সময়
এখন বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়: রানা ফ্লাওয়ার্স
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেছেন, ‘এখন বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশু, তরুণ ও তাদের পরিবারগুলোর কথা আমার মনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও শিশুদের কথাও আমি মনে রেখেছি। শিশুদের অধিকার রক্ষার প্রতি অঙ্গীকার ও ভালোবাসা থেকেই ইউনিসেফ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।’
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে তার পরিচয়পত্র উপস্থাপনকালে এসব বলেন।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে ৩২ শিশু নিহতের বিষয়ে ইউনিসেফের বিবৃতির জবাব দিল সরকার
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেক শিশু ও তরুণেরই রয়েছে মর্যাদা ও অপার সম্ভাবনা। এ বিশ্বাস থেকেই আমাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সরকার, বেসরকারি খাত ও ইউনিসেফের দীর্ঘ দিনের অংশীজনদের সঙ্গে হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলা এবং শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এখনও অনেক কিছু করার রয়েছে। রয়েছে চমৎকার আরও অনেক কাজের সুযোগ।’
রানা ফ্লাওয়ার্স আরও বলেন, ‘নতুন প্রতিনিধির নেতৃত্বে ইউনিসেফ, তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের জন্য করণীয়গুলো নির্ধারণ ও সেগুলো বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করবে। ইউনিসেফ তার চলমান উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি সমান তালে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। প্রত্যেক শিশুই গুরুত্বপূর্ণ, সেকারণে শরণার্থী শিবিরগুলোতে শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষার প্রতি ইউনিসেফ তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের শিশু ও তরুণেরা যে আহ্বান রেখেছে, তাতে আমি অনুপ্রাণিত। আমরা তাদের কথা শুনছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
তিনি বলেন, ‘ইউনিসেফের পক্ষ থেকে আমি অঙ্গীকার করছি যে, আমার টিম শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সহায়তায় সব কিছু করবে। যাতে প্রতিটি শিশু বেঁচে থাকতে পারে এবং এমন একটি পরিবেশে তারা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় যেখানে সহিংসতা থাকবে না, থাকবে সমৃদ্ধি ও সবার জন্য সমান সুযোগ।’
এসময় বাংলাদেশে প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষায় ইউনিসেফের জোরালো সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি। তিনি শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পানি ও শিশু অধিকার সুরক্ষাসহ সামাজিক সেবাসমূহের মানোন্নয়নে ইউনিসেফের কর্মতৎপরতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি জলবায়ু সংকট, কিশোর বিচার ব্যবস্থা ও তরুণদের ভালো কাজ পাওয়ার জন্য দক্ষ করে গড়ে তুলতে দিকনির্দেশনা দেবেন। এছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চারের মতো ক্ষেত্রগুলোতেও পরিবর্তন আনার জন্য দিকনির্দেশনা দেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ
ফ্লাওয়ার্স অস্ট্রেলিয়ার একজন নাগরিক। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, শিশু উন্নয়ন ও পলিসি অ্যাডভোকেসিতে ৩৫ বছরের বেশি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি চীন, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া ও বেলিজে ইউনিসেফের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২ মাস আগে
সংকটের সময় লাভ না করে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: ক্যাব
বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত নৌকার ভাড়া, গণপরিবহন ও ট্রাক ভাড়া, মোমবাতি, শুকনো খাবার, খাবার পানি, সবজিসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা সংস্থাটি বলেছে, বানভাসী মানুষদের কষ্টকে পুঁজি করে ব্যবসা করার পরিবর্তে নিত্যখাদ্য পণ্য ও সেবায় জনগণের পকেট কাটার উৎসব বন্ধ করুন। একই সঙ্গে লোক দেখানো সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় ত্রাণ বিতরণের চেয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের মতবিনিময়
শনিবার (২৪ আগষ্ট) চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী অঞ্চলে চলমান বন্যার কারণে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছে ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি।
বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ ও ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি
৩ মাস আগে
২৭ মার্চ থেকে বাড়ছে মেট্রোরেল চলাচলের সময়
আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে রাত ৯টার পরও মেট্রোরেল চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) এম. এ. এন সিদ্দিক আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংএ বিস্তারিত তথ্য জানাবেন।
আরও পড়ুন: রমজানের শেষ ১৫ দিন মেট্রোরেলের সময় বাড়বে এক ঘণ্টা
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৭ মার্চ থেকে মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। তখন চলবে ১৯৪ বার।
এখন মেট্রোরেল সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে। পিক আওয়ারে (৭টা থেকে সাড়ে বেলা ১১টা এবং বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা) প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করছে। আর বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ক্যান্টিন ১ হাজার টাকায় ভাড়া, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
৭ মাস আগে
অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর সময় বাড়ল ২ দিন
অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর নির্ধারিত সময়ের বাইরে আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে বইমেলার মেয়াদ দুই দিন বাড়ানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিআরবিতে প্রথম দিনেই জমজমাট একুশে বইমেলা
