ভবিষ্যৎ
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী ভারতীয় হাইকমিশনার
আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ভারতে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভারতীয় হাইকমিশন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উভয় দেশের তরুণরা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্যের মূল্যবান অংশীদার হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় হাইকমিশনারের
এ উপলক্ষে সমবেত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাইকমিশনার ভার্মা তাদের কর্মজীবনের নতুন যাত্রায় স্বাগত জানান এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যে দৃঢ় সংযোগ গড়ে তুলতে শিক্ষা ও জ্ঞান বিনিময়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
এ বছর বাংলাদেশের প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন একাডেমিক কোর্সের জন্য মর্যাদাপূর্ণ আইসিসিআর বৃত্তি পেয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন, আইন, ভাষাতত্ত্ব, চারুকলা, সামাজিক বিজ্ঞানের মতো বিভিন্ন শাখায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি কোর্সে উচ্চতর পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।
আইসিসিআর স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভারতীয় হাই কমিশন বলেছে, তারা এই কর্মসূচিকে সমর্থন করতে এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে জোরালো শিক্ষাগত বিনিময় প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা: হাইকমিশনার
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
৩ মাস আগে
উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে উদ্যোক্তারাই পারে তাকে শক্তিশালী ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে। কারণ উদ্যোক্তারা শুধু নিজে স্বাবলম্বী হয় না, তারা সমাজের আরও ১০ জনকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (৪ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে’র ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উদ্যোক্তা মহাসম্মেলন এবং ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবার ও পণ্য মেলা-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট ও টেসলারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা ছিল বলেই আজ সারাবিশ্বে আমেরিকা নেতৃত্ব করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও বিভিন্ন নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা নিয়ে কাজ করে সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
মন্ত্রী ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার যে বিশাল তরুণ-তরুণী জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
তাজুল ইসলাম নিজের ব্যবসায়িক জীবনের শুরুর দিকের স্মৃতিচারণ করে এ সময় উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে সবচেয়ে বড় যে গুণাবলী নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে, তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস এবং কোনো বাধাতেই হাল না ছেড়ে দেওয়ার মনোবৃত্তি।
মন্ত্রী বলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় বিশ্বাসই একজন উদ্যোক্তার অন্যতম পুঁজি যা তাকে কখনোই পরাজিত হতে দেবে না।
এ সময় মন্ত্রী তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের প্রাণচাঞ্চল্য, কর্মস্পৃহা এবং জীবনী শক্তি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, এমপি, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, জারা মাহবুব, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইকোনমিক ইউনিট চিফ জোসেফ গিবলিন, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
৭ মাস আগে
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি হচ্ছে চট্টগ্রাম: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে ‘পঞ্চম চট্টগ্রাম আইটি ফেয়ার ২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় যে সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চান। বিনিয়োগের অর্ধেকই চট্টগ্রাম থেকে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইপিজেড, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, হাই টেক পার্কে যদি কোন ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা হতে পারে, তাহলে তারা অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে স্টার্ট আপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডেরে পক্ষ থেকে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি পর্যন্ত ইক্যুয়িটি ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ থাকবে। এর সবকিছুই নির্ভর করছে রাইট সিলেকশন, রাইট মনিটরিং, রাইট সুপারভিশন ও ইনকিউবেশনের উপর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কোন মেধাবী, উদ্ভাবনী তরুণ-তরুণী যদি উদ্যোক্তা হতে চায়, তাদের যত ধরনের সুযোগ লাগবে সেটা সরকার, একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রি একসঙ্গে মিলে তৈরি করবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের আইসিটি খাত থেকে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হচ্ছে এবং ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
এ খাতে আগামী পাঁচ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এবং আরও নতুন ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ১৭ বছর সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে তিনটি উপহার দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথমত ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চুয়েটে ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ১০টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও ২৫টি স্টার্ট আপ কোম্পানিকে ফ্রি স্পেস প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রকল্পটি হলো চান্দগাও- এ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার (৮ আইটি প্রকল্প) এবং তৃতীয়টি চান্দগাও এ নলেজ পার্ক (১২ আইটি প্রকল্প)।
এই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক চান্দগাও এ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এর ৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা স্টার্ট-আপদের জন্য দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, যে সকল স্টার্ট-আপ জায়গা বরাদ্দ পাবে, তারা প্রথম ৬ মাস ফ্রিতে কাজ করার সুযোগ পাবে। পরে পারফরমেন্স মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে যাচাইপূর্বক আরও ৬ মাস ফ্রিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
১০ মাস আগে
শিশুর ভবিষ্যৎ ও নারীর ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ করলে আজীবন সুফল পাওয়া যায়: ডা. নাহিদ রশিদ
শিশুর ভবিষ্যৎ ও নারীর ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ করলে আজীবন তার সুফল পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. নাহিদ রশিদ।
তিনি বলেন, আগে জাতীয় মৎস্য নীতিতে ‘পুষ্টি’বিষয়ে কোনো উল্লেখ ছিল না। কিন্তু সূচনাকে ধন্যবাদ আমরা এখন নীতি সংশোধনে পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত করেছি।
আরও পড়ুন: ঢাকার খাল-বিল ও নদীগুলো দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশের ‘সূচনা- বাংলাদেশে অপুষ্টি চক্রের অবসান’প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাহিদ রশিদ বলেন, ‘খর্বকায়তার অনেকগুলো কারণ মোকাবিলা করতে সূচনা কাজ করেছে। পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা উন্নত করতে আমাদের আরও সহযোগিতার প্রয়োজন এবং এর জন্য বহু বিভাগের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার দারিদ্র্য বিমোচন এবং স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী, যার জন্য সরকার, এনজিও ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে সুচনা প্রকল্পের প্রধান প্রধান অর্জন সম্পর্কে কথা বলেন চিফ অব পার্টি-সুচনা ড. শাহেদ রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
এডউইন কোয়েককোয়েক, টিম লিডার, গ্রিন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: হারনেট ফাউন্ডেশন ও ইইউ’র যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস’
পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে সৌদি কোম্পানি
১ বছর আগে
তরুণদের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে এমন ইস্যুতে তাদের কথা শুনতে হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, তারা ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আরও ব্যবসা দেখতে চান। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস' (বিডিওয়াইএস) শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ক্রমেই একটি আকর্ষণীয় বাজার হয়ে উঠছে। এ কারণেই আমাদের সম্পর্ক বিভিন্ন পর্যায়ে একটি অংশীদারিত্বে পরিণত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মজুরি নয়, অধিকারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে সফররত ইইউ প্রতিনিধি দল: পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, তারা বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক আগ্রহ বাড়াতে ও এগিয়ে নিতে চান।
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতের মূল ইস্যুগুলোতে তরুণদের কথা শোনা জরুরি। অর্থনীতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মূল্যবান সুযোগ করে দিয়েছে আজকের এই আয়োজন। ইইউ বিশ্বব্যাপী তরুণদের সহায়তা করছে, যার মধ্যে গত বছর গৃহীত আমাদের ইয়ুথ অ্যাকশন প্ল্যানও রয়েছে।’
হারনেট টিভির প্রতিষ্ঠাতা সিইও ও এমডি আলিশা প্রধানের পরিকল্পনা ও ভাবনায় এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের আয়োজন করে হারনেট ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের সহঅর্থায়নে ও সহযোগিতায় আয়োজিত এ আয়োজন বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে তাদের অঙ্গীকারের দলিল।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরি পোশাক পণ্য এখনও বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করছে।
তিনি কৃষি খাতে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, এ খাতের সাফল্য আশ্চর্যজনক এবং বাংলাদেশ এখন প্রধান ফসলের ক্ষেত্রেও স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ইইউ রাষ্ট্রদূত নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে যৌথ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'আমি বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে অনেক বেশি মনোযোগ দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি গার্মেন্টস খাতের বিপ্লবের কথা উল্লেখ করেন এবং এটি কীভাবে নারীদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে তা তুলে ধরেন।
ইইউ বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের পথে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের সদ্ব্যবহার করেছে এবং 'এভরিথিং বাট আর্মস' ব্যবস্থার আওতায় ইইউতে বৈশ্বিক আমদানির ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ ইবিএর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে রপ্তানি ২৪ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার ইস্যু পূরণের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়, যা ইবিএ ব্যবস্থার একটি অন্তর্নিহিত অংশ।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে কীভাবে আরও শক্তিশালী ও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মতামত শোনেন এবং দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় হারনেট টিভিতে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং বাংলাদেশ সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নারীদের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের বৈচিত্র্যময় গল্পগুলো তুলে ধরতে গতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা) সভাপতি ড. মো. নিজামুল হক বুয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ১০টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
তারা বিকশিত বাংলাদেশে তরুণদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার; জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের গভর্নর ড. জারিন দেলাওয়ার হুসেন; জেসিআই-এর জাতীয় সভাপতি জিয়াউল হক ভূঁইয়া, হারনেট গ্রুপের উপদেষ্টা মনির প্রধান; মেঘনা ব্যাংকের এমডি মো. সোহেল হোসেন ও ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, রোটারির গভর্নর, আইটোর প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে।
এ ছাড়া জাজ মাল্টিমিডিয়া,বাংলাদেশে ফরাসি দূতাবাস, রোটারি ক্লাব, ইউএনবি, সময় টিভি, বাংলাদেশ প্রতিদিন, গোল্ড স্যান্ডস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, কাজী অ্যান্ড কাজী টি, জাজ মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা লাইভ, মেঘনা ব্যাংক, হারনেট ব্লিসমাইন্ড, জেসিআই, জোন্তা, সাভার টেক্স এবং ব্যাকপেজ পিআরসহ পার্টনাররা এই আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বক্তারা হারনেট ফাউন্ডেশন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য যুব জনগোষ্ঠীকে তার সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের যুব উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন হারনেট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আলিশা প্রধান।
রোটারি ক্লাব তরুণদের কল্যাণে অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে একটি রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। মেঘনা ব্যাংক বিডিওয়াইএস ফোরামের সহযোগিতামূলক চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়ে এই উদ্যোগের প্রতি তার অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
ফরাসি দূতাবাসের সহযোগিতায় 'টেকসই আগামীর জন্য আজকের কণ্ঠস্বর' স্লোগান নিয়ে ফোরামটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকে সৌদি দূতাবাস, গুলশান ক্লাব ও ওয়েস্টিন হোটেলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: শ্রম-মানবাধিকার খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান ইইউ প্রতিনিধি দলের
১ বছর আগে
বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলে নিজ দেশের অবস্থান পুর্নব্যক্ত করেছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বারবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি, এটি এমন একটি বিষয় যা বাংলাদেশের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এ বিষয়ে কাজ করবে। ‘আমার মনে হয় আমি এটা অনেকবার বলেছি।’
কোনও একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন: কূটনীতিকরা স্টেশন ছাড়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা সম্প্রতি নয়া দিল্লিতে পঞ্চম বার্ষিক ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমরা আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশের উদ্বেগের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি।’
দ্বিপক্ষীয় ২+২ বৈঠকে দুই দেশের দুই জন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, সাধারণত পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা অংশ নেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রধান অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ২+২ সংলাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি বন্ধন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মডেলে পরিণত হয়েছে: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করা ভারতের কাজ নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে ভারত। একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশের রূপকল্পকে সমর্থন অব্যাহতও রাখবে নয়া দিল্লি।
এর আগে ভারত বলেছিল, তারা বাংলাদেশের 'স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল' জাতির রূপকল্পকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে: অরিন্দম বাগচি
