শি জিনপিং
ট্রাম্পকে অভিনন্দন শির, দুই দেশের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সঠিক পথ খোঁজার আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
দুই দেশের মধ্যে নতুন যুগে সঠিক সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানান শি। তিনি বলেন, এটি উভয় দেশ ও বৃহত্তর বিশ্বের জন্য কল্যাণকর হবে।
শি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার মাধ্যমে লাভবান হয় এবং সংঘাতের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়‑ইতিহাস থেকেই এই শিক্ষাই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় প্রশাসন গঠনে ট্রাম্পের ব্যাপক পরিকল্পনা
তিনি বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীল, সুদৃঢ় ও টেকসই সম্পর্ক দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে।
উভয় পক্ষ পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক সহযোগিতার নীতিগুলো বজায় রাখবে, সংলাপ ও যোগাযোগ জোরদার করবে, মতপার্থক্যগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করবে এবং পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতার প্রসার ঘটাবে বলে আশাবাদী শি।
একই দিনে, যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় জে.ডি. ভ্যান্সকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের উপরাষ্ট্রপতি হান ঝেং।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
১ মাস আগে
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত: শি জিনপিং
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া এবং একে অপরকে আঘাত করা ও তীব্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার পরিবর্তে সফল হতে সহায়তা করা।
বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে শি জিনপিং এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গত ৪৫ বছর ধরে, সম্পর্কটি বেশ উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে গেছে। পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা রয়েছে। যেমন- চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বীর পরিবর্তে অংশীদার হওয়া উচিত; একে অপরকে আঘাত করার পরিবর্তে একে অপরকে সফল হতে সহায়তা করা; নেতিবাচক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার পরিবর্তে পারস্পরিক মিলের জায়গাগুলো খুঁজে বের করুন এবং মতপার্থক্যগুলো এড়িয়ে চলুন। এক কথা বলে আরেক কাজ না করে, কাজের মাধ্যমে সম্মান করুন।’
এ বছর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫তম বার্ষিকী চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও উভয় পক্ষেরই ভালো হয়- এ ধরনের সহযোগিতাকে তিনটি প্রধান নীতি হিসেবে প্রস্তাব করেন তিনি। অতীত থেকে শিখে ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগানোর কথাও বলেন শি।
আরও পড়ুন: চীনের আনহুই প্রদেশের সঙ্গে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই
এখন এমন কিছু রূপান্তর দেখা যাচ্ছে যা গত এক শতাব্দীতে দেখা যায়নি এবং বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল ও অশান্ত বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংলাপ জোরদার করা, মতপার্থক্য নিয়ন্ত্রণ এবং সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া উভয় দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা।
তিনি বলেন, 'আমি আগেও অনেকবার বলেছি যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য পৃথিবীটি যথেষ্ট বড়।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্রও চীনের উন্নয়নকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে। চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি একটি মৌলিক সমস্যা যা অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে। সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে স্থিতিশীল, উন্নতি এবং এগিয়ে যাওয়া।
গত বছর সান ফ্রান্সিসকোতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা সান ফ্রান্সিসকো ভিশন চালু করেছেন যা ভবিষ্যৎমুখী এবং তাদের সাধারণ বোঝাপড়া অনুসরণ করেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ বজায় রেখেছে এবং গত কয়েক মাসে কিছু ভালো অগ্রগতি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখনো কিছু সমস্যা রয়েছে যা মোকাবিলা করতে হবে যা আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কয়েক সপ্তাহ আগে আমাদের ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও আমার মধ্যে এবারের সফরের বিষয়ে একমত হয়েছিলাম। আশা করছি আপনারা এটি ফলপ্রসূ করবেন।’
প্রেসিডেন্ট শির কাছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন। তিনি উল্লেখ করেন, সান ফ্রান্সিসকোতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রেসিডেন্ট শির বৈঠকের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দ্বিপক্ষীয় মিথস্ক্রিয়া, মাদক দমন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের আদান-প্রদানের মতো ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতায় ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত ও চীন যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ব যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তার বহুবিধতা ও জটিলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সফরকালে তিনি যে সব স্তরের আমেরিকানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তারা সবাই মার্কিন-চীন সম্পর্কের উন্নতি দেখার আশা প্রকাশ করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন কোনো স্নায়ুযুদ্ধ চায় না, চীনের ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চায় না, চীনের উন্নয়ন দমন করতে চায় না, চীনের বিরুদ্ধে তার মিত্রতা পুনরুজ্জীবিত করতে চায় না এবং চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব করার কোনো ইচ্ছাও তাদের নেই।
যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতি মেনে চলে। এটি চীনা পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে, সান ফ্রান্সিসকোতে দুই রাষ্ট্রপতি যা সম্মত হয়েছিলেন তা অনুসরণ করতে, আরও সহযোগিতা চাইতে, ভুল বোঝাবুঝি এবং ভুল হিসাব এড়াতে, দায়িত্বশীলভাবে পার্থক্য পরিচালনা করতে এবং মার্কিন-চীন সম্পর্কের স্থিতিশীল বিকাশ অর্জনের আশা করে।
প্রেসিডেন্ট শি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে তার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে বলেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইও বৈঠকে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-চীনের রয়েছে গভীর রাজনৈতিক আস্থা ও সহযোগিতা: শি জিনপিং
৭ মাস আগে
জি২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না শি, তবে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে: চীন
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতে এই সপ্তাহের গ্রুপ অব-২০ (জি২০) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে বেইজিং বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দুই এশিয়ান জায়ান্টের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) চীন ঘোষণা করেছে, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জি২০ সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সীমান্ত বিরোধের কারণে চীন ও ভারতের সম্পর্ক এখনও হিমশীতল। এমনকি বছর তিনেক আগে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষেও জড়ায় এই দুই পরাশক্তি। সে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় এবং চার চীনা সেনা নিহত হয়েছিল।
এমনকি সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দুই পক্ষ কামান, ট্যাঙ্ক, ফাইটার জেট এবং কয়েক হাজার সামরিক কর্মী মোতায়েন করেছে।
বিরোধের উল্লেখ না করে বা প্রেসিডেন্ট শি’র অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ উল্লেখ না করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, চীনা নেতারা ‘সর্বদাই ভারতের এই বছরের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনকে সমর্থন করেছেন এবং জি২০ শীর্ষ সম্মেলন সফল করতে সকল পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রস্তুত।’
মাও একটি দৈনিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমানে চীন-ভারত সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে এবং সকল স্তরে সংলাপ ও যোগাযোগ বজায় রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চীন-ভারত সম্পর্কের বৃহত্তর এবং ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের জন্য ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাণিজ্য, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
ভারত ও চীন উভয়ই একে অন্যের সাংবাদিকদের বহিষ্কার করেছে এবং একসময় এক দেশের প্রচুর শিক্ষার্থী অন্য দেশে পড়তে যেত, কিন্তু এখন শিক্ষা বিনিময় শূন্যের কোঠায়।
ভারত সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে এবং কম্পিউটার, ইস্পাত তৈরি, মহাকাশ অনুসন্ধান এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই দুই দেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে।
ভবিষ্যতে সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমানোর জন্য চীনা ও ভারতীয় সামরিক কমান্ডাররা গত মাসে বৈঠক করেন এবং লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার’ প্রতিশ্রুতি দেন।
লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল পশ্চিমে লাদাখ থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের চীন ও ভারত-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোকে পৃথক করেছে। অবশ্য চীন সম্পূর্ণ অরুণাচল প্রদেশের মালিকানা দাবি করে।
জি২০-এ যোগ না দিয়ে শি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার একটি সুযোগ প্রত্যাখান করেছে। যখন চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এছাড়া, চীন আরও ইঙ্গিত দিচ্ছে যে শি নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার নেতাদের বৈঠকেও যোগ দেবেন না।
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
১ বছর আগে
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন পত্র পাঠিয়েছেন শি জিনপিং
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন পত্র পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চীনের গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার এবং এর জনগণের পক্ষ থেকে এবং তার নিজের নামে, শি জিনপিং রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শি জিনপিং উল্লেখ করেছেন যে চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশ সর্বদা একে অপরকে সম্মান করেছে। একে অপরকে সমান বলে আচরণ করেছে এবং মৌলিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে একে অপরকে সমর্থন করেছে, যা দেশদু’টির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান এবং সমান সমান সহযোগিতার উদাহরণ স্থাপন করেছে।
অভিনন্দন বার্তায় চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন যে তিনি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। দুই দেশের মধ্যে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, যৌথভাবে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাড়াতে এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও ভালভাবে উপকৃত করার জন্য প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
শি জিনপিং চিঠিতে বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধি ও সুখের জন্যও তার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শপথ নেবেন সোমবার
১ বছর আগে
বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত: শি জিনপিং
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের অসাধারণ সাফল্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং তা আরও শক্তিশালী হবে।’
স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার লি কিয়াং এবং স্টেট কাউন্সিলের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিন গ্যাং যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে পৃথকভাবে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
বর্তমানে প্রেসিডেন্ট শি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন দৃঢ় ও গভীর রাজনৈতিক সম্পর্ক উপভোগ করছে এবং কার্যকর সহযোগিতা ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে প্রস্তুত চীন: শি জিনপিং
তিনি বলেন, ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর যৌথ নির্মাণ ফলপ্রসূ ফলাফল এনেছে, যা দুই দেশ এবং তাদের জনগণের জন্য সত্যিকার সুফল বয়ে এনেছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো তার বার্তায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ‘আমি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই এবং চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’
শি বলেছেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চীন সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আপনাকে, আপনার দেশের সরকার ও জনগণকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উদ্যোগে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে এবং স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীন উন্নয়ন সহযোগী, রাজনীতিতে মাথা ঘামায় না: তথ্যমন্ত্রী
চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
পুতিন-শি জিনপিং বৈঠক, বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য রাজনৈতিক উৎসাহ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রাজনৈতিক উত্সাহ দিতে তার সঙ্গে বৈঠক করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এই বৈঠকের কারণ ও উদ্দেশ্য কি তার কোনো বিশদ বিবরণ দেয়নি শি’র সরকার।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার আগে শি ও পুতিন ঘোষণা করেছিলেন যে তাদের ‘সীমাহীন বন্ধুত্ব’ ছিল, তবে যুদ্ধের পুরোটা সময়ই চীন নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে। এমনকি বেইজিং গত মাসে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল।
চীন সরকার জানিয়েছে, শি সোমবার থেকে বুধবার মস্কো সফর করবেন, তবে তিনি চলে গেছেন কিনা তার কোনও ইঙ্গিত তারা দেয়নি।
রুশ সরকার জানিয়েছে যে শি’র মধ্যাহ্নে পৌঁছানোর কথা রয়েছে এবং এরপরে পুতিনের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।
বৈঠকের আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিসির প্রতি একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ‘বিচার বিভাগীয় অনাক্রম্যতাকে সম্মান করার’ এবং ‘সবকিছুকে রাজনীতিকরণ এবং ডাবল স্টান্ডার্ড ত্যাগের’ আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আন্তর্জাতিক আদালত
চীন রাশিয়াকে তার অর্থনীতির জন্য তেল ও গ্যাসের উৎস হিসেবে এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমেরিকার আধিপত্যের বিরোধিতা করার অংশীদার হিসেবে মনে করে।
ওয়াশিংটনের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির চীনা-রাশিয়ান সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ জোসেফ টোরিজিয়ান বলেছেন,এ বৈঠক পুতিন ও শি’কে ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের সময়ে ‘শক্তিশালী অংশীদারিত্ব’- দেখানোর একটি সুযোগ দেবে।
টোরিজিয়ান বলেন, ‘এই বৈঠক চীনের দেয়া এমন ইঙ্গিত হতে পারে যে রাশিয়াকে সাহায্য করার জন্য তারা আরও বেশি কিছু করতে পারে; যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি হয় তবে তারা রাশিয়াকে শক্তিশালী করতে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করতে আরও অনেক কিছু করতে পারে।’
প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং হংকং ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আচরণ নিয়ে বিরোধের কারণে ওয়াশিংটন, ইউরোপ এবং এর প্রতিবেশীদের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক তিক্ত।