এর আগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, 'আজ(মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী মেলার মেয়াদ দুই দিন বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা এখন মেলা পরিচালনা কমিটিকে এ বিষয়ে অবহিত করছি। তারা মেলার মাইকে ঘোষণা দেবেন এবং বুধবার অফিসিয়াল নোটিফিকেশন জারি করা হবে।’
ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২ মার্চ বইমেলা শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে প্রাণবন্ত বইমেলার শিশুচত্বর
৮ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। আজ বিকাল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল।
আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন প্রার্থীরা।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেই অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি (রবিবার) ভোট গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ ও নিষ্পত্তি আগামী ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত (ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত) নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ৪২ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানকে নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ
১১ মাস আগে
সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা এখনো আশাবাদী এবং বিশ্বাস করি সময়মতো বই দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
এ ছাড়া বছরের শুরুতে বই পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি গণমাধ্যমে দুই রকম হেডলাইন দেখেছি। একটি বলছে- পহেলা জানুয়ারিতে বই দেওয়া যাবে কোনো শঙ্কা নেই। অপরটি বলেছে- পহেলা জানুয়ারিতে বই দেওয়া নিয়ে শঙ্কা। কীসের উপর ভিত্তি করে এই সংবাদ প্রকাশ করছেন এবং কেন করছেন (!) আমি জানি না।
আরও পড়ুন: দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে নতুন শিক্ষাক্রমের সংস্কার ও বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম একেবারে রূপান্তর। আপনারা-আমরা কিন্তু একটি মুখস্থ বিদ্যার জগৎ পার করে এসেছি। আমরা যখন পড়াশুনা করেছি, তখন একটি নতুন প্রযুক্তি এসেছে ১০-১৫ বছর বিরতিতে।
তিনি আরও বলেন, এখন ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। এখন আমাদের শিক্ষার্থীরা যে জগতে বড় হবে, সেখানে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করে নেতৃত্বের জায়গায় টিকে থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কি সারা জীবন পিছিয়ে থাকব? নিশ্চয়ই না।
তিনি বলেন, এখন পৃথিবীতে মূল জিনিস হচ্ছে দক্ষতা। সেই কারণে আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম রূপান্তর। এখন বিশ্বের অনেক দেশ এটি করেছে। বাকি দেশগুলো করার চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি খুব ভালো জায়গায় নিজেদের নিয়ে আসতে পেরেছি, এটি হুট করে হয়নি। ২০১৭-১৮ সালে অনেকগুলো গবেষণার পর ২০১৯ সালে সিদ্ধান্ত হয়ে আজকে আমরা এই অবস্থায় এসেছি। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, একটি দীর্ঘ সময় নিয়ে, অসংখ্য বিশেষজ্ঞদের কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের এই জায়গায় এসেছি এবং এটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
সুতরাং এটি নিয়ে যারা আজকে তথাকথিত আন্দোলন করছে, তাদের বেশিরভাগ কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যারা একেবারে স্কুল পর্যায় গিয়ে কমিশনে গাইড বই বিক্রি করেন, তারা এসবের সঙ্গে জড়িত এবং দুঃখজনক হলেও সত্য কোনো কোনো শিক্ষকও এর সঙ্গে জড়িত।
মন্ত্রী বলেন, তারা অনেক অভিভাবককেও বিভ্রান্ত করছেন। এত বড় রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা একটি বছর পার করে এসেছি। এটি কম সময় নয়। আমাদের অভিভাবকরা অভ্যস্ত হবেন, শিক্ষকরা ক্রমাগত প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন এবং প্রশিক্ষণ চলবে। কাজেই আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বইগুলো এখনো বলছি পরীক্ষামূলক সংস্করণ। আমরা ক্রমাগত এর পরিমার্জন ও পরিশীলন করব। কিন্তু এই পদ্ধতির পরিবর্তন হবে না। বইগুলো আরও উন্নত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ এস এম মোসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারী, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আইনজীবী হুমায়ুন কবির সুমনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল
চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ২০২০ সালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ৪৭১ দিনের মধ্যে সফট ওপেনিং করার কথা ছিল। আজ (২ অক্টোবর) চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ২৪১ দিন। আগামী ৭ অক্টোবর সফট ওপেনিং হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন সফট ওপেনিং এ উপস্থিত থাকবেন। নির্ধারিত সময়ের আগে সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে তৃতীয় টার্মিনালের। সফট ওপেনিংয়ের অনুষ্ঠান তৃতীয় টার্মিনালের ভেতরে অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশের মানুষ যেন উদ্বোধনের দিন গণমাধ্যমের মাধ্যমে এই টার্মিনাল দেখতে পারেন, সেজন্য আমরা ভেতরে উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি।
তৃতীয় টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি নিয়ে এম মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল সফট ওপেনিংয়ের আগে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করা। বর্তমানে এখন প্রায় ৮৮ শতাংশের ওপরে অর্থাৎ ৮৯ শতাংশের কাছাকাছি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি ওপেনিংয়ের আগে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যাত্রীদের জন্য টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু (ফুল ফাংশনাল) করার। তবে আমাদের কাজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক আগে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। নির্ধারিত সময়ের আগে যাত্রীদের জন্য টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু হবে বলে আশা করছি।
তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত জনবল আছে কি না- প্রশ্ন করা হলে মফিদুর রহমান জানান, জনবলের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। এ ছাড়া আমাদের এখন যারা আছেন তাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমসহ সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নতুন টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে সেবার মান বাড়বে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই তৃতীয় টার্মিনাল করা হয়েছে যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের জন্য। এভিয়েশন হাব হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এই তৃতীয় টার্মিনাল করা হয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান আরও জানান, যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশি একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে বিদেশি সংস্থা কাজ করলেও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকবে আমাদের হাতে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
তিনি বলেন, বিদেশি সংস্থাকে বলে দেওয়া হবে যেন যাত্রী সেবার মান সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর অথবা সমমনা বিমানবন্দরগুলোর মতো হয়। যাত্রীসেবার মান সুনিশ্চিত করতে পারবে। এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করব।
এ ছাড়া আমাদের দেশীয় স্টেকহোল্ডার যারা রয়েছে তাদেরও বলা হয়েছে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। নতুন টার্মিনালে যাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুক অনুযায়ী অফিসের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
নতুন তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রস্তুত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, এটা কোনো একক কাজ না। আমরা সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনা করব, দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরের মতো।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করছে স্যামসাং গ্রুপের কনস্ট্রাকশন ইউনিট স্যামসাং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ট্রেডিং (সিঅ্যান্ডটি) করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটির নির্মিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে বুর্জ খলিফা, পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, তাইপে ১০১, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনাল, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আবুধাবির ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা উন্মোচনের মাধ্যমে নির্মাণে আধুনিকতা নিয়ে এসেছে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন গ্রুপ।
এ ছাড়া টার্মিনালের ভেতরের ভবনটির নকশা তৈরি করেছেন বিখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। তিনি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের টার্মিনাল-৩, চীনের গুয়াঞ্জুর এটিসি টাওয়ার ভবন, ভারতের আহমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইসলামাবাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের নকশা তৈরি করেন।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ডেনিশ মায়ের্স্ক গ্রুপের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও সময় লাগবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাক্রমের পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। ২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতিহারে অঙ্গীকার ছিল শিক্ষার সকল পর্যায়ের মান উন্নয়ন করব।
তিনি বলেন, সে কাজটি আমরা খুব বড় আকারে করেছি। শিক্ষার মান একদিনে উন্নত হয় না, কিন্তু আপনাকে কাজটা করতে হবে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলো শিক্ষার মান উন্নয়নে দরকার। সেগুলো হলো আমাদের একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম দরকার, আমরা সেই নতুন শিক্ষাক্রম, যেটা দিয়ে শিক্ষায় রূপান্তর ঘটে যাচ্ছে, সেটি প্রণয়ন করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, শিক্ষক দরকার হয়। আমরা ব্যাপক হারে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। একই সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন লাগে, টেকসই প্রযুক্তি লাগে সেগুলো ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, আজ উচ্চ শিক্ষায়ও ব্যাপকভাবে গবেষণা থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়াল লিংকেজসহ সকল রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। এই পরিবর্তনটা যে সূচিত হয়েছে, তার ফলাফল দেখতে আমাদের ৪-৫ বছর সময় নিবে।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা তারা যে নতুন শিক্ষাক্রমে শিখছে এবং পুরো শিক্ষায় দৃষ্টিভঙ্গিতে, তাদের দক্ষতায় যে বিরাট পরিবর্তন আসছে, এটি এখনই দৃশ্যমান। বিশেষ করে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যা বলেন, তা তিনি করেন। শিক্ষায় মান উন্নয়ন করবেন বলেছেন, আমরা তার সার্বিক দিক নির্দেশনায় শিক্ষায় মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সেই উন্নয়ন আপনারা সবাই ইনশাআল্লাহ দৃশ্যমান দেখতে পাবেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে অন্যতম বাহক। প্রত্যেক দেশ তাদের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। যারা এখন আমাদের সঙ্গে এসে দেখা করছেন তাদের দেশেও একেকভাবে হয়।
আমাদের সংবিধান আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করবার জন্য সকল ব্যবস্থা আছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন অনেকগুলো নির্বাচন মানুষের কাছে এবং সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণিত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এই দেশে সম্ভব এবং হচ্ছে। কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করার কোনো অবকাশ নেই।
তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে, যথানিয়মে, আইন-কানুন মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা সেখানে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
আগামী বছর থেকে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
'আপনার সময় শেষ': সরকারের প্রতি ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতই দেশ সফর করুন না কেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ।
শুক্রবার রাজধানীতে এক সমাবেশে বক্তব্যে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। কারণ, দেশের জনগণ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন চায়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যতই চিৎকার করুক না কেন এই শাসনের সময় শেষ। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কাতার, সৌদি আরব এবং চীনে যান না কেন, আপনি কোন লাভ করতে পারবেন না। আপনার সময় শেষ এবং এটাই বাস্তবতা।’
জনগণকে 'দুঃশাসন' থেকে মুক্ত করতে এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নিতে সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
দলটির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়, এবং 'মিথ্যা মামলায়' দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
এছাড়াও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের 'গায়েবি' মামলা দায়ের, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ঘন ঘন বিদ্যুত বিপর্যয় এবং সরকারের 'সর্বব্যাপী' দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ জানাতে দেশের আরও ২৭টি মহানগর ও জেলায় সমাবেশ করেছে দলটি।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার বারবার ইউটিলিটি সার্ভিসের শুল্ক বাড়ালেও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংকটে মানুষ দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, চাল, তেল, ডিম, লবণ, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ বেঁচে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে।
‘কিন্তু মন্ত্রীরা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বিলাসবহুল থাকেন তারা বলছেন সবকিছু ঠিক আছে এবং বাংলাদেশের মানুষ খুব ভালো অবস্থায় আছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রায়ই লোকেদের উপহাস করে এই বলে যে তারা সিঙ্গাপুরের চেয়ে ভাল,’ বিএনপি নেতা বলেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় জনগণের স্পন্দন বুঝতে পারছেন না। ‘কোনও রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল ছাড়াই মানুষের সামনে দাঁড়ান তাদের চোখ এবং শরীরের ভাষা বুঝতে।’
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীতে আবারো পদযাত্রা করল বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের ‘দুঃশাসনে’ মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছে। ‘তারা বেঁচে থাকা কঠিন মনে করছে। ‘জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা মানুষকে সম্মান করতে পারে না। যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন বাহিনীর ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় থাকে তারা পতন না হওয়া পর্যন্ত মানুষের মন শান্ত হতে পারে না।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দেশের প্রতিটি সেক্টরকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ‘তারা কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাত থেকে প্রতি বছর ৭৮ হাজার কোটি টাকা চুরি করে... শিক্ষা ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দেয়। কলেজ, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় সহ কোথাও কোনো একাডেমিক পরিবেশ নেই। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে রেখেছে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। তৃতীয় শ্রেণীর ডিগ্রিধারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত হয়ে স্বাস্থ্য খাতকেও ধ্বংস করেছে।তিনি বলেন, সরকার এখন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও ভুতুড়ে’ মামলা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার শেষ অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করছে।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তাদের দলের নেতাকর্মীরা দমন, কারাবরণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৭ ভাই বর্তমান আন্দোলনে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ (শুক্রবার) খুলনায় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে আমরা শুনেছি। গুলি করে মানুষের এই আন্দোলন বন্ধ করা সম্ভব হবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ইতোমধ্যে কবরে চলে গেছে এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নিন্দা করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে, নিজেদের ভোট দিতে এবং সুষ্ঠু ফলাফল নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন: আগামী ২৩ ও ২৮ মে ঢাকা ছাড়া সব মহানগরে পদযাত্রা করবে বিএনপি
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। ‘আমরা ২০১৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচন দেখেছি…..তাদের আর বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই আসতে পারে না।
তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফখরুল। ‘তাহলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা কোথায়? আপনি কি বাংলাদেশের সব মানুষকে বোকা মনে করেন? আর কতদিন মানুষকে ঠকাবেন? আপনি আর এটা করতে পারবেন না।’
বর্তমান সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে বলে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কোনো পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন না করার আহ্বান জানান। ‘দেশের মানুষ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব একটি সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় এবং তারা জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তা সম্ভব হবে না। তাই দয়া করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন না যেখানে আপনাকে (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) চিহ্নিত করা হবে (আপনার পক্ষপাতমূলক ভূমিকার জন্য)।
শনিবার ঢাকা দক্ষিণ মহানগরী, ২১টি সাংগঠনিক জেলা ও অন্যান্য মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ
১ বছর আগে