জুলিও কুরি শান্তি পদক
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বশান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে।
১৯৭৩ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতার স্থপতি এবং গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনের অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বশান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে এক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা সভার আয়োজন
এ উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান ডেপুটি চিফ অব মিশন ফেরদৌসী শাহরিয়ার এবং কাউন্সেলর (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) আরিফা রহমান রুমা। এরপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদান তুলে ধরে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতা অর্জন ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবিস্বরণীয় ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
২৩ মে বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবময় দিন হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা শান্তি ও স্বাধীনতার জন্য তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি সবসময় দেশ-বিদেশে শান্তিকামী জনগণকে সমর্থন করেছেন এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, বিশ্ব শান্তি ও স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদান করে।
তিনি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত শান্তিপূর্ণ বিশ্ব এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মিনিস্টার (ইকনোমিক) মো. মেহেদি হাসানও আলোচনায় অংশ নেন এবং স্বাধীনতা অর্জন ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার দীর্ঘ সংগ্রামের ওপর আলোকপাত করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শহিদ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। কর্মসূচি পরিচালনা করেন হেড অব চ্যান্সারি ও কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) মো. মনিরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
১ বছর আগে