বেইজিং
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছে কারণ ঢাকা মনে করে মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে। এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।’
রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকায় এক সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা জানি একটিই সমাধান আছে- আর তা হলো তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে- মিয়ানমার।’আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করে হোসেন বলেন, অনেক সময় অন্য সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়, কিন্তু সেসব সমাধানের কোনোটিই কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এবং তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা দিয়ে তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সবসময় একে অপরের সঙ্গে সমতার সঙ্গে আচরণ করে এবং একে অপরকে সমর্থন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান ও লাভজনক সহযোগিতার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে।
চীনা দূতাবাস সেন্টার ফর চাইনিজ স্টাডিজ (এসআইআইএস-ডিইউ) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) -এর সহযোগিতায় 'বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: একটি ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি' শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারে বাংলাদেশ: বিশ্ব ব্যাংক
এসআইআইএসের একাডেমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াং জিমিয়ান, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কিত শ্বেতপত্র কমিটির সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিআইআইএসএস’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতেও রয়েছে।
ঢাকার একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি উত্থাপন অব্যাহত রাখব। মালয়েশিয়া আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন একটি বিষয় যযা আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এবং আমরা আসিয়ানের মাধ্যমে, মালয়েশিয়ার সরকারের মাধ্যমে এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করি।’
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের সম্প্রদায়ের বাংলাদেশিসহ ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করে।
ইউএনএইচসিআর’র মতে, এই আবেদনটির পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সহযোগিতার গভীর সম্পর্কের 'ঐতিহাসিক সুযোগের' সম্মুখে ঢাকা-বেইজিং: রাষ্ট্রদূত
১ মাস আগে
বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে বুধবার(১০ জুলাই) রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে এবং বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
এর আগের সফরসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার(১১ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করার কথা ছিল।
৮ থেকে ১০ জুলাই বেইজিংয়ে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া একই দিন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক করবেন তিনি।
বুধবার বিকালে প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে সফর শেষ করবেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ককে 'কৌশলগত অংশীদারিত্ব' থেকে 'ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে' উন্নীত করাই এই সফরের লক্ষ্য।
বুধবার বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।
রবিবার(৭ জুলাই) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই স্পেন-ব্রাজিল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
হাছান মাহমুদ বলেন, সফরকালে দুই দেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি’র বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছেছিল।
শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন সফর করেছেন।
আগামী বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে।
গত ২১ থেকে ২২ জুন তার শেষ ভারত সফরের পর ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের দ্বিতীয় দিন ৯ জুলাই এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেলের সভাকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী চীনের বেইজিংয়ের শাংগ্রিলা সার্কেলে চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ক এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
বিকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী ও কনসালটেটিভ পার্টি ওয়াং হুনিংয়ের সভাপতির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণবীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউসে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন।
বুধবার গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকসহ অসংখ্য সমঝোতা স্মারক সই হবে।
পরে তিনি একই স্থানে চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় অংশ নেবেন।
বুধবার বিকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৪ মাস আগে
তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের বীরদের স্মৃতিস্তম্ভ হিরোস মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশটিতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী চীনের বিপ্লবী বীরদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে বিউগল বাজানো হয়।
অনুষ্ঠানে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়।
এর আগে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে সোমবার চীন পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৪ মাস আগে
বিআরআই’র দশম বার্ষিকী: বেইজিংয়ে উদীয়মান দেশগুলোর নেতাদের বৈঠক
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বার্ষিকী উপলক্ষে চীন সরকার আয়োজিত একটি বৈঠকে যোগ দিতে উদীয়মান বাজারের দেশগুলোর নেতারা বেইজিংয়ে আসছেন।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান চীনে পৌঁছানোর পর ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বেইজিংয়ে অবতরণ করেন।
হাঙ্গেরির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এমটিআই জানিয়েছে, রবিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন অরবান।
এই উদ্যোগের আওতায় চীনা কোম্পানিগুলো বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিশ্বজুড়ে বন্দর, সড়ক, রেলপথ, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ চীনের বিআরআই’র আওতায় একটি যুগান্তকারী প্রকল্প: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
কিন্তু চীনের যে বিপুল পরিমাণ উন্নয়ন ঋণ এই প্রকল্পগুলোকে অর্থায়ন করেছে, তা কিছু দরিদ্র দেমের ওপর ভারী ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।
বুধবারের (১৮ অক্টোবর) মূল অনুষ্ঠানে আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য নেতারা বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে যোগ দেবেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে বিআরআই: প্রতিবেদন
