ফালু
দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন ফালু
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালু।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রবিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এই রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘ফালুর বিরুদ্ধে করা মামলার কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন।’
বিচারক আরও বলেন, ‘ফালুর যদি অবৈধ সম্পদ থাকে, সেটা তো অবরুদ্ধ করতে হতো। সেটাও তো করা হয়নি। সুতরাং এ মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়া হলো।’
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমদ আলী সালামি রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় স্ত্রীসহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ফালু। রায়ের পর হাসিমুখে নেতাকর্মীদের অভিনন্দন গ্রহণ করেন তিনি। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি বিএনপির এই নেতা।
২০০৭ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থানায় সাবেক সংসদ সদস্য ফালু ও তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: মডেল মেঘনার আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্টের রুল
এরপর ফালু ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। যেকারণে দীর্ঘদিন এ মামলার বিচারকাজ বন্ধ থাকে।
পরে হাইকোর্ট ফালুর স্ত্রীর মামলা গ্রহণ করে তাকে অব্যাহতি দেন। তবে তার আবেদন খারিজ করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২৭ অগাস্ট মামলাটির অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুদকের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পেয়ে ২০০৭ সালের ১ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন ফালু। মামলার তদন্তে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পায় দুদক।
২০০৪ সালে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন ফালু। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। এরপরে আওয়ামী লীগ সরকার থাকার সময় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
২০ দিন আগে
ফালুর বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা বাতিলই থাকবে: আপিল বিভাগ
ত্রাণের টিন আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালুর খালাসের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের রিভিউ আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে ফালুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
ব্যারিস্টার কাজল বলেন, দুদকের রিভিউ আবেদন খারিজের ফলে এ মামলার কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে বাতিল হলো। এ মামলার আর কোনো বিচারিক কার্যক্রম বাকি রইলো না। তিনি চূড়ান্তভাবে খালাস পেলেন।
আরও পড়ুন: ক্যাসিনো সংস্কৃতি চালু করে খোকা, আব্বাস ও ফালুরা: তথ্যমন্ত্রী
সাবেক জরুরি তত্ত্বাবধয়াক সকারের আমলে ২০০৭ সালের মার্চ মাসে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দুদক ফালুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন সরকারিভাবে গরিব মানুষের জন্য চার লাখ টাকার টিন বরাদ্দ হয়। তিনি ত্রাণের এসব টিন বিতরণ না করে তার লোকজনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
পরে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলা বাতিলে হাইকোর্ট আবেদন করেন ফালু। সেই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে দুদক। ২০২১ সালের ২ জুন আলী ফালুর বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে রায়টি রিভিউ চেয়ে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে যা আজ খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফালু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
৭০৯ দিন আগে