ভিসা নীতি
বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
ভিসানীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের কথায় ঠিক থাকে, তাহলে বিএনপি নেতাদের উপর ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি আরও বলেন, এর কারণ তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেটে নিজ বাসভবনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে বিএনপির জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে গেছে, তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। খালেদা জিয়ার জেল নিয়ে দেশের জনগণ চিন্তিত নয়।
দলটি নেতৃত্বের অপরিপক্কতায় ভুগছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইলেকশন কমিশন আওয়ামী লীগের বিষয়ে কড়াকড়ি করছে, একইভাবে বিএনপির উপর সমানভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা উচিত, কারণ তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২২৭ জন পর্যবেক্ষক ও অসংখ্য সাংবাদিক আসবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
তিনি জানান, মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তারা তথ্য সংগ্রহ করছে।
আগামীতে বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কীভাবে তিক্ততা কমানো যায়, বিএনপি কেন নির্বাচনে আসেনি এ বিষয়ে জানতে চেয়ছে পর্যবেক্ষক দল।
মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, আইআরআইয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ ও আইআরআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা।
আরও পড়ুন: এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
১০ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ‘অসতর্ক’ বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক শ্রমিক ঐক্যজোট আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যা যা করা দরকার তা করবে তাদের দল।
ফখরুল বলেন, ‘সবাই এখন (মার্কিন) ভিসা নীতিতে ভীত। যারা দুর্নীতি করেছে, অন্যায় ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত, পক্ষপাতমূলকভাবে বিচার করেছে এবং চুরি-দুর্নীতিতে জড়িত ব্যবসায়ীরাও এখন আতঙ্কিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বেশি ভয় দেখতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মধ্যে। তিনি যেভাবে কথা বলছেন তা দেখে মনে হচ্ছে একজন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। বিচারপতি এটিএম আফজাল তার রায়ে এমনটাই বর্ণনা করেছেন। বর্তমানে তার মস্তিষ্ক আরও বিকৃত হয়েছে...যাকে পাগল বলা হয়।’
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের এই সম্মেলনে সারাদেশ থেকে এক হাজারেরও বেশি শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন।
খালেদা জিয়ার সময় নেই এবং ৮০ বছর বয়সের কাছাকাছি হওয়ায় তার জন্য কান্নাকাটি করে কোনো লাভ নেই- এমন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিকভাবে আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) সময় শেষ। আপনি দয়া করে সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তা না হলে জনগণ আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে তুলবে।’
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো কেন উদ্বিগ্ন- প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে। ‘বাইডেন প্রশাসন স্পষ্টভাবে বলেছে, যেসব দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু আছে, সেসব দেশের সঙ্গে তারা কাজ করতে চায়।’
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার সরকার যখন অবাধ, সুষ্ঠু ও সুষ্ঠু নির্বাচন করছে, তখন নির্বাচন নিয়ে এত কথা হচ্ছে কেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। এমন মন্তব্য শুনে ঘোড়াও হাসে। এটা বিস্ময়কর যে, একজন প্রধানমন্ত্রী ১৫ বছর ধরে যেভাবেই ক্ষমতায় থাকুন না কেন, তিনি কখনই ভাবেন না যে তার মন্তব্যে মানুষ হাসবে।’
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ চলমান এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে যোগ দিতে শিক্ষকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতির ওপর নির্ভর করে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা সম্ভব হবে না। ‘অন্য কেউ এটা (সরকারকে উৎখাত) করবে না। আমাদের এটা করতে হবে। ভয়ানক দানবীয় শাসনের কবল থেকে দেশকে বাঁচাতে আমাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে হবে। ইনশাল্লাহ আমরা জিতব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী ও লুটেরা শাসন দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে দেশ শাসন করায় বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ‘পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে জনগণ আর এই শাসনকে সহ্য করতে পারছে না।’
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার শিক্ষাখাত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক পরিবেশ ধ্বংস করেছে। ‘শিক্ষকদের যোগ্যতা বিবেচনা না করে ঘুষ ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা এখন দুর্নীতিতে লিপ্ত।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধতাহীন সরকার রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে সুশাসন ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য এক দিন তাদের ভোট দিয়ে তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে। সরকার সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এই সুযোগও নষ্ট করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:‘ওয়াকওভার’ করে আওয়ামী লীগকে আর সরকার গঠন করতে দেওয়া হবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে ভিসা নীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি: ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেছেন, সম্প্রতি ঘোষিত মার্কিন ভিসা নীতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে পারি যে তারা ভিসা নীতি নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি।’
রবিবার (১ অক্টোবর) কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেনা বিটারের সঙ্গে তার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এটি নিয়মিত সফরের অংশ এবং তিনি কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে আসেননি।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তারা কনস্যুলার বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভিসা নীতি কীভাবে প্রয়োগ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মার্কিন পক্ষের ব্যাপার এবং সরকার তা জানার কোনো উৎসাহ দেখায় না। ‘আপনারা (গণমাধ্যম) সেই ব্যাপারে উৎসাহ দেখাতে পারেন।’
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব জানান, তারা অবশ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের ভিসা পেতে বিলম্বের বিষয়টি উত্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, মার্কিন পক্ষ থেকে প্রক্রিয়াটি আরও ত্বরান্বিত করার জন্য এটি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে তারা।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে খুরশেদ আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিয়ে তাদের কোনো দ্বিমত নেই।
