বদ্ধপরিকর
বিএনপি সবার নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বদ্ধপরিকর: রফিকুল ইসলাম
বিএনপি সবার নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বদ্ধপরিকর বলে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।
বিবৃতিতে তিনি জানান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা হলো সবধরনের প্রতিহিংসা ও অরাজকতা বন্ধ রাখার।
বুধবার (৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত বিজয়কে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে: বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি
বিবৃতিতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত অনেক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অনুপস্থিত থাকার কারণে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ও ভেঙে পড়ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ১৬ বছরের দুঃশাসন, অবিচার ও নিপীড়ণের জন্য বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতিটি বিভাগে এতদিন যে দুর্নীতি ও অবৈধ নিয়োগ কিংবা পদোন্নতির মাধ্যমে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত এর সুষ্ঠু সমাধান করবে।
এমতাবস্থায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, চিকিৎসকরা, নার্সিং কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তার ট্রাফিকের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা
শেরপুর শহর পরিষ্কার করতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
৩ মাস আগে
‘আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল সেবা নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে।
প্রতিশ্রুত সেবা দিতে না পারলে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের অবশ্যই তাদের গ্রাহকদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে জানান তিনি।
পলক বলেন, এটি বাস্তবায়নে নিয়মিত মনিটরিং ও অডিট করা হবে।
আরও পড়ুন: অনলাইন জুয়ায় জড়িত ৫০ লাখ মানুষ: পলক
রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান-সংক্রান্ত বিটিআরসি আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না। যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই। কারণ এটা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের একটা বড় প্রভাব ফেলে।
পলক বলেন, কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়।
কলড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব।
ফাইন্যান্সিয়াল অডিট এবং টেকনিক্যাল অডিটের ওপর জোর দেওয়া হবে জানিয়ে পলক বলেন, ইন্টারনেটের গতি কেন কম হচ্ছে, গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া কী সেগুলো আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেব। আমরা কারিগরি পরিদর্শন দল গঠন করেছি, তারা সেগুলো টেস্ট করছে।
পলক বলেন, মোবাইল অপারেটরসমূহ গ্রাহকদের সেবা প্রদান, গ্রাহক পর্যায়ে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট প্রদান ও অপারেটর যেসব সুবিধা আমরা দিচ্ছি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও মোবাইল অপারেটরসূমূহের সম্মিলিত উদ্যোগে দেশে মোবাইল সেবাকে গ্রোবাল স্ট্যান্ডার্ডে উপনীত করতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।
আরও পড়ুন: ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বাংলাদেশ: পলক
তিনি আরও বলেন, আমাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল অক্টোবরে উদ্বোধন হতে পারে। অক্টোবরকে টার্গেট করে চারটি মোবাইল অপারেটরকে একটা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, যেন অক্টোবরের ৩০ তারিখের মধ্যে ফাইভজি ওখানে নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি গুলশান, বনানী, মতিঝিল, আগারগাঁও এলাকায় ফাইভজি এনাবল অনেক স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় বেশি। আমার বিশ্বাস এখানেও মনোযোগ দেবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় কীভাবে ফাইভজি ও আইওটি কীভাবে ব্যবহার করতে পারি সে বিষয়েও কাজ করছি। আমরা আশা করি সেখানেও দ্রুত ফাইভজি ব্যবহার করতে পারব।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যামটব সভাপতি ও গ্রামীণ ফোন সিইও ইয়াসির আজমানসহ মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজের পক্ষে পলক
৪ মাস আগে
বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বদ্ধপরিকর: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
হাইকমিশনার অবশ্য স্বীকার করেছেন, আমাদের এখানে সিন্ডিকেট থাকতে পারে, যা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
আরও পড়ুন: জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
বুধবার (২৯ মে) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনার বলেন, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন। ‘এটা আমাদের সরকার ঠিক করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
হাইকমিশনার কম খরচে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও পর্যটন সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে তার দেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
তিনি দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে এটি হবে।’
ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং আলোচনা সভা আয়োজনের জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইসিআরসি: মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখাই জেনেভা কনভেনশনের ৭৫ বছরের অর্জন
৫ মাস আগে
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর: অতিরিক্ত আইজিপি
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শাহাবুদ্দিন খান।
তিনি বলেন, সড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় করে সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল মহাসড়ক এলাকা পরিদর্শনকালে শাহাবুদ্দিন খান এসব কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না: আইজিপি
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় যানজটের এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জোরদার।
এ ছাড়া মহাসড়কে অবৈধ গাড়িগুলো চলাচলেও কঠোর নজরদারি থাকবে।
শাহাবুদ্দিন খান আরও বলেন, আগে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে চরম যানজটের কারণে ঈদের দিন বাড়ি ফিরতে হয়েছে। এখন আর সেই সময় নেই। দেশের মানুষের যোগাযোগ পথ নির্বিঘ্ন নিরাপদ করতে সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপে পদ্মা সেতু নির্মাণসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক মহাসড়ক ৪ লেন থেকে ৬ লেনে উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই আগামী ঈদযাত্রা হবে এযাবৎকালের সবচেয়ে স্বস্তির। এ লক্ষ্যে পুলিশ বিভাগ যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ঈদের পরেও রাজধানী ও অন্যান্য শহরগামী মানুষের নিরাপদ এবং নির্বিগ্ন যাত্রাপথ রাখতে পুলিশ মাঠে থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- হাইওয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার মুখার্জি, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, বগুড়া হাইওয়ে পুলিশের এসপি হাবিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. এ. ওয়াদুদ ও ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকায় কোনো সমস্যা হলে কল করুন ৯৯৯ নম্বরে: আইজিপি
