প্রবাহিত
হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে লস্করপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ এলাকায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ‘ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে খোয়াই নদীর উৎসস্থলে ব্যারেজের ৭টি গেইট খুলে দেওয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
এছাড়া বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নদীর পানি মাছুলিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯০ ও বাল্লা পয়েন্টে ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী।
তিনি আরও বলেন, ‘হবিগঞ্জের জালালাবাদে পুরোনো ভাঙন দিয়ে প্রবলবেগে নদীর পানি বের হয়ে যাওয়ায় হবিগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে।’
এছাড়া শামীম হাসনাইন আশা করছেন যে, উজানে বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে নদীর পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
৪ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত সুন্দরবন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কটকা, কচিখালী, দুবলা, শেলাসহ বনের বিভিন্ন এলাকা।
এদিকে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশের উপর দিয়ে চার ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং লবণ পানি ঢুকে সুন্দরবনে মিষ্টি পানির সব পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে ঘুম ছুটেছে খুলনাবাসীর
তবে বন্যপ্রাণীদের অবস্থায় সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি বন বিভাগ।
বাগেরহাটের বিভিন্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে প্রায় পাঁচ ফুট পানি বেড়েছে। নদ-নদীতে বিপৎসীমার অনেক উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, জোয়ারের পানিতে সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছে। বনের মধ্যে দিয়ে চার থেকে প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়েছে। লবণ পানি প্রবেশ করে সুন্দরবনের ৫০টি মিষ্টি পানির পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুবলা জেলে টহল ফাঁড়ির একটি জেটি পানির চাপে ভেসে গেছে। পানিতে বন বিভাগের বিভিন্ন অফিসের অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানির কারণে বন্যপ্রাণীর কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, বাগেরহাটের পশুর নদে বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার, বলেশ্বর নদে ১৪ সেন্টিমিটার এবং দড়াটানা নদে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন নদ-নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলায় মোট ৩৩৮ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। বাগেরহাট সদর, মোড়েলগঞ্জ এবং শরণখোলায় বর্তমানে ১৬ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে আট কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কেন, কীভাবে, কারা করেন
৬ মাস আগে
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের ১০ গ্রামের ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটারের চেয়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন
দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে তিস্তার পানি মারাত্বকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার ও শনিবার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা, ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলাসহ জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ভোর থেকে নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করে। হাতীবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে বিকালে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে।
পাউবো সূত্র জানায়, তিস্তাপাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আরও কী পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ফলে তিস্তার পানিতে পাটগ্রামে অবস্থিত বহুল আলোচিত বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গরপোতা ও দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর এলাকার ১০ গ্রামের ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তায় নৌকাডুবি, ৩ কৃষক নিখোঁজ
১ বছর আগে