সুপারকার
২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
শুধুমাত্র দূরবর্তী কোনো স্থানে ভ্রমণ নয়, প্রযুক্তির সঙ্গে যুগপৎ বিকশিত উন্নত মানের গাড়িগুলো জীবনধারায় যোগ করছে নতুন নতুন সুবিধা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুপার ফাস্ট কার ও হাইপারকারের মতো শ্বাসরুদ্ধকর বিলাসবহুল গাড়িগুলো সামাজিক অবস্থানকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে। আরও একটু আরামদায়ক, ডিজাইনে আরও একটু নতুনত্ব এবং আরও একধাপ উচ্চতর কর্মক্ষমতা দিতে রীতিমত প্রতিযোগিতা করে চলে অটোমোবাইল নির্মাতারা। সেই অর্থে ২০২৩ সালে পৃথিবীর সেরা ১০টি বিলাসবহুল গাড়ি অটোমোবাইল ভক্তদের একদমই নিরাশ করেনি। চলুন, বিস্ময়কর ব্যয়বহুল সেই গাড়িগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
২০২৩ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল ১০ গাড়ি
রোলস-রয়েস বোট টেল
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল গাড়ি রোলস-রয়েসের বোট টেল, যার মূল্য ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; বাংলাদেশি টাকায় ৩০৩ দশমিক ৮ কোটি টাকা (১ মার্কিন ডলারকে ১০৮ দশমিক ৫ বাংলাদেশি টাকা হিসাবে)। চোখ ধাঁধানো গাড়িটির ডিজাইন করেছে জনপ্রিয় অটোমোবাইল ব্র্যান্ড রোলস-রয়েস-এর কোচবিল্ড বিভাগ।
২০২১ সালে উৎপাদিত গাড়িটি সপ্রতিভ এবং স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির সমন্বয়ে এক অনন্য সৃষ্টি। এর চেসিস এবং ইঞ্জিনটি রোলস-রয়েস ফ্যান্টমের। অর্থাৎ ফ্যান্টমের মত বোট টেলের ৫৬৩ হর্সপাওয়ার শক্তি সম্পন্ন ৬ দশমিক ৭৫ লিটারের টুইন-টার্বোচার্জকৃত ভি১২ ইঞ্জিনের ক্ষমতা আছে। ফ্যান্টম ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল/ঘন্টা) বেগে ছুটতে পারে।
বোট টেলের পেছনের ডেকের পাঁচটি ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিটসহ ১ হাজার ৮১৩টি যন্ত্রাংশ বেসপোকের। এই অত্যাশ্চর্য বাহনটির ডিজাইনের অনুপ্রেরণা এসেছে ক্লাসিক ইয়ট থেকে। এর পেছনের কাঠের ডেকটি খোলা হলে শ্যাম্পেন কুলার ও একটি হোস্টিং স্যুটের মতো দারুণ এক বেসপোক হস্তশিল্পের সেট উন্মুক্ত হয়। ব্র্যান্ডের বিলাসিতা ও বিশেষত্বকে জাহির করার মাধ্যমে এই ভার্সনটি রোলস-রয়েস কাস্টমাইজেশনের এক সীমাহীন সম্ভাবনা প্রদর্শন করেছে।
বুগাটি লা ভয়চার নোয়ার
ফ্রান্সের বুগাটি অটোমোবাইলস এস.এ.এস এই অসাধারণ হাইপারকারটি বানিয়েছিল কিংবদন্তির বুগাটি টাইপ ৫৭ এসসি আটলান্টিককে উৎসর্গ করে। ২০১৯ সালে জেনেভা মোটর শো-এর মাধ্যমে উন্মোচিত এই মাস্টারপিসটি আধুনিক প্রযুক্তি ও ক্লাসিক ডিজাইনের এক অভাবনীয় সংমিশ্রণ। এর ১৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যকে বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করলে দাড়ায় ২০২ দশমিক ৯ কোটি টাকা।
এর হাতে বানানো রাজকীয় চেসিসটি মসৃণ কালো কার্বন ফাইবারে মোড়া। পেছনের ৬টি নিষ্কাশন পাইপ-এর আগের সময়ের কাইরনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। ৮ লিটার কোয়াড-টার্বোচার্জ করা ডব্লিউ১৬ ইঞ্জিন যানটিকে ১ হাজার ৪৭৯ হর্সপাওয়ার শক্তি দিতে পারে। কাইরন বুগাটির যৌথ উৎপাদিত গাড়িগুলোর সবচেয়ে কম সময়ে শূন্য থেকে ৪০০ কিলোমিটার/ঘন্টা(২৪৯ মাইল/ঘন্টা) গতিতে উঠার রেকর্ড আছে। এর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারুকাজ কারিগরের সূক্ষ্ম ও যত্নশীল কাজের কথা জানান দেয়। এই একচেটিয়া যানবাহন নিমেষেই বিলাসিতা, কর্মক্ষমতা এবং স্বপ্রতিভ শিল্পকলার প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
১ বছর আগে