চিকিৎসক
তামিমের অবস্থার উন্নতি হয়েছে, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, তবে তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর। তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সাভারের কেপিজি হাসপাতালে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিনমাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না। প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি, আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে, সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরেও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: জ্ঞান ফিরেছে তামিমের, কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মহাপরিচালক, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন,’ বলেন তিনি।
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনো-কখনো যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে। রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’
তিনি বলেন, ‘তবে তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটেরে পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত, তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’
আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনো হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল, হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: তামিমের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি, জানালেন চিকিৎসক
‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি,’ বলেন তিনি।
‘কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকাল বেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল, খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে, সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়। কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।
১৯ দিন আগে
তামিমের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি, জানালেন চিকিৎসক
বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি বলে জানিয়েছেন সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব। তামিমের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে সোমবার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এমন কথা বলেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তামিম ইকবাল সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তখন আমরা ভাবছিলাম, তাকে ঢাকায় নেওয়া যাবে কিনা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাকে ঢাকায় নেওয়া যায়নি।’
‘পরবর্তীতে তার অবস্থা বেশ ক্রিটিক্যাল হয়ে যায়। এ অবস্থায় তার যে ধরনের চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন, তা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর রহমতে, কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। আমরা বলি, তার একটি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এ জন্য এনজিওগ্রাম, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ও একটি স্ট্যান্ট করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রিং পরানো হয়েছে তামিমের হার্টে
এই চিকিৎসক বলেন, আল্লাহর রহমতে খুবই স্মুথলি ও এফিশেন্টলি স্ট্যাটিং হয়েছে। আমাদের কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ এটা করেছেন। তার (তামিম) ব্লকটি এখন পুরোপুরি চলে গেছে। তবে অবশ্যই আমরা যেমনটি বলেছিলাম, ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিলেন, স্ট্যাটিংয়ের পরেও তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি, সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই তার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি। সবাই দোয়া করবেন তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে খেলায় ফিরতে পারেন।’
ভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এই মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ডসভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ডসভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তামিম ইকবাল
বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে, আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।’
‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে,’ বলেন তিনি।
২০ দিন আগে
বিশেষ বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হবে ২ হাজার চিকিৎসক
চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সায়েদুর রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমানে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বয়স ৩২ বছর। এটাকে দুই বছর বাড়িয়ে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষার বয়স ৩৪ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, বিগত সরকারের সময় বঞ্চিত হয়ে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের কারণে চিকিৎসকরা গেল বুধবার তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে ধর্মঘট করেছিলেন। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিক। অন্তর্বর্তী সরকার শিগগিরই কিছু সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাদের এসব দাবি পূরণ করার চেষ্টা করবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কমপ্লিট শাটডাউন, সেবাপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি
সরকারের আশ্বাসের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা গতকালের আন্দোলন থেকে সরে এসছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তবে এখনও কিছু ইন্টার্ন চিকিৎসক শিক্ষার্থীরা ক্লাশে অনুপস্থিত রয়েছেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি, সবাই যেন নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন।
চিকিৎসক এবং রোগীদের সুরক্ষার জন্য আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উঠবে। এক সপ্তাহের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার কাজটি শেষ হবে বলেও জানান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।
৩১ দিন আগে
বরিশাল শেবাচিমে রোগী দেখছেন না চিকিৎসকরা, দুর্ভোগ
পাঁচ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে বর্হিবিভাগে রোগী দেখা বন্ধ রেখেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসকরা। বুধবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত মানুষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার মানুষ এই হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নেয়। আজ সকালেও একইভাবে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় আউটডোরের টিকিট বিতরণ।
কিন্তু দুইশ থেকে তিনশ টিকিট বিতরণের পর তা বন্ধ করে দেয় হাসপাতালের কর্মীরা। পরে জানা যায় যে ধর্মঘটে গেছে চিকিৎসকরা। বেলা ১০টা পর্যন্ত রোগী দেখার পর কক্ষ ছেড়ে চলে যান চিকিৎসকরা। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা পড়েন মহাদুর্ভোগে।
আরও পড়ুন: শাটডাউনের তৃতীয় দিনে অচল শেবাচিম ক্যাম্পাস
কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসক মর্তুজা আলম বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচি দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে। আমাদের এখানে দেরিতে খবর পৌঁছায় সকালে আউটডোরের রোগীদের টিকিট বিতরণ শুরু হয়ে যায়। যতগুলো টিকিট বিতরণ হয়েছে, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার পরই আমরা কাজ বন্ধ করেছি। কেন্দ্র থেকে আসা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার তাসলিমা বেগম বলেন, ‘তারা ধর্মঘটে যাবেন; সেটা আগে বললেই পারতেন। হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বিপদে পড়েছি। সকাল থেকে এসে বসেছিলাম ডাক্তার দেখানোর আশায়। এখন না দেখিয়েই ফেরত যেতে হচ্ছে।’
একইভাবে আরো কয়েক শ’ রোগী ফেরত যান চিকিৎসা না পেয়ে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, ধর্মঘটরত চিকিৎসকদের সাথে আলোচনা চলছে। আশাকরি খুব শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
৩২ দিন আগে
ডিসি সম্মেলন: করের আওতায় আসছেন চিকিৎসক ও উপজেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা
জেলা, উপজেলা এবং গ্রাম অঞ্চলে যেসব ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত আয় করেন কিন্তু ট্যাক্স দেন না; সেসব ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একইসাথে চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যে ফি নেন; সেটাও রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরকেও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশের ৩০০ গাড়ি পুড়েছে, দিতে হবে ৫০০ কোটি টাকা: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন—সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের অফিসাররা যদি দক্ষ এবং সেবক হন, তাহলে জনগন যে সেবাটা পান সেটা কার্যকর হয়।
‘চিকিৎসক-আইনজীবীরা সরাসরি ক্যাশ ট্রানজেকশন করেন। এর কারণে কিন্তু তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকরা যে ফি নেন, তার রিসিট তো আপনারা নেন না। এই ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়; তাহলে কিন্তু তার একটা রেকর্ড থাকে। বিদেশে কিন্তু এগুলো সব রেকর্ডেড।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এম্পলয়মেন্টটা বাড়াতে হবে। লোকাল লেভেলে এম্পলয়মেন্ট বাড়ানো সহজ। চায়নাতে গ্রাম্য শিল্পের সাথে গভীর যোগাযোগ। চায়নার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের এই জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে না।
আরও পড়ুন: আমরা একশ চাপের মধ্যে আছি, খুরের ওপর দিয়ে হাঁটছি: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ডিসিরাই উত্থাপন করেছে গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। তখন এনবিআর এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভ দিতে বলেছে। আমাদের ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে-তো হবে না। এমনিতেই তো দাবি থাকে ভ্যাট কমান-ট্যাক্স কমান। সুতরাং ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধিটা বাড়ানোর বিষয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এই ট্যাক্স নেটটা বাড়িয়ে রাজস্ব আরও বিস্তৃত করতে পারি। মোটকথা জোর করে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে ট্যাক্সের নেট বাড়ানো হবে। আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ।