সাধারণ মানুষের নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতের চেষ্টা করছে পুলিশ: আইজিপি
৭ মাস আগে
সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে একাডেমির ৪২তম ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মেরিন ফিশারিজ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দূরদর্শিতা ও দৃঢ় ভূমিকায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলসীমায় আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যার ফলে সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ অনুসন্ধান, সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করা হয়েছে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা-২০২২ এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-২০২৩। সমুদ্রে অবৈধ, অনুল্লিখিত ও অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ বন্ধে ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মেরিন ফিশারিজ একাডেমির মাধ্যমে সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান, আহরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং টেকসই সংরক্ষণ ও ব্যবহারের বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হচ্ছে। এ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি সমুদ্রসম্পদ আহরণের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ক্যাডেটদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, অন্ধকার ভেদ করে আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে ক্যাডেটদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশপ্রেম, দৃঢ় আত্মবিশ্বাস, অধ্যাবসায়, সুচিন্তিত লক্ষ্য এবং পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। দেশে ও দেশের বাইরে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটরা হবে আমাদের অ্যাম্বাসেডর। বিদেশের জাহাজে আমাদের যে ক্যাডেট কাজ করবে সে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। ক্যাডেটদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, নৈপুণ্য, মেধা ও যোগ্যতা দেশপ্রেম ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে সম্প্রসারণ করতে হবে, দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে হবে। নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ থেকে কখনো বিস্মৃত হওয়া যাবে না।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির নারী ক্যাডেটরাও তাদের দক্ষতা ও নৈপুণ্য কর্মক্ষেত্রে দেখাতে সক্ষম হচ্ছেন। এর পাশাপাশি দেশের সবক্ষেত্রেই নারীরা তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আবদুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হাসান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্ট, সরকারি শিপিং দপ্তরসহ অন্যান্য মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা পাসিং আউট প্যারেডে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর একাডেমির ৪২তম ব্যাচে নটিক্যাল বিভাগে ৬০ জন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫৯ জন এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগে ১৯ জন ক্যাডেটসহ সর্বমোট ১৩৮ জন ক্যাডেট পাস করেছেন। এ বছর ৪২তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মধ্যে সব বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্যাডেট এইচ এম আবরার অয়ন বেস্ট অল রাউন্ডার গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন।
তিন বিভাগের সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগ থেকে ক্যাডেট এস এম মারুফ হোসেন নাবিল, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ক্যাডেট মো. আল রিফাত এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগ থেকে ক্যাডেট মোহাম্মদ সাজিদ হোসেন বেস্ট ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক পেয়েছেন। এ ছাড়াও নারী ক্যাডেটদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নারী ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্যাডেট সুরাইয়া আক্তার বেস্ট ফিমেইল ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক পান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন।
এদিন দুপুরে একাডেমি থেকে পাস করা ১৩৮ জন ক্যাডেটের হাতে সনদপত্র তুলে দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
১ বছর আগে
আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর।
ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও নেপালের বর্তমান ও সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের একটি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসে। সেখানে তাদের এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস ওয়াই কুরেশি, মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফুওয়াদ তৌফিক, শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আরএমএল রথনায়েকে, নেপালের নির্বাচন কমিশনার সাগুন শমশের জেবি রানা এবং নেপালের সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইলা শর্মা।
প্রতিবেশী দেশগুলোর বর্তমান ও সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সমন্বয়ে গঠিত ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) আমন্ত্রণে তারা বাংলাদেশ সফর করছেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে পাস হওয়া একটি আইনের অধীনে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে সরকার।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ইসি ইতোমধ্যে সংসদীয় উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার বেশ কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: মেরিটাইম শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত
আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
১ বছর আগে
আফগানিস্তান সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও খেলতে বদ্ধপরিকর তামিম
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছেন যে তিনি শতভাগ ফিট না হলেও বুধবার থেকে চট্টগ্রামে শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে অংশ নিতে চান।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ দলের একটি অনুশীলন সেশন ছিল, যেখানে তামিম উপস্থিত থাকলেও ব্যাটিং বা ফিল্ডিং থেকে বিরত ছিলেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমি ১০০ শতাংশ ফিট নই, তবে আগামীকাল খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এখন ভালো বোধ করছি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচই কঠিন: তামিম ইকবাল
তামিম অবশ্য জানিয়েছেন, ফিটনেস নিয়ে মেডিকেল টিমের সঙ্গে পরামর্শ করেই পরবর্তী ম্যাচে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না যা দলকে সমস্যায় ফেলতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামীকালের ম্যাচ খেলার জন্য আমি ফিট।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল এবং বাকি ম্যাচগুলো একই ভেন্যুতে ৮ ও ১১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ম্যাচই দিবা-রাত্রির এবং প্রতিদিন দুপুর ২টায় শুরু হবে।
আফগানিস্তান সম্প্রতি জুনে একটি টেস্ট খেলেছে এবং তারা এখন যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও সিলেটে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।
আরও পড়ুন: সাকিব ও আমি যখন মাঠে নামি, তখন আমাদের জন্য অন্য কিছু গুরুত্ব রাখে না: তামিম
১ বছর আগে