ইএমকে
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সাংবাদিকরা সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: মার্কিন দূতাবাস
অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার এবং বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) যৌথভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তাবিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ইএমকে সেন্টারের কেনেডি হলে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৫০ জনের বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিককে সম্ভাব্য সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় তথ্য ও কৌশল সরবরাহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সমাপনী বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিফেন এফ. ইবেলি বলেন, ‘আপনারা এক মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন এবং সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমানভাবে এটি কঠিনতর এবং আরও বিপজ্জনক পেশা হয়ে উঠছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা সর্বত্র তথ্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভূমিকা এখন আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ।’
কর্মশালাটি সাংবাদিকদের প্রতিকূল পরিবেশ এবং আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে উদ্ভূত সংকট পার করার জন্য বাস্তব জ্ঞান ও কৌশল সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: ফোর্বসের থার্টি আন্ডার থার্টিতে স্থান পাওয়ায় সাকিব জামালকে মার্কিন দূতাবাসের অভিনন্দন
অংশগ্রহণকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়ন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও যোগাযোগ কৌশলের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজেআইএম বিশেষজ্ঞদের পরিচালিত অংশগ্রহণমূলক সেশনগুলো প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার গতিশীল ও তথ্যপূর্ণ বিনিময়ে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আমেরিকান স্পেস হিসেবে ইএমকে সেন্টার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং এর স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রমাণ হয়ে উঠেছে।
যা একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে উন্নীত করার জন্য এক অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
১০ মাস আগে
উন্নত সাংবাদিকতার লক্ষ্যে ইএমকে-বিজেএস ফেলোশিপ চালু
বিল্ডিংঅ্যাসেটস জার্নালিজম স্কুল (বিজেএস) ঢাকাস্থ অ্যাডওয়ার্ড মারো কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্য-ক্যারিয়ারে থাকা সাংবাদিকদের জন্য একটি ফেলোশিপ চালু করেছে।
সোমবার (৫ জুন) থেকে ইএমকে সেন্টারে ফেলোশিপের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিল্ডিংঅ্যাসেটস জার্নালিজম স্কুল (বিজেএস) বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)-এর একটি অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার ও ফেলোশিপ প্রদান
সাংবাদিকতা বিকশিত করার উদ্যোগ
‘উন্নত সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মশালা’- নামক ফেলোশিপটিতে ৪০ জন সাংবাদিকদের একটি অত্যন্ত কঠোর ও নিরপেক্ষ যাচাইবাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই মিশ্র সাংবাদিক ব্যাচে রয়েছেন প্রতিবেদক, ফটোসাংবাদিক এবং ভিডিওসাংবাদিক। কারণ এই ফেলোশিপের অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি পেশাদার সাংবাদিকের বহুমুখী কর্মপ্রতিভা শাণিত করে তোলা। ইএমকে সেন্টার প্রদত্ত স্মল গ্র্যান্ট ২০২২-২৩ বিজয়ী হয়ে বিজেএস আক্ষরিক অর্থেই দেশের সাংবাদিকতা বিকশিত করে তোলার উদ্যোগে এই ফেলোশিপ পরিচালনা করছে।
সাতটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন
ফেলোগণ এই কর্মশালায় সাতটি বিষয়ে শিক্ষা পাবেন। যেমন- মোবাইলফোন সাংবাদিকতা, গল্পবলা ও সংবাদ উৎস সংগ্রহ-সংরক্ষণ, সংবাদ নীতি ও অনসুন্ধানী সাংবাদিকতা, দীর্ঘলেখনী সাংবাদিকতা, ভুয়া নিউজ ও ভুল তথ্য খুজেঁ বের করার সাধারণ কিছু নিয়মাবলী, বহুমুখী সাংবাদিকতা এবং প্রতিকূল পরিবেশে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ।
এই কর্মশালায় প্রতিজন প্রশিক্ষকই একেকজন স্ব-স্ব স্থানে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপকারী সাংবাদিক। এএফপি ব্যুরোপ্রধান শফিকুল আলম, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম, আল-জাজিরা প্রতিনিধি ফয়সাল মাহমুদ, এএফপি ফ্যাক্টচেক সম্পাদক কদরউদ্দিন শিশির, ডি ডাব্লিউ একাডেমি প্রশিক্ষক মাকসুদা আজিজ, পুলিৎজারজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি সাংবাদিক মোহাম্মদ পনির হোসেন এবং আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্যাম জাহান।
দশ সপ্তাহব্যাপী এই অনাবাসিক কর্মশালা শেষে অন্তত ৭০ শতাংশ নম্বর ওঠাতে পারলে ফেলোগণ পাবেন একটি সনদ এবং প্রথম তিনজন পাবেন আকর্ষণীয় ক্রেস্ট।
আরও পড়ুন: ইউজিসির পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবি অধ্যাপক ফারুক মিয়া
বিজেএস-এর প্রধান প্রশিক্ষক স্যাম জাহান বলেন, 'স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ প্রশিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত এই ধরনের ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো আসলেই সহসা দেখা যায় না। এটি আমাদের ফেলোদের জন্য তাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং আরও ভালো সাংবাদিক হওয়ার একটি দুর্দান্ত সুযোগ হবে। আমরা আশা করি আমরা ভবিষ্যতেও এই ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারব।'
এই ফেলোশিপে অংশ নেওয়া ফেলোগণ হচ্ছেন- বীর সাহাবী, কাজী মুস্তাফিজ, আবদুল্লাহ আল জোবাইর, ঝুমুর সাহা, মারজিয়া হাশমি মম, নাসিমুল আহমেদ শুভ, সাইমুন মুবিন, মনিরুজ্জামান, সবুজ মাহমুদ, ফারিজা সাবরিন, রাফিয়া খানম চৌধুরি, ফৌজিয়া সুলতানা, শরীফা সুলতানা, ইফফাত জাহান, ফারহানা হক, মো. হেদায়েত উল্লাহ, মো. আরশাদ আলী, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, মো. মিরাজ হোসেন, শেখ শাহরুখ ফারহান, মো. মিনহাযুল আবেদিন রিয়াজ চৌ., এম এম হাশমি, নায়েম শান, মো. তানজিল আহমেদ, মো. ওসমান গণি, মো. তাজনুর ইসলাম, তাসলিমুল আলম তৌহিদ, শোয়েব আব্দুল্লাহ, মাহফুজুর রহমান মানিক, স্টেফান রোজারিও, নূর মোহাম্মদ, অমিত বণিক, মো. আসাদুজ জামান, হাসান আল মানজুর, মো. মারিফুল হাসান, ক্যারি আশীর্বাদ বিশ্বাস, নাজমুস সাকিব এবং ইয়াসির আরাফাত।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থী
১ বছর আগে