মহামারী
সুদানে মহামারী রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে ৩৪ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
সুদানে পাঁচ বছরের কম বয়সী অন্তত ৩৪ লাখ শিশু মারাত্মক মহামারী রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সুদানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে কলেরা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, হাম ও রুবেলার মতো রোগ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আক্রান্ত রাজ্য ও এর বাইরে শিশুদের অবস্থা মারাত্মকভাবে খারাপ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, চলমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে টিকাদানের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে এই সংকট দেখা দিয়েছে। সুদানের অনেক শিশুর পুষ্টির অবস্থার অবনতি তাদের আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিসেফ গত ৯ সেপ্টেম্বর সুদানে ৪ লাখ ৪ হাজার ডোজ ওরাল কলেরা টিকা সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সুদানে টিকা দেওয়া ৮৫ শতাংশ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।
এতে বলা হয়, সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর ৭০ শতাংশের বেশি হাসপাতালেই কার্যকম বন্ধ রাখতে হয়েছে। কয়েক মাস ধরে বেতনও পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বন্যায় বিপর্যস্ত সুদানের ৭ লাখ মানুষ
গত বছরের এপ্রিলে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন মারা গেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এসময় কলেরা, ম্যালেরিয়া, হাম ও ডেঙ্গু জ্বরের মতো মহামারী রোগ ছড়িয়ে পড়েছে, যেসব রোগের কারণেও অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করেন সুদানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাইথাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম। কলেরা ছড়িয়ে পড়ার জন্য সংঘাতের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত অবস্থার অবনতি এবং অপরিষ্কার পানির ব্যবহারকে দায়ী করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৫ জুলাই থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ৩২৮ জনের মৃত্যুসহ ১০ হাজার ২২ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাব, আক্রান্ত সাড়ে ৯ হাজার, মৃত্যু ৩১৫
১৯৩ দিন আগে
মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যত মহামারি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর যে-কোনো ধরনের অংশীদারিত্বমূলক বোঝাপড়ায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
বুধবার চলমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের সাইড লাইনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি, গ্লোবাল কোভ্যাক্স ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদানসহ ভ্যাক্সিন পরিবহন, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারি হ্যাভিয়ার বে’চারা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এর মত মহামারি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতামূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন।
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ন্যায্যতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অধিকতর উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সকলের জন্য কল্যাণকর যে-কোনো ধরনের অংশীদারিত্বমূলক বোঝাপড়ায় ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, তারা স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা এবং মহামারি অতি দ্রুততার সঙ্গে মোকাবিলায় জেনেটিক ইনফরমেশন শেয়ারিং, ভ্যাক্সিন শেয়ারিং এবং মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থা উদ্ভাবন করে তা সারাবিশ্বে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় এ ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তি/সমঝোতা ফলপ্রসূ হতে পারে মর্মে একমত পোষণ করেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী একইদিনে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাদা করে আরেকটি বৈঠকে মিলিত হন।
জানা গেছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে সেক্রেটারির পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, ইউএসএইড, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর উচ্চ বিষয়ক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এর পাশাপাশি জেনেভাস্থ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে: জাপানে সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানুষকে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬৭৬ দিন আগে