সেহেলী সাবরীন
ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন।
বৃহস্পতিবার তার নতুন দায়িত্ব সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তার মিশনে যোগদানের তারিখ থেকে বদলির আদেশ কার্যকর হবে।
২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএসের (পররাষ্ট্র) সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন সেহেলী সাবরীন।
২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব এবং ২০১৪-২০১৭ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সেহেলী সাবরীন।
৭ মাস আগে
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
বাংলাদেশ মিয়ানমারে বিদ্যমান বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সজাগ রয়েছে। উপযুক্ত সময় ও পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংকে উদ্ধৃত করে সাবরীন বলেন, চলতি সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দ্বিতীয় গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামের (জিআরএফ) (১৩-১৫ ডিসেম্বর ২০২৩) অধিবেশনে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ উদারতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা একশ মিলিয়নেরও অধিক শরণার্থীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানান।
বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে সে সম্পর্কে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ একাধিকবার রোহিঙ্গাদের ধারণা দিয়েছেন এবং প্রথম পযার্য়ের প্রত্যাবাসনের জন্য নির্ধারিত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে পূর্বনিবাস যাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
‘মিয়ানমারে আমাদের নিজের ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন’
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
১ বছর আগে
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা ওই দু’দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নানান বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সে আলোচনায় বৃহত্তর বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নানান দিক উঠে আসা স্বাভাবিক। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে কী আসবে, না আসবে তা এই দু’দেশের নিজস্ব ব্যাপার।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভারত- যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের 'টু প্লাস টু' সংলাপের ধারণাগত সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ভারতের নয়াদিল্লিতে। 'টু প্লাস টু' সংলাপটি মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সার্বিক দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: সেহেলী সাবরীন
তিস্তা চুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে কোনো বার্তা পেয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, আপনারা জানেন তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসংক্রান্ত চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশ তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অগ্রগতি হলে তা যথাসময়ে আমরা আপনাদের জানাব।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কী কী সুযোগ সুবিধা পাবে সে সম্পর্কে ব্রিফ করা এবং অসমাপ্ত ভেরিফিকেশন কার্যাবলী সম্পন্ন করার জন্য গত ৩১ অক্টোবর-১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে কক্সবাজারের টেকনাফে দ্বিতীয় কাম অ্যান্ড টক ভিজিটের আয়োজন করা হয়েছিল।
এ সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং যেসব প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে পারেননি; যেমন নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দান, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রাখাইনে জাতিসংঘের সরাসরি সম্পৃক্ততা ইত্যাদি। সেসব বিষয়ে পরে তাদের অবস্থান জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
ইতোপূর্বে মিয়ানমারের আরেকটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ব্রিফ করেন এবং রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসনের আয়োজন সম্পর্কে সরাসরি ধারণা নেওয়ার জন্য রাখাইন ভ্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না: মুখপাত্র
১ বছর আগে
সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে দেশে ফিরেছেন ৭২১ জন বাংলাদেশি: সেহেলী সাবরীন
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর চলমান গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষিতে সুদান থেকে এ পর্যন্ত ৭২১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সুদানে বিগত ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলমান। গত একমাসে এই সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় চারশ’র অধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সরকারি খরচে সুদানে অবস্থানরত ৭২১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত এনেছে।
সুদানে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রথমপর্বে প্রায় ৮০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা থেকে একজন কাউন্সেলর সুদানস্থ বাংলাদেশ এম্বাসিকে সহায়তা দেয়ার জন্য পোর্ট সুদানে গিয়ে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ৫৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে
তিনি আরও বলেন, সুদানে অবস্থানরত বাকী বাংলাদেশিদেরকে বদর এয়ারলাইন্সে সরকারি খরচে সুদান থেকে জেদ্দা পরিবহন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৭২১ জন।
আরও ১৬০ জন বাংলাদেশিকে দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, পোর্ট সুদান বা জেদ্দা কোন স্থানেই যেন প্রবাসীদের অসুবিধা না হয় সেজন্য উভয় স্থানেই তাদের জন্য খাদ্য, পানীয়, চিকিৎসা এবং সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানফেরতদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
১ বছর আগে