এফএফডব্লিউসি
বাড়তে পারে ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। তবে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এফএফডব্লিউসি জানিয়েছে, ‘ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি স্থল গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে, যার প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যায় বাড়ি ফিরতে পারেনি ৮৩৫০ পরিবার, ক্ষতি ৫৩৩ কোটি টাকার
চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি কমছে এবং মুহুরী, হালদা ও গোমতী নদীর পানির স্তর অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশ ও উজানে ভারী বর্ষণের প্রবণতা কমে আসায় আগামী ৩ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদ-নদীর পানির স্তর নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও কমছে এবং যমুনা নদীর পানি অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী পাঁচ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির স্তর ধীর গতিতে নামতে থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে এফএফডব্লিউসি।
অন্যদিকে গঙ্গা নদীর পানি অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়ছে পদ্মার পানি। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির স্তর আগামী দুই দিন অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং আরও তিন দিন পানি বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বিপৎসীমার নিচেই থাকবে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়েনি তবে আগামী তিন দিন পানি ধীরগতিতে কমতে পারে।
সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে এবং মনু ও খোয়াইয়ের পানির স্তর অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
আগামী তিন দিন সিলেট বিভাগের প্রধান নদ-নদীর পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
১ মাস আগে
কমছে প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এফএফডব্লিউসির এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী পূর্ব কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলা এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকায় তেমন বেশি বৃষ্টিপাত হয়নি এবং উজানের নদ-নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে।
ফলে ফেনী ও কুমিল্লা জেলার নিম্নাঞ্চলে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে।
হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চান খুলনার ১৪ গ্রামের মানুষ
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদীর পানি কমতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজান অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় কুমিল্লা জেলার গোমতী নদীর পানি কমতে পারে এবং আশপাশের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কোথাও কোথাও স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিসারদের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানাঞ্চলে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় চট্টগ্রাম জেলার সাঙ্গু, মাতামুহুরী, কর্ণফুলী, হালদাসহ অন্যান্য প্রধান নদ-নদীর পানি পর্যায়ক্রমে বাড়তে পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীর পানির স্তর নামছে, অন্যদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির স্তর অপরিবর্তিত রয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার নদীর পরিস্থিতিও স্বাভাবিক, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: সবাইকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২ মাস আগে
কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
কুমিল্লা জেলায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় নিচু এলাকাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী ও হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়াও মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই ও ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও নিচু এলাকাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও গোমতী নদীর পানির স্তর নামার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা নদীর পানি কমলেও পদ্মার পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এসব নদীর পানি আরও কমতে পারে। তবে বাড়ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে: এফএফডব্লিউসি
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
২ মাস আগে
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদীর পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, ভূগাই ও কংশ নদীতে পানি কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।আরও পড়ুন: সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
৪ মাস আগে
আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা নেত্রকোনা ও সিলেট, সুনামগঞ্জের কিছু নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এছাড়াও, মনু-খোয়াই নদীর নিম্নাঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রটি।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সুরমা ছাড়া প্রায় সব প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছেই এবং আগামী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহতভাবে বাড়তে পারে।
অন্যদিকে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে, উত্তরাঞ্চলের নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে: এফএফডব্লিউসি
এছাড়াও বন্যা পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে পারে এবং কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্বল্প সময়ের জন্য ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
৪ মাস আগে
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা
ভারী বর্ষণের কারণে প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বেড়ে যাওয়ায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এক বুলেটিনে এফএফডব্লিউসি জানিয়েছে, বুধবার (২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, সারিগোয়াইন নদীর তীরবর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত আশঙ্কাজনক হারে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বিদেশি আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তার কাছাকাছি উজান অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রিমালের’ তাণ্ডবে খুলনার মাছচাষীদের ২৪৫ কোটি টাকার ক্ষতি
যার ফলে উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি ধীরে ধীরে বাড়তে পারে এবং সময়ের ওপর নির্ভর করে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পানি দ্রুত বাড়তে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ১১০টি নদীর পানির স্তর নির্ণয় স্টেশন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩টি নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়েছে।
একদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি কমছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পানির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া যমুনা নদীর পানির স্তরও ধীর গতিতে বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: সুন্দরবন থেকে ৪০টি প্রাণীর মরদেহ উদ্ধার
৫ মাস আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, ফেনী, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এফএফডব্লিউসি তার নিয়মিত বুলেটিনে বলেছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, যা আগামী ২৪ ঘন্টা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমস্ত প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবি, ব্যবসায়ী নিখোঁজ
এ কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ঝালুখালী, ভুগাই-কংশা, সোমেশ্বরী, জাদুকাটাসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি কোনো না কোনো সময় দ্রুত বাড়তে পারে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় এবং অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে যাওয়ায় মুহুরী, ফেনী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু, মাতামুহুরীসহ দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধীর গতিতে পতন হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, বল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদী স্বল্প সময়ের জন্য বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
১ বছর আগে
২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে আগামী ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
এফএফডব্লিউসি এর নিয়মিত বুলেটিনে জানিয়েছে যে ব্রহ্মপুত্র নদ অপরিবর্তিত থাকলেও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে ২৪ ঘন্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া খোয়াই, মনু ও ধলাই ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বাড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
উন্নত বন্যা ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের নদী ড্রেজিংয়ে সহায়তার প্রস্তাব চীনের
১ বছর আগে
তিস্তার পানি বাড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
তিস্তা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
বুধবার সংস্থাটি তার নিয়মিত বুলেটিনে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে। যা ৪৮ ঘণ্টার বেশি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: পানি বাড়ায় তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য কমলগঞ্জ পয়েন্টে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, খোয়াই ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি কমে যাচ্ছে এবং সোমেশ্বরী ও ধলাই নদীতে যা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলতে পারে।
সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন
তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
১ বছর আগে