৬ জন
কানাডায় ৬ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
কানাডায় ছয়জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্রীলঙ্কার ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। নিহতদের মধ্যে আড়াই মাস বয়সী শিশু কন্যা এবং শ্রীলঙ্কার একটি পরিবারের আরও তিন শিশু রয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্র ও ভুক্তভোগীরা একসঙ্গে বাস করতেন। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) অটোয়া পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
অটোয়ার পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবস বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম ফেব্রিও ডি-জয়সা। হামলাকারী 'ধারালো অস্ত্র' বা 'ছুরির মতো বস্তু' ব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলা এবং একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। কানাডায় এ ধরনের হত্যার ঘটনা বিরল।
স্টাবস আরও জানান, নিহতরা শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং তারা সম্প্রতি কানাডায় গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক মা, ৭ বছর বয়সী এক ছেলে, চার বছরের এক মেয়ে, দুই বছরের এক মেয়ে, আড়াই মাস বয়সী এক মেয়ে এবং সেইসঙ্গে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। তিনি এই পরিবারের পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজার হাত ও পরিবার হারানো শিশু ওমরের দ্বিতীয় জীবন শুরু
পুলিশ প্রধান বলেন, প্রথমে কর্মকর্তারা যখন বাড়িতে পৌঁছান তখন তারা দেখতে পান বাড়ির বাইরে পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি চিৎকার করে কাউকে বলছিলেন ৯১১ নম্বরে ফোন করার জন্য। এছাড়া বুধবার রাত ১০টা ৫২ মিনিটে দুইটি জরুরি কল পায় পুলিশ।
ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্টাবস বলেন, ‘এটি ছিল একদম নিরীহ মানুষের উপর কাণ্ডজ্ঞানহীন সহিংসতা।’
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশন জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী কলম্বোতে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডি-জয়সা আদালতে হাজিরা দেন এবং স্বীকারোক্তি দেন। এ সময় আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ওই পরিবারের ব্যক্তি এবং পুলিশের কাছে বিবৃতি প্রদানকারী অন্য চারজন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে নিশেধ করেন বিচারপতি।
এদিকে আইনজীবী খোঁজার জন্য সময় দিতে তার মামলাটি ১৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বুধবার বেলা ১১টার আগে বারহাভেন এলাকার বাড়িতে পুলিশ ডাকা হয়েছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয় এবং এবং পুলিশ জানায়- জননিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নেই।
ডন পেরেরা নামে এক প্রতিবেশী জানান, গত শরতে পাশের ক্যাথলিক এলিমেন্টারি স্কুলে একটি হ্যালোইন পার্টিতে ওই বাড়িতে থাকা পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
পোস্ট অফিসের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কুড়িগ্রামের সহকারী পোস্ট মাস্টারসহ ছয়জনের ৯ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুইজন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর অঞ্চলের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলার রায় দেন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, হাবিবর রহমান, আব্দুল মালেক, মতিউল ইসলাম, মওদুদ হাসান ও শ্রী অশোক কুমার নাথ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের সহকারী পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর হাবিবুর রহমান, অশোক কুমার নাথ, আব্দুল মালেক, কাউন্টার অপারেটর মতিউল ইসলাম ও মওদুদ হাসান একে অপরের যোগসাজশে গ্রাহকের জমানো সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ মে কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিস পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান বাদী হয়ে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
সেই সঙ্গে জরিমানার পুরো অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।
পলাতক দুই আসামি মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
সরকারের কৌঁসুলি (পিপি) হারুনর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন হলেও সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, মক্কেলরা ন্যায়বিচার পায়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম-৩ আসন: জালভোট দেওয়ায় যুবকের ৫ বছর কারাদণ্ড, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে এক যুবককে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-শৈলকূপার দক্ষিণ মনোহরপুর গ্রামের ছানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম পাভেল; ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা শেখপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আলো; খাজুরা জোয়ার্দ্দার পাড়ার জয়নাল আবেদিনের ছেলে আসলাম;আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে ইমরান; হাবিবুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম এবং পবহাটি এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে রাসেল।
এ মামলার অপর আসামি মাসুম, রিহাদ ও জামানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে পাভেল, আলো ও রাসেল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া ফিরোজ নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামের যুবক রহমত উল্যাহ ওরফে খোকনকে জনৈক ব্যক্তি মোবাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরদিন সকালে ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের চাচা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন