চিকিৎসক
বরিশালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের নেতা হোসাইন আল সুহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৯ আগস্ট) সাড়ে ১২টার দিকে নগর ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সুহান ছাত্রলীগ নেতা। শেবাচিম হাসপাতালে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর দুপুর ৩টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যান্যরা রবিবার দুপুর থেকে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছে।
অন্যদিকে সুহানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এর আগে স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়। ছাত্র জনতার ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা এই আন্দোলন করছে।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের সদস্য তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল আমাদের। তাই তারা নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ সড়কে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখান থেকে পুলিশ আমাদের সমন্বয়ক সুহানকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তার সাথে আরও ৫ থেকে ৬ জনকে পুলিশ নিয়ে গেছে। কোথায় নিয়েছে আমরা তা জানি না।’
পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার দাবিতে বরিশালে ফের ছাত্রজনতার বিক্ষোভ, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
ওসি মিজান বলেন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ ক্যাডার সুহান বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও পলাতক শেখ হাসিনার মামাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী।
তাকে গ্রেপ্তারের সময় স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনের কয়েকজন সদস্য জোর করে টহল পিকআপে উঠেছিল। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুহানকে হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপর হামলা মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে সোমবার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আহত করার অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাহাদুর শিকদার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনিকে একমাত্র নামধারী ও অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অমান্য করে জনতার উপর হামলা, হত্যা করতে আঘাত-মারধর-জখম করাসহ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষে ডা. মো. নাজমুল হুদা বলেন, পরিচালক স্যারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা কর্মস্থলে ফিরেছি। গত রবিবার স্বাস্থ্য সংস্কার আন্দোলনের নামে কিছু দুষ্কৃতকারী আমাদের মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. দিলীপ রায় স্যারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশ হামলাকারী একজনকে গ্রেপ্তার করছে বলে আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের অন্যান্য দাবির বিষয়ে পরিচালক স্যার গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে পুনরায় কাজে ফিরেছি।
২৩ দিন ধরে চলা আন্দোলনের মধ্যে গত সোমবার (১১ আগস্ট) শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী গেটে আমরণ অনশনে বসেন কয়েক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে অনশন থেকে তুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এরপর শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার কোতোয়ালি মডেল থানায় বৃহস্পতিবার রাতে ৪২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। গত রবিবার শেবাচিম হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে আন্দোলনে নামে। একই সময় ছাত্রজনতা শেবাচিমের প্রধান গেটে অবস্থানকালে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন ছাত্রজনতার ছোড়া ইটে চিকিৎসক আহত হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়। এরপর রবিবার দুপুর থেকে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে হুঁশিয়ারি দেয়।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আহত করার অভিযোগে সোমবার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাহাদুর শিকদার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রবিবার দুপুর তিনটা থেকে শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডাকা কর্মবিরতি মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে প্রত্যাহার করেছে।
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে হাসপাতাল শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল শেবাচিমের চিকিৎসকরা।
১০৭ দিন আগে
রাজশাহীতে ৯ জনের করোনা শনাক্ত, ৭ জনই ‘চিকিৎসক’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) হাসপাতালে ১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ৭ জনই চিকিৎসক বলে ধারণার কথা জানিয়েছেন রামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম।
সোমবার (২ জুন) রামেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে এই পরীক্ষা হয়, যেখানে মোট নমুনার ৬০ শতাংশের মধ্যে কোভিড-১৯-এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
এ বিষয়ে অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, আক্রান্তদের বেশিরভাগই চিকিৎসক। সবাই হালকা জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে এসেছেন। সরাসরি করোনা বলার মতো উপসর্গ না থাকলেও শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং সুস্থ হতে সময় নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যাদের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে সাতজন চিকিৎসক রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৬, নমুনা পরীক্ষা ১৯
তবে এ নিয়ে এখনই আতঙ্কের কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করলেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার বলে জানান এই অধ্যাপক।
তিনি আরও বলেন, ‘বয়স্ক, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য জটিল রোগে ভোগা মানুষদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই ৬০ বছরের বেশি বয়সী যাদের উপসর্গ রয়েছে, তাদের করোনা পরীক্ষা করানো উচিত।’
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ‘রাজশাহী মেডিকেলে এখন একজন করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন। বাকিদের মধ্যে অনেকেই হয়তো আক্রান্ত হলেও উপসর্গ কম থাকায় হাসপাতালে আসছেন না।’
