৬ জন
ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি পদে ৬ জনের পদোন্নতি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ছয়জন।
এরা হলেন- মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমান। এর আগে উনার সবাই ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের প্রধান হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইং, নোয়াখালী জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে: ভিপি নূর
মো. রফিকুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯৮ সালে সিনিয়র অফিসার হিসাবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ক্যামেলকো এবং ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মুহাম্মাদ সাঈদ উল্লাহ স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস উইং, ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট উইং, রিটেইল ইনভেস্টমেন্ট উইং, ঢাকা নর্থ জোন ও সিলেট জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ফরেন ট্রেড অপারেশন্স ডিভিশনের প্রধান, নওয়াবপুর রোড ও পল্টন শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ব্যাংকের ক্যামেলকো এবং অপারেশন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান ও বিজনেস প্রমোশন অ্যান্ড মার্কেটিং ডিভিশন, হেড অফিস কমপ্লেক্স করপোরেট শাখা, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মো. মাকসুদুর রহমান ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট উইং, ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং, ফরেন রেমিট্যান্স ডিভিশনের প্রধান, যশোর ও খুলনা জোনপ্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
১ মাস আগে
পলক, টুকুসহ ৬ জন আবারও রিমান্ডে
পৃথক দুই হত্যা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলকের তিন দিন করে ছয় দিন এবং শামসুল হক টুকুসহ পাঁচজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
অন্যরা হলেন, সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের নামে হত্যা মামলা
আইডিয়াল কলেজের ছাত্র সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ছয় আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্কাস মিয়া।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সামসুল হক টুকু, আরিফ খান জয় ও মোহাম্মদ সোহায়েলের পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এদিকে আদাবর থানার গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় আহমদ হোসেন ও তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক।
আর জুনাইদ আহমেদ পলককে বাড্ডা থানায় সুমন সিকদার ও সূত্রাপুর থানায় ইকরাম হোসেন কাওসার এবং ওমর ফারুক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলামও রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
গত ১৪ আগস্ট শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে আহমদ হোসেন ও বনানী এলাকা থেকে সোহায়েলকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ
কিশোরগঞ্জে হত্যার অভিযোগে হাসিনা, কাদেরসহ ৮৮ জনের নামে মামলা
৩ মাস আগে
কুমিল্লায় জোড়া খুনের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গিয়াস উদ্দিন ও জামাল হোসেনের খুনের ঘটনায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসমিকে ৫০ হাজার টাকা করেও জরিমানা করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার সময়ে আদালতে ১৫ জন আসামির মধ্যে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণের ধনাইতরীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৬ সালে এই খুনের ঘটনা ঘটেছিল।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- তোফায়েল আহমেদ তোতা, কামাল হোসেন, মো. মামুন, আলমগীর হোসেন, বাবুল ও হারুনুর রশিদ।
যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরা হলেন- হায়দার আলী, আবদুল মান্নান, জামাল হোসেন, আবুল বাশার, জাকির হোসেন, আবদুল কাদের, আবদুল কুদ্দুস।
কুমিল্লা আদালতের সরকারি কৌসুলি মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘২০১৬ সালে ১২ আগস্ট রাতে আসামিরা গিয়াসউদ্দিন ও জামালকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত গিয়াসের ছেলে মেহেদী হাসান ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারকার্যে আসামিদের জবানবন্দি ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।’
আরও পড়ুন: হাইকোর্টেও ‘সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
৫ মাস আগে
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে শুক্রবার (১০ মে) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪ জন রোগী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জন আক্রান্ত
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন ও নারী ১৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ হাজার ৩৯৭ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৪৫০ জন ও নারী ৯৪৭ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩১
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২২
৭ মাস আগে
কানাডায় ৬ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
কানাডায় ছয়জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্রীলঙ্কার ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। নিহতদের মধ্যে আড়াই মাস বয়সী শিশু কন্যা এবং শ্রীলঙ্কার একটি পরিবারের আরও তিন শিশু রয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্র ও ভুক্তভোগীরা একসঙ্গে বাস করতেন। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) অটোয়া পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
