সন্তান দগ্ধ
রাজশাহীতে আগুনে মায়ের মৃত্যু, ২ চিকিৎসক সন্তান দগ্ধ
কোরবানির মাংস রান্না করে খেয়ে রাতে পরিবার নিয়ে প্রশান্তির ঘুম পাড়ছিলো স্কুল শিক্ষকা। এর মধ্যে রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সারা বাড়িতে। সেই আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ যায় শিক্ষিকা মায়ের।
এদিকে দুই সন্তান আগুনে গুরুতর দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন। তারা দুইজনই চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: ঢাকার ওয়ারীতে গ্যাস লাইন লিকেজের আগুনে দদ্ধ একজনের মৃত্যু
ঈদে দিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় মাদারিগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে নিহত স্কুল শিক্ষিকার নাম ফরিদা ইয়াসমিন (৪২)।
তিনি দুর্গাপুর উপজেলার শিবপুর বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে বিশেষজ্ঞ এজাজুল বাশার স্বপনের স্ত্রী।
এ ঘটনায় শরীরের ৪৫ ভাগ পুড়ে দ্বগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে দুই সন্তান সদ্য এমবিবিএস শেষ করা চিকিৎসক ডা. রাশিদুল বাসার ও ডা. শাফিউল বাসার।
নিহতের আত্মীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ছিল পবিত্র ঈদুল আযহার দিন। কোরবানির মাংস রান্না করে পরিবারের সকলে মিলে রাতে খাওয়া-দাওয়া করেন। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে এজাজুল বাশার স্বপন রাজশাহী নগরীর বাসায় চলে আসেন।
আর শিকিক্ষা মা ও চিকিৎসক দুই সন্তান আলাদা আলাদা কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। মাংস রান্না করা চুলার আগুন একপর্যায়ে পুরো বাসায় ছড়িয়ে পড়ে যায়। ঘুমিয়ে থাকা শিক্ষিকা মা ফরিদা ইয়াসমিন শয়নকক্ষেই ঘুমন্ত অবস্থায় ছড়িয়ে পড়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
পাশের কক্ষে থাকা চিকিৎসক দুই ভাইয়ের শরীরে আগুন লাগলে তারা বাসার ছাদে উঠে নিচে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন।
পরে রাত পৌনে তিনটার দিকে তাদেরকে এলাকাবাসীরা দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসক দুই ভাইয়ের শরীরের ৪৫ ভাগ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
চিকিৎসক দুই ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা ও অবনতি ঘটলে রাতেই তাদেরকে ঢাকা বার্ণ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সদরঘাটে লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ভৈরব পাদুকা মার্কেটে আগুন, জুতার কাঁচামাল পুড়ে ছাই
১ বছর আগে