রাজনৈতিক ঐকমত্য
বাংলাদেশকে ব্রিকস জোটে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চীন: মুখপাত্র
চীন বলেছে যে ব্রিকস-এর সম্প্রসারণের বিষয় জোটটির পাঁচ সদস্য একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং মঙ্গলবার ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে বলেন, ‘চীন ব্রিকস সম্প্রসারণকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ব্রিকসের বড় পরিবারে আরও সমমনা অংশীদারদের যুক্ত করতে প্রস্তুত।’
মাও বলেন, উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্রিকস বহুপক্ষীয়তা সমুন্নত রাখতে, বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কারকে জোরালোভাবে এগিয়ে নিতে এবং উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে ঢাকা স্বাগত জানাবে
এর আগে গত ১৯ জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের জোটে যোগ দিতে ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা অবশ্যই যোগ দেব। আমরা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি (আমাদের যোগদানের বিষয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে)। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ প্রায় আটটি নতুন দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছেন ব্রিকস নেতারা।’
এর আগে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মোমেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হতে পারে।
আগামী ২২ থেকে ২৪ আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন জোটটির নেতারা। গাউতেংয়ের জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে (এসসিসি) এই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
ব্রিকস নেতারা ব্রিকস বিজনেস ফোরামের সময় ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে এবং শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিল ও অন্যান্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হবেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশে' প্রতিফলিত: চীন
আফ্রিকা ও বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের নেতাদের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা এর প্রচার অব্যাহত রাখবে এবং ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনের সময় একটি ব্রিকস আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস সংলাপের আয়োজন করা হবে।
মোমেন সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডোরের আমন্ত্রণে ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট দেশগুলোকে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে আরও সহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
মোমেন জোটের দেশগুলোর উন্নয়ন, অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোকপাতের কথা উল্লেখ করেন।
ব্রিকস সদস্য দেশগুলোকে তাদের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উন্নয়নশীল অংশীদারদের কাছে হস্তান্তর করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: চীনের আপত্তির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি সই
১ বছর আগে