চিকিৎসক
বিদেশ গিয়ে ফিরে আসেননি ৪০ জনের বেশি চিকিৎসক: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমার কাছে ৪০ জনের বেশি চিকিৎসকের তালিকা আছে যারা বিদেশে গিয়ে দেশে আর ফিরে আসেননি। তাদেরকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও দেশে আসেননি।
তিনি বলেন, দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিক তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু ট্রেনিং করে তারা যাতে দেশে ফিরে আসে, এটাই আমার চাওয়া।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে বিশ্ব মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার দিবস উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যসেবাটা হয়ে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থাকেন্দ্রিক। রোগ যাতে না হয় সেজন্য যথাযথ প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা আমাদের নেওয়া উচিত। এজন্য আমাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা একান্ত জরুরি।
তিনি বলেন, আমি খুবই গর্বিত যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগেই কোভিড পরিস্থিতিতে আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টরা কীভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয়নি। সবাই দেশে চিকিৎসাটা পেয়েছে। এই ধরনের মহাদুর্যোগগুলো যদি তারা সামলে নিতে পারেন, আশা করা যায় বাকি দুর্যোগগুলো তারা সামাল দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: তোপের মুখে পঙ্গু হাসপাতাল ছাড়লেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, সত্যিই খুব খুশি হব যদি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। আমি চাই চিকিৎসকরা যতভাবে সম্ভব যেকোনো বিষয়ে যাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে এবং সেই শিক্ষাটা যাতে দেশেই থাকে। এতে এ দেশের মানুষ উপকার পাবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটা কথা বলে রাখি- আমি মন্ত্রণালয়ের সভা বিবরণীতে দেখেছি যেখানে বলা আছে ২-৩ দিনে কোনো প্রশিক্ষণ হয় না। কথাটা কিন্তু ঠিক। তিনদিনের জন্য চিকিৎসকরা কী প্রশিক্ষণ নেবেন।
তিনি বলেন, তিনদিনের প্রোগ্রাম সভা, সিম্পোজিয়াম হতে পারে, তবে আমি মনে করি ট্রেনিংয়ের সময় আরও বাড়ানো উচিত। আমরা যাতে হাতে কলমে বিষয়গুলো শিখতে পারি সেসব বিষয়গুলো ট্রেনিংয়ে যাতে থাকে।
এছাড়া দীর্ঘ প্রশিক্ষণে আমার কোনো আপত্তি নেই, সেটা হোক এক সপ্তাহ কিংবা হোক দুই সপ্তাহ বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এদিকে ডিমেনশিয়ার এবং মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার নিয়েও আমাদের দেশ থেকেই গবেষণা হওয়া উচিত বলেও মনে করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক চিকিৎসক এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেসের পরিচালক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।
২ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে তারিকুল আলম নোমান (৪২) নামে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে নগরীর জমির মুন্সি রোড এলাকার নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
তরিকুল ঐ এলাকার তাহের উদ্দিনের ছেলে এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে মোবাইল চার্জ দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। কোনো এক সময় চার্জকৃত মোবাইল বিস্ফোরণে লাগা আগুনে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এসময় তার দুই হাত, বুক, নাক-মুখ পুড়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে চার্জ দেওয়া অবস্থায় মোবাইল বিস্ফোরণে লাগা আগুনে তার মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার আবেদন করলে স্বজনদের কাছে তা হস্তান্তর করা হয় বলে জানান ওসি সফিকুল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু
২ মাস আগে
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতিতে চিকিৎসকরা, রোগীদের দুর্ভোগ
অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
এসময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এতে করে হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি
এদিকে এই বিষয় সমাধানের জন্য বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পরিচালক সব বিভাগের প্রধানসহ চিকিৎসকদের সভা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. আশিকুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তবে রোগীর স্বজনরা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসক ও ওয়ার্ড বয়দের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর ছেলে মানিক। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে এসে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাইনি। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগীর স্বামী ইরফান বলেন, আমার স্ত্রীর বুধবার সকালে ডেলিভারি (সন্তান প্রসব) হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। আমার স্ত্রীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমার স্ত্রীর কিছু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সব দায় নিতে হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। আশা করি দ্রুত সব কার্যক্রম চালু হবে।
হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে কুরিয়ার সার্ভিস কর্মীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