১ বছর আগে
ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের বীজ বপন করতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের বীজ বপন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রবিবার (১২ নভেম্বর) দিনাজপুরের বোচাগঞ্জস্থ সেতাবগঞ্জ পৌরসভা প্রাঙ্গণে সেতাবগঞ্জ পৌরসভাধীন ১৯টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ৪৪টি উন্নয়ন কজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ড. সালিমুল হকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের বীজ বপন করতে হবে। নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। এই ভূখণ্ডে আমরা অনেক নেতা পেয়েছি, অনেক সংগ্রাম হয়েছে। অনেক রক্ত দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। কারণ নেতৃত্বের দুর্বলতা ছিল, নেতৃত্ব সঠিক ছিল না, পরিকল্পনা ভুল ছিল। সঠিক নেতৃত্বই সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেকেই ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেকেই আসবেন; তবে বদলে দেওয়া বাংলাদেশের রূপকার একজন শেখ হাসিনাকে হাজার বছরেও পাওয়া যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর এই বাংলাদেশে অনেক নেতৃত্ব এসেছে, সরকার প্রধান হয়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশের এই পরিবর্তনটা কিন্তু কেউ দিতে পারেনি। আজকে বাংলাদেশ কোথায় চলে গেছে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ি থেকে কক্সবাজার যেতে দেড় ঘণ্টা লাগে, চট্টগ্রাম থেকে মাতারবাড়ি আড়াই ঘণ্টা লাগে সমুদ্রপথে। শনিবার বিকাল ৫টায় মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন শেষে রাত ১১টায় দিনাজপুরে এসে আমি নিজের বাড়িতে ভাত খেয়েছি। এটা কল্পনা করা যায়? এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার উন্নয়ন। এই বাংলাদেশ বদলে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবিশ্বাস্য দেশপ্রেমের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি নেতৃত্বে থাকলে ২০৪১ সালের অনেক আগেই দেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর হবে।
তার নির্বাচনী এলাকার সেতাবগঞ্জ পৌরসভায় পরিকল্পিত উন্নয়ন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আমরা সকলে মিলে উদযাপন করলাম।
এ সময় সেতাবগঞ্জে আরও একটি মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম, শিল্পকলা কমপ্লেক্সসহ জনবান্ধব আরও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। একই সঙ্গে পরিচ্ছন্ন দিনাজপুর গড়তে নাগরিক দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. আসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডালিম সরকার, বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুবক্কর সিদ্দিক রাসেলসহ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
জিনাতুন নেসা তালুকদারের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ
১ বছর আগে
সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন: জি২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব পরিবারের সমান সদস্য হিসেবে আমাদের অবশ্যই মর্যাদাপূর্ণ জীবন এবং সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার সংকল্প করতে হবে।’
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ভারতের নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে জি২০ লিডারস সামিট ২০২৩-এ এক অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আগামী দিনে একটি উন্নত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে জি২০ নেতাদের কাছে পাঁচটি সুপারিশ করেছেন।
আরও পড়ুন: জি২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না শি, তবে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে: চীন
সুপারিশগুলো হলো:
প্রথম- টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন জি২০ সহ সকল বহুপক্ষীয় উদ্যোগের আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকা উচিৎ।
দ্বিতীয়- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য জি২০ এর উচিৎ শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখা এবং একতরফা ট্যারিফ অগ্রাধিকার এবং ট্রিপস ছাড়ের সম্প্রসারণকে সমর্থন ও সহজতর করা, যাতে নির্বিঘ্ন ও টেকসই রূপান্তর নিশ্চিত করা যায়।
তৃতীয়- কৃষিপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মসৃণ, সময়োপযোগী ও প্রত্যাশিত সরবরাহ নিশ্চিত করতে জি২০ ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতির বাজার উন্মুক্ত রেখে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারে।
চতুর্থ- শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে নারীকে (বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক) সমান মনোযোগ দিতে হবে।
পঞ্চম- বিশ্বব্যাপী মানব উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত ও অন্যান্য অংশীজনদের সহায়তায় দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রিদেশীয় সহযোগিতা জোরদার করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতিকে বিবেচনায় রেখে একটি ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার সময় এসেছে। আমি বিশ্বাস করি জি২০ উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হয়েছে এবং খাদ্য, জ্বালানি ও সারের সংকট সারা বিশ্বের মানুষের জীবনযাপনের ওপর অসহনীয় অবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা এক পৃথিবী, এক পরিবারের কথা বলি; আমরা কি তা প্রমাণের মতো কিছু করছি? প্রতি রাতে ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বা বিশ্ব জনসংখ্যার ১০ শতাংশ, না খেয়ে ঘুমায়। যেখানে, বিশ্ব প্রতি বছর সামরিক খাতে ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করে, সেখানে মাত্র ২৬ ঘণ্টার জন্য সামরিক ব্যয় হয় ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে সবচেয়ে নাজুক সম্প্রদায়ের খাবার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’
এছাড়াও তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বছরে নষ্ট হওয়া খাদ্য দিয়ে ২ বিলিয়ন মানুষকে খাওয়ানো যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে ধনী দেশগুলো বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মতো দরিদ্রদের জন্য সাহায্য কমিয়ে দিচ্ছে।’
বাংলাদেশের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে গণতন্ত্র ও জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার দারিদ্র্য ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে, চরম দারিদ্র্য ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং মাথাপিছু আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা এসডিজি বাস্তবায়ন ও অর্জনের জন্য একটি 'হোল অব সোসাইটি' (একটি নির্দিষ্ট দেশ বা এলাকায় বসবাসকারী মানুষের সমগ্র গোষ্ঠী) পদ্ধতি গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ ২০২১ সালে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার পেয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। শিক্ষার হার ২০০৬ সালের ৪৫ শতাংশ থেকে গত দেড় দশকে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, যেখানে গড় আয়ু ২০০৬ সালে ৫৯ বছর থেকে এখন ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৮৪ থেকে কমে এখন ২১ এবং মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ৩৭০ থেকে ১৬১ হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৮ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে।
জাতিসংঘ একটি রেজুলেশন গৃহীত করে এই প্রচেষ্টাকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী চ্যাম্পিয়ন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স রিপোর্ট-২০২২ অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক, উন্নত দেশ তথা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি২০ সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ নৈরাজ্যের দেশে পরিণত হবে। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের ভালো চায় না।
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ইতিহাস বলে, তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে এবং সে হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য আইন করেছে। শুধু তাই নয়, হত্যাকারীদের চাকরি দেওয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সুবিধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন তাদের সঙ্গে রাজনীতি করতে হলে শক্ত হাতে রাজনীতি করতে হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে। তারা নির্বাচন করতে চায় না, তারা চায় পেছনের দরজা দিয়ে আবার কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাক।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
জাইকা ও রাজউকের আয়োজনে টিওডি সেমিনারে ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের খসড়া উপস্থাপন
ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে সম্প্রতি ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেপলমেন্টের (টিওডি) দ্বিতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজউক ও জাইকা প্রকল্প দলের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জাইকার চলমান টেকনিক্যাল সহযোগিতা প্রকল্প ‘দ্য প্রজেক্ট ফর ডেভেলপমেন্ট অব পলিসি অ্যান্ড গাইডলাইন্স ফর ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেপল্পমেন্ট (টিওডি) অ্যালং মাস ট্রানজিট করিডরস’-শীর্ষক এই সেমিনারে টিওডি নির্দেশিকা ও পাইলট প্রকল্পের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি ও অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: জাইকার সঙ্গে সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন বৃত্তির চুক্তি সই
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিয়া, বিপিএএ এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের মুখ্য প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে ।
জাইকা বাংলাদেশ অফিসের মুখ্য প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদেএই প্রকল্পের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে জানান, ‘টিওডি’র আওতা সম্প্রসারিত হলে ও তা প্রচার করা গেলে নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়নের বিকাশের মধ্যদিয়ে ঢাকা বা স্মার্ট ঢাকার মানুষদের জীবন আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও কার্যকর করে তোলা যাবে।’
টিওডি’র সফলতার মূল চাবিকাঠি হিসেবে তিনি সমন্বিত লক্ষ্য ও অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে স্থাপনা নিষিদ্ধ: আপিলের অনুমতি পেল রাজউক
১ বছর আগে