কমিটি
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির তৃতীয় বৈঠক সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) কমিটির সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এর সভাপতিত্বে বৈঠকটি হয়।
কমিটির সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এবং এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে শেষ অধিবেশন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির বিবরণ ও প্রতিশ্রুতির হালনাগাদ অবস্থা এবং গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ও প্রশাসনে দুর্নীতি নিয়ে সরকারের সমালোচনায় এমপিরা
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলোর গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিআরটিএ ও বিআরটিসির চেয়ারম্যানরা এবং বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
৫ মাস আগে
বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ-জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ৩৯ নেতার রদবদল
দলকে ঢেলে সাজাতে দলের উপদেষ্টা পরিষদ ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির ৩৯ নেতাকে বিভিন্ন পদে রদবদল করেছে বিএনপি।
শনিবার (১৫ জুন) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার(১৩ জুন) রাতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। একইভাবে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও মুনায়েম মুন্নার নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করা হবে: ফখরুল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের সেক্রেটারি (বিশেষ দায়িত্ব) ড. আসাদুজ্জামান রিপনকে ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপনকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও লায়ন আসলাম চৌধুরীকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়েছে।
এছাড়া রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলু(রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক), সাখাওয়াত হাসান জীবন (সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক), বেবী নাজনীন (সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক) ও ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন চৌধুরীকে (সহকারী আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়েছে।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে যুগ্ম মহাসচিব করা হয়েছে।
এতে ঢাকা বিভাগের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুলকে সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী বিভাগের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেককে সাংগঠনিক সম্পাদক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলমকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জি কে গাউচকে সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
এদিকে যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক, সহকারী প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে গণশিক্ষা সম্পাদক, সহকারী প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমকে গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক, সহকারী প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমকে রাজশাহী বিভাগের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সহকারী আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে ঢাকা বিভাগের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলামকে রংপুর বিভাগের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম বিভাগ সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক, আবু ওয়াহাব আকন্দকে ময়মনসিংহ বিভাগের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মিফতাহ সিদ্দিকীকে সিলেট বিভাগের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার সভাপতি নাহিদ খানকে দলের সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহকে সহকারী স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং এসএম সাইফ আলীকে সহকারী তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হয়েছেন।
বিএনপির সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাইদুল হক সাঈদ, সহকারী কৃষিবিষয়ক সম্পাদক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক ও সহকারী আইসিটি বিষয়ক সম্পাদকএসএম গালিবকে দলে তাদের বর্তমান পদ থেকে সরিয়ে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কায়ছর এম আহমেদ, সুইডেনের মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টু, ডেনমার্কের গাজী মনির ও ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান।
আরও পড়ুন: ৪ মহানগর ও কেন্দ্রীয় যুবদল কমিটি ভেঙে দিয়েছে বিএনপি
৬ মাস আগে
বিদ্যালয়ের কমিটির নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষে ভাইয়ের হাতে ভাই নিহত
খুলনার বামনডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইদের হাতুড়ির আঘাতে অপর এক ভাই নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৪ মে) রাত সাড়ে ১০টায় রুপসায় বামনডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
নিহত রসুল মিনা বামনডাঙ্গা গ্রামের ইকতিয়ার মিনার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বামনডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ সমাধানের জন্য বসলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সে সময় চাচাতো ভাই হঠাৎ রসুলের মাথায় আঘাত করলে রসুল গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, নিহত রসুল মিনার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় আম ব্যবসায়ী নিহত
৭ মাস আগে
গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি কেন নয়: হাইকোর্ট
পরিবেশ রক্ষায় সারাদেশের গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনটির উপর গত সোমবার ও মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত রবিবার (৫ মে) হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত
রুলে সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে (ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ ব্যতীত) ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না; ঢাকা শহর সহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না; গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপকদের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; কমিটি গঠন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সকল বিবাদীগণ নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালণয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র; দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশল, প্রধান বন সংরক্ষক; সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
মঙ্গলবার আদালতে শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রাক্কালে ও সরকারের অঙ্গীকার পরিবেশ রক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যত্রতত্র গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন মিডিয়ায় যেভাবে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে গাছ কাটার এক মহা উৎসব চলছে।
মনজিল মোরসেদ, শুনানিতে আরও বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। যার কারনে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
৭ মাস আগে
কুমিল্লায় অবন্তিকার বাড়িতে তদন্ত কমিটি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি কুমিল্লার বাড়িতে গিয়ে তার মা তাহমিনা শবনমের সঙ্গে কথা বলে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে দলটি নগরির বাগিচাগাঁওয়ের অরনিকা পার্কের বাসার দ্বিতীয় তলায় ঘটনাস্থলে যায়।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ডে জবি’র সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী
ঘটনাস্থলে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ধরে অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। পরে তারা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা করেছি।
অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, তদন্ত দল ঢাকা থেকে আমার কাছে এসেছেন। উনারা তথ্য নিয়েছেন। আমি উনাদের সব বলেছি। উনারা আমার কথা শুনেছেন এবং তা লিখেও নিয়েছেন। উনারা বলেছেন ন্যায় বিচার পাব।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) অবন্তিকা সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেইসবুকে পোস্ট করে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মানের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: জামিন পাননি দ্বীন ইসলাম, রিমান্ড শেষে জেলে আম্মান
অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
৯ মাস আগে
গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তা চুক্তি সই করার জন্য ঢাকা ও দিল্লির প্রতি গ্যারান্টি ও সালিশি ধারাসহ একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি।
শনিবার(৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক যৌথ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি কেবল অববাহিকাভিত্তিক চুক্তির ভিত্তিতেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ায় নাটোরে পানি ক্রমশ বাড়ছে
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আইএফসির আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার, লেখক ও গবেষক সিরাজুদ্দীন সাথী, তমিজউদ্দীন আহমদ, আইএফসি বাংলাদেশের সহসভাপতি ড. নাজমা আহমদ এবং সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম আজাদ।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, উপমহাদেশের অন্যান্য দেশ নেপাল ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সই করা পানি চুক্তিতে নিশ্চয়তা ও আরবিট্রেশন ক্লজ রয়েছে।
ফলে সিন্ধু ও মহাকালী পানিচুক্তি পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সই করা গঙ্গার পানি চুক্তিতে শর্ত পূরণ করা হয়নি।
এই ত্রুটির কারণে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আশানুরূপ গড়ে ওঠেনি।আরও পড়ুন: বিহারে বন্যা সামাল দিতে ফারাক্কার সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত
১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মোট ৪১ দিন পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে পরামর্শ করে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে বাংলাদেশে একতরফা পানি প্রত্যাহার অব্যাহত থাকে এবং পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেয়।
পরে ১৯৭৭ সালে ৮০ শতাংশ পানির প্রাপ্যতার গ্যারান্টি ক্লজ দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি পানি চুক্তি সই হয়। কিন্তু এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা নবায়নের পরিবর্তে ১৯৮২ সালে গ্যারান্টি ক্লজ বাদ দিয়ে ৫ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এরপর ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টনের জন্য আবারও ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি সই হয়। ২০২৬ সালে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে এসে এই চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তার পানি চুক্তি সইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই গঙ্গা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি পায়নি। চুক্তিতে গ্যারান্টি ও আরবিট্রেশন ক্লজ না থাকায় এটি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। চুক্তির এই দুর্বলতা নবায়নের সময় দূর করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার প্রভাবে ভাঙছে নবগঙ্গা-মধুমতি
২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে তা আজও করা হয়নি।
শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর কোনো পানি বাংলাদেশে ছাড়া হয় না। পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা ব্যারেজ থেকে সামান্য পরিমাণ পানি বাংলাদেশে আসে।
অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তীব্র বন্যা ও তীর ভাঙনের কারণে ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে এই নদীর উৎপত্তিস্থল। তাই নদীর প্রবাহের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন। এ পর্যন্ত তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে একতরফা পানি প্রত্যাহার বেড়েছে।
এতে বলা হয়, স্বল্পমেয়াদি সুবিধার জন্য অদূরদর্শী বাঁধ দিয়ে তাদের গতিপথ পরিবর্তন করে এই প্রাকৃতিক পানির উৎসগুলোকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করুন, দুর্যোগ এড়ান: ফারাক্কা কমিটি
৯ মাস আগে
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের আদেশ
রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কমিটিতে পুলিশ, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে।
এই কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে একটি ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, কারা দায়ী তা খুঁজে বের করবে। এ ছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
সোমবার(৪ মার্চ) পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জাপানি ২ শিশুর বিষয়ে যে রায় দিলেন হাইকোর্ট
পাশাপাশি অগ্নিঝুকিপূর্ণ ভবনে সতর্কীকরণ নোটিশ সাইনবোর্ড আকারে দৃশ্যমান স্থানে টাঙাতে ফায়ার সার্ভিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী স্কুল, কলেজ, শপিংমলসহ রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না রাখা কেন অবৈধ হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনূছ আলী আকন্দ ও অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গতকাল রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।
রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে রিটে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ রাজধানীর বেইলি রোডসহ সকল আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ও আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়। এ দু’টি রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘গ্রিন কেজি কটেজ’ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দু’জনের লাশ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে।
গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনও ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুজন।
আরও পড়ুন: হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
৯ মাস আগে
হবিগঞ্জে থানায় আসামির মৃত্যু: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায় চুরির মামলার আসামি গোলাম রাব্বানীর (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসিবুল ইসলাম। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পুলিশ সুপার মো. আক্তার হোসেন কমিটিকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মৃত গোলাম রাব্বানী হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নন্দিপাড়া গ্রামের মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে। রাব্বানীর বড় ভাই মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন তার ভাইয়ের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্নের একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে ভাই হত্যার বিচার চান।
গ্রেপ্তারের পর রাব্বানীকে হাজতে রাখার কথা, কেন তাকে অন্য কক্ষে রাখা হবে বা পুলিশ কোথায় ছিল- এ প্রশ্ন তুলে তিনি তার ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
মঈন উদ্দিন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা পরিবারের কেউ বিষয়টি জানতাম না। সন্ধ্যা ৭টায় আমরা জানতে পারি সে বানিয়াচং থানায় আছে। তখন আমার মা থানায় যান। থানা থেকে আমার মাকে জানানো হয় রাব্বানীর বুকে ব্যথা, তাই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাত ১০টার পর বানিয়াচং থানা থেকে জানানো হয়, রাব্বানী থানার রেস্টরুমে তার স্যান্ডো গেঞ্জি ও কোমরের বেল্ট খুলে ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।’
মুঠোফোনে উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করার কথা স্বীকার করেন। তবে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি পরে ফোন দিয়ে জানাবেন বলে কল কেটে দেন।
মঙ্গলবার রাতেই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গোলাম রাব্বানীর সুরতহাল হয়। বুধবার হবিগঞ্জ মর্গে গোলাম রাব্বানীর ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
ময়নাতদন্ত সম্পর্কে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আরএমও ডা. নাজমা আক্তার কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে গোলাম রাব্বানীকে একটি টমটম চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করেন এসআই মনিরুল ইসলাম। তাকে হাজতে না রেখে পাশের একটি কক্ষে রাখা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
ওসি বলেন, সন্ধ্যায় রাব্বানীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গেঞ্জির ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
রাব্বানীর বিরুদ্ধে ৭/৮টি চুরি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ কারাগারে আসামির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
১১ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন
বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ও আদর্শ অন্বেষণ এবং তার ওপর গবেষণাকর্ম প্রকাশের মতো বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের আহ্বায়ক করা হয়েছে অধ্যাপক আবদুল মঈনকে। আর অধ্যাপক সিরাজুল হককে সচিব সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাপক আবদুল মঈন চৌধুরী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সিরাজুল হক সরকারি ইস্পাহানি কলেজের অধ্যাপক এবং তিনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার পেল রানার অটোমোবাইলস
পরিষদের আহ্বায়ক কমিটির আরও ৯৯ জন সদস্যের নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটি বাতিল করে পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটি।
সংগঠনের পরবর্তী কাউন্সিল পর্যন্ত আহ্বায়ক কমিটি কার্যকর থাকবে।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ২০০২ সালের ১৭ মার্চ এই পরিষদ গঠন করেন। সর্বশেষ কমিটি গঠিত হয় ২০১৮ সালে এবং কাউন্সিলের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি’ প্রতিষ্ঠা করল পুলিশ
১ বছর আগে
চাঁদের হাটে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত
চাঁদের জাতীয় শিশু কিশোর ও যুব কল্যাণ সংগঠন চাঁদের হাটের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে কবি ও কথাশিল্পী মুজতবা আহমেদ মুরশেদ সভাপতি ও দৈনিক আনন্দবাজার সম্পাদক মুফদি আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ সদস্যের কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত করা হয়েছে।
সংগঠনের জাতীয় প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দিনব্যাপী আয়োজিত সম্মেলনে সারাদেশের সংগঠনের শাখাগুলো থেকে ৩ শতাধিক সদস্য ও কাউন্সিলর অংশ নেয়। কাউন্সিল শেষে রাতে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে কাউন্সিল দ্বারা নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটিতে যারা রয়েছেন সহ সভাপতি শায়লা রহমান লিপি, এড. মাসুদ হুসায়েন, সাজ্জাদ আলম তপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ পারভেজ, মো. নুরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কমরউদ্দীন আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন গাজী, অর্থ সম্পাদক খন্দকার রিয়াজ হোসেন, সহ অর্থ সম্পাদক সামীউল আবেদ সুমন, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক বাদশাহ গাজী, সহ প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক সালেহ আহমেদ বাবু, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মলয় দস্তিদার, সহ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক পাপিয়া কর, শিল্প কর্ম সম্পাদক সজল ভদ্র, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মো.সাদিকুল্লাহ খান, সহ সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শারমিন আক্তার ইমা, ক্রীড়া ও শরীর চর্চা সম্পাদক আনিসুল মাওলা রতনসহ অন্যান্যরা।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াহিয়া সোহেলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের সদস্য সচিব মুফদি আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকারিয়া পিন্টু, উপদেষ্টা সাইফুল আলম, আল তারেক, দিদারুল আলম, এস এম ফরিদউদ্দিন, জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহবায়ক জামিউর রহমান লেমন, সহ সভাপতি মুজতবা আহমেদ মুরশেদ, নজরুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
১ বছর আগে