অটোয়ার পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবস বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম ফেব্রিও ডি-জয়সা। হামলাকারী 'ধারালো অস্ত্র' বা 'ছুরির মতো বস্তু' ব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলা এবং একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। কানাডায় এ ধরনের হত্যার ঘটনা বিরল।
স্টাবস আরও জানান, নিহতরা শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং তারা সম্প্রতি কানাডায় গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক মা, ৭ বছর বয়সী এক ছেলে, চার বছরের এক মেয়ে, দুই বছরের এক মেয়ে, আড়াই মাস বয়সী এক মেয়ে এবং সেইসঙ্গে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। তিনি এই পরিবারের পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজার হাত ও পরিবার হারানো শিশু ওমরের দ্বিতীয় জীবন শুরু
পুলিশ প্রধান বলেন, প্রথমে কর্মকর্তারা যখন বাড়িতে পৌঁছান তখন তারা দেখতে পান বাড়ির বাইরে পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি চিৎকার করে কাউকে বলছিলেন ৯১১ নম্বরে ফোন করার জন্য। এছাড়া বুধবার রাত ১০টা ৫২ মিনিটে দুইটি জরুরি কল পায় পুলিশ।
ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্টাবস বলেন, ‘এটি ছিল একদম নিরীহ মানুষের উপর কাণ্ডজ্ঞানহীন সহিংসতা।’
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশন জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী কলম্বোতে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডি-জয়সা আদালতে হাজিরা দেন এবং স্বীকারোক্তি দেন। এ সময় আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ওই পরিবারের ব্যক্তি এবং পুলিশের কাছে বিবৃতি প্রদানকারী অন্য চারজন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে নিশেধ করেন বিচারপতি।
এদিকে আইনজীবী খোঁজার জন্য সময় দিতে তার মামলাটি ১৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বুধবার বেলা ১১টার আগে বারহাভেন এলাকার বাড়িতে পুলিশ ডাকা হয়েছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয় এবং এবং পুলিশ জানায়- জননিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নেই।
ডন পেরেরা নামে এক প্রতিবেশী জানান, গত শরতে পাশের ক্যাথলিক এলিমেন্টারি স্কুলে একটি হ্যালোইন পার্টিতে ওই বাড়িতে থাকা পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ
৯ মাস আগে
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
পোস্ট অফিসের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কুড়িগ্রামের সহকারী পোস্ট মাস্টারসহ ছয়জনের ৯ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুইজন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর অঞ্চলের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলার রায় দেন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, হাবিবর রহমান, আব্দুল মালেক, মতিউল ইসলাম, মওদুদ হাসান ও শ্রী অশোক কুমার নাথ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের সহকারী পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর হাবিবুর রহমান, অশোক কুমার নাথ, আব্দুল মালেক, কাউন্টার অপারেটর মতিউল ইসলাম ও মওদুদ হাসান একে অপরের যোগসাজশে গ্রাহকের জমানো সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ মে কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিস পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান বাদী হয়ে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
সেই সঙ্গে জরিমানার পুরো অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।
পলাতক দুই আসামি মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
সরকারের কৌঁসুলি (পিপি) হারুনর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন হলেও সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, মক্কেলরা ন্যায়বিচার পায়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম-৩ আসন: জালভোট দেওয়ায় যুবকের ৫ বছর কারাদণ্ড, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
১১ মাস আগে
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে এক যুবককে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-শৈলকূপার দক্ষিণ মনোহরপুর গ্রামের ছানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম পাভেল; ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা শেখপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আলো; খাজুরা জোয়ার্দ্দার পাড়ার জয়নাল আবেদিনের ছেলে আসলাম;আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে ইমরান; হাবিবুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম এবং পবহাটি এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে রাসেল।
এ মামলার অপর আসামি মাসুম, রিহাদ ও জামানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে পাভেল, আলো ও রাসেল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া ফিরোজ নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামের যুবক রহমত উল্যাহ ওরফে খোকনকে জনৈক ব্যক্তি মোবাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরদিন সকালে ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের চাচা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে