গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার
শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করা হবে: ফখরুল
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দল এখন ঐক্যবদ্ধ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলন খুব শিগগিরই আরও জোরদার করা হবে।
বুধবার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকার এখন বিরোধী দলগুলোর প্রধান শত্রু।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা আন্দোলনে আছি। এরইমধ্যে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি... সবচেয়ে বড় অর্জন হলো, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তাভাবনা ভিন্ন- কেউ বামপন্থী, কেউ ডানপন্থী, কেউ কট্টর বামপন্থী- কিন্তু আমরা সবাই মিলে আন্দোলনে একমত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পরাজিত করতে হবে, কারণ দেশের জনগণ একটি বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে তারা দলটিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সেই আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা এখনো সেই আন্দোলনে আছি এবং নিঃসন্দেহে খুব শিগগিরই তা আরও তীব্র হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দেবে মোদি সরকার: ফখরুল
বিএনপি চলমান আন্দোলন সফল করতে সব বাম ও ডানপন্থী দলের সঙ্গে কথা বলছে বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, 'এই আন্দোলনের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি, কোনো রাজনৈতিক দল এই সরকারের পক্ষে ছিল না, কেউ তাদের সমর্থন দেয়নি। এটা আন্দোলনের বড় সাফল্য। তথাকথিত (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ যায়নি।’
মির্জা ফখরুল বিরোধী দলগুলোকে কোনো হঠকারী পদক্ষেপ বা ক্ষতিকর মন্তব্য না করতে সতর্ক করে দেন, যা তাদের ঐক্য ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, 'আমি সব সময় বলি, আমাদের হঠকারী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ আছে। এই সরকারের পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটের অধিকার ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সবাই আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমরা এর জন্য লড়াই করছি, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।’
যুগপৎ আন্দোলন সফলভাবে পরিচালনার জন্য বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে এই সরকার, যারা আমাদের সর্বস্ব ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা কাজ শুরু করেছি... শেষ পর্যন্ত আমরাই সফল হব। আসুন আমরা সবাই জনগণের পাশে দাঁড়াই এবং তাদের সঙ্গে সংগ্রাম করি। আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করতে পারি, তবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এই শাসনকে অপসারণ করা।’
গণতন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে দেশ ও জনগণকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: সরকার সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
৪ মাস আগে
ভাষা আন্দোলন মাথা নত না করা শেখায়: জমির উদ্দিন সরকার
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উপায় হিসেবে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে তার দলকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার।
মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন জনগণকে মাথা নত না করতে শেখায়। এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঘুরে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলতে হবে বিএনপি মানেই শান্তি, গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। ইনশাল্লাহ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার সরকার বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতির কারণে দেশ অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও দলটির নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করায় দীর্ঘদিন ধরে কঠিন সময় পার করছে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
সরকার আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন কোনো গতানুগতিক আন্দোলন নয়, এটি একটি আদর্শিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এই ভাষা আন্দোলন আমাদের শিক্ষা দেয় যে- আমরা মাথা নত না করে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা জীবন দিয়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে, মাতৃভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে। ‘মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা গত শতাব্দীতে বাংলা ছিল শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা মুখ রক্ষায় অসংলগ্ন কথা বলছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনকারীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের শহীদ মিনার দিয়েছে। ‘কিন্তু শেখ হাসিনার সুবাদে এখন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শহীদ মিনার তৈরির অবস্থা হয়েছে।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খুন ও গুমের শিকার হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে হাজার হাজার মানুষ নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন হয়েছে। ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৫৩ বছর পর এখন আমরা এমন এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত হয়েছি যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।’
‘আসুন আমরা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনি, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসি। দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব।’
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’
৮ মাস আগে
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করছে বিএনপি।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
রিজভী বলেন, 'রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে কিছু মন্তব্য করেছেন বলে বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপির নজরে এসেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের জন্য বিরোধী দলের এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন জাখারোভা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘জাখারোভার বক্তব্য একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিরোধী। বিএনপি ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
২০১৪ ও ২০১৮ সালের প্রহসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কলঙ্কিত ট্র্যাক রেকর্ড ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অধীনে একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অসম্ভব।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক বিরোধী শক্তি তাদের চুরি হওয়া ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগ্রাম করছে।
তিনি বলেন, 'পুলিশের নৃশংস নিপীড়ন এবং পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের যৌথ হামলা মোকাবিলা করে বর্তমানে আমাদের দেশের জনগণ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ও প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও আন্তর্জাতিকমানের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী
রিজভী বলেন, গত কয়েক মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় সদরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে অসংখ্য সমাবেশের আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, 'কোনো বিদেশি কূটনীতিকের এ ধরনের সমাবেশে সহায়তা করার প্রশ্নটি শুধু অসত্যই নয়, গণতন্ত্রের জন্য জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম সম্পর্কে সুস্পষ্ট মনগড়া অভিযোগ।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে জোট বেঁধে এবং জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জাখারোভার বক্তব্য নিজেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল, যা অপ্রত্যাশিত ও দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে এই স্বৈরাচারী শাসনের সূচনার পর থেকে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে তাদের স্বজনসহ লাখ লাখ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে জাখারোভার বক্তব্য।
রিজভী বলেন, বর্তমানে গণতান্ত্রিককামীরা গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও বাকস্বাধীনতার জন্য রক্ত ঝরিয়ে রাস্তায় নেমেছেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: রিজভী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বের গণতন্ত্রপ্রিয় দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিবাচক ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করে। অনুপ্রেরণামূলক কূটনৈতিক উদ্যোগ রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও মতাদর্শকে অতিক্রম করে জনগণের জন্য ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের অভিন্ন লক্ষ্যে বাংলাদেশীদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পাশে অন্য কোনো দেশকে দেখতে গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকরা পছন্দ করে না।
তিনি বলেন, পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে রাশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। বিএনপি রাশিয়ার ঐতিহাসিক অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এবং দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে মূল্য দেয়।
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি, রাশিয়া বাংলাদেশিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে না। আমাদের জনগণ যখন ভোটাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন রাশিয়ার সমর্থন করাই উচিৎ হবে।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
১১ মাস আগে
বগুড়ায় সোমবার ‘তারুণ্যের সমাবেশ’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাকস্বাধীনতা রক্ষা ও দেশবাঁচাতে ১৬ জেলার তারুণ্যের সমাবেশ সোমবার (১৯ শে জুন) বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি- সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সিএনজি’র ধাক্কায় স্কুলছাত্রী নিহত
উপস্থিত থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ সফল করতে রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বগুড়ায় স্মরণীয় সমাবেশ হবে।
তিনি বলেন, এ সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে পুলিশ ধুনটে শনিবার রাতে থানায় একটি গায়েবী মামলা করেছে। এ মামলায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে বহু নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা এজাহার দায়ের করেছে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী, হয়রানী ও গ্রেপ্তার করছে।
তিনি পুলিশের এ সব কর্মকাণ্ড বন্ধের জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে তরুণ ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া কোন চাকরি দেওয়া হয় না। কোনো বাধা তারুণ্যের সমাবেশ ঠেকাতে পারবে না। বগুড়ায় সবচেয়ে বড় সমাবেশ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সব ধরনের বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করতে তিনি তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। তাই তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান আসুন এ সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতিকাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম ও কেএম খায়রুল বাশারসহ জেলা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হালখাতার মাইক টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
১ বছর আগে