প্রচণ্ড গরম
নীলফামারীতে ‘হিট স্ট্রোকে’ ৪ জনের মৃত্যু
সারাদেশে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে নীলফামারীর বিভিন্ন স্থানে ‘হিট স্ট্রোকে’ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার লাল বাবু (৫২), বিমলা উপজেলার মনির হোসেন (৫২) এবং জলঢাকা উপজেলার মনসুর (৫৫) ও খোদেজা (৬৫)।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল হক জানান, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে কাজ করার সময় তারা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান।
মঙ্গলবার জেলায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা বিভাগসহ খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু অংশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং ময়মনসিংহ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে, ভ্যাপসা গরম অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ‘হিট স্ট্রোকে’ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ‘হিট স্ট্রোকে’ দুই শিক্ষকের মৃত্যু
৭ মাস আগে
প্রচণ্ড গরমে ঢাকার বাতাসের মানের কোনো উন্নতি হয়নি
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় সোমবার সকালে ঢাকার অবস্থান অষ্টম। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১২১ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ছিল সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
ভারতের দিল্লি, কুয়েত সিটি এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ১৬১, ১৫৫ এবং ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। আর ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: উত্তরাঞ্চলের ৪ জেলায় বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস রবিবার সকালে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
১ বছর আগে