বাধাগ্রস্ত
বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক পথচলা বাধাগ্রস্ত করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক পথচলা কেউ বাধাগ্রস্ত করলে দেশের জনগণ তা প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীরা মায়ের কোলে থেকেই ব্যবসা করছেন: খাদ্যমন্ত্রী
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর বারোয়ারি দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবছর সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা হচ্ছে। সব ধর্মের মানুষ ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উপভোগ করছেন। আশাকরি মঙ্গলবার দশমীর দিনে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে এই পূজা শেষ হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবিধানে অসাম্প্রদায়িক দেশের কথা বলেছেন এবং এই চেতনা বুকে ধারণ করে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সংবিধান মেনে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছেন। সংবিধান অনুযায়ীই আমরা সব মানুষ এদেশে মিলেমিশে থাকবো।
এসময় আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী
অপর্যাপ্ত শিক্ষা বাজেট প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে, বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি শিক্ষার্থীদের
২০২৩-২৪ অর্থবছর যতই ঘনিয়ে আসছে, শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। এবারের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবি), কারিগরি প্রতিষ্ঠান এবং মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে কথা হয়।
বাজেট প্রসঙ্গে কথা হয় ঢাবি’র একাউন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমন ইসলামের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “গত বছরের পরিসংখ্যানের তুলনায় শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়লেও প্রস্তাবিত বাজেটে তা জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের তুলনায় আর্থিক মূল্য বৃদ্ধি পেলেও প্রকৃত অর্থে তা বাড়েনি। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির আশংকাজনক ঊর্ধগতির সময়ে শিক্ষাখাতে মোট জিডিপির ওপর বাজেটের পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত।”
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা
ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক রিয়াদ বলেন, “বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষাখাতকে আরও ভালো করে সাজাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “তাই অন্যান্য খাতের পাশাপাশি এই খাতকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। বাড়াতে হবে বাজেট বরাদ্দ।”
ঢাবি’র তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী সিদ্দিক ফারুক জানান, “একটি দেশের মোট বাজেট বরাদ্দের ২০ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা উচিত। বিপরীতে আমাদের দেশের শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র ১০ শতাংশ। এটিকে আরও বাড়ানো উচিত। আমাদের দেশের যে অর্থনীতি তাতে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা অসম্ভব। তবে ধীরে ধীরে এটি বাড়বে বলে আশা করা যায়।”
তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য বরাদ্দ অনেক কম। শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও বেশি গবেষণা হবে। সামনের দিনের অর্থনীতি হবে 'নলেজ ইকোনমি' অর্থাৎ ‘জ্ঞানভিত্তিক’। আর জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে দেশকে এগিয়ে রাখতে হলে আমাদের শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অপর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ শুধু সাধারণ শিক্ষাকেই প্রভাবিত করে না, কারিগরি শিক্ষাকেও বাধাগ্রস্ত করে।”
চট্টগ্রাম পলিট্যাকনিকাল ইন্সটিটিউট থেকে সদ্য ডিপ্লোমা শেষ করা কাজী শাহাদাত হোসেন সাকিব বলেন, “বর্তমান সময়ে যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে হলে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে এই খাতটি।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা তথা বাস্তবমুখি করার জন্য এই কারিগরি সেক্টরে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়ানো ও বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা অবশ্যক।”
তিনি আরও বলেন, “বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। অথচ আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক যন্ত্রপাতি অনেক পুরানো আমলের। এছাড়া অর্থ সংকটের কারণে সেগুলা নতুন করে কেনা সম্ভব হয় না অধিকাংশ সময়েই। আর এজন্য আরও বেশি বাজেটের প্রয়োজন এই খাতে।”
আরও পড়ুন: গণরুম বিলুপ্তির দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীর অনশন
ঈদুল আজহায় যশোর মাতাবে ‘ভাইজান’