সামিট গ্রুপ
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, তার ভাই ও পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউ এক চিঠিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিধান অনুযায়ী ৩০ দিনের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
তিনি সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ জন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর একজন।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউর সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
কোম্পানির হিসাব নয়, ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করেছে বিএফআইইউ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
১ মাস আগে
বিবিয়ানা রক্ষণাবেক্ষণের কারণে গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে
দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনালের অন্যতম সামিট গ্রুপের ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট পুনরায় চালু হলেও সার্বিক গ্যাস সরবরাহের উন্নতি হয়নি। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সরবরাহ আবারও কমে গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, দেশের অন্যতম বৃহৎ গ্যাস সরবরাহের উৎস বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে ১৩ এপ্রিল থেকে রুটিন রক্ষণাবেক্ষণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পূর্ণ উৎপাদনে ফিরে আসবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা ও বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের অপারেটর শেভরনের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে গ্যাস সরবরাহের ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে অনিয়ম, জরিমানা
পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন সোমবার ৪৫৩ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। যেখানে এর নিয়মিত উৎপাদন ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
সামিট গ্রুপ অবশেষে এলএনজি টার্মিনাল চালু করতে সফল হয়েছে বলে সরকারি সূত্র জানায়। ১২ এপ্রিল থেকে আমদানি করা এলএনজির পুনরায় গ্যাসফিকেশন শুরু করেছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার তথ্য দেখায়, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল চালু হওয়ার পর আমদানি করা গ্যাসের সরবরাহ দিনে ১৬২ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়ে ৬৩০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ৭৯২ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে।
পেট্রোবাংলার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, '১৪ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ আরও বেড়ে ৯৩৬.৩০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে।’
মহেশখালীতে বেসরকারি খাতে স্থাপিত দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে, যার মোট গ্যাসফিকেশন ক্ষমতা ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট। একটি ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিলারেট এনার্জির মালিকানাধীন ও পরিচালিত এবং অন্যটি ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন সামিট গ্রুপের মালিকানাধীন ও পরিচালিত।
মার্চের প্রথম সপ্তাহে সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচিতে গেলে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির অবনতি হয়। গত ৩ মার্চ এটি আবার পরিষেবা চালু করার কথা ছিল।
পেট্রোবংলার কর্মকর্তা বলেন, ‘কিন্তু প্রাথমিকভাবে এটি শিডিউল অনুযায়ী উৎপাদনে আসতে ব্যর্থ হয় এবং শেষ পর্যন্ত কয়েকদিন পর আবার উৎপাদন শুরু করে।’
সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের তথ্যে দেখা যায়, ঈদের ছুটির শেষে রবিবার ও সোমবার ৩ হাজার ৬৩২ মিলিয়ন ঘনফুট কম চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস সরবরাহ ছিল ২ হাজার ৩৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, বিদ্যুৎ সরবরাহে চাহিদা কম থাকলেও সোমবার সারাদিনের ব্যস্ত সময়ে দেশে ৩০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।
পিজিসিবির তথ্য বলছে, সকাল ১০টায় দেশে লোডশেডিং হয় ৩০৫ মেগাওয়াট, যখন চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।
সোমবার সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ চাহিদা ১৪ হাজার মেগাওয়াট হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল এবং কর্মকর্তারা আজ রাতে আরও লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা করছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ৩ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
ঢাকার যেসব এলাকায় আজ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
৭ মাস আগে
মহেশখালীতে নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমোদন পেল সামিট গ্রুপ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে স্থানীয় সামিট গ্রুপ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এই চুক্তির আওতায় সামিট গ্রুপের আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের জন্য এলএনজি টার্মিনাল হিসেবে নতুন ভাসমান স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করবে।