চিকিৎসকদের করের আওতায় কি উদ্যোগ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের যেসব সহকারী বসে থাকেন, তারা টাকা নেন কিন্তু রিসিট দেওয়া হয় না৷ এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ইনসিস্ট করা যে আপনারা রিসিট দেন৷ আমি তো কোনো চিকিৎসককে দেখি না তারা রিসিট দেন।
৫৫ দিন আগে
পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগে বিশেষ উদ্যোগ সরকারের
স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে শূন্য পদ পূরণে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিনের দ্বিতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এ অধিবেশন হয়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘ডিসিরা নানান রকমের প্রশ্ন করেছেন। বিশেষ করে হাসপাতাল সংক্রান্ত সমস্যা, মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত সমস্যা, নানান সমস্যার কথা বলেছেন। সেই সমস্যাগুলো সম্পর্কে আমরা জানি। আমরা চেষ্টাও করছি সেগুলো এড্রেস করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধমূলক কিছু করা উচিত। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক হচ্ছে, এর কারণগুলো কি, এগুলোর জন্য আমরা কি পদক্ষেপ নিতে পারি, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কি করতে পারি? ছোট ছোট বাচ্চারা এখন ই-সিগারেটের অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। এগুলো নিয়ে আমরা সচেতনতা বাড়াতে পারি। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগটা নেই।’
‘আইনের প্রয়োগটা দিয়ে যারা দুষ্টামি করছে, তাদেরকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায়, তাও আমরা তাদের বলার চেষ্টা করেছি,’ বলেন নুরজাহান বেগম।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার খুবই দুঃখজনক: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘তাদের (ডিসি) দিক থেকে যেসব ইনপুট এসেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, কিছু জায়গায় অসঙ্গতি যেমন- জনবলের অভাব রয়েছে। অবকাঠামো তৈরি হয়ে আছে, সেগুলো ফাংশনাল করা যাচ্ছে না। এই সমস্যাগুলোর কথা তারা বলেছেন। কোথাও ৫০০ শয্যার জায়গায় এক হাজার ২০০ রোগী থাকছে। কোথাও কোথাও ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এগুলো প্রতিষ্ঠা করার চাহিদা রয়েছে বা এগুলো কার্যকর করার জন্য বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের বেআইনি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে, এসব ক্ষেত্রে ওনারা (ডিসি) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে যেন আমাদের স্বাস্থ্য কাঠামোর পাশে থাকেন, সেই বিষয়ে বলা হয়েছে। সেটা মোটা দাগে এই স্বাস্থ্যের যে জনবল কাঠামো, সেটা নিয়ে আরও ভালো স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব। আমরা তাদের কাছে এ আহ্বান জানিয়েছি।’
‘স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা একটি রাষ্ট্রের কল্যাণমুখী রূপান্তরের মৌলিক উপাদান। আমরা আশা করব জেলা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসন রাষ্ট্রের কল্যাণমুখী রূপান্তরে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
বিশেষ সরকারী বলেন, ‘আমরা গত কয়েকদিনে স্পষ্ট দেখেছি যে, এন্ট্রি পদে প্রায় ৫ হাজারের বেশি পদে চিকিৎসক প্রয়োজন। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ পদ এবং অন্যান্য আধুনিক হাসপাতালগুলোতে আমাদের পদের প্রয়োজনীয়তা আছে। পদ সৃষ্টি এবং এর আর্থিক সংশ্লেষ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আমরা ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার পদ সৃষ্টির জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইউনিয়নেও যেমন পদের ঘাটতি রয়েছে, তেমনি মেডিকেল কলেজেও রয়েছে।’
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে চেষ্টা করছি আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। অল্প দিনে যদি এই উদ্যোগটি সফল হয়; অল্প দিনে বিশেষ বন্দোবস্তে যদি আমরা নতুন পদে জনবল নিয়োগ করতে পারি; তখন এ সমস্যা থেকে উত্তরণ হবে।’
‘শূন্য পদ পূরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন সর্বোচ্চ অ্যাফোর্ড দিচ্ছে। চিহ্নিত করে শূন্য পদ পূরণে যেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সম্ভব সেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে, যেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে সম্ভব সেগুলো পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই শূন্য পদপূরণ আমাদের একটি অগ্রাধিকার। যেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের সৃজন করা প্রয়োজন, অন্যান্য ক্ষেত্রে শূন্য পদপূরণ অগ্রাধিকার।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিশেষ সহকারী বলেন, আহতদের চিকিৎসা নিয়ে যেটুকু অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে, আমরা মনে করি ১২-১৪ হাজার আহতের তুলনায় সে সংখ্যাটা আসলে খুবই কম। অসন্তোষের মাত্রা কোনোভাবেই এক শতাংশও না।
ওষুধের ভেজাল রোধ করে মান রক্ষায় সব জেলায় মিনি ল্যাব সম্প্রসারণ করতে হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব মাসুদ রানা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ৪০ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছি। আমরা কখনোই টাকার দিকে তাকাইনি। আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাদের চিকিৎসা করার জন্য আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তারদেরও এনেছি।’
তিনি বলেন, আমরা তাদের ট্রমাটা ওইভাবে এড্রেস করতে পারছি না। এটা (চিকিৎসা নিয়ে অসন্তোষ) আস্তে আস্তে কমে যাবে, আমরা তাদের সমন্বিতভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টাও করছি। আমরা তাদের পুনর্বাসন করলে আর অসন্তোষ থাকবে না।
৫৬ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্কার
চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিষ্কৃতদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। এছাড়া যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির ৭৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
এদিকে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পৌর যুবদলের নেতা ইকতার রহমানের বিরুদ্ধে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রচারের একদিন পরই অভিযুক্ত এই যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জীবননগর পৌর এলাকায় নানারকম হুমকি ধামকি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করার কারণে দলের ব্যাপক ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, এমন কর্মকাণ্ডে ইক্তার রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
৬৯ দিন আগে
বাকৃবি: ১০ হাজার মানুষের জন্য চিকিৎসক মাত্র ৮ জন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষের চিকিৎসাসেবায় বর্তমানে মাত্র ৮ জন চিকিৎসক রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তাসহ নিয়মিত চিকিৎসক ৬ জন ও খণ্ডকালীন চিকিৎসক ২ জন। তবে দীর্ঘদিন যাবত ৫ মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য থাকায় ন্যূনতম সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথকেয়ার সেন্টারের নিম্নমানের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেখানকার স্বাস্থ্যসেবা কয়েক প্রকার ওষুধেই সীমাবদ্ধ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা সময় এ নিয়ে ওঠে আলোচনা-সমালোচনা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, হেলথকেয়ারে সেন্টারে বর্তমানে কর্মকর্তা আছেন ১০ জন এবং কর্মচারী ১৬ জন। তাদের মধ্যে ৬ জন নিয়মিত, ৭ জন মাস্টার রোলে, আর ৩ জন কর্মচারীর পদ শূন্য থাকায় ঘাটতি মেটাতে অন্য শাখা থেকে ৩ জন কর্মচারীকে এনে জোড়াতালি দিয়ে চলছে কাজ। তাছাড়া সেখানে কোনো নার্সের পদ নেই, নেই কোনো বিশেষায়িত ইউনিট, কোনো ডেন্টাল ইউনিটও নেই।
আরও পড়ুন: ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রাণিসম্পদ ডিজিকে বাকৃবির সংবর্ধনা
হেলথ কেয়ারের ডেন্টাল বিভাগে ১৪ বছর আগে সর্বশেষ একজন খণ্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি চলে যাওয়ার পর থেকে তার জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি কোনো নতুন চিকিৎসক। বিভাগটির ডেন্টাল চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও এখন প্রায় অকেজো।
এছাড়া হেলথকেয়ার সেন্টারে ৭ প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাসের ওষুধ, চর্মরোগের মলম ও প্যারাসিটামল বিনামূল্যে প্রদান করা হলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। দিনের বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর তুলনায় বহিরাগত রোগীর সংখ্যা সেখানে বেশি থাকে। তাছাড়া লিফট বন্ধ থাকায় হাঁটা-চলায় অক্ষম রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হেলথকেয়ার সেন্টারের নিচ তলার টয়লেট অপরিচ্ছন্ন, কোনোটার দরজা ভাঙ্গা। হেলথকেয়ারের বাইরেই রয়েছে ময়লার ভাগাড়, বিভিন্ন আবাসিক হলের ময়লা ফেলা হয় সেখানে। দিনের বেলা কখনও সেন্টারটির বারান্দা মোটরসাইকেল রাখার পার্কিং হিসেবে ব্যবহার হতে দেখা যায়। তাছাড়া হেলথকেয়ার সেন্টারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা কয়েকবছর আগে থেকেই নারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক আবাসনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের শিক্ষার্থী হাসান তপু বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে (হেলথকেয়ার সেন্টারে) গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে যেতে বলা হয়। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথকেয়ার সেন্টারে জরুরি চিকিৎসার সব ব্যবস্থা থাকার কথা। সেখানে ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই; পুরো ব্যবস্থাপনাই অগোছালো।’
অ্যাম্বুলেন্সের সমস্যা ও সংকটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মাহিরুজ্জামান নিলয় বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায় না। তা পাওয়া খুব জটিল প্রক্রিয়া। ডাক্তারের সিগনেচার থেকে শুরু করে আরও অনেক নাটক। তার ওপর অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর ভাঙা, সাইরেন ঠিক নেই, বাজেই না। অ্যাম্বুলেন্স তো নয়, যেন লক্কর ঝক্কর কোনো গাড়ি!’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. সাঈদুর রহমান (শওকত) বলেন, ‘আমাদের হেলথ কার্ড রেডি। ভিসি মহোদয় ও অ্যাডভাইজার (উপদেষ্টা) মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই এটা আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের হাতে পৌঁছে দেব।’
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ব্যক্তিগতভাবে কোনো ওষুধ কেনে না। সরকারি কিছু ক্রয় নীতিমালা আছে। ওষুধের গুণগত মান ও মূল্য দেখেই এসব ওষুধ কেনা হয়।
হেলথকেয়ার সেন্টারের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপারে তিনি জানান, একটা সময় কেবল ৮-১০টা টেস্ট করা হতো, যা এখন করা হয় ২৮টা; তার মধ্যে ১৫টা টেস্টই করা হয় নামমাত্র মূল্যে। ডেঙ্গু টেস্ট, ইউরিন টেস্ট সম্পূর্ণ ফ্রি। বাকি টেস্টগুলোর দামও বাইরের হাসপাতালগুলো থেকে অনেক কম, ছাত্রদের জন্য প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ ছাড়। তাছাড়া এক্সরের জন্য রয়েছে ডিজিটাল মেশিন।
অ্যাম্বুলেন্সের কাঠামোগত ত্রুটি ও সময়মতো না পাওয়ার বিষয়ে নিয়ে ডা. সাঈদুর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গাড়ি পরিবহন শাখার অন্তর্ভুক্ত। দুইটা অ্যাম্বুলেন্স এর মধ্যে একটা সব সময় থাকে, একটা রিজার্ভ থাকে। অ্যাম্বুলেন্স কে নিচ্ছে—সবই রেকর্ড থাকে। অ্যাম্বুলেন্স ভাঙা কি না, জ্বালানি আছে কি না—সব দেখে পরিবহন শাখা।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ‘হেলথকেয়ারের ডাক্তার সংকটের ব্যাপারে আমরা অবগত। সমস্যাটি সমাধানের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং তা নিরসরণে কাজও শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ডাক্তার নিয়োগের ব্যাপারটি সময়সাপেক্ষ একটি ব্যাপার। তাই এই সমস্যা দূর করতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে ওষুধের ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গবাদিপশুর ম্যাসটাইটিস ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করলেন বাকৃবির অধ্যাপক
৭৬ দিন আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে কেয়ারটেকারের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক চিকিৎসকের বাড়ি থেকে ওহাব মাতব্বর (৭০) নামে এক কেয়ারটেকারের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে উপজেলায় নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখার কান্দা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওহাব মাতব্বরের বাড়ি পাশ্ববর্তী তুজারপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এই বাড়িতে কেয়ারটেকারের দ্বায়িত্বে ছিলেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. আসিফ ইকবাল জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাই ওহাব মাতব্বরের লাশ দ্বিতীয় তলার বাড়ির ছাদে ওঠার দরজার পাশে পড়ে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সংবাদ পেয়ে আমিসহ থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেছি। সিআইডির একটি দলও ঘটনাস্থলে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৯৪ দিন আগে
মানবিক জাতি গঠনে চিকিৎসকদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
সমাজের উন্নয়নে চিকিৎসকদেরকে যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একটি মানবিক জাতি গঠনের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি রয়েছে চিকিৎসকদের।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় চিকিৎসক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, 'চিকিৎসকরা চাইলে একটি মানবিক জাতি গঠন করতে পারেন।’
শফিকুর রহমান আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে নেতৃত্ব দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই প্রক্রিয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো দেশের অভ্যন্তরীণ বৈষম্য দূর করা।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক বিভেদকে কবর দিন: জামায়াত আমির
তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্য দূর হলেই জাতি এগিয়ে যাবে।’
জাতীয় পরিবর্তনের বৃহত্তর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন,‘বাংলাদেশে সত্যিকারের পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে। এই পরিবর্তন ধরে রাখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই পরিবর্তনগুলো এমন একটি সমাজ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়, যা প্রত্যেকের উপকার করে, বিশেষত প্রান্তিকদের।
শফিকুর রহমান চিকিৎসা গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনে দৃষ্টান্ত স্থাপনে চিকিৎসকদের উন্নত গবেষণা পরিচালনার আহ্বান জানান। ‘স্বাস্থ্যসেবা একটি মানবিক জাতি গঠনের মডেল হতে পারে।, তাই চিকিৎসকদের গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ঐক্যের ডাক জামায়াত আমিরের
১০৯ দিন আগে