ককাস
সংসদ সদস্যদের গোলটেবিল বৈঠক: কপ-২৮ এর আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ককাস গঠনের প্রস্তাব
২০২৩ সালের নভেম্বরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় কপ-২৮ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংসদীয় ককাস কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত 'বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু চুক্তি: কপ-২৮ এর অগ্রাধিকার' শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের সংসদীয় গোলটেবিল বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডস ও হাউস অব কমন্সের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। চলতি বছরের মার্চে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু চুক্তির আলোকে কপ-২৮ এর জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করা হয় বৈঠকে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এটিই ছিল এ ধরনের প্রথম গোলটেবিল বৈঠক।
বৈঠকে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার পৃষ্ঠপোষক এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারোনেস ভার্মা।
বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বর্তমান সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, জলবায়ু সংসদ বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক, সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় এবং আয়েন উদ্দিন গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের গৃহায়ণ ও গৃহহীনবিষয়ক (Housing and Homelessness) মন্ত্রী ফেলিসিটি বুচান এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী কেরি ম্যাকার্থি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা, ভোক্তা ও শ্রম বাজারবিষয়ক ছায়া মন্ত্রী সীমা মালহোত্রাসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সঙ্গে গ্লাসগোতে কপ-২৬ অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জন্য যৌথভাবে ক্ষয়ক্ষতি, জলবায়ু অর্থায়ন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় বিনিয়োগ এবং কম কার্বণ অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উত্তরণসহ চার দফা প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা, নবায়নযোগ্য এবং সবুজায়নে কৌশলগত বিনিয়োগের বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ‘কপ-২৭ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে অনেকেই আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে’
১ বছর আগে