পাওয়ার
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বিআরইবির ৯৩,ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের ৮৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর বুধবার(২৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ৯৩ শতাংশ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পেরেছে। এছাড়া ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসি) ৮৭ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সোমবার(২৭ মে) বিআরইবির প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২ কোটি ৮২ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছে, যা ৯৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, বন্ধ বিদ্যুৎ সংযোগ
একই সময়ে ডব্লিইজেডপিডিসি তার ২ লাখ ৮২ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু করেছে। যা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মোট ৪ লাখ ৫৩ হাজার গ্রাহকের ৮৭ শতাংশ।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রায় ২৫ হাজার জনবল কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের জন্য ডব্লিউজেডপিডিসি জনবল নিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি
৬ মাস আগে
উৎপাদনে আসার ৪ দিনের মাথায় বন্ধ হলো এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় নবনির্মিত এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনে আসার মাত্র চার দিনের মাথায়বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ১০-১১টার মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র এসএস পাওয়ারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ১০-১১টার মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষামূলক উৎপাদনের চতুর্থ দিনেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির এই করুণ দশা।
আরও পড়ুন: প্রচলিত পাওয়ার টিলারকে সৌরচালিত পাওয়ার টিলারে রূপান্তরের আহ্বান
জানা গেছে, ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুইটি ইউনিটের প্রথম ইউনিটে গত ২৪ মে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। প্রথম ইউনিটে পরীক্ষামূলকভাবে দৈনিক ১২০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদিত হচ্ছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বুধবার টর্নেডোর আঘাতে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট এখনো পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন শুরু করতে পারেনি। এখন এসএস পাওয়ারের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে লোডশেডিং মোকাবিলায় বড় ধরণের সংকটে পড়তে হবে।
এর আগে গত ৫ জুন এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র কয়লা সংকটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এসএস পাওয়ারকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে অনুরোধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ তারিখ দিবাগত মধ্যরাতে উৎপাদনে আসে এসএস পাওয়ার।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩০০-৩৭৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
এস এস পাওয়ারের উপ প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পিডিবির অনুরোধে আমরা গত ৫ তারিখ মধ্যরাত থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে আসছিলাম। কিন্তু কয়লার জোগান শেষ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১০-১১টার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়’।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ ৩৭৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু না হলে কোনো লাভ নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমরা কয়লা পোড়ালে একই সঙ্গে অন্যান্য আনুষঙ্গিক যে খরচ হচ্ছে—সেটা আমরা পাব না’।
‘এছাড়া আমরা বাণিজ্যিক উৎপাদনে না আসা পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে চাচ্ছি না। কিন্তু পিডিবির অনুরোধে তীব্র লোডশেডিং সামাল দিতে চালিয়েছিলাম। তা ছাড়া আমাদের এখন কয়লার মজুদও শেষ হয়ে গেছে’।
বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা এলাকায় স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এস আলম গ্রুপ ও চীনের সেপকো থ্রির যৌথ মালিকানাধীন।
আরও পড়ুন: চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ
১ বছর আগে