রিটকারী
রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ: ‘সময় নষ্ট করায়’ রিটকারীকে লাখ টাকা জরিমানা
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আপিল বিভাগও খারিজ করে দিয়েছেন।
একইসঙ্গে অযৌক্তিক রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করায় রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বেঞ্চের অন্য সাতজন হলেন- বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর: অ্যাটর্নি জেনারেল
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছিল।
একইসঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট গত ১৫ মার্চ সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আদেশের অভিমতে হাইকোর্ট বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘দ্য অফিস অব প্রফিট’ ধারণ করেন, কিন্তু এটি প্রজাতন্ত্রের কর্মে একটি লাভজনক (অফিস অব প্রফিট) পদ নয়। রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের পদ্ধতি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে অন্যদের নিয়োগের মতো নয়। তদুপরি প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের যেসব বিধান ও নিয়ম রয়েছে, সেগুলো রাষ্ট্রপতি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’
এরপর ২১ মার্চ রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে দেশি-বিদেশি অপশক্তিকে প্রতিহত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
১ বছর আগে