অনুমোদন অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড ১৫ বছর মেয়াদি টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট (টিইউএ) এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) সই করবে। এই চুক্তির আওতায় প্রতিদিন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে গ্রুপটি। পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের খরচ পড়বে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের ১৪ জুন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এটি হবে দেশের তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল। কক্সবাজারের মহেশখালীতে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি কর্তৃক ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরও একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করেছে সামিট গ্রুপ।
কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য এক্সেলেরেট এনার্জি ও সামিট যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সামিট গ্রুপের প্রস্তাবটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ) আইন-২০১০ এর অধীনে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়া হিসেবে উত্থাপন করে, যা সরকারকে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই চুক্তি প্রদানের অনুমতি দেয়।
এর আগে সিসিইএ’র অনুমোদিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, প্রস্তাবিত সামিটের টার্মিনালের পুনঃগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা হবে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি)। কিন্তু এখন সামিট ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
পেট্রোবাংলা ৩০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩০০ এমএমসিএফডি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ
ফলে ৪ হাজার এমএমসিএফডির চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দুটি নতুন চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যাবে। এছাড়া ২০২৬ সাল থেকে অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির জন্য এক্সেলরেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি নতুন চুক্তিও সই হয়েছে।
পেট্রোবাংলার পৃথক একটি প্রস্তাবে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিগ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ'র এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সেলারেট এনার্জির এলএনজি সরবরাহ চুক্তি সই
১১ মাস আগে
সামিটের আজিজ খান সিঙ্গাপুরের ৫০ ধনীর মধ্যে ৪১তম: ফোর্বস
বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সংগঠন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান আবারও সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
বুধবার আমেরিকান ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’ প্রকাশিত সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনী ব্যক্তির তালিকায় তিনি ৪১তম স্থানে রয়েছেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে আজিজ খানের মোট সম্পদের পরিমাণ বলা হয়েছে ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।
ফোর্বসের ২০২২ সালের সিঙ্গাপুরের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি ৪২ তম স্থানে ছিলেন। তার মোট সম্পদ দেখানো হয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার।
এ বছর আজিজ খান ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় এক ধাপ এগিয়েছেন এবং তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ দমমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।
সিঙ্গাপুরের তালিকায় তার অবস্থান ৪১তম হলেও ফোর্বসের তৈরি বিশ্ব কোটিপতিদের তালিকায় তিনি ২ হাজার ৫৪০তম স্থানে রয়েছেন।
২০২১ সালে তার মোট সম্পদ ছিল ৯৯ কোটি ডলার।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের ৪২তম শীর্ষ ধনী সামিটের আজিজ খান
২০১৯ সাল থেকে তার সম্পদ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরপর ২০২২ সালে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় এক বিলিয়ন ডলারে। ফলে ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকায়ও তিনি স্থান পেয়েছেন।
ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে আজিজ খান সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল-এর ২২ শতাংশ শেয়ার জাপানি কোম্পানি জেইআরএ-এর কাছে ৩৩০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিলেন।
সেই বিক্রয় মূল্যের উপর ভিত্তি করে, সামিট পাওয়ারের বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
১ বছর আগে
দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
এলএনজি টার্মিনাল পরিষেবা প্রদানকারী হিসেবে তাদের বিদ্যমান চুক্তির বাইরে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এলএনজি সরবরাহ পেতে সামিট গ্রুপ ও এক্সেলারেট এনার্জির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করতে যাচ্ছে সরকার।
বুধবার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের দেওয়া পৃথক দুটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৫ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এক্সেলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের স্থাপিত কক্সবাজারের মহেশখালীর একটি ভাসমান টার্মিনাল এবং রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এর মাধ্যমে ২০২৬ সাল থেকে প্রতি বছর ১ থেকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) এলএনজি সরবরাহ করবে।
অনুরূপ আরেকটি প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৫ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীনে সামিট গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের স্থাপিত কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি এফএসআরইউ এর মাধ্যমে ২০২৬ সাল থেকে বার্ষিক ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
মন্ত্রিপরিষদ কমিটির বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল আহসান। তবে তিনি সামিট ও এক্সেলারেট এনার্জি এবং এলএনজির দর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে (সিসিজিপি) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এলএনজির দর সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
বর্তমানে এক্সেলারেট এনার্জি ও সামিট উভয়ই কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
দুটি কোম্পানি আরও দুটি এফএসআরইউ স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। এর একটি সামিটের মহেশখালীতে, আরেকটি পটুয়াখালীর পায়রায়।
সামিট গ্রুপ মহেশখালীতে দ্বিতীয় এফএসআরইউ স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জির প্রস্তাবটি অনুরূপ অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ মরিয়া হয়ে এলএনজি আমদানির দিকে তাকিয়ে আছে।
পেট্রোবাংলা প্রতিদিনি ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে যার মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর আমদানি করা হয় ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
ফলে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার এমএমসিএফডি ঘাটতি থাকছে।
সম্প্রতি, পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দু’টি নতুন চুক্তি সই করেছে যাতে দুটি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান দু’টি চুক্তির বাইরে ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যায়।
এদিকে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মূল প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে ইলেকট্রিক (সুইজারল্যান্ড) জিএমবিএইচ সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতি (ডিপিএম) এর অধীনে ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারড কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের গ্যাস টারবাইনের ক্ষতিগ্রস্ত কম্প্রেসারের মেরামত পরিষেবা গ্রহণের জন্য নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদের অর্থনীতিবিষয়ক কমিটি।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর ‘পূর্বাচল নিউ টাউনে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ কমিটি নীতিগতভাবে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
রাজউক পূর্বাচল নিউ টাউনে একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সামিট গ্রুপ আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন পেল
১ বছর আগে
সামিট গ্রুপ আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন পেল
স্থানীয় কোম্পানি সামিট গ্রুপ দেশে তৃতীয় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সঙ্গে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে সামিট গ্রুপের ‘সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডকে’ কক্সবাজারের মহেশখালীতে টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে।
সভা শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, প্রস্তাবিত টার্মিনালের রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি) হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা রি-গ্যাসিফিকেশন সেবা নেওয়ার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ শুরু
তিনি বলেন, এই অনুমোদন পেট্রোবাংলাকে টার্মিনাল স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করতে সহায়তা করবে।
প্রকল্পের ব্যয় ও বাস্তবায়নের সময় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
দেশে ইতোমধ্যে দু’টি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে - একটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে ইউনাইটেড স্টেটের এক্সেলরেট এনার্জি ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপন করেছিল এবং অন্যটি একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন সামিট গ্রুপ স্থাপন করেছিল।
অর্থমন্ত্রী সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি, সার, ওষুধ, চিনি ও সয়াবিন তেল সংগ্রহের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জি এলপি প্রতি ইউনিটের দাম ১৩ দশমিক ৯ মার্কিন ডলার দামে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সরবরাহ করবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় ২৪৯ দশমিক ৯৯ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করবে এবং প্রায় ১৪ হাজার ২০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া প্রতি টন ৩১৯ দশমিক ৮৭ ডলার মূল্যে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার টন ক্রয় করবে।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলা ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে আরও ৩টি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে চায়
এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে একই পরিমাণ বাল্ক দানাদার ইউরিয়া কিনবে প্রতি টন ৩১৯ দশমিক ৮৭ ডলার মূল্যে।
বিসিআইসি কাতার থেকে একই পরিমাণ ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া আমদানি করবে প্রতি টন ৩০৩ দশমিক ৩৩ ডলার মূল্যে।
মাহবুব খান বলেন, টেবিলে দুটি প্রস্তাব জমা পড়েছিল।
এর মধ্যে একটি ছিল সিঙ্গাপুরের একটি বেস সরবরাহকারীর কাছ থেকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি ক্রয় করা একটি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতি টনের মূল্য ৪৭৭ দশমিক ৯ ডলার।
অন্যটি ছিল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড সরবরাহ করার জন্য ৮০ লাখ টন সয়াবিন তেল ক্রয় করার। প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১৬১ দশমিক ৩৭ টাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এলএনজি আনায় সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রশংসায় ট্রুডো
১ বছর আগে