লাল
প্রকৃতিতে লাল, হলুদ আর বেগুনি রঙের ছড়াছড়ি
ফুল প্রকৃতির সুন্দরতম সৃষ্টি। ঋতুরাজ বসন্তকে ফুলের ঋতু বললেও বেশি বলা হবেনা। তবে এবার বসন্তকে অবাক করে কৃষ্ণচূড়ার টকটকে লাল, সোনালু ফুলের মনমাতানো হলুদ আর জারুল ফুলের আকর্ষণীয় বেগুনী রঙে সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি।
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো লালমনিরহাটের পথ-ঘাট, অলি-গলি এবং পার্ক ও সড়কের দুই পাশে বসেছে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুলের পসরা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল চাষ
প্রকৃতিতে এখন গরমের উষ্ণতা। কাঠফাটা রোদে তপ্ত বাতাস। এ গরমই যেন চায় কৃষ্ণচূড়া! নইলে কি আর পথে-প্রান্তরে অমন লাল আভা ছড়িয়ে দেয়। প্রকৃতি মেলে ধরেছে তার আপন রঙ।
তাই তো আমাদের মনে পড়ে কাজী নজরুল ইসলামের গান ‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জরি কর্ণে/আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে’।
এদিকে কখনো কখনো মেঘে ঢাকা আকাশ আবার হঠাৎ প্রচণ্ড তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে এ এলাকার মানুষ। তাদের উষ্ণতা নিবারণে কিছুটা প্রশান্তির ছাঁয়া দিচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক এসব ফুল।
এসব ফুলের নয়নাবিরাম সৌন্দর্য রাঙিয়ে তুলেছে লালমনিরহাটের গ্রামগুলোর সবুজ প্রান্তর, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ও বাড়ির আঙ্গিণা।
প্রকৃতি ও পুষ্প প্রেমিকেরা মনের খোরাক জোগাতে এসব ফুল তুলে নিয়ে যান বাসাবাড়িতে।
আরও পড়ুন: ফুল ভাসিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ৩ দিনের বৈসাবি উৎসব শুরু
লালমনিরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড়, স্টেশন, ঈদগাহ মোড়সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দুই ধারে রয়েছে অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুলের গাছ।
এসব ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে শহরে ছুটে আসছেন অনেকেই। কেউ ফুল মাথায় লাগিয়ে সেলফি তুলছেন, কেউ গাছ তলায় বসে প্রশান্তি নিচ্ছেন, কেউবা আবার চা আড্ডায় বসছেন।
লালমনিরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফিরোজ আলম বলেন, কৃষ্ণচূড়া, গাঢ়বর্ণের লাল, হলুদ, সোনালী বিচিত্র ফুলের সম্ভার, জারুল ১২-১৫ মিটার লম্বাকৃতির এবং বেগুনি রঙের ফুল।
এছাড়া এ গাছের কাঠ নৌকা তৈরিতে কাজে লাগানো হয়। সোনালু গাছে হলুদ রংয়ের ফুল ফুটে। এ গাছের ছাল রং ও ঔষধ তৈরির কাজে লাগে। এসব শোভা বর্ধনকারী গাছ।
এসব গাছ বেশি বেশি করে রোপণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
লালমনিরহাট বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, শহরের পথে-প্রান্তরে যেসব শোভাবর্ধক গাছ বয়সের ভার নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেগুলোকে রিপ্লেস করে নতুন সাজে এ শহরকে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদকের আখড়া এখন ফুলের রাজ্য
১ বছর আগে