আরও পড়ুন: মার্কিন কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেনা বিটার ঢাকায়
তিনি বলেন, তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মাদক পাচার এবং নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে উদ্বেগের মতো অন্যান্য সমস্যার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
শনিবার রাতে ঢাকায় আসার আগে এই মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইসলামাবাদ ও করাচি সফর করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘তার সফর বিদেশি মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ভ্রমণ ও অভিবাসনের সুবিধার্থে আমাদের গভীর ও টেকসই প্রতিশ্রুতির অংশ।’
সোমবার ভোরে তার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেনা বিটার এবং ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের বৈঠকে স্টুডেন্ট ভিসার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি, আমেরিকান নাগরিকদের কনস্যুলার সহায়তা এবং ভিসা ইন্টারভিউয়ের অপেক্ষার সময় কমানোর জন্য মার্কিন প্রচেষ্টা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দূতাবাস আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা ও ভ্রমণ ক্রমশ বাড়ছে।
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ইউএসডিওএস-এর জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর (পিআরএম) ডিএএস জেনিন ওয়াইন আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট এবং বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতি নিয়ে এডিটরস কাউন্সিলের উদ্বেগ, ব্যাখ্যা দিলেন রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসা নীতি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফি-এর ওপর নির্ভরশীল।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিলেট নগরীতে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সংস্থার ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্বের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিসা নীতির মুখোমুখি হতে পারে: হাস
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি পরবর্তী নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে না, কারণ এতে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই।
দীপু মনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের প্রথম দিনে সবার হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলায়মান খান।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবে না: সালমান এফ রহমান
১ বছর আগে
মার্কিন ভিসা নীতির কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না: আইজিপি
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে পুলিশের কোনো ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে না।’
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টন এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে এক সেমিনারে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিকেরাও অন্তর্ভুক্ত।
অবৈধ অস্ত্র রাখার বিষয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর মামলার তথ্য উদঘাটন করায় পিবিআই'র ভূয়সী প্রশংসা আইজিপির
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই আমাদের পরিকল্পনা প্রকাশ করতে পারছি না।’
আইজিপি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী সাধারণ নির্বাচনের সময় পুলিশ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবে। কারণ নির্বাচনের আগে পুলিশ অবৈধ অস্ত্র আটকের কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে।’
নির্বাচনের সময় তাদের ভূমিকা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এবং নির্বাচনের সময় ইসি যে দায়িত্ব দেবে পুলিশ পালন করবে।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীলের মৃত্যুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমি আপনাদের (জনগণকে) আশ্বস্ত করতে চাই, কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। সে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হোক না কেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কেউ আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি
নির্বাচনে বাংলাদেশ পুলিশ ইসির অধীনে কাজ করবে: আইজিপি
১ বছর আগে
গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিসা নীতির মুখোমুখি হতে পারে: হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে তারা যে বার্তা দিচ্ছে তা সংখ্যার বিষয় নয়। তিনি বলেন, এতে গণমাধ্যমের সদস্যদেরও অর্ন্তুভুক্ত করা হতে পারে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪ পরিদর্শনকালে পিটার হাস এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারপন্থী, বিরোধী দলীয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় থাকুক, বিচার বিভাগের থাকুক, গণমাধ্যমে থাকুক না কেন আচরণের উপর ভিত্তি করে সবার ক্ষেত্রে আমরা নীতিটি ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি। এটি তাদের কর্ম ছাড়া অন্য কিছুর উপর ভিত্তি করে নয়।’
হাস বলেন, ‘এটি সংখ্যা সম্পর্কে নয়, আমরা যে বার্তাটি পাঠাচ্ছি এটি সে সম্পর্কে।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত মে মাসে এই নীতি ঘোষণার সময় বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার শুক্রবার থেকে এই নীতি বাস্তবায়নের কথা ঘোষণা করার সময় গণমাধ্যমের সদস্যদের কথা উল্লেখ করেননি। এছাড়াও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু যখন এই নীতিসম্পর্কে কথা বলেছেন, তখন তিনি কখনই উল্লেখ করেননি যে মিডিয়ার সদস্যরা এর আওতায় আসতে পারে।
ব্লিঙ্কেনের মূল বিবৃতিতে ‘বর্তমান এবং প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যদের’ উল্লেখ করা হয়েছে।
এটি ভিসা নীতির সম্ভাব্য নেট সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয় কিনা তা দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরবের অনেক নামকরা কোম্পানি: রাষ্ট্রদূত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ভিসা বিধিনিষেধ সাপেক্ষে বাংলাদেশের মানুষের নাম বা সংখ্যা প্রকাশ করবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার শুক্রবার এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনবিকে বলেছেন, ‘মার্কিন আইনের অধীনে ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয়।’
কিন্তু, তিনি বলেন, মার্কিন সরকার এই নীতি ঘোষণা করার পর থেকে ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে দেখেছে।
ব্রায়ান শিলার বলেন, ‘প্রমাণগুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর, আমরা আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।’
চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)(সি) (‘৩সি’) এর অধীনে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।
এই নীতির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোন বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদান সীমিত করবে।
শুক্রবার স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
তিনি বলেন, এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল রয়েছে। এই ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অনুসারে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অন্যান্য ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।
মিলার বলেন, এর মধ্যে বর্তমান এবং প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ঢাকা: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২ সেলফিতেই রাজনীতির ফয়সালা হয়ে গেছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিসা নীতি ও কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞাকে আওয়ামী লীগ পরোয়া করে না। অবাধ শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন যারা চায়, তাদের ভিসা নীতি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
তিনি সাম্প্রতিক যেকোনো ঘটনার চেয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেলফি তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতেই রাজনীতির ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফির পরেই বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে।’
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফেরার পর শনিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবে তারাই ভিসা নীতিতে পড়বে।’
আরও পড়ুন: শনিবার দেশে ফিরবেন ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন, ভোট দেবে দেশের জনগণ। এখানে কেউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না সেটি তাদের বিষয়, কোনো পর্যবেক্ষক এলে তাদেরকে সহায়তা করা হবে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে এবং তাদের পর্যবেক্ষক প্রেরণের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকারের বিকল্প নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচন হতে দেবে না এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কি নির্বাচন হবে?
তিনি আরও বলেন, তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায়, তাহলে তাদের তা করার অধিকার আছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘তবে নির্বাচনবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র হলে জনগণ কঠোর হাতে তা প্রতিহত করবে।’
আরও পড়ুন: দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি: কাদের
একই ঠিকাদাররা কেন কাজ পায় তা খতিয়ে দেখতে বলেছে কাদেরের মন্ত্রণালয়কে
১ বছর আগে
ভিসা নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবে না: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন করবে না।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত আইসিইউআরপি সম্মেলনে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সালমান বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বাজারে সাড়ে ১৫ শতাংশ প্রতিযোগিতামূলক কর দিয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশি পণ্য। ওই বাজারে বাংলাদেশ কোনো বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন: খাদ্যমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলের মতো যুক্তরাষ্ট্র জিএসপির মতো কোনো বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা বাংলাদেশকে দেয় না।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় মার্কিন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন সালমান।তিনি বলেন, এই নীতির লক্ষ্য কেবল বাধাই নয়, নির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনাও পর্যবেক্ষণ করা।
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিশেষ কারো বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, 'ভিসা দেওয়া হবে কি না, তা সম্পূর্ণভাবে সে দেশের ওপর নির্ভর করছে। মার্কিন সরকার বিশেষভাবে কারো সম্পর্কে কোনো বিবৃতি জারি করেনি।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে ইনডোর প্লে-গ্রাউন্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে আসন্ন নির্বাচনে যারা বাধা দেবে এবং নির্বাচন পণ্ড করার চেষ্টা করবে তাদের জন্য এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে। আমরা মনে করি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
বিএনপির চলমান রোডমার্চ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো আন্দোলন সংগ্রামে সরকার ভীত নয়।
বিএনপির আন্দোলন সরকার যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করে যথাসময়ে বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা জনগণের ‘উহ’ শব্দটিও শুনতে চাই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বাংলাদেশ, আমাদের নিজস্ব নীতিও থাকতে পারে : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ভিসা নীতিও থাকতে পারে। আমরাও তা বাস্তবায়নে সক্ষম। শুধু অপেক্ষা করুন এবং দেখুন ‘
শনিবার টঙ্গীতে বিআরটি প্রকল্পের সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল
মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নতুন ভিসা নীতি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী বা জড়িতদের জন্য প্রযোজ্য হবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করব এই ভিসা নীতি বাস্তবসম্মত নাকি অন্ধ ও বধির।’
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প বর্তমানে চলছে।
বিআরটি প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সময়সীমা বিবেচনায় এই প্রকল্পটি বেশ এগিয়েছে। তবে এর সমাপ্তি ঘিরে রয়েছে দ্বিধা ও সংশয়। গাজীপুরে প্রকল্পটি শুরুর আগে ভালোভাবে মূল্যায়ন করলে ভালো হতো।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে আ. লীগ বা সরকার ভয় পায় না: ওবায়দুল কাদের
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে সড়ক অবকাঠামো প্রকল্পগুলো যানজট বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং পুরো রাজধানীতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
পরিবহন খাতে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হয়েছে তা উল্লেখ করে মন্ত্রী নিয়ম ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি প্রতিবন্ধকতা স্বীকার করে বলেন যে সেগুলো অবশ্যই অতিক্রম করতে হবে।
তিনি আশ্বস্ত করেন যে পুরো প্রকল্পটি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এবং এর উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে।
কাদের আরও বলেন, ‘সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্পও মতিঝিল পর্যন্ত শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
১ বছর আগে