৩ মাস আগে
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের দাবিতে ঢামেকের চিকিৎসকদের নতুন কর্মসূচি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক আইনের খসড়া প্রণয়নের দাবিতে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় ঢামেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. আব্দুল আহাদ।
আরও পড়ুন: ঢামেকে চিকিৎসকদের ওপর হামলা: গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার ১
প্রশাসনিক ভবনের গেটে সাংবাদিকদের কাছে এই কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন তিনি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান কর্মসূচির পর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা পুনরায় চালু করবেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমগুলো চলমান থাকবে।
তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও দৈনন্দিন কার্যক্রম সীমিত আকারে চলবে উল্লেখ করে ডা. আহাদ বলেন, রোগীদের সেবা পেতে যেন সমস্যা না হয় সেজন্য ব্যক্তিগত ব্যক্তিগত চেম্বারও খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢামেকে চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার সঞ্জয়কে আনা হচ্ছে ঢাকায়
চিকিৎসকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে অস্থিরতা নিয়ে আসতে সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের মিত্রদের একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ এই হামলা। সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ডা. আহাদ সতর্ক করে বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না বাড়ানো হলে এ ধরনের হামলা আরও হতে পারে।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জোরদার নিরাপত্তা দেখা যায়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের সেখানে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে শত শত নিরাপত্তাকর্মীর অবস্থানে বুঝা যায় চিকিৎসাখাতে কর্মরতদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন: ঢামেকে জরুরি সেবা চালু, বহির্বিভাগে সেবা এখনও বন্ধ
৩ মাস আগে
সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের শাটডাউন স্থগিত
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য তিন মাসব্যাপী বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি গ্রহণ
তার আশ্বাসের পর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত শাটডাউন স্থগিতের ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) চিকিৎসকদের মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ ঘোষণা করেন চিকিৎসক, ইন্টার্ন ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।
এদিকে চিকিৎসকদের ওপর হামলা, ভাঙচুর এবং চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালত চাইলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শাটডাউন তুলে নিতে চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
৩ মাস আগে
শাটডাউন তুলে নিতে চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) চিকিৎসকদের মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় সারাদেশে চিকিৎসকদের ডাকা শাটডাউন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা অভিযোগ করেছেন চিকিৎসা ঠিক মতো হয়নি তাদের জন্য একটা। আর যারা ডাক্তারদের গায়ে হাত তুলেছে, সেটা দেখার জন্য আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের স্বজনদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকরা সারাদেশের শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান গবেষণায় দেশকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই: উপদেষ্টা
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘তোমরা আমার সন্তানের মতো। শাটডাউন তুলে নাও। মানুষের সেবা করার জন্য এসেছ। নিজেকে উজাড় করে দিয়েছ। আবারও উজাড় করে দাও। এছাড়া তোমরা প্রমাণ কর, মানুষের সেবার জন্য এসেছ। মানুষের দুঃখে তোমাদের মন কাঁদে, তাদের জন্য তোমরা আছ। এটাই তোমাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রথমে ঢামেকে একজন ছাত্র মারা যায়। যেকোনো মৃত্যু মানুষের জন্য সত্যি পীড়াদায়ক। ডাক্তাররা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। কারণ তার মাথায় বড় আঘাত ছিল। ছাত্রটি মারা যাওয়ার পর তার আত্মীয়-স্বজন সেখানে গণ্ডগোল শুরু করেন। হাসপাতালের পরিচালক তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন- এখানে আমাদের গাফিলতি থাকলে আমরা সুস্থ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তারা এই কথায় কর্ণপাত না করে আমাদের ডাক্তারদের ওপর হাত তোলে। এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। এটা অন্যায়।
তিনি বলেন, এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। কিন্তু অন্য গ্রুপ তার চিকিৎসা দিতে বাধা দেয়। কিন্তু পরে সেও মারা যায়। এরপর বিষ খাওয়া রোগী একজন ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না কোভিডের সময় ডাক্তাররা দিন নেই, রাত নেই সেবা করে গেছে। এখন যে বন্যা দেখা দিয়েছে সেখানেও ডাক্তাররা দিনরাত খেটে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কথায় কথায় তাদের গায়ে হাত তোলা এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
নুরজাহান বেগম বলেন, যারা এ কাজ করেছে, আমি এ ঘটনায় নিন্দা জানাই। আমি আমার সব ডাক্তারকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, নিশ্চয়ই সিসিটিভি ফুটেজে এগুলো আছে, সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমি তাদের আইনের আওতায় আনব এটা আমার অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে বলব- এই ডাক্তাররা আপনার সন্তানের মত। কারো ছেলে, কারো ভাই, তাদের জন্য একটু মানবিক হন। আবেগের বশে আমি কারো গায়ে হাত তুলে দিলাম, এটা ঠিক নয়। আইনটা নিজের হাতে তুলে নিলে দেশ আর দেশ থাকে না। বিশৃঙ্খল হয়ে যায়।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ডাক্তাররা শাটডাউন ঘোষণা করেছে। চিকিৎসা সেবা না পেলে কেউ টিকতে পারবে? দেশ ঠিক থাকবে? থাকবে না। আমি সবাইকে অনুরোধ করব আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।’
যারা শাটডাউন ডেকেছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য যাবেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমি আশা করি তারা আমার কথা শুনবেন।
আরও পড়ুন: ৭ ইসলামি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বেশির ভাগ দলের দাবি নির্বাচনের সময়সীমা
৩ মাস আগে
ফরিদপুরে অস্ত্রোপচারের সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
ফরিদপুরের সৌদি বাংলা বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক গাইনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
ওই শিশুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা যায়, শহরের চর কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা নায়েব আলীর স্ত্রী মুরশিদা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে শনিবার (২২ জুন) বিকালে বেসরকারি হাসপাতাল সৌদি বাংলায় ভর্তি করেন। সেখানকার গাইনি চিকিৎসক ডা. শিরীন আক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন। সেখানে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মুরশিদা বেগম।
নবজাতকের বাবা নায়েব আলী বলেন, ‘আমার হাতে আমার সন্তানকে তুলে দেয়। কিছু সময় পর দেখতে পাই নাভির পাশ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। নাভির পাশে বেশ খানিকটা কাটা। শরীর নীল হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা প্রথমে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। পরে রক্ত বেশি বের হলে ওই চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়ে তিনি এসে নাভির পাশে কেটে ফেলা অংশে দুইটি সেলাই করে দেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পিটুনিতে নিহত নির্মাণ শ্রমিকদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি
তিনি আরও বলেন, ‘রাতেই শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই, সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। আমার আর্থিক অবস্থা ভালো না। তাই ঢাকায় না নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আমার প্রথম সন্তান, কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারছি না।’
এরপর ওই শিশুটিকে রাতেই ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রবিবার (২৩ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ওই শিশু হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
সৌদি বাংলা হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. শিরীন আক্তার জানান, অনাকিাঙ্ক্ষিত ঘটনা। অপারেশন করার সময় দেখতে পাই নবজাতকের অবস্থান ঠিক জায়গায় ছিল না। এছাড়া নাড়িতেও জড়িয়ে ছিল। কিছুটা অংশ ফেটে যায়। পরে সেলাই করে দেওয়া হয়।’
সৌদি বাংলা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে শিশুটির খোঁজখবর নিয়েছি। ওই শিশুটিকে সুস্থ করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এস আই শামীম হাসান বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, শিশুটির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান চিকিৎসক পারভেজ জানান, শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাসচাপায় ইজিবাইকের ২ যাত্রী নিহত, আহত ৯
রাতের আঁধারে ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’ আটকে দিল ফরিদপুরবাসী
৫ মাস আগে
হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না বলে হঁশিয়ার করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেছেন, ‘চিকিৎসা এমন একটি বিষয়, এখানে গাফিলতি করলে মানুষের জীবন চলে যায়। সুতরাং এখানে দুইবার চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের বৈশ্বিক সুনাম ধরে রাখার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
রবিবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে সিলেটে কয়েকজনকে কর্মস্থলে না পেয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।
কর্মস্থলে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে যাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত পেয়েছি সঙ্গে সঙ্গে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছি। আমার পরিকল্পনা আছে ঢাকার বাইরে কিছু হাসপাতালে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুশকিল হলো কোনো না কোনোভাবে সবাই জেনে যায় আমি আসব! কারণ একজন মন্ত্রী যখন কোথাও যায় তার প্রটোকল এমন থাকে...আমি বলছিলাম দরকার হলে আমি সিএনজি করে চলে যাই। তাও যাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তবে আমি একটা কাজ করব। ধরুন আমি রংপুর যাব। রংপুর গিয়ে প্রথম দিনই হাসপাতালে যাব না। হঠাৎ করে হাসপাতালে যাব।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে কোনো বিবাদ না হয়: পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রধান লক্ষ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
চিকিৎসা গবেষণায় আরও সময় দিন: চিকিৎসকদের বললেন প্রধানমন্ত্রী
শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার মানসিকতাকে কবর দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় আরও সময় দিতে দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা একটি সেক্টরে পিছিয়ে আছি। আর সেটি হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা। চিকিৎসকরা প্র্যাকটিস করে অর্থ উপার্জনে নিয়োজিত থাকেন এবং তারা গবেষণার কাজে আগ্রহী না।’
'বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ', 'জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ' এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের বিশেষ গবেষণার অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার(১১ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
শেখ হাসিনা শ্রোতাদের মধ্যে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিষয়ে জানতে চান।
তিনি বলেন, ‘এটি ঠিক যে, এখানে চিকিৎসকরাও আছেন, আমি সরাসরি তাদের জিজ্ঞাসা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী এখন থেকেই গবেষণা কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করার জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা কার্যক্রমে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ দেশের মানুষকে সুস্থ, সবল ও মেধাবী হতে হবে। তাদের মেধা বিকশিত করার সুযোগ দিতে হবে। এজন্য গবেষণা অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণায় যারা সম্পৃক্ত হবেন তাদের সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দেবে।
তিনি বলেন, 'আমি আবারও অনুরোধ করবো সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস কমিয়ে গবেষণা কাজে আরও বেশি সময় দিন।’
তিনি বলেন, গবেষণা কাজকে উৎসাহিত করতে যা যা করা দরকার সরকার তাই করবে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতে গবেষণার ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করে। আমাদের বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গবেষণার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো ধরনের গবেষণায় সব ধরনের বাধা দূর করতে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গবেষণার জন্য বিনিয়োগের অর্থ দেশের গণমানুষের পকেট থেকে আসছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভার সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের এই অর্থ অবশ্যই জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে।’
দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটি নির্মাণের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের মাটি খুবই নরম। আমরা প্রতিটি দ্বীপে মাটি পরীক্ষা করেছি, কিন্তু সেখানে এ ধরনের প্লান্ট নির্মাণ করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, বর্তমান বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হলে সরকার রূপপুরে দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, 'আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীকে প্রথমটি শেষ করার পরপরই দ্বিতীয়টি শুরু করতে বলেছি এবং এখন থেকেই আমাদের তার প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.আলী হোসাইন এতে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে বাবার স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারে। এতে করে রোগীর আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভালো চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তি করা রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, `আজকে যারা এখানে আমার সামনে বসে আছেন, আমি সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলব। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মানসম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই, যেন এই দেশের লোকজন একদিন চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, ধৈর্য ধরে তাদেরকে সেবা দেওয়া।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকরাই হলো ভবিষ্যতের আসল কাণ্ডারি। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। এটি শুধু ডাক্তারের উপরই নির্ভর করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা সেবা হাসপাতাল পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার উপরই নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসা সেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাব-আসব। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেব। আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না, শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই কিন্তু তারা খুশি।’
বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। আমি দেখেছি বাচ্চাদের যখন এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা কিন্তু পারেনি, পেরেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই। কাজেই আমি বিশ্বাস করি আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়।
আরও পড়ুন: দেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে