এক দফা
ফের বন্ধ মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশে আবারও বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা।
রবিবার (৪ আগস্ট) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় বিটিআরসি।
শুধুমাত্র কল করার জন্য টুজি পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে এক বিবৃতিতে গ্রামীণফোন জানায়, 'কর্তৃপক্ষ মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
৪ মাস আগে
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা
আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। এই দাবিকে তারা ‘শিক্ষার্থীদের দাবি’ বলে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে 'অসহযোগ আন্দোলনের' জরুরি নির্দেশনা
শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশাল সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলমসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়করা।
অসহযোগ আন্দোলনের পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রবিবার থেকে তারা আন্দোলন বাস্তবায়ন করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগ কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
৪ মাস আগে
এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিটের গণমিছিল
একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাজধানীর দয়াগঞ্জ ও গুলশান এলাকায় পৃথক দুটি মিছিল করেছে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এক দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্যই এই কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দয়াগঞ্জে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার মিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি নেতা চলমান আন্দোলন দমন করতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর নিপীড়ন চালানোর জন্য সরকারের সমালোচনা করেন। তিরি বলেন, ‘গোটা দেশ দৃশ্যত জেলখানায় পরিণত হয়েছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা আমাদের অনেক নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ অর্জনকারী নয়জন পুলিশ কর্মকর্তা এখন সেখানে যেতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রকে আরও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাচ্ছে।
একটি নিরপেক্ষ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে মর্যাদার সঙ্গে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান ফখরুল।
পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার জনগণের টাকা চুরি করে আগামী নির্বাচনে ব্যবহার করতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে।
এদিকে বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশান এলাকায় ডিসিসি মার্কার কাছে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির মিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সমাবেশে বক্তৃতায় আব্বাস বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য বিরোধীদের দমন করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে।
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও নিপীড়ন বন্ধ করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতেও তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কারাগার থেকে তার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তারা তীব্র আন্দোলন করবেন।
পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। এ মিছিল মহাখালী বাসস্টেশনে গিয়ে শেষ হবে।
দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী দুই মিছিলে যোগ দেন।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), এনডিএম, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের দুই পক্ষ পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করছে।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর লক্ষ্য নিয়ে বিরোধী দলের এক দফা আন্দোলনের এটি চতুর্থ কর্মসূচি।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান “ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ” আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক রাজবন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা ও সাজানো’ মামলা প্রত্যাহার এবং সব ‘মিথ্যা সাজা’ বাতিল করা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে গত বছরের ডিসেম্বরে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিএনপি ও সমমনা দল এবং জোট একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
১ বছর আগে
এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার বিশাল মিছিল
চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বাড্ডা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে মালিবাগের দিকে পৃথক দুটি মিছিল নিয়ে আসে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।
বিরোধী দলের এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান।
এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার মিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ড ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার কোনোভাবেই আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে পারবে না। ‘কোনোকিছুই এবার আমাদের দমাতে পারবে না।’
ফখরুল বলেন, সরকার যাতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনের নামে আরেকবার খেলা করতে পারে, তাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) দুটি অখ্যাত দলকে নিবন্ধন দিয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ এবার ক্ষমতাসীন দলকে কোনো অন্যায় খেলা খেলতে দেবে না।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য: ফখরুল
১ বছর আগে
এক দফা আন্দোলন: ২৭ জুলাই ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি।
শনিবার (২২ জুলাই) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুপুর ২টায় রাজধানীতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি। তবে সমাবেশস্থলের নাম উল্লেখ করেননি ফখরুল।
বর্তমান সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে সর্বস্তরের জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
অন্যান্য সমমনা দল ও জোটও একই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিকাল ৩টা ২৮ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে।
কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথের আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা।
আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির যুব সমাবেশের মঞ্চ
অতিরিক্ত লোডের কারণে অনুষ্ঠানের জন্য স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চটি ভেঙে পড়ায় সমাবেশটি ৯০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়।
দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে দলীয় নেতা-কর্মীরা ডেকোরেশন কোম্পানির কর্মচারীদের সহায়তায় ভাঙা মঞ্চটি মেরামত করেন।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুণ নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন রঙের ক্যাপ পরে, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও দলের শীর্ষ নেতাদের ছবি নিয়ে সকাল থেকেই মিছিলে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
সমাবেশস্থল ছাড়াও আশপাশের সড়কে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা, এতে আশপাশের এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের চারপাশে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
তিনটি সংগঠন এর আগে পাঁচটি তারুণ্যের সমাবেশ করে তরুণদের ব্যাপক সাড়া পায়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি তরুণ প্রজন্মের সমর্থন জোগাতে গত ২ জুন বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন চট্টগ্রাম, বগুড়া, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ঢাকায় ছয়টি যুব সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ বিএনপি সমর্থকরা
এক দফা আন্দোলন ঠেকাতে লক্ষ্মীপুরে সজীব হত্যা: বিএনপি
১ বছর আগে
কৃষিমন্ত্রীর হাতে এক দফার লিফলেট দিলেন বিএনপি নেতা মিলন
সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ‘এক দফা’ দাবি-সম্পর্কিত লিফলেট কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের হাতে তুলে দিয়েছেন বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন।
শুক্রবার (২১ জুলাই) জুমার নামাজের পর রাজধানীর একটি একটি মসজিদের সামনে মন্ত্রীর হাতে একটি প্রচারপত্র এগিয়ে দেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজধানীতে শোকমিছিল করবে বৃহস্পতিবার
এ সময় মন্ত্রী প্রচারপত্রটি হাসিমুখে তা গ্রহণ করেন।
বিএনপি নেতারা তাদের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদের সামনে মুসল্লিদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।
এছাড়া বিএনপির গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি মিলনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা সার্কিট হাউস মসজিদের সামনেও লিফলেট বিতরণ করছিলেন।
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে মিলন বলেন, তিনি মসজিদের সামনে প্রায় আড়াইশ জনের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, কৃষিমন্ত্রী যখন নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন, আমি তাকে একটি লিফলেট দিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি ড. কামাল হোসেনকেও সেখানে পেয়েছিলাম এবং তাকে একটি লিফলেটও দিয়েছিলাম।
এদিকে এক পাতার লিফলেটে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর এক দফা আন্দোলন সফল করতে রাজপথে নামার আহ্বান জানানো হয়েছে।
লিফলেট-এ লেখা রয়েছে-
অবৈধ সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে এবং দেশ ও এর জনগণকে সর্বব্যাপী দুর্নীতি এবং বিপজ্জনক জঙ্গল শাসন থেকে বাঁচানোর জন্য নির্দলীয় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
লিফলেটে ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ এক দফা দাবিতে সারা দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ’ শিরোনামে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের নোংরা কৌশলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে, তাদের দলের নেতাকর্মীরা সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবি জানাতে জুমার নামাজের পর সারাদেশের মসজিদে মুসল্লিদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর ব্যর্থতায় ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ চায় বিএনপি
এক দফা আন্দোলন ঠেকাতে লক্ষ্মীপুরে সজীব হত্যা: বিএনপি
১ বছর আগে
মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপির পদযাত্রায় হামলা
রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপির এক দফা দাবিতে পদযাত্রায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার দিকে যাত্রা শুরু করে বিএনপি।
১ বছর আগে
সরকার পতনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এক দফা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের পদযাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে ফখরুল এ ঘোষণা দেন।
আগামী ১৮ জুলাই এক দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের সকল মহানগর ও জেলায় পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে এবং একইদিন ঢাকায় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত একই কর্মসূচি পালিত হবে।
আগামী ১৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
বিএনপি ছাড়াও আরও ৩৬টি সমমনা রাজনৈতিক দল নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
সমাবেশে যোগ দিতে বুধবার সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দলের ডাকে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় পুলিশের সামনে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী ভিড় করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়াপল্টন এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশ স্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল
১ বছর আগে
বিএনপির ‘এক দফা’ কোনো গুরুত্ববহন করে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি মাঝে মধ্যে এক দফার আন্দোলন ঘোষণা করে। তাই তাদের নতুন করে এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা বিশেষ কোনো গুরুত্ববহ করে না। তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকব, দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেব না।’
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: তথ্যমন্ত্রী
১২ জুলাই বিএনপির একদফা দাবি ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অতীতেও দেখেছি বিএনপি যখনই কর্মসূচি ঘোষণা করে, তখনই তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, জনজীবনে ভোগান্তি ঘটায়। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারই তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেই সুযোগ আমরা দেব না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল, আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকব, জনগণের পাশে থাকব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল এখন দেশে অবস্থান করছে। এই সময় তাদের এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, তারা আসলেই কর্মসূচিগুলো জনগণকে দেখাতে চায় না, বিদেশিদের দেখাতে চায়। বিদেশিরা তাদের শক্তি সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান। তারা শক্তি দেখানোর জন্য চেষ্টা করছে মাত্র।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে বিএনপির শক্তি প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন তো নেই। তাদের যদি কোনো অনুযোগ, অভিযোগ থাকে সেটি জনগণের কাছে বলতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য তাদের সমস্ত কর্মসূচি, সমস্ত কথাবার্তা হচ্ছে বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টাপ্রসূত। এটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের দেউলিয়াত্বই প্রকাশ করে।’
জাতীয় সংসদে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত রিপ্রেজেন্টেশন অব দি পিপল অর্ডার (আরপিও) সংশোধন বিল পাস হওয়ায় নির্বাচন কমিশন সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপি বিরূপ মন্তব্য করেছে। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে নির্বাচন কমিশন। তারা যখন সন্তোষ প্রকাশ করে আমি সেটির সঙ্গে সহমত পোষণ করি। কারণ নির্বাচন কমিশনই বলছে যে, তারা আরপিও সংশোধনের যে প্রস্তাব দিয়েছিল সেটি যেভাবে সংসদে পাশ হয়েছে সেটি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। নির্বাচন কমিশন যে শক্তিশালী অবস্থানে আছে সেই অবস্থানে থেকে তারা একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে পারবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘আমরা রাজা-রানির দেশে বাস করতে চাইনি, গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলাম’ এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কখন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন আমি সেই প্রশ্ন রাখতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের পরে তো উনি কিছুদিন উনার বাবাসহ আত্মগোপনে ছিলেন। উনি তো মুক্তিযুদ্ধ করেননি। বরং কয়দিন আগে মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল। যে দলের মহাসচিব ‘পাকিস্তানই ভালো ছিল’ বলেন সেই দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটি নিয়েই তো প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ তার দল তাকে শোকজ করেনি বা তার পদ থেকে বাদ দেয়নি। সুতরাং মির্জা ফখরুল সাহেবরা ‘বাংলাদেশ’ কতটুকু বিশ্বাস করে সেটি প্রশ্ন। তিনি রাজা-রানি বলতে কি বেগম খালেদা জিয়াকে বুঝিয়েছেন কি না সেটিও প্রশ্ন।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে তো সংলাপে ডাকা হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন দু’দেশের ঘনিষ্ঠতর সম্পর্কের বার্তাবাহী: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে