সাদাপাথর
সাদাপাথর লুটকাণ্ডে একযোগে ২২ পুলিশ সদস্যকে বদলি
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে অবস্থিত পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরে পাথর লুটপাটের পর একযোগে পুলিশের ২২ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যাদার আলোচিত ১১ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জেলার বিভিন্ন থানায় কর্মরত ২২ সদস্যকে রদবদল করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানানো গেছে। বদলি হওয়া ২২ জনের মধ্যে ১৩ জন এসআই, ৭ জন এএসআই এবং ২ জন কনস্টেবল।
পুলিশ জানিয়েছে, জেলার ২২ পুলিশ সদস্যকে নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবেই বদলি করা হয়েছে। বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিলেটে সাদাপাথর পরিদর্শনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার তিনজন এসআই ও একজন এএসআই এবং গোয়াইনঘাট থানার চারজন এসআই ও তিনজন এএসআইকে অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে।
বদলি হওয়া অন্যরা বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার থানা এবং গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও সিলেটের মোটরযান শাখার কর্মরত পুলিশ সদস্য।
কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানা থেকে ১১ জনকে অন্যত্র বদলি করার পাশাপাশি জেলার অন্য থানা থেকে এ দুটি থানায় নয়জনকে বদলি করা হয়েছে । এর মধ্যে তিনজনকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এবং ছয়জনকে গোয়াইনঘাট থানায় যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ১৩ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানের পর প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদাপাথর এলাকায় পাথর লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী লীগের ৪২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত। এ ছাড়া প্রতিবেদনে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর উত্তোলনের সিন্ডিকেটে জড়িত বলেও উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বিশেষভাবে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্যের অবৈধ পাথর উত্তোলনের সিন্ডিকেটে সম্পৃক্ততার কথা উঠে আসে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বদলি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হলেও সাম্প্রতিক পাথর লুটকাণ্ডে ব্যাপক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানার ১১ পুলিশ সদস্যকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ওই দুটি থানার আরও কিছু কর্মকর্তার বদলি হতে পারে বলেও জানা গেছে।
১০০ দিন আগে
সিলেটে সাদাপাথর পরিদর্শনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি
সিলেটের সাদাপাথর পর্যটন স্পট পরিদর্শন করেছে পাথর লুটের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যদের দলটি সাদাপাথর এলাকায় যান।
এসময় তারা সাদাপপাথর এলাকা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন স্থানীয় লোকজন, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গ। তদন্ত কমিটির সদস্যরা লুট হওয়া সাদাপাথরের বেশ কয়েকটি স্থান সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।
এর আগে প্রথমে রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। এসময় সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
তবে পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমের কাছে কোনো বক্তব্য দেননি তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিটির প্রধান জাহেদা পারভীন জানান, আমরা আরও একদিন সিলেটে থাকব। আজ সারাদিন আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলব, আগামীকাল (বুধবার) আমরা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব।
গত ২০ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
কমিটিতে সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীনের নেতৃত্বে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত আছেন। কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে।
এদিকে, পাথর ফেরত দিতে জেলা প্রশাসনের ৩ দিনের আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে সোমবার।
প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্র বলছে, এ পর্যন্ত লুট হওয়া ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ৬ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপনের জন্য ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর ঘাট এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও ৭ লাখ ঘনফুট পাথর।
পর্যায়ক্রমে উদ্ধারকৃত পাথরগুলো সাদাপাথর পর্যটন স্পটে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে সাদা পাথরে ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। চলতি আগস্টে পাথরহীন সাদাপাথরের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সাদাপাথর ফেরত দিতে প্রশাসনের ৩ দিনের আল্টিমেটাম
গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপ পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি টিম সাদাপাথর পরিদর্শন করে। এরপর তারা ১৬ আগস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাথর আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা ও যোগসাজশ ছিল।
সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইতোমধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে ওএসডি ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়েছে।
সাদাপাথর লুট নিয়ে গত ১৭ আগস্ট পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এখানে যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছে, এর বিপরীতে প্রশাসনের হয় যোগসাজশ করেছে, নতুবা নীরব থেকেছে অথবা দুটোই ঘটেছে। এজন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব এবং দ্রুতই নেব।’
১০০ দিন আগে
পাথর লুটে যোগসাজশ ছিল প্রশাসনের, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা জানান। রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাকে এটা বুঝতে হবে উপদেষ্টারা কোন পর্যন্ত যেতে পারেন। একটা সভায় কোন বক্তব্যগুলো যাবে, আমরা সেই পর্যন্ত কথা বলতে পারি। কিন্তু কোন প্লেট-গ্লাসে খাওয়া দিবে, আমরা সেই কথাটা বলি না। এটা আমাদের বলার কথা নয়। মাইক্রোম্যানেজমেন্ট আমাদের করার কথা নয়। কিন্তু আমরা পাথর লুটপাট যাতে বন্ধ হয়, সেজন্যই তো ফিল্ডে (সিলেটে) গিয়েছিলাম। ফিল্ডে যাওয়ার একমাত্র কারণ ছিল, যারা লুটপাট করে তাদের একটা বার্তা দেওয়া যে আমরা এটা করেছি। আপনি আমাকে বলেন তো, গত ১০/২০ বছরে পাথর লুটের বিরুদ্ধে কোন মন্ত্রীকে স্পটে যেতে দেখেছেন? একটা উদাহরণ আমাকে দেন। কোন মন্ত্রীকে আক্রান্ত হতে দেখেছেন, একটা উদাহরণ আমাকে দেন।’
তিনি বলেন, ‘তার মানে এখানে যে ঐক্যটা গড়ে উঠেছে, সেই ঐক্যটার বিপরীতে প্রশাসন হয়তো যোগসাজশ করেছে, নতুবা নিরব থেকেছে, বা দুটোই করেছে। সেজন্য প্রশাসনের ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেব কিনা, দ্রুতই দেখতে পাবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের কাজ নীতিমালা প্রণয়ন করা, আমরা কিন্তু সেই নীতিটি ঠিকই প্রণয়ন করেছি—যে এই ১৭টিতে পাথর উত্তোলন করা যাবে না। পাথর আদৌ উত্তোলন হচ্ছে কিনা, এটি দেখবে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন। আমরা বারবার প্রশাসনকে বলেছি, লিখেছি।’
আরও পড়ুন: মূল ভূখণ্ডের ২০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বনভূমি: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন দেখলাম প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না বা নিচ্ছে না, তাদেরকে সাহস দেওয়ার জন্য আমি এবং ফাওজুল ভাই (উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান) দুই জনই ফিল্ডে গেলাম। যখন আমরা ফেরত আসলাম, তখন আমাদের গাড়ি ঘিরে যে অশ্লীল বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হলো এবং পরবর্তী সময় সেই বিক্ষোভের জের ধরে একটি রাজনৈতিক দল নেতাদের বহিষ্কার এবং সাসপেন্ডও করল। সেই সময় যদি প্রতিবাদটা খুব জোরালো হতো না, তাহলে আজকের পরিস্থিতি ভিন্ন হতো।’
তিনি বলেন, ‘যা হোক, বেটার লেট দ্যান নেভার। আমি জনগণকে ধন্যবাদ জানাই, তারা যে লোকেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছে। যার ফলে আজকে যে অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছে, এতে ভবিষ্যতে পাথর লুটবার আগে দুইবার চিন্তা করবে।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘পাথর কতটুকু তুলল, লুট হলো, নিয়ে গেল—এটি আমার মন্ত্রণালয়ের দেখার কথা নয়। যেহেতু আমি একজন পরিবেশ কর্মী এবং সরকারে আছি, আমি দায়িত্ব নেব, কিন্তু পাথর লুট হয়ে যাওয়ার দায়টা আমাকে দেবেন না।’
তিনি বলেন, ‘এখন দেখা যাচ্ছে তারা মামলা করছে, সেখানে আদৌ যারা দোষী তাদের কতটুকু তালিকাভুক্ত করছেন, সেটা আমাদেরকে দেখতে হবে।’
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন আমরা দুই উপদেষ্টা সেখানে গেলাম এবং আক্রান্ত হলাম, তারপর আমরা চলে আসলাম, তারপরে কিন্তু তিন দিনব্যাপী ব্যাপক অভিযান হলো। সব পাথর ভাঙ্গার মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলো। কিন্তু তার চার-পাঁচ দিন পর সব রাজনৈতিক দল এক হয়ে চাপ প্রয়োগ করলো, তারা সেখানে ঘোষণা দিলেন যে পাথর তুলতে দিতে হবে। পরিবহন মালিকরা বললেন যে তারা ধর্মঘট করবেন। এই ধর্মঘট কিন্তু তাদের নতুন নয়। যখন ২০২০ সালে পাথর তোলা বন্ধ করে দেওয়া হলো, সেই সময় করোনার মধ্যে তারা দুইবার পরিবহন ধর্মঘট করেছেন। তাদের যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য বিন্দুমাত্র মায়া থাকত, করোনার এমন সংকটের মুহূর্তে নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য ধর্মঘট ডাকতে পারতেন?’
তিনি বলেন, ‘সেই সময় আমরাও সোচ্চার ছিলাম, প্রশাসনকে আমাদের সঙ্গে আনতে পেরেছিলাম। এবার হলো কি—সর্বদলীয় ঐক্যের কথা যে আমি বলেছিলাম, সর্বদলীয় ঐক্যের কারণে প্রশাসন নিশ্চয়ই যোগসাজশে ছিল। তাহলে তারা এখন বের করতে পারে কিভাবে পাথরগুলো কোথায়? আবার নিরবতাও ছিল। তারা হয়তো অতটা ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে মানুষ তার শক্তি দেখিয়েছে। লুটেরা চক্রের বিরুদ্ধে যখন মানুষ দাঁড়ায়, তখন যতই রাজনৈতিক শক্তি ওটাকে সাপোর্ট করুক না কেন, মানুষের শক্তিটাই আসলে জয়ী হয়ে আসবে।’
১০৯ দিন আগে
সাদাপাথর-জাফলংয়ে লুট: দুই দিনে ১ লাখ ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
সিলেটের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া আরও ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার দিনভর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতেই জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করে। এতে জানানো হয়, গত দুই দিনে মোট প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাথরের অর্ধেক ইতিমধ্যে সাদাপাথরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলো প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় শাখা, মিডিয়া সেল) মো. মাসুদ রানা বলেন, শুক্রবার দিনভর কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। গত বুধবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মোট প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাথর পর্যায়ক্রমে সাদাপাথরে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পাথর ব্যবসায়ীরা অভিনব কৌশলে এসব লুট হওয়া পাথর লুকিয়ে রাখছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন কোম্পানীগঞ্জের কলাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাটিচাপা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার হয়।
এর মধ্যে সাত ট্রাক পাথর ইতোমধ্যে সাদাপাথর এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও আনুমানিক পাঁচ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে, যা আজ শনিবার ফেরত পাঠানোর হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (রাজস্ব শাখা, জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেল) মাহমুদ আশিক কবির।
আরও পড়ুন: এক রাতের অভিযানে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর ফিরল সাদাপাথরে
এদিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন স্পট জিরো পয়েন্ট থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছে।
পিয়াইন নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা পাথর পূনরায় নদীতে প্রতিস্থাপনের লক্ষে জাফলং জিরো পয়েন্টে নৌকা দিয়ে ফেলা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী রাতের আধারে বৃষ্টির মধ্যে কিছু পাথর সরিয়ে ফেলছিল। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ নিই। এরপর থেকে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ ও বিজিবির টহল অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেখান থেকে যে পাথরগুলো সরানো হয়েছে আমরা সেই পাথরগুলো খুঁজে বের করে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছি।’
তবে পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’
১১১ দিন আগে
সাদা পাথর লুটকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটকারীদের তালিকা দাখিলের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভোলাগঞ্জের লুট হওয়া সব পাথর দেশের যেসব এলাকায় গেছে, সেখান থেকে ফেরত এনে সাত দিনের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আগের জায়গায় ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই সাদা পাথর লুটের ঘটনায় কি পরিমাণ আর্থিক ও পরিবেশগত ক্ষতি হয়েছে তা বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বিবাদীদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এসব আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট করা এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সেই সঙ্গে এলাকা সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী ওই এলাকায় ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া ঘোষণা করা হবে কি না এবং যারা পাথর লুট করে পরিবেশের ক্ষতি করেছেন তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ সচিব, সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবি, র্যাবসহ স্থানীয় প্রশাসনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাদাপাথরে লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট শুনবেন হাইকোর্ট
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, প্রশাসনের চোখের সামনে সাদা পাথর লুট করা হয়েছে এবং পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। আমরা পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে জনস্বার্থে রিট করি। সকালেই রিট করা হলে দুপুরে হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
এদিকে, ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়ের করা আরেকটি রিটের শুনানি রবিবার (১৭ আগস্ট) ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মীর একেএম নূরুন নবী। গতকাল বুধবার আইনজীবী নূরুন নবী রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় এবং সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি, সাদা পাথর লুটের বিষয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা ব্যাখ্যা করতে একটি রুলও জারির আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের চোখে-আমলে দিনে-দুপুরে এসব পাথর তোলা হয়েছে এবং কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পাথর লুটের ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।
১১২ দিন আগে
এক রাতের অভিযানে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর ফিরল সাদাপাথরে
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে গতকাল বুধবার রাতভর অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথবাহিনী। অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের সাদাপাথর এলাকাসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লুট হওয়া পাথর পরিবহনকারী বেশ কয়েকটি ট্রাক জব্দ করেছে প্রশাসন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে সিলেট নগরী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, বুধবার রাতে ৬ সদস্যের একটি দল যৌথবাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ফের অভিযান পরিচালনা করা হবে। লুট হওয়া পাথর উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
১১২ দিন আগে
সাদাপাথরে লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট শুনবেন হাইকোর্ট
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে দায়ের করা রিট শুনানির জন্য আগামী রোববার (১৭ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মীর একেএম নূরুন নবী। গতকাল বুধবার আইনজীবী নূরুন নবী রিট আবেদনটি করেন। রিট আবেদনের মাধ্যমে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয় এবং সেখানে যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হয়েছে সিলেটের সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র
এ ছাড়া, সিলেটের পর্যটন এলাকা ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর লুটের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি রুল জারি করার আবেদনও করা হয়েছে রিটে।
উল্লেখ্য, গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের সামনে দিন-দুপুরে এসব পাথর তোলা হয় এবং প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে অভিযোগ করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। পাথর লুটের ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
১১২ দিন আগে
সাদাপাথরে লুটপাট, পরিদর্শনে দুদক টিম
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া পাথর লুটের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরে পরিদর্শনে যায় সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুদকের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত রাফির নেতৃত্বাধীন টিম। দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধুদের যোগসাজশে সাদাপাথর এলাকার পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। ওই পর্যটন এলাকায় দুদকের সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযান শেষে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানোর আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হয়েছে সিলেটের সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র
প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ধলাই নদের উৎসমুখে ভেসে আসা পাথরের বিশাল স্তুপের কারণে প্রায় পাঁচ একর জায়গা জুড়ে সিলেটের ভোলাগঞ্জ পর্যটনের স্থান হিসেবে গত কয়েক বছরে বেশ সাড়া ফেলেছিল। তবে গত এক বছরে সে জায়গাটি থেকে অবাধে পাথর লুটের ঘটনায় মনোরম সৌন্দর্যের এই স্থানটি বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের ৭৫ শতাংশই গায়েব। আছে মাত্র ২৫ শতাংশ। একসময় প্রচুর পরিমাণে সাদা পাথর দেখা যেত বলে জায়গাটার নামই হয়ে যায় ‘সাদাপাথর’। কিন্তু বর্তমানে পর্যটনকেন্দ্রটি অস্তিত্ব সংকটে।
এর আগে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাদাপাথর নামক ওই স্থান থেকে পাথর লুট হওয়ার সংবাদ প্রকাশ হলে তা সারা দেশে আলোচিত হয়। দেশের বিভিন্ন মহল থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধংস করার প্রতিবাদ জানানো হয়।
১১৩ দিন আগে
সিলেটে সাদাপাথর লুট, ৯ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ড
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন নাহার এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
আটকরা হলেন— কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দলইরগাঁও গ্রামের চান মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীম উদ্দিন, নতুন মেঘারগাঁও গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে মকবুল হোসেন, দক্ষিণ কলাবাড়ী গ্রামের সনর আলীর ছেলে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কালাইরাগ গ্রামের হাজী আব্দুল মন্নানের ছেলে ফুল মিয়া, গোয়াইনঘাট উপজেলার লাকী গ্রামের আব্দুল রমিধের ছেলে ইকবাল মাহমুদ, মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ কিবরিয়া আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বাসাকর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত আলী হোসেনের ছেলে আলী নূর ও কিশোরগঞ্জ ইটনা উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে মোহাম্মদ জজ মিয়া।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় যুবকের কারাদণ্ড, ছাত্রী বহিষ্কার
উপজেলা প্রশাসন জানায়, সকাল ৬টায় টাস্কফোর্সের অভিযান চালানোর পর কয়েকশ’ পাথর লুটপাটকারী সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করতে চেয়েছিল। এ সময় তারা পাথর দিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকে আভিযানিক দলের ওপর। পরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে পাথর লুটপাটকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় ২০টি পাথর বহনকারী নৌকা ধ্বংস করা হয় এবং আরও ১৮টি নৌকা জব্দ করে বিজিবির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। পরদিন বুধবার সকাল থেকে কালাইরাগ এলাকা দিয়ে নৌকাযোগে পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে পাথর লুটপাট শুরু হয়। দিনে ও রাতে বাধাহীনভাবে সহস্রাধিক ইঞ্জিনচালিত ও বারকি নৌকা দিয়ে লুট হচ্ছিল এই পাথর।
ইউএনও আজিজুন নাহার বলেন, ‘বালু-পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
২২২ দিন আগে
সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের ধলাই নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদের উৎসমুখ ভোলাগঞ্জে লাশটি ভেসে ওঠে।
নিহত পর্যটকের নাম আবদুস সালাম (২৩)। তিনি ঢাকার মিরপুর এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় নিশ্চিত করেন জানান, এর আগে গত রবিবার (২ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে সাদাপাথর এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ধলাই নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হন ওই যুবক।
তিনি জানান, পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারে কাজ করলে প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, খবর পেয়ে ঢাকা থেকে আবদুস সালামের চাচা এসেছেন। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জাহাজ দুর্ঘটনা: ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মিরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার
৮৮৪ দিন আগে