সারাহ কুক
সহিংসতা বর্জন করে সংযম বজায় রাখার আহ্বান ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারাহ কুকের
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক 'অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ' নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সহিংসতা পরিহার এবং একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি গত ২৮ অক্টোবরের সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় যুক্তরাজ্যের গভীর উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বুধবার(১ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কুক। আসন্ন নির্বাচন ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
বিস্তৃত আলোচনায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের শক্তিশালী আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের প্রতিফলন ঘটে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরাতে এসওপি হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকমিশনার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কৌশলগত সংলাপে উভয় পক্ষের অঙ্গীকারের সঙ্গতি রেখে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
দ্বিপক্ষীয় অভিবাসন ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম আলোচনা করতে উভয়েই সম্মত হন।
তারা অ্যাকসেস টু জাস্টিস প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন অবদান নিয়েও আলোচনা করেন। এটি প্যারালিগ্যাল সেবার মাধ্যমে দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বিচার ব্যবস্থায় আরও ভাল সুবিধা পেতে সহায়তার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই সংলাপে উৎসাহ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১১ মাস আগে
ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ও অন্য ইন্দো প্যাসিফিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার (৯ অক্টোবর) বলেছেন, তারা একটি মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিককে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেখানে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা হয় এবং দেশগুলো জবরদস্তি, বিভ্রান্তি ও হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থেকে পছন্দের পথ বেছে নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বহাল রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য। আমরা সেই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ এবং আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্যের লক্ষ্য হলো একটি মুক্ত ও অবাধ ইন্দো প্যাসিফিক; এমন একটি অঞ্চল যা নিরাপদ ও স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক এবং বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় ‘ডিফাইনিং কম্পিটিশন ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’- শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুরও বক্তৃতা করেন।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ কপ২৬ এর আগে বিশ্বব্যাপী উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়াতে অংশীদারিত্বে কাজ করেছে।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা চলতি বছরের মার্চ মাসে সই হওয়া যুক্তরাজ্য/বাংলাদেশ জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতিগুলোকে কাজে পরিণত করার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের অভিযোজন, প্রশমন ও জলবায়ু অর্থায়নের পাশাপাশি লস অ্যান্ড ড্যামেজে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়।’
জলবায়ু-সংক্রান্ত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চালানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ভূমিকা স্থিতিশীল, দীর্ঘমেয়াদি ও আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত হবে। যেমন আসিয়ান কেন্দ্রীয়তা।
তিনি বলেন, ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও কার্যকর অংশীদারিত্ব আমাদের লক্ষ্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি। আমরা ইন্দো প্যাসিফিকের আঞ্চলিক অংশীদার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এবং তাদের মাধ্যমে কাজের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
উদাহরণস্বরূপ- ২৫ বছরে আসিয়ানের প্রথম নতুন সংলাপ অংশীদার আমরা এবং সিপিপিপিপি-তে আমাদের সদস্য পদ রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘একইভাবে আমরা আইআরএ এবং বিমসটেক-এর মতো অন্যান্য আঞ্চলিক উদ্যোগগুলোকে বঙ্গোপসাগরে বাস্তব পরিবর্তন আনতে সাহায্য করতে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব অনন্য ও মূল্যবান সম্পর্ক। এ সম্পর্ক দুই দেশের প্রবাসী, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে সুসংহত।
সারাহ কুক বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছি। জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্য থেকে শুরু করে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, নিয়ম ও কানুনের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা পর্যন্ত।’
তিনি তিনটি মূল ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন; নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার (আরবিআইএস) গুরুত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
১৯৭১ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য এই সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হতে পেরে গর্বিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে উন্মুখ, যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং অর্থনীতিকে টেকসই করতে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সংস্কার ও রপ্তানি বহুমুখীকরণকে সমর্থন করে।’
যুক্তরাজ্যের নতুন ডেভেলপিং কান্ট্রিস ট্রেডিং স্কিম ২০২৯ সাল পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়া সব কিছুতেই যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেবে এবং তারপরে ৯৮ শতাংশ পণ্যের জন্য যুক্তরাজ্যের বাজারের প্রবেশাধিকার দেবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ডিসিটিএস হলো সবচেয়ে উদার বৈশ্বিক বাণিজ্য অগ্রাধিকার প্রকল্প এবং বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী।’
কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত না করে এবং এগিয়ে না নিয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন ও সমৃদ্ধি গড়ে তোলা অসম্ভব হবে।
হাইকমিশনার বলেন, ভারতের সঙ্গে একত্রে যুক্তরাজ্য বঙ্গোপসাগরের জন্য একটি রিজিওনাল মেরিটাইম সেন্টার অব এক্সিলেন্স তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ সমগ্র অঞ্চলের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে অপরাধ মোকাবিলা থেকে শুরু করে ঝড়ের আগাম সতর্কতা প্রদান প্রভৃতির মাধ্যমে কেন্দ্র উপসাগরের স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে নৌ সহযোগিতার দীর্ঘ ঐতিহ্য আমাদের স্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।
সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
ইহসানুল বলেন, তারা উভয়েই চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ব্রিটেন বিশেষ করে বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
নতুন হাইকমিশনার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। যাতে প্রত্যাবাসনের পর তাদের কাজে লাগানো যায়।
কুক বলেন, তারা চান বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দীর্ঘ ২১ বছর (১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬) সংগ্রাম করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: সুইস রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিজয়ের পর, তারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিজয় উদযাপন করেছে, শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে এবং সারা দেশের বিভিন্ন গ্রাম লুট করেছে।
তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘আমরাই বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছি এবং গণমাধ্যমকে বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করেছি।’
তিনি বলেন, এক সময় একটি মাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, কিন্তু এখন দেশে ৪০টির বেশি বেসরকারি চ্যানেল চলছে।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক স্পটলাইটে থাকলে তাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে।
রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের ক্ষেত্রে কক্সবাজার অঞ্চলে সামাজিক সমস্যা আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়ভাবে জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ চলতি বছরের মার্চ মাসে একটি জলবায়ু চুক্তি সই করেছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
১ বছর আগে
বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
চট্টগ্রাম বিভাগে বড় আকারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য ২৫ হাজার পাউন্ড মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এই অর্থ দিয়ে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ সহায়তা পাবে।
রবিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে, কারিতাস বাংলাদেশ ও অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ এটি বরাদ্দ করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবার পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও দেশের ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য ১১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড মানবিক সহায়তা যুক্তরাজ্যের
তিনি বলেন, ‘আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ইউকে জরুরি প্রয়োজনে সাড়া দিতে ২৫ হাজার পাউন্ড মানবিক সহায়তা দিয়েছে।’
এই সহায়তা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি কিট, আশ্রয় সামগ্রী এবং ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষকে নগদ টাকা দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করবে।
তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়াকে পরিপূরক করে এবং বাংলাদেশে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও সাড়া দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী সহায়তার উপর ভিত্তি করে তৈরি করে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ব্যাপক সহযোগিতা আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি: সারা কুক
আমরা বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে মোমেন
১ বছর আগে
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাপা চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক রবিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এসময় তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্য জানায়, তারা বাংলাদেশে ‘বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনকে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা ও দেশের ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য ১১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড মানবিক সহায়তা যুক্তরাজ্যের
রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য যুক্তরাজ্য আরও ১১ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড বা ১৬০ কোটি টাকা মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
যুক্তরাজ্যের সহায়তার এই নতুন প্যাকেজটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য, পানি ও স্যানিটেশন এবং শরণার্থী ও প্রতিবেশি স্বাগতিক সম্প্রদায়কে শিশু সুরক্ষা সেবা প্রদান করবে।
বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সমগ্র বাংলাদেশি সম্প্রদায় এ সহায়তা পাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক তার প্রথম কক্সবাজার সফরে যুক্তরাজ্যের এই সহায়তার ঘোষণা দেন।
হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকল সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে নতুন স্কিম চালু, আরএমজিসহ রপ্তানির ৯৮% শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার থাকছে বাংলাদেশের
তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে মানবিক প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার জন্য ইউকে সহায়তার ১১ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ডের এই নতুন প্যাকেজটি ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
হাইকমিশনার এসময় যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অব্যাহতভাবে আতিথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন যে রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধান খুঁজতে সরকারকে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, সহায়তার এই নতুন প্যাকেজটি সারাদেশের বাংলাদেশি সম্প্রদায়কে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব মোকাবিলায় সাড়া দিতেও সাহায্য করবে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ দ্বারা বাস্তবায়িত এই সহায়তা রোহিঙ্গা শিবির এবং প্রতিবেশি সম্প্রদায়ের প্রয়োজন এবং সারা বাংলাদেশের মানুষকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করার মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণে এফবিসিসিআই ও এইচএসবিসি’র চুক্তি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম
১ বছর আগে