কেউ কেই ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রাশিয়ার দাবি এবং তাইওয়ানের প্রতি বেইজিংয়ের দাবি একই বলে মনে করেন।
কমিউনিস্ট পার্টির দাবি, ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পরে চীন থেকে বিভক্ত হওয়া স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্র হতে বাধ্য করা হবে।
শি’র সরকার তাইওয়ানের চারপাশ দিয়ে ফাইটার জেট উড়িয়ে এবং সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দ্বীপটিকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা জোরদার করছে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়ার রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করার জন্য চীন ক্রেমলিনের থেকে তেল ও গ্যাস কেনা বাড়িয়েছে। তবে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক সহায়তার বিধানের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন এবং ইউরোপীয় সরকারগুলোর নির্ধারিত নিয়ম ভাঙে, এমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি চীন।
আরও পড়ুন: সৌদি-ইরান চুক্তির পর বিশ্বে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে চায় চীন
গত শুক্রবার আইসিসি অভিযোগ করে যে ইউক্রেন থেকে হাজার হাজার শিশু অপহরণের জন্য পুতিন ব্যক্তিগতভাবে দায়ী। যেসব দেশের সরকার এই আদালতের কর্তৃত্ব স্বীকার করে, পুতিন তাদের দেশে গেলে তাৎক্ষণিক তাকে গ্রেপ্তার করতে তারা বাধ্য থাকবে।
পুতিন এখনও এই ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্য করেননি, তবে ক্রেমলিন এই পদক্ষেপকে ‘আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বরং এ রায়কে অবজ্ঞা করে পুতিন ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ দখলের নবম বার্ষিকী উপলক্ষে ক্রিমিয়া এবং দখলকৃত ইউক্রেনীয় বন্দর শহর মারিউপোল পরিদর্শন করেন।
রাশিয়ান সংবাদ প্রতিবেদনে তাকে মারিউপোলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপলে একটি আর্ট স্কুল এবং একটি শিশু কেন্দ্র পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, আইসিসির উচিত ‘একটি বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা এবং একজন রাষ্ট্রপ্রধানের প্রাপ্য বিচার বিভাগীয় অনাক্রম্যতাকে সম্মান করা’ এবং ‘সবকিছুকে রাজনীতিকরণ এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ত্যাগ করা উচিত’।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় শিক্ষার্থীর ৮ বছরের কারাদণ্ড
ওয়াং বলেন, ‘চীন ইউক্রেনের সঙ্কটের বিষয়ে তার বস্তুনিষ্ঠ ও ন্যায্য অবস্থান বজায় রাখবে এবং শান্তি আলোচনার প্রচারে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।’
রুশ সংবাদপত্র রাশিয়ান গেজেটে সোমবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে শি বলেছেন যে চীন ‘সক্রিয়ভাবে শান্তি আলোচনার চেষ্টা করেছে’।
চীনের সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানা যায় যে শি বলেছেন, ‘আমার আসন্ন রাশিয়া সফর হবে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও শান্তি স্থাপনের যাত্রা।’
শি আরও বলেছেন, ‘সঙ্কট সমাধানের একটি যুক্তিসঙ্গত উপায়’- খুঁজে পাওয়া যেতে পারে; যদি ‘সব পক্ষ অভিন্ন, সর্বাঙ্গীন, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই নিরাপত্তার মনোভাব পোষণ করে।’
বেইজিংয়ে সেঙ্গে বৈঠকের পর ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আশ্চর্য ঘোষণার পর শি এই সফর করছেন।
টোরিজিয়ান বলেন, শি একজন বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেবে দেখতে চান, যিনি শান্তির কথা বলে ‘গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছেন’। কিন্তু যুদ্ধ শেষ করার জন্য শি পুতিনকে চাপ দেবেন এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
১ বছর আগে
সৌদি-ইরান চুক্তির পর বিশ্বে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে চায় চীন
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করার একটি চুক্তিতে বেইজিং ভূমিকা রাখার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনকে বৈশ্বিক বিষয়গুলো পরিচালনায় আরও বড় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার শি অনুগতদের নিয়ে সরকার গঠনের পর আইনসভা অধিবেশনে বক্তব্য দেন যাতে অর্থনীতি ও সমাজের উপর তার নিয়ন্ত্রণ শক্ত করেছিল।
চীনের আনুষ্ঠানিক আইনসভার বার্ষিক সভা শেষে এক বক্তব্যে কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা শি বলেছেন, চীনের উচিত ‘বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্মাণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা’ এবং ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ’ প্রচার করা উচিত।’
শি বলেছেন, এটি ‘বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে ইতিবাচক শক্তি যোগ করবে এবং আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য একটি অনুকূল আন্তর্জাতিক পরিবেশ তৈরি করবে।’
শি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চাকাঙ্ক্ষার কোনো বিশদ বিবরণ না দিলেও তার সরকার ২০১২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিদেশে ক্রমবর্ধমান দৃঢ় নীতি অনুসরণ করেছে। এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোতে পরিবর্তনের জন্য চাপ দিয়েছে। বেইজিং বলছে যে উন্নয়নশীল দেশ তাদের চাহিদা এবং ইচ্ছা প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনস্থাপনকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: মোমেন
বেইজিং বাণিজ্য ও নির্মাণ উদ্যোগকে উন্নীত করার জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে চীনের ক্রমবর্ধমান উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে। যা ওয়াশিংটন, টোকিও, মস্কো এবং নয়া দিল্লি তাদের বিস্তৃতিতে এর কৌশলগত প্রভাবকে প্রসারিত করবে বলে উদ্বিগ্ন।
শি’র সরকার ২০২২ সালের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াকে বিচলিত করেছিল। যখন এটি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে একটি সুরক্ষা চুক্তি সই করেছিল যা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটিতে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েন করার অনুমতি দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কিন গ্যাং গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনকে সম্ভাব্য ‘সংঘাত ও সংঘর্ষ’ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান, মানবাধিকার, হংকং, নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের গতিপথ পরিবর্তন না করে।
শির সোমবারের ভাষণে জাতীয়তাবাদী পদে ভরপুর একটি বক্তব্যে দ্রুত প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং আরও আত্মনির্ভরতার আহ্বান জানান। তিনি আটবার ‘জাতীয় পুনরুজ্জীবন’ বা চীনকে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে চীনের সঠিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার, অক্টোবরে ঐতিহ্য ভেঙ্গে এবং শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিজেকে তৃতীয়-পাঁচ বছরের মেয়াদে পুরস্কৃত করার পরে আজীবন নেতা হওয়ার পথে নিজেকে রেখে দেয়ার পরে আনুষ্ঠানিক চীনা প্রেসিডেন্টের আরেকটি মেয়াদে শির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন এক দশকের পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি নেতা হিসাবে তার অনুগতদের নিয়োগকে সমর্থন করে শির আধিপত্যকে শক্তিশালী করেছে। শি সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে সমর্থন করেছেন।
শি বলেছেন যে ১৯৪৯ সালে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে, বিদেশি দেশগুলোর নিপীড়নে চীন ‘আধা-ঔপনিবেশিক, আধা-সামন্ততান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছিল।’
শি বলেছেন, ‘আমরা অবশেষে জাতীয় অপমান মুছে ফেলেছি এবং চীনা জনগণ তাদের নিজেদের ভাগ্যের মালিক।’ ‘চীনা জাতি ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে, ধনী হয়েছে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’
শি দেশটিকে ‘জাতীয় পুনঃএকত্রীকরণের’ লক্ষ্য ‘অটলভাবে অর্জন’ করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছিন। বেইজিংয়ের দাবির উল্লেখ করে যে গণতান্ত্রিক স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ান, তার ভূখণ্ডের অংশ চীনের সঙ্গে একত্রিত হতে বাধ্য, প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
১ বছর আগে
চীন সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি চীনে তিন দিনের সফরে রাষ্ট্রীয় যাচ্ছেন। আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই সফরে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং রবিবার এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে রাইসি এ সফরে আসছেন।
আরও পড়ুন: আবারও চীন সফরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, রাইসি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন এবং দুই দেশের প্রতিনিধিরা পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ক নথিতে সই করবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ সফরে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের এবং চীনে ইরানি প্রবাসীদের সঙ্গে বৈঠকও রাইসির সফরসূচির অংশ।
রাইসির সফর আন্তর্জাতিক বিষয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা আধিপত্যের বিরোধিতাকারী দুই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারের মধ্যে সম্পর্ককে আরও গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দুই নেতা গত সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে বৈঠক করেন, যখন জিনপিং ইরানের প্রতি চীনের সমর্থনের ওপর জোর দিয়েছিলেন।
ডিসেম্বরে তেহরানে চীনা ভাইস প্রিমিয়ার হু চুনহুয়ার সঙ্গে বৈঠকে রাইসি কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
চীন ইরানের তেলের প্রধান ক্রেতা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
২০২১ সালে ইরান ও চীন একটি ২৫ বছরের কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে। যাতে তেল ও খনিসহ শিল্প, পরিবহন এবং কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।
উভয় দেশেরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক রয়েছে এবং রাশিয়ার পাশাপাশি তারা মার্কিন আধিপত্যের বিপরীতে নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছে।
ওয়াশিংটন ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার কাছে শতাধিক হামলাকারী ড্রোন বিক্রির জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করেছে। একই সময়ে মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যকার সম্পর্কও আরও দৃঢ় হয়েছে।
দেশব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে ইরান শনিবার ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের ৪৪ তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুন: বেলুন ইস্যুতে ব্লিঙ্কেনের চীন সফর বাতিল
কাশ্মীর: ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগে চীন সফরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
পারমাণবিক যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যেই মুখোমুখি হচ্ছেন জো বাইডেন ও শি জিনপিং
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাদের প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠকে বসবেন। দুই বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পরে থেকেই এই দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই এই দুই নেতা ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈঠকে বসবেন।
ইন্দোনেশিয়া আসার আগে কম্বোডিয়ার নম পেনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন বাইডেন।
সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের অল্প কিছু ভুল বোঝাবুঝি আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু খুঁজে বের করতে পেরেছি যে লাল রেখাগুলো কোথায় এবং ... আগামী দুই বছরে আমাদের প্রত্যেকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো কী।’
যদিও বাইডেনের মেয়াদকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: বিতর্ক এড়াতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না পুতিন
ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে বাইডেন বলেছিলেন যে তিনি ইউক্রেনে প্রায় ৯মাস ধরে চলা আগ্রাসনের মধ্যে তাইওয়ানের স্ব-শাসিত দ্বীপ, বাণিজ্য চর্চা এবং মস্কোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কের বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছেন।
চীনা কর্মকর্তারা মূলত জনসমক্ষে রাশিয়ার ইউক্রেনের ওপর চালানো আগ্রাসনের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকেন। তবে বেইজিং রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের মতো সরাসরি সমর্থন এড়িয়ে গেছে।
তাইওয়ান সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত ইস্যু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বাইডেন একাধিকবার বলেছেন যে তাইওয়ানের ওপর বেইজিং-এর চালানো আক্রমণ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপটিকে রক্ষা করবে। চীন এ বিষয়টিকে কখনোই ভালো চোখে দেখেনি।
উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় যখন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, ডি-ক্যালিফ গত আগস্ট মাসে তাইওয়ান সফর করেন। চীন এ বিষয়টিকে চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘণ হিসেবেই দেখেছে। চীন সেসময় সামরিক মহড়া এবং নিকটবর্তী সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত
২ বছর আগে
তাইওয়ান সমস্যার সমাধান চীনাদেরই করতে হবে: ২০তম সিপিসি সম্মেলনে শি জিনপিং
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রবিবার বলেছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) নতুন যুগে তাইওয়ান সমস্যার সমাধানের জন্য এর সামগ্রিক নীতি বাস্তবায়ন করবে এবং জাতীয় পুনর্মিলনের কারণকে অবিচলভাবে এগিয়ে নেবে।
সিপিসি ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশনে শি জিনপিং বলেন, ‘তাইওয়ান সমস্যার সমাধান চীনাদেরই একটি বিষয়, আর বিষয়টি চীনাদেরই সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। কিন্তু আমরা ক্ষমতা প্রয়োগ পরিত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না এবং প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার আমাদের আছে। এটি শুধুমাত্র বহিরাগত শক্তি ও 'তাইওয়ানের স্বাধীনতা' চাওয়া কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের হস্তক্ষেপের জন্য নির্দেশিত। এটা কোনোভাবেই আমাদের তাইওয়ানের দেশবাসীকে লক্ষ্য করে নয়।’
জিনপিং বলেন, ইতিহাসের চাকা চীনের পুনর্মিলন এবং চীনা জাতির পুনরুজ্জীবনের দিকে ঘুরছে। আমাদের দেশের সম্পূর্ণ পুনর্মিলন অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে এবং এটি নিঃসন্দেহে বাস্তবায়িত হতে পারে!
আরও পড়ুন: চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন শুরু: শি জিনপিং ৩য় মেয়াদেও দায়িত্ব পাচ্ছেন
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় আমাদের তাইওয়ানের স্বদেশীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও যত্ন দেখিয়েছি এবং তাদের সুবিধা দেয়ার জন্য কাজ করেছি। আমরা তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং সহযোগিতার প্রচার চালিয়ে যাব।’
প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ‘আমরা এই প্রণালীর উভয় তীরের জনগণকে চীনা সংস্কৃতি প্রচার করতে ও ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করব।’
আরও পড়ুন: চীনের হুমকির মধ্যেই তাইওয়ান পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার
তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি
২ বছর আগে