থিত সবার কথা শোনেন, এবং সবাইকে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কি কি ভুমিকা রাখতে হবে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেন।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদিসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের পদস্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু শনাক্তের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আইফোন ১৪ প্রো জেতার সুযোগ দিল ফুডপ্যান্ডা!
ফুড প্যান্ডা প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবারদের জন্য আইফোন ১৪ প্রে জেতার সুযোগ করে দিয়েছে। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ নামে আকর্ষণীয় একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে জনপ্রিয় অনলাইন ফুড অ্যান্ড গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়, এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবাররা আইফোন ১৪ প্রো জেতার সুযোগ পাবেন। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনটি ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। চলবে চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: উৎসবের মৌসুমে ফুডপ্যান্ডার করপোরেট ভাউচারে বিশেষ ছাড়
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্যান্ডাপ্রো নামের বিশেষ এই সাবস্ক্রিপশন সেবা ফুডপ্যান্ডা প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে এবং নিয়মিত ব্যবহারকারীরা উপভোগ করতে পারবেন বাড়তি সুবিধা। প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশনের ফলে গ্রাহকরা প্রত্যেক মাসে ১০টি ফ্রি ডেলিভারি, সব ধরণের পিকআপ অর্ডারে বাড়তি ৫ শতাংশ ছাড়, প্যান্ডামার্টে অর্ডারে প্রত্যেক মাসে ৩টি ভাউচার পাবেন।
এছাড়া শুধুমাত্র প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবাররা ডাইন-ইনের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। আর সর্বশেষ ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকরা পাচ্ছেন আইফোন ১৪ প্রো জেতার আকর্ষণীয় সুযোগ।
এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য গ্রাহককে প্রথমে ৪৯৯ টাকায় এক বছরের জন্য প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। এ বছরের অক্টোবরের ১৬ তারিখের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি অর্ডার করতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্ডারকারী সেই সপ্তাহের জন্য বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
ক্যাম্পেইন শেষে মোট চারজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং মানিষা সাফিয়া তারেক এ ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামের ফলে আমাদের সেরা গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। দৈনন্দিন প্রয়োজনে শুধু প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকদের জন্য বাড়তি অনেক সুবিধা থাকবে। আমাদের অ্যাপ ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে গ্রাহকদের জন্য প্যান্ডাপ্রো চালু করতে পারায় আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনটি দারুণ সব সুবিধা উপভোগের সুযোগের সঙ্গে একটি বড় আকর্ষণ।’
আরও পড়ুন: রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার তৈরির আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার তৈরি করতে পারলে বিদেশেও রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ফুড অ্যান্ড কেমিক্যাল ল্যাব এক্সপো ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন:খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে আঙ্গুল তুলে মিল মালিকদের দিকে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, অনিরাপদ খাবারকে খাদ্য হিসেবে ধরতে চাই না। যে খাবার খেয়ে মানুষ নানা রোগে ভোগে তা খাদ্য হতে পারে না। এজন্য খাদ্য নিরাপদ কি না তা ল্যাবে পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের হাত থেকে ভোক্তার টেবিলে আসা পর্যন্ত যেকোনো সময় খাদ্য অনিরাপদ হতে পারে। এজন্য আমাদের সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যারা বিদেশে ফুড প্রসেস করে রপ্তানি করে তাদেরকেও সচেতন হতে হবে।
আইন প্রয়োগ বা জরিমানা করেই কিন্তু সমধান পাওয়া যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার আগে মনের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করতে হবে। বিশ্ববাজারে আমরা এখনও ভালোভাবে স্থান করতে পারিনি। ল্যাবরেটরি পর্যাপ্ত না হলে মানুষ চাইলেও পরীক্ষা করতে পারেন না। এজন্য সরকার চেষ্টা করছে এটা যেন এভেইলেবল করা যায়।
খাদ্যমান পরীক্ষার জন্য সরকার ইতোমধ্যে দেশের ৮ বিভাগে ল্যাবরেটরি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ৮টি মোবাইল ভ্যান ল্যাব ও জাইকার সঙ্গে আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন:দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল-আটা বিক্রি: খাদ্যমন্ত্রী
খাবার উৎপাদনে ছাত্রলীগকে আরও কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্বের বর্তমান খাদ্য সংকট পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ হতে পারে সতর্ক করে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে দেশে খাবার উৎপাদনে আরও বেশি কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আমাদের ছাত্রলীগ কৃষকদের ধানের চারা রোপণে সহায়তা কবে, যেভাবে তারা কোভিড-১৯ সময়কালে কাটায় সাহায্য করেছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেক ছাত্রলীগ কর্মীকে নিজ নিজ গ্রামের বাড়ি এবং থাকার জায়গায় এটি হোস্টেল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে পারে, সেখানে ব্যাপকভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, এটি প্রয়োজন কারণ বিশ্ব একটি ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হতে পারে এবং অর্থ থাকা সত্ত্বেও খাবার কেনা যাবে না। তাই আমাদের নিজেদের খাবার নিজেরাই তৈরি করতে হবে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগ কর্মীদের বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুটি প্রকাশনা-‘মাতৃভূমি’ এবং ‘জয় বাংল ‘ এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয় প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩ জেলায় আরও চাল, নগদ টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্দ সরকারের
বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া,কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ জেলার বন্যাদুর্গতদের জন্য চাল,নগদ টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয় বলে উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. সেলিম হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বরাদ্দকৃত জেলা সমূহের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুই হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট,কুমিল্লা জেলায় দুইশ’ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৭ লাখ টাকা, এক হাজার ৭০০ শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট এবং কিশোরগঞ্জ জেলায় একশ’ মেট্রিকটন চাল,নগদ ১০ লাখ টাকা এবং দুই হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এর আগে দেশের ১১ টি জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় মানবিক সহায়তা হিসেবে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১৭ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্তচার হাজার ২০ মেট্রিক টন চাল, পাঁচ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা এবং ৯৫ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দকৃত ত্রাণকার্য (নগদ) অর্থ শুধুমাত্র আপদকালীন সময়ে বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই যেসব খাবার সংরক্ষণ করা জরুরি
সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমছে, তবে আটকে পড়া বর্জ্যে দুর্ভোগ