বেইজিং
প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে কিম-কন্যা, বেইজিংয়ে তার উপস্থিতি কী বার্তা দিচ্ছে?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দিতে ছয় বছর পর প্রথমবারের মতো চীন সফরে গেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) যখন বেইজিংয়ে পৌঁছে নিজের সবুজ ট্রেন থেকে নামেন কিম, তখন তার পেছনে দেখা যায় হাস্যেজ্জ্বল এক তরুণীকে। ওই তরুণী কিমের কন্যা কিম জু আয়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরেই উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন সামরিক অনুষ্ঠানে কিমের সঙ্গে দেখা গেছে তাকে। তবে নিজ দেশের বাইরে এটিই ছিল জুয়ের প্রথম সফর। তার বেইজিং সফর নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হলো, তাহলে জু-ই কি কিমের উত্তরসূরি হতে চলেছেন?
সিএনএন বলছে, উত্তর কোরিয়ার বাইরে তার এই প্রথম প্রকাশ্য সফর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই আয়োজনে তার বাবা কিম বিশ্বের অপর দুই ক্ষমতাধর নেতা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়াবেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের সম্পর্ক তাকেও সামলাতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) কুচকাওয়াজে যখন লাল গালিচায় হাঁটছিলেন কিম, তখন জু কে তার সঙ্গে দেখা যায়নি।
পড়ুন: চীনে এসসিও সম্মেলন ও সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন কারা
৯৩ দিন আগে
সহযোগিতা এগিয়ে নিতে ঢাকা–ইসলামাবাদের সঙ্গে কাজ করছে বেইজিং: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠককে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ‘কনক্রিট সহযোগিতার’ উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে চীন এ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ও যেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়েছে, তা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
‘আমরা এরইমধ্যে শিল্প, বাণিজ্য, শিক্ষা, পরিবেশ সুরক্ষা, পানিসম্পদসহ ১২টি ক্ষেত্রে কনক্রিট সহযোগিতা চিহ্নিত করেছি। এ নিয়ে কিছু ফলোআপ হবে এবং আমরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে এ ঐকমত্য বাস্তবায়নে কাজ করছি,’ বলেন তিনি।
বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীতে এক সেমিনারে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, সম্প্রতি কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও তিন দেশের—বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের—জনগণের জীবনমান উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উদ্যোগের অংশ।
‘আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রয়েছি। বহু বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমি এটিকে তিন দেশের সাধারণ স্বার্থে একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখি,’ বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সহযোগিতার মূলনীতি হলো উন্মুক্ত থাকা, স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং পারস্পরিক উপকার নিশ্চিত করা। ‘আমাদের সহযোগিতা পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। এটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ একটি প্রক্রিয়া। এটি কোনো তৃতীয় দেশকে লক্ষ্য করে নয়। এটিই আমাদের বার্তা, বলেন এই কূটনীতিক।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শুরু হচ্ছে আজ
বাংলাদেশে চীনা ব্যবসায়ী সংগঠন চাইনিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) আয়োজিত ‘চীন–বাংলাদেশ শিল্প ও সরবরাহ চেইন সহযোগিতা’ শীর্ষক সেমিনারে এই বক্তব্য দেন তিনি।
সেমিনারে ‘সিইএবি ইন্ডাস্ট্রি রিপোর্ট’ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগের প্রতিনিধিরা এবং দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান অবকাঠামো, সংযোগ, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, সামুদ্রিক বিষয়, তথ্যপ্রযুক্তি, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে গভীরতর সহযোগিতার জন্য একাধিক খাত চিহ্নিত করে।
চীন–দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো’র ৯ম আসর এবং চীন–দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা বৈঠকের ৬ষ্ঠ আসরের ফাঁকে গত ১৯ জুন কুনমিংয়ে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি ‘অনানুষ্ঠানিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক’ অনুষ্ঠিত হয়।
২৬ জুন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন স্পষ্ট করেন, বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো নতুন জোট গঠনের বিষয় নেই এবং এটি প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিরুদ্ধে কিছু নয়।
‘আমরা কোনো জোট গঠন করছি না। এটি ছিল সরকারি পর্যায়ের একটি বৈঠক, রাজনৈতিক পর্যায়ে নয়… এখানে কোনো জোট গঠনের উপাদান ছিল না,’ গত মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি।
বৈঠকটি ভারতের বিপক্ষে কোনো কৌশল ছিল কি না— এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা হোসেন বলেন, ‘এটি অবশ্যই কোনো তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে নয়। আমি আপনাদের তা নিশ্চিত করে বলতে পারি।’
১৪৮ দিন আগে
ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা।
এর পাশাপাশি, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো— বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
২৫২ দিন আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছে কারণ ঢাকা মনে করে মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে। এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।’
রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকায় এক সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা জানি একটিই সমাধান আছে- আর তা হলো তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে- মিয়ানমার।’আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করে হোসেন বলেন, অনেক সময় অন্য সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়, কিন্তু সেসব সমাধানের কোনোটিই কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এবং তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা দিয়ে তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সবসময় একে অপরের সঙ্গে সমতার সঙ্গে আচরণ করে এবং একে অপরকে সমর্থন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান ও লাভজনক সহযোগিতার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে।
চীনা দূতাবাস সেন্টার ফর চাইনিজ স্টাডিজ (এসআইআইএস-ডিইউ) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) -এর সহযোগিতায় 'বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: একটি ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি' শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারে বাংলাদেশ: বিশ্ব ব্যাংক
এসআইআইএসের একাডেমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াং জিমিয়ান, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কিত শ্বেতপত্র কমিটির সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিআইআইএসএস’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতেও রয়েছে।
ঢাকার একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি উত্থাপন অব্যাহত রাখব। মালয়েশিয়া আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন একটি বিষয় যযা আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এবং আমরা আসিয়ানের মাধ্যমে, মালয়েশিয়ার সরকারের মাধ্যমে এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করি।’
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের সম্প্রদায়ের বাংলাদেশিসহ ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করে।
ইউএনএইচসিআর’র মতে, এই আবেদনটির পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সহযোগিতার গভীর সম্পর্কের 'ঐতিহাসিক সুযোগের' সম্মুখে ঢাকা-বেইজিং: রাষ্ট্রদূত
৪১৫ দিন আগে
বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে বুধবার(১০ জুলাই) রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে এবং বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
এর আগের সফরসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার(১১ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করার কথা ছিল।
৮ থেকে ১০ জুলাই বেইজিংয়ে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া একই দিন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক করবেন তিনি।
বুধবার বিকালে প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে সফর শেষ করবেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ককে 'কৌশলগত অংশীদারিত্ব' থেকে 'ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে' উন্নীত করাই এই সফরের লক্ষ্য।
বুধবার বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।
রবিবার(৭ জুলাই) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই স্পেন-ব্রাজিল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
হাছান মাহমুদ বলেন, সফরকালে দুই দেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি’র বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছেছিল।
শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন সফর করেছেন।
আগামী বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে।
গত ২১ থেকে ২২ জুন তার শেষ ভারত সফরের পর ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের দ্বিতীয় দিন ৯ জুলাই এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেলের সভাকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী চীনের বেইজিংয়ের শাংগ্রিলা সার্কেলে চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ক এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
বিকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী ও কনসালটেটিভ পার্টি ওয়াং হুনিংয়ের সভাপতির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণবীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউসে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন।
বুধবার গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকসহ অসংখ্য সমঝোতা স্মারক সই হবে।
পরে তিনি একই স্থানে চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় অংশ নেবেন।
বুধবার বিকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৫১৩ দিন আগে
তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের বীরদের স্মৃতিস্তম্ভ হিরোস মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশটিতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী চীনের বিপ্লবী বীরদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে বিউগল বাজানো হয়।
অনুষ্ঠানে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়।
এর আগে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে সোমবার চীন পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৫১৪ দিন আগে
বিআরআই’র দশম বার্ষিকী: বেইজিংয়ে উদীয়মান দেশগুলোর নেতাদের বৈঠক
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বার্ষিকী উপলক্ষে চীন সরকার আয়োজিত একটি বৈঠকে যোগ দিতে উদীয়মান বাজারের দেশগুলোর নেতারা বেইজিংয়ে আসছেন।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান চীনে পৌঁছানোর পর ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বেইজিংয়ে অবতরণ করেন।
হাঙ্গেরির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এমটিআই জানিয়েছে, রবিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন অরবান।
এই উদ্যোগের আওতায় চীনা কোম্পানিগুলো বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিশ্বজুড়ে বন্দর, সড়ক, রেলপথ, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ চীনের বিআরআই’র আওতায় একটি যুগান্তকারী প্রকল্প: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
কিন্তু চীনের যে বিপুল পরিমাণ উন্নয়ন ঋণ এই প্রকল্পগুলোকে অর্থায়ন করেছে, তা কিছু দরিদ্র দেমের ওপর ভারী ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।
বুধবারের (১৮ অক্টোবর) মূল অনুষ্ঠানে আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য নেতারা বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে যোগ দেবেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে বিআরআই: প্রতিবেদন
৭৮১ দিন আগে
জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে এবং উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং এর মাধ্যমে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
