গ্রহণ
চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে: উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম পোর্ট হচ্ছে বাংলাদেশের লাইফলাইন। তাই চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পোর্ট যদি না চলে এবং যে অব্যবস্থাপনা ছিল সেটা যদি দূর না হয় আমাদের অর্থনীতির লাইফলাইনে অসুবিধা হবে। সে কারণে গত তিন দিন ধরে এ পোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বন্দর পরিদর্শন শেষে নিউমুরি কনটেইনার টার্মিনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যানুয়ালি থেকে যদি অটোমেশন করতে পারি তাহলে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সময় কমে যাবে। আগে একটি জাহাজ এলে ১০ থেকে ১৫ দিন লাগত পণ্য খালাসে। এখন সেটা অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা যে সন্তুষ্ট, তা একদম নয়। অটোমেশনের কাজ চলছে। সেটি হলে কনটেইনার লোডিং ও আনলোডিংয়ের সময় কমবে।’
তিন দিনের সফর শেষে চট্টগ্রাম বন্দর, নৌবাণিজ্য ও সুনীল অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এখানে (চট্টগ্রাম বন্দর) অনেক অনিয়ম হয়েছে। সেগুলো বলতে গেলে সারাদিন লাগবে। অনেক লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে না। লাইসেন্স নিয়ে হয়তো আরেকজনের কাছে বিক্রি করেছে। আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ব্যবস্হা নিচ্ছি।’
চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে (চট্টগ্রাম বন্দর) ২০ বছর আগের কনটেইনার পড়ে আছে। ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে গাড়ি পড়ে আছে। এগুলো নিলাম করার কাজ এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বন্দরের জায়গা যদি এভাবে ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে কার্যক্রম কীভাবে বাড়বে। পোর্টের জায়গা যদি খালি না করে এত কনটেইনার আছে এগুলো আমরা রাখব কোথায়। ফিরে গিয়ে আমি এনবিআরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব। শুধুমাত্র বন্দর নয়, আরও যেসব সংস্থা আছে তাদেরও কাজ করতে হবে। যদি কাজ না করে তাহলে বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজগুলো করতে পারবে না। আমাদের কাছে বিনিয়োগকারী আছে। পোর্ট অটরিটিই শুধু না, পোর্ট অথরীটির মধ্যে যেসব এজেন্সি আছে তাদেরও একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বন্দরকে দুর্নীতিমুক্ত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি থাকলে অবশ্যই বলবেন। এ বন্দরকে জঞ্জাল মুক্ত করতে হবে। আর এটা যাতে কুইক রেসপন্স করতে পারে সেটার জন্য কাজ করতে হবে।’
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বে-টার্মিনালের জায়গাগুলোও দেখে আসছি। আমি আপাতদৃষ্টিতে বে টার্মিনালে কোনো সমস্যা দেখছি না। এখানে বিনিয়োগ করার জন্য অনেকে বিদেশি বিনিয়োগকারী বসে আছে। আগামী বেশ কিছু বছর পরে এ টার্মিনালের যে সম্ভাবনা সেটা দেখতে পাব। আমাদের দিনদিন আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। সেগুলোও লোড-আনলোড করতে সমস্যা হবে না। এখানে সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগকে যদি আমরা নিরুৎসাহিত করি তাহলে আমাদের এখানে কিন্তু বাইরের কেউ আসবে না। সিঙ্গাপুরের পোর্ট আর আমাদের বন্দরের মধ্যে কিন্তু তফাত আছে। তারা উম্মুক্ত। তারা অনেক এগিয়ে। বন্দরগুলোকে আমরা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, বন্দরের ভেতরে যে অরাজকতা ও চোরাচালান আছে সেগুলো যদি বন্ধ করতে পারি তাহলে আমরা আরও বেশি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারব।’
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পোর্টের জন্য যেটা ভালো হবে সেটা করা হবে। টেন্ডার এখন আর ডিপিএম পদ্ধতিতে হবে না। এখন ওপেন দরপত্র আহ্বান করা হবে। সেটা আবার আমরা রিভিউ করব। যাতে লোকাল বা বিদেশির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট লোক যাতে না আসে।’
এসমং উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেকসহ বন্দরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার
২ মাস আগে
ভোট গ্রহণের সময় অসুস্থ হয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মৃত্যু
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় অসুস্থ হয়ে এমদাদুল হক নামে এক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উমেদনগর কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ২
এমদাদুল হক এলজিইডি হবিগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী। তার বাড়ি পাবনায়।
জানা গেছে, ভোট গ্রহণের সময় এমদাদুল সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এলজিইডির হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় অফিস চত্বরে নামাজে জানাজা শেষে লাশ পাবনায় পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সিলেটে পাহাড়ি ঢলে সড়ক তলিয়ে যান চলাচল বন্ধ
৬ মাস আগে
গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে অংশীজনদের মতামত গ্রহণ শুরু: তথ্য মন্ত্রণালয়
গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন, ২০২১ এর খসড়ার উপর পুনরায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মতামত নেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সমাবেশে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর বিএনপির কর্মীদের হামলা
সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে শ্রম আইনের অধীনে সাংবাদিকদের প্রাপ্য সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সংবাদমাধ্যম কর্মীরা শ্রম আইনের আওতায় যেসব সুবিধা পায়, সেসব সুবিধার শতভাগ সুরক্ষা প্রস্তাবিত আইনে আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, যদি কোথাও ব্যত্যয় থাকে, সে জায়গা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রম আইনের অধীনে সংবাদমাধ্যম কর্মীরা যে সুরক্ষা পান, তার কোনো ব্যত্যয় বা ঘাটতি প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমে একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এজন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সব অংশীজনদের সহযোগিতা ও মতামতের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মী আইন সুন্দর পরিসমাপ্তির দিকে যাবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের গণমাধ্যম কর্মী আইনের খসড়ার উপর লিখিত মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ উল আলম, যুগ্ম সচিব মো. আসাদুজ্জামান, বেসরকারি টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটকো) সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশেশের (ওনাব) সভাপতি মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির সভাপতি একরামুল হক সায়েম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. শামীম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সংবাদপত্রের কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব মো. খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মনজু, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. নুর হাকিম, জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট এর সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
৭ মাস আগে
কাপ্তাই লেকের যৌবন ফেরাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কাপ্তাই লেকের আগের সৌন্দর্য আর নেই। এটি যেন নুইয়ে পড়েছে। তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কাপ্তাই লেকের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চাই।
তবে এই সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু মৎস্যজীবীদেরই নয়, এলাকার সর্ব সাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার দুপুরে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী এ কথা জানান।
জেলেদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আগামী তিন মাস আপনারা লেকে মাছ ধরবেন না। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত মশারি জাল, বেহুন্দী জাল, কারেন্ট জাল ব্যবহার করবেন না। ছোট মাছ ধরবেন না। নিজের সন্তানের মতো মাছ বড় করতে হবে। কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে। এই লেকের ব্যবস্থাপনায় আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাপ্তাই লেক নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। রাঙামাটির বর্তমান ফিস ল্যান্ডিং সেন্টারটি সংস্কার করে আধুনিক ও উন্নত মানের ফিস ল্যান্ডিং স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
কৃষি জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশকের ফলে মাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে ফসলের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তবে কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এসময় কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
জেলেদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যাতে বংশ পরম্পরায় কাপ্তাই লেকের মাধ্যমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর যোগান দেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
৭ মাস আগে
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৪ এ বদলির আদেশ দেন। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী, জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
শুনানিকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, গত ৩ মার্চ এ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অর্থ আত্মসাত মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশ যেতে ড. ইউনূসকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে: হাইকোর্ট
দুর্নীতির মামলায় ড. ইউনূসসহ ৮ জনের জামিন
৮ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির পথ বেয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা সামনের দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর আওতাধীন অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থা সমূহের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রূপান্তরের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মানুষ কাজ না করলে কর্ম সম্পাদন হবে না।
তিনি বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চাদপদ দেশে থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা। আমরা প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করি। সে দিক থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানুষের প্রয়োজনে. মানুষের কল্যাণে প্রযুক্তি ব্যবহার করবো। মানুষকে বাদ দিয়ে প্রযুক্তি নয়।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আলোচিত একটি বিষয়। মানুষের ঘাটতির কারণে ইউরোপ প্রযুক্তিকে মানুষের বিকল্প ভেবেছিলো কিন্তু মানুষের বিকল্প কোন প্রযুক্তি হতে পারে না। জাপান মানুষ ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে সোস্যাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো বা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের ধারণা নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ঠিক তেমনি পঞ্চম শিল্প বিপ্লব বা স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে প্রযুক্তি ও মানুষের মিশেলে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
এ সংগ্রাম এগিয়ে নিতে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মিন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন গতিশীল নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির বাস্তবায়নের পথবেয়ে বাংলাদেশের অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল সময়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে ১৯৭৩ সালে আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্য পদ অর্জন এবং ১৯৭৫ এর ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র চালুর মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও স্মার্ট বাংলাদেশের বীজ বপন করেন।
তিনি বলেন, মন্ত্রী কর্মসম্পাদন চুক্তির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান সমূহের অর্পিত দায়িত্ব বিগত দিনগুলোর মতো আগামী দিন গুলোতেও সফল হবেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ অধিদপ্তর এবং সংস্থাসমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
১ বছর আগে
ঢাকায় ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু গ্রিসের
ভ্রমণ, কর্মসংস্থান, পারিবারিক পুনর্মিলন, শিক্ষার্থী এবং ডিজিটাল যাযাবর (নোম্যাড) এর মতো সব ধরনের ভিসা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের নাগরিকরা এখন ঢাকায় নতুন চালু হওয়া গ্রিসের ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে আবেদন করতে পারবেন।
গ্রিসে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের ভিসার আবেদন জমা দিতে আর নয়াদিল্লি যেতে হবে না।
গ্রিসের কূটনৈতিক ও কনস্যুলার কর্তৃপক্ষের একচেটিয়া বহিরাগত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিস ভিসা ওয়ার্ল্ড সেন্টার (জিভিসিডব্লিউ) ভিএফএস গ্লোবালের সঙ্গে অংশীদারিত্বে সকল ভিসা ক্যাটাগরির আবেদন গ্রহণের জন্য ঢাকায় একটি ডেডিকেটেড সেন্টার চালু করেছে।
ভিসা আবেদনকারীদের তাদের আবেদন জমা দিতে এবং তাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করতে বোরাক মেহনুর (৮ম তলা), ৫১/বি, কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ভিএফএস গ্লোবাল জয়েন্ট ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে (জেভিএসি) যাওয়ার আগে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে জিভিডব্লিউসি ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসার আবেদন করার জন্য দালালের দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই: দূতাবাস
ভিএফএস গ্লোবালের চিফ অপারেটিং অফিসার (দক্ষিণ এশিয়া) প্রবুদ্ধ সেন বলেন, ‘যারা কাজ, শিক্ষা, ব্যবসা ও অবসর সময় কাটানোর জন্য গ্রিস ভ্রমণে আগ্রহী, নতুন কেন্দ্রটি বাংলাদেশের জনগণকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে। এই উন্নয়ন জিভিডব্লিউসি’র সঙ্গে আমাদের বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের আরেকটি অধ্যায়, যার সঙ্গে আমরা ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছি।’
অত্যাধুনিক নতুন ভিএসি নিয়মিত আবেদনকারীদের জন্য ডেডিকেটেড সাবমিশন কাউন্টারের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন ভিসা অভিজ্ঞতা খুঁজছেন এমন ভ্রমণকারীদের জন্য ঐচ্ছিক প্রিমিয়াম লাউঞ্জ পরিষেবা দিয়ে সজ্জিত থাকবে।
জিভিসিডাব্লু বিশ্বের ১৮টি দেশ ও ৮২ টি শহরে কাজ করে। এর অপারেশনাল সক্ষমতা এবং অংশীদারদের মূল্যবান অবদানের ওপর ভিত্তি করে, বিশেষত হেলেনিক টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশন (ওটিই), ইউরোপের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা এবং ভিএফএস গ্লোবাল, জিভিসিডাব্লু প্রতিদিন হাজার হাজার ভিসা আবেদনকারীকে সেবা দিচ্ছে।
জিভিসিডব্লিউ'র ৮২টি ভিএসি এবং এর অত্যাধুনিক অনলাইন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন প্রযুক্তি রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রায় ৩০০ ভিসা হ্যান্ডলিং কর্মীর নিরন্তর প্রচেষ্টা আরও দক্ষ কর্মপ্রবাহের অনুমতি দেয় এবং সংশ্লিষ্ট গ্রিক কনস্যুলেটের কাজের চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর হয়েছে।
প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার গ্রিস ভিসা আবেদন গ্রহণের সঙ্গে দেশটি বাংলাদেশের জন্য একটি উদীয়মান গন্তব্যস্থল।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন নেয়া শুরু করছে মার্কিন দূতাবাস
১ বছর আগে