১ বছর আগে
জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে এবং উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং এর মাধ্যমে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
সোমবার গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর দশম বার্ষিকী।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিআরআই-এর আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ফল পাওয়ার সময়ে পৌঁছেছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিআরআইতে যোগ দেয়।
এছাড়া গত সাত বছরে বিআরআই সোনালী বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআই'র ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘সামনের দিকে তাকিয়ে, উভয় দেশের উচিৎ উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো গ্রহণ করা, উন্নয়ন কৌশলগুলো আরও সংহত করা, উচ্চ মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা পরিচালনা করা এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো কাজে লাগানো।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। চীন ও বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও জোরদার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য।
তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, আপাতত দুই দেশের মধ্যে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১০ হাজার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দূতাবাস দু'দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে সর্বস্তরের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের স্থানীয় সমাজের সঙ্গে আরও একীভূত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রসারে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।
১৯তম এশিয়ান গেমস চীনের হাংঝুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদদের একটি ‘উদীয়মান’ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই তারা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক এবং বাংলাদেশের নাম সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরুক।’
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
১ বছর আগে
সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতাই ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের ভিত্তি: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতাই বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের ভিত্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যহারে অগ্রগতি অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আধিপত্য বিস্তার, সম্প্রসারণ বা প্রভাব বিস্তার করা চীনের নীতিতে নেই।
রাষ্ট্রদূত বক্তব্যে বলেন, ‘দুই দেশের নেতারা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তা সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক চীন।’
বুধবার বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের আমন্ত্রণে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও
লেকচারে এনডিসির কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেনসহ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৭০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা এবং বিদেশি সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভকে অগ্রাধিকার দেয় এবং একটি নিরাপত্তা ধারণা প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন করে। যা একটি সাধারণ, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক ও টেকসই পদ্ধতির উপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এজেন্ডাগুলোর অগ্রগতির আশা করছে রাশিয়া ও চীন
সামরিক পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, চীন একটি জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করে যা প্রকৃতিগতভাবে প্রতিরক্ষামূলক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন নিজের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার সময় পারস্পরিক ভবিষ্যতের আলোকে একটি বৈশ্বিক সম্প্রদায় গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ দুই সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন স্তরে বিনিময় আরও জোরদার করতে ইচ্ছুক। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা শিল্প ও সহযোগিতা আরও গভীর করা, বাণিজ্য, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি, নৌবাহিনীর জাহাজের পারস্পরিক পরিদর্শন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহযোগিতা করতেও ইচ্ছুক চীন।
বক্তব্যের শেষে রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীন-মার্কিন সম্পর্ক, চীন-ভারত সম্পর্ক, ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল’, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উদ্যোগের আওতায় চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার বিষয়ে খোলামেলা বন্ধুত্বপূর্ণ মতবিনিময় করেন। তাইওয়ান প্রশ্ন এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের উচিত নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র অন্বেষণে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
১ বছর আগে
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক পুনরুদ্ধারের গতি বাড়িয়েছে বেইজিং
উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা এগিয়ে নিতে বেইজিং বৃহস্পতিবার থেকে ফাংশান ও মেনটুগু জেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রধান সড়কগুলো পুনরুদ্ধারের গতি বাড়িয়েছে।
টাইফুন জনিত প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসতে চীনা কর্তৃপক্ষ ব্যাপক উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে।
গত কয়েকদিনে বেইজিংয়ে ১৪০ বছর পূর্বে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় শহরে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত এলাকায় অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ দিল চীন
বেইজিংয়ের কাউন্টিতে মোট ৯৩টি মহাসড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যার সবকটিই শহরতলিতে অবস্থিত।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেইজিংয়ের ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলোর পুনরুদ্ধারের কাজ এখনও ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে। বন্যার পানিতে প্রায় ৮৪০ গ্রামীণ সড়ক ও ৩টি শহুরে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যেসব কারণে সড়ক পুনরুদ্ধারের কাজের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে- জনবল ও বৃহৎ যন্ত্রপাতি যুক্ত করা, নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকা।
আরও পড়ুন: চীনে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
১ বছর আগে
চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানী বেইজিংয়ের আশেপাশের পাহাড়ে বন্যায় ১১ জন নিহত হয়েছেন এবং ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দেশটির সিসিটিভি চ্যানেল জানিয়েছে, কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে কর্তৃপক্ষ ট্রেন স্টেশনগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। দুর্বল সম্প্রদায়ের লোকদের স্কুলের জিমে সরিয়ে নিয়েছে। বাড়িঘর ডুবে গেছে এবং রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে।
মৌসুমী বন্যা প্রতি গ্রীষ্মে চীনের বড় অংশে আঘাত হানে, বিশেষ করে আধা-ক্রান্তীয় দক্ষিণে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সমাবেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত, আহত প্রায় ২০০
তবে দেশটির উত্তরাঞ্চলে এই বছর ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার খবর পাওয়া গেছে।
জুলাইয়ের শুরুর দিকে চংকিং-এর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে বন্যায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছিল এবং সুদূর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশে প্রায় ৫ হাজার ৫৯০ জন লোককে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।
হুবেই প্রদেশের মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি-ঝড়ে বাসিন্দারা বাড়িতে আটকে পড়ে।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে চীনের সবচেয়ে মারাত্মক এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বন্যা ছিল ১৯৯৮ সালে। সেবার ৪ হাজার ১৫০ জন মারা গিয়েছিল।
২০২১ সালে হেনানের কেন্দ্রীয় প্রদেশে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। সেই বছরের ২০ জুলাই রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে প্রাদেশিক রাজধানী ঝেংঝো প্লাবিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ৫
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করছে ঢাকা ও বেইজিং
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের চলমান প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসনে আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
মোমেন এবং চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডন সম্মত হয়েছেন যে সমস্যার একটি জরুরি সমাধান প্রয়োজন, কারণ যদি আর কোনো সমাধান না করা হয়, তাহলে এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বাস্তব হুমকি হিসেবে বিকশিত হতে পারে।
রবিবার মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় চীনের উল্লেখযোগ্য অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন: মোমেন
তিনি দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোমেন ২৭ মে ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য সানকে অভিনন্দন জানান।
দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও সভ্যতার সম্পর্ক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫০-এর দশকে চীন সফর এবং তিনি যা দেখেছিলেন তার ওপর তিনি যে বইটি লিখেছিলেন তার কথা উল্লেখ করেন।
বৃহৎ পদ্মা বহুমুখী সেতুর জন্য তার প্রশংসা করে সান উল্লেখ করেন যে এই কাঠামোটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি নতুন প্রতীক হিসাবে দাঁড়িয়েছে এবং পর্যবেক্ষণ করেছেন যে দুটি দেশ বৃহত্তর এবং আরও ভাল সমন্বয়ের মাধ্যমে বিস্ময়কর কাজ করতে পারে।
মোমেন উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশে চীনা এফডিআইয়ের বৃহত্তর প্রবাহের আমন্ত্রণ জানান এবং উৎসাহিত করেন।
তিনি কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন চীন যে সহায়তা দিয়েছিল তা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সংক্ষিপ্ত বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন।
চীনে ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত প্রবেশের সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করার সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ যাতে এই ব্যবস্থা থেকে সর্বোত্তম সুবিধা পেতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় সম্মত হওয়া প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন তিনি।
সান বাংলাদেশের উদ্যমী যুব জনগোষ্ঠীর প্রশংসা করেন যারা সমাজ ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের দশম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ এই মহাপরিকল্পনা থেকে সর্বাধিক সুফল পাবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: মোমেন
১ বছর আগে
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়ন দেখে বেইজিং মুগ্ধ: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
চীন বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়ন দেখে অনুপ্রাণিত বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো ‘শক্তিশালী নেতা’ থাকায় তারা বাংলাদেশের আরও অগ্রগতি দেখতে পাবে।
উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশের কাছে মডেল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অভিন্ন উন্নয়ন।’
রাষ্ট্রদূত ইয়াও রবিবার সন্ধ্যায় ২০২৩ চীনা সরকারি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারীদের সম্মানে প্রি-ডিপারচার রিসেপশনে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’ চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের অংশগ্রহণকারীরা খুবই ভাগ্যবান, কারণ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের তিন বছর পর এই ধরনের সফর আবার শুরু হয়েছে।
ইয়াও বলেন, এই কর্মসূচি অংশগ্রহণকারীদের চীনকে আরও ভালোভাবে অধ্যয়ন করতে সাহায্য করবে, কারণ দুই দেশের সকল দিক থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে।
দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাউন্সেলর সং ইয়াং, সেন্টার সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (এসআইআইএস) এর সিনিয়র ফেলো এবং চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার মহাসচিব চায়না লিউ জংই, চীনের ফুদান ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক লিন মিনওয়াং এবং চীনের ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (এসআইআইএস,) এর সহকারী রিসার্চ ফেলো এল আই হংমেই সহ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালে চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বাংলাদেশে একটি ‘ঐতিহাসিক সফর’ করেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে মিলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করেন।
চীন সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ২০৪১ সালের মতো লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভবিষ্যতের বাংলাদেশের চীনের মতো মেধাবী ও দক্ষ লোকের প্রয়োজন।
তারা বলেন, বাংলাদেশে দক্ষ লোকের প্রয়োজন এবং এই কর্মসূচি তাদের জন্য উপযোগী হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের উচিত নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র অন্বেষণে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
কসমস অ্যাতেলিয়ার ৭১ পরিদর্শন করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
১ বছর আগে