নবীনগর উপজেলা
বি.বাড়িয়ায় চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পিকআপ ভ্যান থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২০ জন।
শনিবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় এই মৃত্যু হয়।
নিহত শীতল মিয়া(৬০) উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মোহনায় দুটি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১ জেলে নিখোঁজ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় অন্তত ছয়টি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে এবং আরও কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় মুক্তারপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে সেলিমগঞ্জ বাজারের লাইনম্যানের কাজ করা ধরাভাঙ্গা গ্রামের রহিম মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়।
ইব্রাহিমের বাবা কবির হোসেনের করাত কলে লগ আনলোড করা একটি পিকআপ ভ্যান থেকে রহিম ২০০ টাকা চাঁদা দাবি করলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
একই ঘটনার জেরে শনিবার সকালে মুক্তারপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা মানিক ও ধরভাঙ্গা গ্রামের খোকন মিয়াকে মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ধারাভাঙ্গা গ্রামের কিছু বাসিন্দা স্থানীয়ভাবে তৈরি ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুক্তারপুর গ্রামে হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে শীতল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। তারা মূল্যবান মালামাল লুটপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে শীতল মিয়া মারা যান।
আহতদের মধ্যে মালেক মিয়া, দুলাল মিয়া, মেহেদী হাসান, আমির মিয়া, সুমন মিয়া, রয়েল মিয়া, মোহাম্মদ আলী রয়েছেন।
ওসি সাইফুদ্দিন জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
দামুড়হুদায় ট্রলি-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
২ বছর আগে
৩ লাখ মানুষের ভাগ্য পাল্টে যাবে ৪ কিলোমিটার রাস্তায়
২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এই উপজেলায় যোগাযোগের তেমন পরির্বতন হয়নি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে গেলেও নবীনগর উপজেলার উরখুলিয়া গ্রামটি হাওরবেস্টিত এলাকা হওয়ায় এখনো উন্নয়নবঞ্চিত রয়ে গেছে। আর এই গ্রামটির উন্নয়নে বদলে যেতে পারে অবহেলিত পূর্বাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের তিন লাখ সাধারণ মানুষের ভাগ্য।
তবে ইতোমধ্যে স্থানীয় সাংসদ মো. এবাদুল করিম বুলবুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এশিয়ান হাইওয়ে নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা সড়কের কাজ। চলমান রয়েছে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে নবীনগর টু আশুগঞ্জ রাস্তার কাজ। রাস্তা দুটির নির্মাণ সম্পন্ন হলে নবীনগরে যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিল্পব ঘটবে।
এদিকে মাত্র চার কিলোমিটার রাস্তা আর ১৫০ মিটার করে দুটি সেতু নির্মাণ করা হলে নবীনগর টু আশুগঞ্জ রাস্তার সাথে যুক্ত হলে অবহেলিত পূর্বাঞ্চলের ৬টি ইউয়নিয়নের তিন লাখ মানুষের জীবন-যাপন পাল্টে যাবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ২০২০ -২১ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে টিআর-কাবিটার প্রকল্পের মাধ্যমে নতুনভাবে হাওরের মাঝ দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা বিদ্যাকুট থেকে উরখুলিয়া পর্যন্ত নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও উরখুলিয়া গ্রামের দুপাশে একই অর্থে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়ে়ছে।
৬টি ইউনিয়নসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উড়খুলিয়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং একটি ১৫০ মিটার সেতু এবং উড়খুলিয়ার পশ্চিমে ঈদগাঁহের কাছে দ্বিতীয় আরেকটি ১৫০ মিটার সেতু নির্মাণ করে মাত্র দুই কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ হলে বদলে যাবে এই এলাকার দৃশ্যপট। তাছাড়া উড়খুলিয়া চান্দের চর থেকে ১৫০ মিটার সেতু থেকে উত্তর-দক্ষিণে মাত্র ৫০০ মিটার রাস্তা সংযোগ করে দিলে বিকল্প রাস্তা হিসেবে মেরকুটা টু বগডহড়ের জিসি সড়ক নির্মাণের ফলে যোগাযোগের এক নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
পড়ুন: রাজগঞ্জের নারীদের তৈরি হস্তশিল্প যাচ্ছে ইউরোপে
৩ বছর আগে
করোনায় নবীনগরে খেয়া পারাপারে মাথাপিছু ভাড়া তিনগুণ বেড়েছে!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরের তিতাস নদীর ‘মনতলা ঘাট থেকে সীতারামপুর’ ঘাট পর্যন্ত নৌকা পারাপারে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ১০ টাকার ভাড়া মাথাপিছু ৩০ টাকা করে আদায় করছেন ইজারাদারের লোকজন।
৪ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর ওপর নির্মিত সেতুর উদ্বোধন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার গোকর্ণ লঞ্চঘাটে তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ৫৭৫ মিটার দীর্ঘ সেতু গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রবিবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে