বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড
তিস্তার মাস্টার প্ল্যান এখনও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছে: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এখনও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মহাপরিচালক প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মহাপরিচালক উল্লেখ করেন, প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটি চীন সরকারের সহযোগিতায় বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এটি এমন পর্যায়ে রয়ে গেছে যেখানে নীতিনির্ধারকরা উদ্বিগ্ন।
তবে তিস্তার দুই দিকের উভয় তীরের ভাঙন রোধে সরকারের নির্দেশে সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরহাট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিস্তা নদীর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক আরও বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে এবং পর্যাপ্ত তহবিল পাওয়া গেলে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কাজ শুরু হবে। তিনি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদী খননের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
২ মাস আগে
ভারি বর্ষণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, রবিবার (২ জুলাই) সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী উজানে স্বল্পমেয়াদী বন্যা হতে পারে।
সুরমা, পুরাতন সুরমা, সারি গোয়াইন, খোয়াই, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, ভোগাই ও কংসসহ এই অঞ্চলের কিছু নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা হতে পারে। কারণ এখানে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা নদী স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, অন্যদিকে গঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দী, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট
১ বছর আগে