ভর্তি থাকা রোগীর চিকিৎসা নিয়ম মেনে চলছে বলেও জানান তিনি।
১৮৫ দিন আগে
এনআইওএইচ বন্ধ: রোগীদের অন্যত্র চিকিৎসা নেওয়ার অনুরোধ
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইওএইচ) খুলে দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিকটস্থ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিতে রোগীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
শনিবার (৩১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৮ মে চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চোখের চিকিৎসার জন্য আসা রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সেবাবঞ্চিত সব রোগীর কাছে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে এই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার কারণে গত ২৯ মে থেকে হাসপাতালের সব সেবা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধিকাংশ রোগী নিজ উদ্যোগে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। বর্তমানে শুধু জুলাই আন্দোলনের আহতরা হাসপাতালে রয়েছেন। যদিও সেবাসংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও, তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় পথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে। তারা আহত রোগী, চিকিৎসক ও অন্যান্য সেবাদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ নিয়ে আলোচনা করছেন। আলোচনার ইতিবাচক ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় চিকিৎসাসেবা পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সময়ে রোগীদের নিকটস্থ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগ থেকে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
১৮৭ দিন আগে
তামিমের অবস্থার উন্নতি হয়েছে, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, তবে তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর। তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সাভারের কেপিজি হাসপাতালে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিনমাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না। প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি, আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে, সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরেও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: জ্ঞান ফিরেছে তামিমের, কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মহাপরিচালক, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন,’ বলেন তিনি।
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনো-কখনো যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে। রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’
তিনি বলেন, ‘তবে তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটেরে পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত, তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’
আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনো হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল, হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: তামিমের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি, জানালেন চিকিৎসক
‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি,’ বলেন তিনি।
‘কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকাল বেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল, খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে, সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়। কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।
২৫৪ দিন আগে
তামিমের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি, জানালেন চিকিৎসক
বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি বলে জানিয়েছেন সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব। তামিমের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে সোমবার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এমন কথা বলেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তামিম ইকবাল সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তখন আমরা ভাবছিলাম, তাকে ঢাকায় নেওয়া যাবে কিনা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাকে ঢাকায় নেওয়া যায়নি।’
‘পরবর্তীতে তার অবস্থা বেশ ক্রিটিক্যাল হয়ে যায়। এ অবস্থায় তার যে ধরনের চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন, তা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর রহমতে, কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। আমরা বলি, তার একটি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এ জন্য এনজিওগ্রাম, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ও একটি স্ট্যান্ট করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রিং পরানো হয়েছে তামিমের হার্টে
এই চিকিৎসক বলেন, আল্লাহর রহমতে খুবই স্মুথলি ও এফিশেন্টলি স্ট্যাটিং হয়েছে। আমাদের কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ এটা করেছেন। তার (তামিম) ব্লকটি এখন পুরোপুরি চলে গেছে। তবে অবশ্যই আমরা যেমনটি বলেছিলাম, ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিলেন, স্ট্যাটিংয়ের পরেও তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি, সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই তার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি। সবাই দোয়া করবেন তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে খেলায় ফিরতে পারেন।’
ভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এই মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ডসভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ডসভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তামিম ইকবাল
বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে, আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।’
‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে,’ বলেন তিনি।
২৫৫ দিন আগে
বিশেষ বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হবে ২ হাজার চিকিৎসক
চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সায়েদুর রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমানে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বয়স ৩২ বছর। এটাকে দুই বছর বাড়িয়ে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষার বয়স ৩৪ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, বিগত সরকারের সময় বঞ্চিত হয়ে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের কারণে চিকিৎসকরা গেল বুধবার তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে ধর্মঘট করেছিলেন। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিক। অন্তর্বর্তী সরকার শিগগিরই কিছু সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাদের এসব দাবি পূরণ করার চেষ্টা করবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কমপ্লিট শাটডাউন, সেবাপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি
সরকারের আশ্বাসের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা গতকালের আন্দোলন থেকে সরে এসছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তবে এখনও কিছু ইন্টার্ন চিকিৎসক শিক্ষার্থীরা ক্লাশে অনুপস্থিত রয়েছেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি, সবাই যেন নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন।
চিকিৎসক এবং রোগীদের সুরক্ষার জন্য আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উঠবে। এক সপ্তাহের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার কাজটি শেষ হবে বলেও জানান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।
২৬৬ দিন আগে
বরিশাল শেবাচিমে রোগী দেখছেন না চিকিৎসকরা, দুর্ভোগ
পাঁচ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে বর্হিবিভাগে রোগী দেখা বন্ধ রেখেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসকরা। বুধবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত মানুষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার মানুষ এই হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নেয়। আজ সকালেও একইভাবে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় আউটডোরের টিকিট বিতরণ।
কিন্তু দুইশ থেকে তিনশ টিকিট বিতরণের পর তা বন্ধ করে দেয় হাসপাতালের কর্মীরা। পরে জানা যায় যে ধর্মঘটে গেছে চিকিৎসকরা। বেলা ১০টা পর্যন্ত রোগী দেখার পর কক্ষ ছেড়ে চলে যান চিকিৎসকরা। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা পড়েন মহাদুর্ভোগে।
আরও পড়ুন: শাটডাউনের তৃতীয় দিনে অচল শেবাচিম ক্যাম্পাস
কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসক মর্তুজা আলম বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচি দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে। আমাদের এখানে দেরিতে খবর পৌঁছায় সকালে আউটডোরের রোগীদের টিকিট বিতরণ শুরু হয়ে যায়। যতগুলো টিকিট বিতরণ হয়েছে, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার পরই আমরা কাজ বন্ধ করেছি। কেন্দ্র থেকে আসা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার তাসলিমা বেগম বলেন, ‘তারা ধর্মঘটে যাবেন; সেটা আগে বললেই পারতেন। হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বিপদে পড়েছি। সকাল থেকে এসে বসেছিলাম ডাক্তার দেখানোর আশায়। এখন না দেখিয়েই ফেরত যেতে হচ্ছে।’
একইভাবে আরো কয়েক শ’ রোগী ফেরত যান চিকিৎসা না পেয়ে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, ধর্মঘটরত চিকিৎসকদের সাথে আলোচনা চলছে। আশাকরি খুব শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
২৬৮ দিন আগে
ডিসি সম্মেলন: করের আওতায় আসছেন চিকিৎসক ও উপজেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা
জেলা, উপজেলা এবং গ্রাম অঞ্চলে যেসব ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত আয় করেন কিন্তু ট্যাক্স দেন না; সেসব ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একইসাথে চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যে ফি নেন; সেটাও রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরকেও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশের ৩০০ গাড়ি পুড়েছে, দিতে হবে ৫০০ কোটি টাকা: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন—সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের অফিসাররা যদি দক্ষ এবং সেবক হন, তাহলে জনগন যে সেবাটা পান সেটা কার্যকর হয়।
‘চিকিৎসক-আইনজীবীরা সরাসরি ক্যাশ ট্রানজেকশন করেন। এর কারণে কিন্তু তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকরা যে ফি নেন, তার রিসিট তো আপনারা নেন না। এই ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়; তাহলে কিন্তু তার একটা রেকর্ড থাকে। বিদেশে কিন্তু এগুলো সব রেকর্ডেড।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এম্পলয়মেন্টটা বাড়াতে হবে। লোকাল লেভেলে এম্পলয়মেন্ট বাড়ানো সহজ। চায়নাতে গ্রাম্য শিল্পের সাথে গভীর যোগাযোগ। চায়নার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের এই জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে না।
আরও পড়ুন: আমরা একশ চাপের মধ্যে আছি, খুরের ওপর দিয়ে হাঁটছি: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ডিসিরাই উত্থাপন করেছে গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। তখন এনবিআর এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভ দিতে বলেছে। আমাদের ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে-তো হবে না। এমনিতেই তো দাবি থাকে ভ্যাট কমান-ট্যাক্স কমান। সুতরাং ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধিটা বাড়ানোর বিষয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এই ট্যাক্স নেটটা বাড়িয়ে রাজস্ব আরও বিস্তৃত করতে পারি। মোটকথা জোর করে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে ট্যাক্সের নেট বাড়ানো হবে। আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ।
চিকিৎসকদের করের আওতায় কি উদ্যোগ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের যেসব সহকারী বসে থাকেন, তারা টাকা নেন কিন্তু রিসিট দেওয়া হয় না৷ এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ইনসিস্ট করা যে আপনারা রিসিট দেন৷ আমি তো কোনো চিকিৎসককে দেখি না তারা রিসিট দেন।
২৯০ দিন আগে
পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগে বিশেষ উদ্যোগ সরকারের
স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে শূন্য পদ পূরণে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিনের দ্বিতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এ অধিবেশন হয়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘ডিসিরা নানান রকমের প্রশ্ন করেছেন। বিশেষ করে হাসপাতাল সংক্রান্ত সমস্যা, মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত সমস্যা, নানান সমস্যার কথা বলেছেন। সেই সমস্যাগুলো সম্পর্কে আমরা জানি। আমরা চেষ্টাও করছি সেগুলো এড্রেস করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধমূলক কিছু করা উচিত। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক হচ্ছে, এর কারণগুলো কি, এগুলোর জন্য আমরা কি পদক্ষেপ নিতে পারি, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কি করতে পারি? ছোট ছোট বাচ্চারা এখন ই-সিগারেটের অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। এগুলো নিয়ে আমরা সচেতনতা বাড়াতে পারি। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগটা নেই।’
‘আইনের প্রয়োগটা দিয়ে যারা দুষ্টামি করছে, তাদেরকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায়, তাও আমরা তাদের বলার চেষ্টা করেছি,’ বলেন নুরজাহান বেগম।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার খুবই দুঃখজনক: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘তাদের (ডিসি) দিক থেকে যেসব ইনপুট এসেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, কিছু জায়গায় অসঙ্গতি যেমন- জনবলের অভাব রয়েছে। অবকাঠামো তৈরি হয়ে আছে, সেগুলো ফাংশনাল করা যাচ্ছে না। এই সমস্যাগুলোর কথা তারা বলেছেন। কোথাও ৫০০ শয্যার জায়গায় এক হাজার ২০০ রোগী থাকছে। কোথাও কোথাও ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এগুলো প্রতিষ্ঠা করার চাহিদা রয়েছে বা এগুলো কার্যকর করার জন্য বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের বেআইনি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে, এসব ক্ষেত্রে ওনারা (ডিসি) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে যেন আমাদের স্বাস্থ্য কাঠামোর পাশে থাকেন, সেই বিষয়ে বলা হয়েছে। সেটা মোটা দাগে এই স্বাস্থ্যের যে জনবল কাঠামো, সেটা নিয়ে আরও ভালো স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব। আমরা তাদের কাছে এ আহ্বান জানিয়েছি।’
‘স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা একটি রাষ্ট্রের কল্যাণমুখী রূপান্তরের মৌলিক উপাদান। আমরা আশা করব জেলা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসন রাষ্ট্রের কল্যাণমুখী রূপান্তরে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
বিশেষ সরকারী বলেন, ‘আমরা গত কয়েকদিনে স্পষ্ট দেখেছি যে, এন্ট্রি পদে প্রায় ৫ হাজারের বেশি পদে চিকিৎসক প্রয়োজন। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ পদ এবং অন্যান্য আধুনিক হাসপাতালগুলোতে আমাদের পদের প্রয়োজনীয়তা আছে। পদ সৃষ্টি এবং এর আর্থিক সংশ্লেষ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আমরা ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার পদ সৃষ্টির জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইউনিয়নেও যেমন পদের ঘাটতি রয়েছে, তেমনি মেডিকেল কলেজেও রয়েছে।’
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে চেষ্টা করছি আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। অল্প দিনে যদি এই উদ্যোগটি সফল হয়; অল্প দিনে বিশেষ বন্দোবস্তে যদি আমরা নতুন পদে জনবল নিয়োগ করতে পারি; তখন এ সমস্যা থেকে উত্তরণ হবে।’
‘শূন্য পদ পূরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন সর্বোচ্চ অ্যাফোর্ড দিচ্ছে। চিহ্নিত করে শূন্য পদ পূরণে যেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সম্ভব সেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে, যেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে সম্ভব সেগুলো পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই শূন্য পদপূরণ আমাদের একটি অগ্রাধিকার। যেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের সৃজন করা প্রয়োজন, অন্যান্য ক্ষেত্রে শূন্য পদপূরণ অগ্রাধিকার।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিশেষ সহকারী বলেন, আহতদের চিকিৎসা নিয়ে যেটুকু অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে, আমরা মনে করি ১২-১৪ হাজার আহতের তুলনায় সে সংখ্যাটা আসলে খুবই কম। অসন্তোষের মাত্রা কোনোভাবেই এক শতাংশও না।
ওষুধের ভেজাল রোধ করে মান রক্ষায় সব জেলায় মিনি ল্যাব সম্প্রসারণ করতে হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব মাসুদ রানা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ৪০ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছি। আমরা কখনোই টাকার দিকে তাকাইনি। আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাদের চিকিৎসা করার জন্য আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তারদেরও এনেছি।’
তিনি বলেন, আমরা তাদের ট্রমাটা ওইভাবে এড্রেস করতে পারছি না। এটা (চিকিৎসা নিয়ে অসন্তোষ) আস্তে আস্তে কমে যাবে, আমরা তাদের সমন্বিতভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টাও করছি। আমরা তাদের পুনর্বাসন করলে আর অসন্তোষ থাকবে না।
২৯১ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্কার
চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিষ্কৃতদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। এছাড়া যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির ৭৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
এদিকে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পৌর যুবদলের নেতা ইকতার রহমানের বিরুদ্ধে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রচারের একদিন পরই অভিযুক্ত এই যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জীবননগর পৌর এলাকায় নানারকম হুমকি ধামকি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করার কারণে দলের ব্যাপক ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, এমন কর্মকাণ্ডে ইক্তার রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
৩০৪ দিন আগে