ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এদেশ সকল নাগরিকের দেশ। আমরা সবাই সমান ও সমতার ভিত্তিতে মিলেমিশে বসবাস করছি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমী ও উদারপন্থী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের প্রায় এক দশমাংশ এলাকা জুড়ে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা নিয়ে গঠিত পার্বত্য অঞ্চল। এখানে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং বাঙালি জনগোষ্ঠীর বসবাস। পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আর দুর্গম নয়। পার্বত্য চটটগ্রাম এখন আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য। এখানকার বিভিন্ন ভাষাভাসী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ সকলের জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অন্যান্য সংস্থাসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেইফভের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়ন সংক্রান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের উপর আলোচনায় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় আমাদের বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অর্থ দিয়ে ও নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করতে চাই। এর ধারাবাহিকতায় পরিবেশ রক্ষা, ইকো ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ সকল ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, সকলের মধ্যে কনফিডেন্স গড়ে তোলাই হলো আমাদের প্রধান কাজ। সকলের জন্য ন্যায় বিচারভিত্তিক দেশ গঠনের জন্য আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় আসছে চীনের মেডিকেল টিম
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দিচ্ছি। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সকল ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার মান বৃদ্ধি করা হবে। পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে বিবিধ প্রকল্প চলমান।
দুর্গম এলাকায় সরকারের বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চলমান। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সুশাসন, ট্যুরিজম, সমউন্নয়ন, পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বৃদ্ধি, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে আরও বেশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে মর্মে অভিমত প্রকাশ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পলিটিক্যাল ইকোনোমিক কাউন্সেলর এরিক গিল্যান, মানবাধিকার কর্মকর্তা অ্যান ডাটারলি, ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিড অ্যাসিলিম্যান, প্রটোকল সুপারভাইজার নিশাত তাসনীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়: নিউইয়র্কে বাইডেন-ইউনূস বৈঠক ২৪ সেপ্টেম্বর
২ মাস আগে
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন ও প্রচারণা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা বিএনপি মহাসচিবের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে যে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, প্রচারণা প্রক্রিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কিছু অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির মহাসচিবকে বহনকারী একটি প্রাইভেটকার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে প্রবেশ করে এবং দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে গাড়িটি বের হয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
তবে এ সাক্ষাৎ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বিএনপি।
এর আগে ১৬ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার গুলশানের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
বিএনপি ওই সাক্ষাতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং অহিংস রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
১ বছর আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সহায়তা করতেই নতুন ভিসা নীতি: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ কেন্দ্রিক নতুন ভিসা নীতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন নীতি ঘোষণার পরপরই ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে সাংবাদিকদের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নীতিটি এই প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার জন্য জারি করা হয়েছে, যাতে তারা তাদের নেতা বেঁছে নিতে নির্বাচন করতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা সব জায়গায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে।
বার্তাটিতে প্রতিক্রিয়াসহ প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীর একটি সেটও ছিল। যার মাধ্যমে এটি কিছু নির্দিষ্ট বিষয় স্পষ্ট করে, যা সম্ভবত মানুষের মনে উত্থাপিত হতে পারে।
শুরুতে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা বা কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলেছে যে তারা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনী গণতন্ত্রকে দুর্বল করার কারণ ব্যতীত এই নীতিটি অন্য কারও পক্ষে পরিচালিত হবে না।
দূতাবাস থেকে আরও বলা হয়, ‘এই নতুন নীতির অধীনে বিধিনিষেধগুলো শুধুমাত্রা তাদের ক্ষেত্রেই, যারা সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে।’
এতে আরও আশ্বস্ত করা হয় যে যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছে তাদের জানানো একটি সাধারণ অনুশীলন।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের 'নিবিড় সহযোগিতার' কথা বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে এই নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
আরও পড়ুন: মার্কিন সরকারের নতুন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশ সরকার বিচলিত নয়: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে 'গভীর সম্পর্ক' এগিয়ে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: দূতাবাস
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে 'বিস্তৃত ও গভীর' সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায়।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তৃত ও গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যা আমরা আরও এগিয়ে নিতে চাই।’
মার্কিন দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের দিকে, যেখানে দাবি করা হয় যে আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এরপরই মার্কিন এই কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন মন্তব্য পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: যারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছুই কিনবে না: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে