ভিশন বাস্তবায়ন
স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির পথ বেয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা সামনের দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর আওতাধীন অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থা সমূহের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রূপান্তরের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মানুষ কাজ না করলে কর্ম সম্পাদন হবে না।
তিনি বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চাদপদ দেশে থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা। আমরা প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করি। সে দিক থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানুষের প্রয়োজনে. মানুষের কল্যাণে প্রযুক্তি ব্যবহার করবো। মানুষকে বাদ দিয়ে প্রযুক্তি নয়।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আলোচিত একটি বিষয়। মানুষের ঘাটতির কারণে ইউরোপ প্রযুক্তিকে মানুষের বিকল্প ভেবেছিলো কিন্তু মানুষের বিকল্প কোন প্রযুক্তি হতে পারে না। জাপান মানুষ ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে সোস্যাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো বা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের ধারণা নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ঠিক তেমনি পঞ্চম শিল্প বিপ্লব বা স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে প্রযুক্তি ও মানুষের মিশেলে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
এ সংগ্রাম এগিয়ে নিতে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মিন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন গতিশীল নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির বাস্তবায়নের পথবেয়ে বাংলাদেশের অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল সময়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে ১৯৭৩ সালে আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্য পদ অর্জন এবং ১৯৭৫ এর ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র চালুর মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও স্মার্ট বাংলাদেশের বীজ বপন করেন।
তিনি বলেন, মন্ত্রী কর্মসম্পাদন চুক্তির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান সমূহের অর্পিত দায়িত্ব বিগত দিনগুলোর মতো আগামী দিন গুলোতেও সফল হবেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ অধিদপ্তর এবং সংস্থাসমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
১ বছর আগে