পারাপার
৫ টাকায় মই দিয়ে যাত্রীদের মহাসড়ক পারাপার, যুবক আটক
নারায়ণগঞ্জে মহাসড়কে পাঁচ টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের মই দিতে দেখা গেছে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে সিমলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ একেএম শরিফুদ্দিন জানান, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্তত ২৪ মিনিট হাঁটার দূরত্বের ওই ৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকায় দূরপাল্লার রাস্তা থেকে আঞ্চলিক সড়ক পর্যন্ত কোনো সড়ক পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় গত দুই মাস ধরে ওই এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক পারাপার একটি সাধারণ দৃশ্যে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবুরহাটে অগ্নিকাণ্ড: ৩২টি দোকান পুড়ে ছাই
গত দুই মাস ধরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতু থেকে কুয়েত প্লাজা এলাকা পর্যন্ত ঢাকামুখী সড়ক পারাপারের সড়ক বিভাজকের ফাঁকা জায়গাটি বন্ধ করে রাখে। ফলে লেনের বিভাজক টপকে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা পারাপার বন্ধ করতে এবং দূরপাল্লার যানবাহনের সরাসরি ঢাকা রুট নির্বিঘ্ন করতে সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতু থেকে কুয়েত প্লাজা এলাকা পর্যন্ত ঢাকামুখী চার লেনের সড়কটিকে উচু বিভাজক দিয়ে দুই লেনে ভাগ করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে দূরপাল্লার লেন থেকে আঞ্চলিক লেনে যাত্রী চলাচলের জন্য একটি গেট খোলা রাখা হলেও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ দুই মাস আগে তা বন্ধ করে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে নির্ধারিত সার্ভিস লাইনে বাস চলাচল জোরদার করতে তারা বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তা কার্যকর করতে ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দেড় কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, আটক ২
৮ মাস আগে
নীলফামারীর ডোমারে স্বাধীনতার পর থেকে নেই সেতু, ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় পারাপার
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সীমান্তঘেঁষা ইউনিয়ন ভোগডাবুড়ী। এখানে বুড়ি তিস্তা নদীর বুদুর ঘাটের অবস্থান। এই ঘাটে স্থায়ী কোনো সেতু নেই। ফলে ৬ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন তারা।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৫২ বছর ধরে তারা এই ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশুরা সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা। এজন্য ভয়ে থাকেন অভিভাবকরা।
জানা গেছে, ভোগডাবুরী ও বড়শশী ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বুড়ি তিস্তা নদী। নদীর এপাড়ে শব্দিগঞ্জ, গোসাইগঞ্জ ও আনন্দবাজার এবং ওপাড়ে সর্দ্দারপাড়, জালিয়াপাড়া ও চিলাপাড়া। গ্রামের মানুষদের অন্য কোনো উপায় না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরেও হয়নি সেতু, ভেলায় চড়েই স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
নদীর এপাড়ে রয়েছে শব্দিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোসাইগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কারেঙ্গাতলী উচ্চ বিদ্যালয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করে বুদুরঘাটের বাঁশের সাঁকো দিয়ে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
ইউনিয়ন থেকে সংসদ নির্বাচনের সময় দেওয়া হয় আশ্বাস। বুদুরঘাটে সেতু নির্মাণ করা হবে- সেই বুকভরা আশা নিয়ে দুই পাড়ের মানুষ আজও দিন গুএনছেন।
শব্দিগঞ্জ গ্রামের হবিবর, অমিনুল ও তাইজদ্দনি বলেন, ‘নদীর ওপার থেকে ছেলে-মেয়েরা নড়বড়ে সেতু দিয়ে স্কুল কলেজে আসা-যাওয়া করে। প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।’
স্থানীয় সাংবাদিক কাজল বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এলাকাবাসী দাবি করে আসছে একটি সেতু নির্মাণের। ৫২ বছর পার হলেও কেউ শোনেননি তাদের কথা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ২০ হাজার মানুষ
বড়শশী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মঞ্জু ইসলাম বলেন, ‘নদীর দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি একটি সেতুর। ট্রেন-বাস ধরতে সেতু না থাকায় এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার মন্তব্য জানা যায়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ওই আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার জানান, ‘উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে তালিকা দেওয়া হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজটি করা হবে। আর নতুন চেয়ারম্যান এই বিষয়ে তালিকা করে পাঠালে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ৪৬ দিন পর ভেসে উঠল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
৯ মাস আগে
ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এবার ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
তিনি বলেন, অনেকেই লঞ্চে মোটরসাইকেল নিয়ে পরিবারসহ বাড়ি যায়। আমরা বিআইডব্লিউটিএকে বলেছি, বিষয়টি যতটুকু পারা যায়, সামঞ্জস্য করতে।
এছাড়া লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের বিষয়টি আমরা লঞ্চ মালিকদেরও বলেছি।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল পারাপারে শিমুলিয়ায় ফেরি সার্ভিস চালু হবে ১৮ এপ্রিল থেকে: বিআইডব্লিউটিসি
বুধবার (৩১ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল এবং যাত্রী নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি যদি একা বরিশাল, মাদারীপুর বা দক্ষিণাঞ্চলে যান, নিশ্চিত মোটরসাইকেল চালিয়ে যাবেন। আপনার সঙ্গে যদি পাঁচজন থাকে, সবাইকে তো মোটরসাইকেলে তুলতে পারবেন না।
তিনি বলেন, সেখানে যদি মোটরসাইকেল নিতে চান, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থায় নিতে হবে। হয়তো বাসের ছাদে অথবা লঞ্চে করে নিতে হবে। সে বিষয়টি আমরা এডজাস্ট করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। তবে নৌপথে ভাড়া আগের মতোই থাকবে। ভাড়ার বিষয়ে কোনো উঠানামা নেই।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়ায় পিপিই ছাড়াই কাজ করছেন বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মচারীরা
জাহাজ ও ফেরি ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়াল বিআইডব্লিউটিসি
১ বছর আগে