ইএমএফ
নির্বাচনের আগে আরও দুটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল আসবে বাংলাদেশে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগামী ২৮ জুলাই ও ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আরও দুটি দল বাংলাদেশ সফর করবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ফোরাম (ইএমএফ) জানায়, তাদের আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় দল বাংলাদেশ সফর করবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব পরিস্থিতি ও পরিবেশ মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দল বাংলাদেশ সফরসহ ইএমএফের ধারাবাহিক কার্যক্রম বিষয়ে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনে করা হয় বলে জানায় আয়োজক সংস্থাটি।
তারা জানান, ২৮ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে আসবে। তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি ও পরিবেশ মূল্যায়নে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম, তবে অনিয়মের অভিযোগ নেই: পর্যবেক্ষক দল
সফরে আসা দ্বিতীয় দলে রয়েছেন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি. টেরি এল ইসলে, আয়ারল্যান্ড থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিবিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মি. নিক পল, দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকারকর্মী মি. পার্ক চুং চাং, জাপান থেকে সমাজকর্মী মি. ইউসুকী সুগু, যুক্তরাজ্যের লেখক ও গবেষক মি. মাইকেল জন শেরিফ এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি. এন্ডি লিন।
এরপর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তৃতীয় টিম বাংলাদেশে সফর করবেন।
ওই টিমে থাকবেন মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশের প্রতিনিধিরা।
আগামী ২৮ জুলাই পর্যবেক্ষকদের দলের নেতৃত্ব দেবেন আয়ারল্যান্ড থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনীতিবিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মি. নিক পউল।
সফরকালে প্রতিনিধিরা আগামী ২৯ জুলাই সকালে নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক পরিবেশ মূল্যায়ন শীর্ষক নাগরিক সংলাপে অংশগ্রহণ করবেন।
৩০ ও ৩১ জুলাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক চান প্রধানমন্ত্রী
এ ছাড়াও আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি (জাপা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাকের পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, জাসদ, ইসলামী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কর্মসূচি রয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে জার্মান, নেপাল, ভারত ও ভুটানসহ চার দেশের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রথম টিম বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
তারা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনসহ দেশের বেশকিছু রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ইকবাল বাহার, মনির হোসেন ও সুলতানা রাজিয়া শিলা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্মুক্ততার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
১ বছর আগে
নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে: ইএমএফ
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৫টি নির্বাচনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ফোরামের (এএমএফ) নেতারা।
ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মঙ্গলবার মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তারা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক দলের অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় সরজমিনে দেখতে ঢাকায় অবস্থান করছেন নির্বাচনবিষয়ক অনুসন্ধানী মিশন ইইউ এর প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার সকালে প্রতিনিধি দলের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকাস্থ ইইউ দূতাবাসে এএমএফ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এএমএফের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ইএমএফের উপদেষ্টা ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ফোরামের পরিচালক ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান ও বুয়েটের উপউপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান।
সাক্ষাৎকালে ইএমএফ নেতারা বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি স্থানীয় নির্বাচনসমূহে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এ কারণে সিসি ক্যামেরা ব্যবস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ছাড়া গাইবান্ধা উপনির্বাচনে অনিয়মের দায়ে নির্বাচন বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অজৃন করেছে।
সম্প্রতি পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতক দল অংশ না নিলেও এ দলের সমর্থিত সাবেক কাউন্সিলর ও স্থানীয় নেতাদের বড় একটি অংশ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং অনেকেই নির্বাচিত হয়েছেন।
এতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, সাহসিকতা ও সক্ষমতা প্রমাণ হয়। যেসব স্থানীয় নির্বাচন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে এতে সরজমিনে পর্যবেক্ষণে লক্ষ্য দেখা গেছে, নির্বাচনে সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করেনি বা প্রভাব ফেলেনি। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।
১ বছর আগে