সোমবার গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর দশম বার্ষিকী।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিআরআই-এর আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ফল পাওয়ার সময়ে পৌঁছেছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিআরআইতে যোগ দেয়।
এছাড়া গত সাত বছরে বিআরআই সোনালী বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআই'র ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘সামনের দিকে তাকিয়ে, উভয় দেশের উচিৎ উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো গ্রহণ করা, উন্নয়ন কৌশলগুলো আরও সংহত করা, উচ্চ মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা পরিচালনা করা এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো কাজে লাগানো।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। চীন ও বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও জোরদার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য।
তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, আপাতত দুই দেশের মধ্যে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১০ হাজার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দূতাবাস দু'দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে সর্বস্তরের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের স্থানীয় সমাজের সঙ্গে আরও একীভূত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রসারে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।
১৯তম এশিয়ান গেমস চীনের হাংঝুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদদের একটি ‘উদীয়মান’ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই তারা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক এবং বাংলাদেশের নাম সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরুক।’
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
৮০১ দিন আগে
সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতাই ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের ভিত্তি: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতাই বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের ভিত্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যহারে অগ্রগতি অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আধিপত্য বিস্তার, সম্প্রসারণ বা প্রভাব বিস্তার করা চীনের নীতিতে নেই।
রাষ্ট্রদূত বক্তব্যে বলেন, ‘দুই দেশের নেতারা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তা সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক চীন।’
বুধবার বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের আমন্ত্রণে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও
লেকচারে এনডিসির কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেনসহ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৭০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা এবং বিদেশি সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভকে অগ্রাধিকার দেয় এবং একটি নিরাপত্তা ধারণা প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন করে। যা একটি সাধারণ, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক ও টেকসই পদ্ধতির উপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এজেন্ডাগুলোর অগ্রগতির আশা করছে রাশিয়া ও চীন
সামরিক পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, চীন একটি জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করে যা প্রকৃতিগতভাবে প্রতিরক্ষামূলক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন নিজের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার সময় পারস্পরিক ভবিষ্যতের আলোকে একটি বৈশ্বিক সম্প্রদায় গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ দুই সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন স্তরে বিনিময় আরও জোরদার করতে ইচ্ছুক। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা শিল্প ও সহযোগিতা আরও গভীর করা, বাণিজ্য, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি, নৌবাহিনীর জাহাজের পারস্পরিক পরিদর্শন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহযোগিতা করতেও ইচ্ছুক চীন।
বক্তব্যের শেষে রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীন-মার্কিন সম্পর্ক, চীন-ভারত সম্পর্ক, ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল’, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উদ্যোগের আওতায় চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার বিষয়ে খোলামেলা বন্ধুত্বপূর্ণ মতবিনিময় করেন। তাইওয়ান প্রশ্ন এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের উচিত নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র অন্বেষণে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
৮৩৪ দিন আগে
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক পুনরুদ্ধারের গতি বাড়িয়েছে বেইজিং
উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা এগিয়ে নিতে বেইজিং বৃহস্পতিবার থেকে ফাংশান ও মেনটুগু জেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রধান সড়কগুলো পুনরুদ্ধারের গতি বাড়িয়েছে।
টাইফুন জনিত প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসতে চীনা কর্তৃপক্ষ ব্যাপক উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে।
গত কয়েকদিনে বেইজিংয়ে ১৪০ বছর পূর্বে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় শহরে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত এলাকায় অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ দিল চীন
বেইজিংয়ের কাউন্টিতে মোট ৯৩টি মহাসড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যার সবকটিই শহরতলিতে অবস্থিত।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেইজিংয়ের ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলোর পুনরুদ্ধারের কাজ এখনও ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে। বন্যার পানিতে প্রায় ৮৪০ গ্রামীণ সড়ক ও ৩টি শহুরে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যেসব কারণে সড়ক পুনরুদ্ধারের কাজের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে- জনবল ও বৃহৎ যন্ত্রপাতি যুক্ত করা, নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকা।
আরও পড়ুন: চীনে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
৮৫২ দিন আগে