ফেডারেশন
এফবিসিসিআইয়ের নতুন মহাসচিব মো. আলমগীর
ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে মো. আলমগীরকে।
রবিবার (২০ আগস্ট) তিনি এফবিসিসিআইতে যোগ দেন।
এর আগে আলমগীর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
তিনি রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আলমগীর সরকারি চাকরিতে ৩৩ বছরের কর্মজীবনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার নিয়ে এফবিসিসিআইয়ে এসেছেন।
১৯৯০ সালে পটুয়াখালী ডিসি অফিসে সহকারী কমিশনার হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় এবং তিনি বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় কাজ করেন।
মো. আলমগীর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিবেশ অধিদপ্তরে এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মো. আলমগীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এনইউএস) থেকে পাবলিক পলিসিতে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। যার ফলে তিনি বাংলাদেশের প্রথম বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে এনইউএস থেকে এই ডিগ্রি অর্জন করেন।
এ ছাড়াও, মো. আলমগীর ইউকে ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স থেকে শেভনিং ফেলোশিপের অধীনে ম্যানেজিং মাইগ্রেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে হুবার্ট হামফ্রে ফেলোশিপের অধীনে 'সাবস্ট্যান্স ইউজ, রিডাকশন, ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড পলিসি' বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকার একাডেমি ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট থেকে প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং জাপানের আইডিএএস অ্যাডভান্সড স্কুল থেকে ডেভেলপিং ইকোনমিকসে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
এ ছাড়াও তিনি দেশে ও বিদেশে অনেক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
এফবিসিসিআই-আইসিসির বৈঠক: ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান
১ বছর আগে
বাইডেনের কাছে ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি: অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যাননের দেয়া চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশন।
চিঠিতে লেখা দাবিকে ‘ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট’ বলে অভিহিত করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের ৯ জুন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ছয় সদস্যের চলতি বছরের ১৭ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেনকে সম্বোধন করা চিঠিটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উক্ত চিঠির ১ পৃষ্ঠার ৩ অনুচ্ছেদে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কথিত হ্রাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও চিঠিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবুও চিঠিতে উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করার কারণ আমাদের কাছে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র: কংগ্রেসম্যান মিকস
২০১১ ও ২০২২ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারির তথ্য উদ্ধৃত করে সংস্থাটি জোড় দিয়ে বলেছে যে উভয় বছরে বৌদ্ধ জনসংখ্যার আকার প্রায় ০.৬১ শতাংশে স্থিতিশীল ছিল। তারা জোর দিয়েছিল যে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে আমরা বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় অন্যান্য ধর্মের মানুষের সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতির সহবস্থান করছি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বর্তমান সরকার সময়েও।
তারা স্বীকার করেছে যে যখন সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সরকার তাৎক্ষণিক এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, এই জাতীয় সমস্যাগুলো মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
এটির শেষে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল; কিন্তু আমাদের বর্তমান সরকার তাৎক্ষণিক এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা নিশ্চিত করছি যে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতির সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী।’
আরও পড়ুন: ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে