ট্যাংকারে বিস্ফোরণ
বরিশালে ট্যাংকারে বিস্ফোরণ: ছেলের মৃত্যুর পর বাবাও মারা গেলেন
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের মোহাম্মদ ফারদিন আরাফাত স্বাধীন নিহত হওয়ার চার দিনের মাথায় তার বাবা জাহাজের চিফ ড্রাইভার কুতুবউদ্দিনও মারা গেছেন।
রবিবার (১৪ মে) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত কুতুবউদ্দিন চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের নিউ রাজাপুর গ্রামের মৃত ছালে আহমদের ছেলে।
আরও পড়ুন: ৩০০০ ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও রোহিঙ্গা শিবিরগুলো ভয়ানক মোখা থেকে রক্ষা পেয়েছে
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম জানান, গত ১১ মে (বৃহস্পতিবার) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করে রাখা এমটি ইবাদি-১ জাহাজের তেলবাহী ট্যাংকারে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলে মো. বাবুল কান্তি দাস (৬৪) ও স্বাধীন (২২) দুইজন মারা যায়।
আহত-ড্রাইভার কুতুবউদ্দিন (৪৮), ড্রাইভার মো. রুবেল হোসেন (৪৫) ও গ্রিজম্যান কামাল পাশাকে (৫০) উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে জানা যায়, জাহাজটি চট্রগ্রাম থেকে সাড়ে তিন লাখ লিটার পেট্রোল ও ১০ লাখ লিটার ডিজেল নিয়ে দুইদিন আগে বরিশালে যায়। বরিশালের মেঘনা তেলের ডিপোতে এই তেল (বৃহস্পতিবার) খালাশ করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী স্টাফরা ইঞ্জিন রুমে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় কুতুবউদ্দিন আহত হলেও তার ছেলে স্বাধীন ঘটনাস্থলে মারা যান। কুতুবউদ্দিনকে ঢাকার বার্ন ইউনিট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চারদিন পর রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। কুতুবউদ্দিন ওই জাহাজের চিফ ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আর ছেলে স্বাধীন ওই জাহাজে তার বাবার সঙ্গে বেড়াতে যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কমলাপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে