বানচাল
দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র বানচাল করতে হবে: মিউনিখে সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আর মাথা তুলে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ যেন দেশকে পিছিয়ে ঠেলে রাজাকারদের দেশে পরিণত করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকুন।’
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে হোটেল বার্গারহাউস গার্চিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন যেখানে প্রতিটি বিশ্বাসের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরে জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে তিনি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনো নিজের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করি না, বরং চিন্তা করি দেশ ও দেশের মানুষের উন্নতির জন্য আমি কী করতে পারি।’
আরও পড়ুন: জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলাসহ দেশের স্বাধীনতা- সবকিছু পেয়েছে, যেহেতু আওয়ামী লীগ জনবান্ধব দল।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের দল আছে বলেই কোভিড-১৯ মহামারির মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সব সময় জনগণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং মিউনিখের স্থানীয় মেয়র।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
'নির্বাচন বানচালের হুমকিদাতারা অতীতে ক্ষমতার অগণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে'
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অতীতে কিছু বিরোধী দল ক্ষমতার অগণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে সেই বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন না করলে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বানচালের হুমকি দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের (পিইএএম) সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত বলেও মিশনকে অবহিত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্বাচন নাগরিকদের জন্য একটি উৎসবমুখর অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশে ভোটারদের অংশগ্রহণ সাধারণত অনেক বেশি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের প্রকৃত মাপকাঠি হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মন্তব্য 'মিথ্যা ও বানোয়াট': পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রতিনিধি দলের নেতা লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ বলেন, কমনওয়েলথ ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সামগ্রিক এবং এর মধ্যে বিস্তৃত বিষয় রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহায়তা প্রদানের জন্য তার সংগঠন ইতিবাচক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী সকল বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষককে সরকারের সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত থাকার কথা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমনওয়েলথ ব্যবস্থায় বৃহত্তর ভূমিকা পালনে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে সফররত প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য' নির্বাচন আয়োজনে অংশীজনদের প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তার গণতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বর্তমান সরকার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভোটার তালিকা প্রণয়ন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রবর্তন, নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ বাজেটের স্বাধীনতা প্রদান করেছে। এছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিচারকের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান কমিটির ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়নের মতো নির্বাচনী সংস্কারের কাজও শুরু করেছে।
কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছে।
তারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন এবং কমনওয়েলথ মহাসচিবের কাছে সুপারিশ করবেন।
এরপর কমনওয়েলথ মহাসচিব পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবেন কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: কল্পনা প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইবে ঢাকা
১ বছর আগে
যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের মোকাবিলা করবে যুবসমাজ: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। তাই সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচনকে যারা ভণ্ডুল ও বানচাল করতে চায়, তাদের মোকাবিলা করতে হবে। এছাড়া আওয়ামী যুবলীগসহ দেশের যুবসমাজ তাদের মোকাবিলা করবে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রগতিশীল ও সংগ্রামী দল হিসেবে, স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের বাইরে আওয়ামী লীগের যাওয়ার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ সারা পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল। সারা পৃথিবী বাংলাদেশকে স্যালুট জানায়। এই উন্নয়নের ধারাকে আমরা সামনে আরও এগিয়ে নিতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা যে উন্নয়ন করেছি, আগামী নির্বাচনে জনগণ তার মূল্যায়ন করবে তা দেখেই আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনবে।
স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, তোমরা আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড, দেশের সম্পদ। তোমরা দেশকে সমৃদ্ধ করবে। দেশকে আরও এগিয়ে নিতে যুবলীগকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত দেশকে উন্নত করার কারিগর তোমাদেরই হতে হবে। নীতি আদর্শে আর নৈতিক শক্তিতে যুবলীগকে গড়ে উঠতে হবে।
দেশের সব সংগ্রাম-আন্দোলন ও ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী যুবলীগ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা-প্রগতি-মানবতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে যুবলীগকে সচেতন থাকতে হবে।
যুবলীগকে নিজ দলের সুবিধাবাদী নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, দলের অভ্যন্তরে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা সুযোগসুবিধা নিয়ে রাতারাতি অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে, তারা নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তিনি আরও বলেন, তারা নিজের স্বার্থের জন্য, নিজের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য অনেকসময় সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। তাদের সম্পর্কেও সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে মধুপুর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সাইদ খানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মামুনুর রশিদ, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাপ্পু সিদ্দিকী, সদস্য মো. ইয়াকুব আলী, আব্দুল গফুর মন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর ফরহাদুল আলম, সাদিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: কৃষিমন্ত্রী
আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ জনগণই বানচাল করবে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আরেকটি 'একতরফা' নির্বাচন অনুষ্ঠানের মরিয়া উদ্যোগ দেশের জনগণ বানচাল করবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এ সময় দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ইঙ্গিতও দেন রিজভী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য পুরো জাতির নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। তারা আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বঞ্চিত ও নিপীড়িত জনগণ তাদের একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার অর্থনীতি ও রাজনীতি ধ্বংস করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় বিরোধী দলের 'শান্তিপূর্ণ' অবরোধ কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার মারাত্মক দমনমূলক নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, 'তারা অনেক বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্যই এই অবরোধ কর্মসূচি। কিন্তু র্যাব-পুলিশ, বিজিবি ও আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে গঠিত পেটোয়া বাহিনী 'জনগণের সঙ্গে সহিংস আচরণ' করছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
রিজভী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৩৬৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে ৯ হাজার ৮৩১ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেপরোয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে জনগণ সড়ক-মহাসড়কে মানববন্ধন করে অবরোধ অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এবং আমাদের এক দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে।’
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ অবরোধ অব্যাহত থাকবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের এমনকি বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে মন্তব্য করে ফ্যাসিবাদের ভয়াবহ রূপ উন্মোচন করছে।
আরও পড়ুন:বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের আবারো গুম করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী: বিএনপি
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা একজন রাষ্ট্রদূতকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি দিয়েছেন এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতারা ক্রমাগত কুৎসিত ও ভয়ানক বক্তব্য দিচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যে, তারা জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অসংযত মন্তব্য করছেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে মারাত্মক দমনমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে বাংলাদেশকে একটি 'দুর্বৃত্ত' রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
১ বছর আগে
সতর্ক থাকুন, আগামী নির্বাচন যাতে বানচাল না হয়: প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে কেউ বানচাল করতে না পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আসন্ন। 'কেউ যাতে নির্বাচন বানচাল করতে না পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বেলজিয়ামে তার হোটেল থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আর্টস থিয়েটার 'ইস্পেস লুমেন'-এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বেলজিয়াম শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্জিত ব্যাপক উন্নয়ন সাফল্য ও অর্জন জনগণের সামনে তুলে ধরতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তাতে কান না দিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন আসন্ন, তাই বাংলাদেশের বিগত ১৫ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরুন। অপপ্রচারে কান দেবেন না।’
খুনি ও সন্ত্রাসীদের কেউ যেন জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা যদি আবার অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয়, তাহলে একজন মানুষও রেহাই পাবে না।’
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলসের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার এখন রেমিট্যান্স প্রবাহে ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়ন পেয়েছে। তাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বসবাসরত জনগণের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রবাসীদের নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি বলেন, আন্তরিকতা, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে আমরা বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।
১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৯ সাল পর্যন্ত ২৯ বছরে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নে কী করেছে সেই প্রশ্নও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘২৯ বছর মানুষ অন্ধকার ও দুর্ভোগের মধ্যে ছিল।’
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইইউ’র সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'তাদের হাতে বাংলাদেশের কোনো ভবিষ্যত নেই এবং তারা বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে না।’
প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল সংগ্রামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালে ৪১ শতাংশ থেকে কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো চরম দরিদ্র থাকবে না, কারণ সরকার চরম দরিদ্রদের কষ্ট লাঘব করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে উন্নতমানের জাহাজ নির্মাণে বেলজিয়ামকে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
কোনো শক্তিই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে বিএনপির এসব আন্দোলন সন্ত্রাস মোকাবিলা করা হবে। কোন শক্তিই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর হবে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে, বিদেশি সমর্থনের দরকার নেই: কৃষিমন্ত্রী
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর উদ্যোগে এ বছর একযোগে ৫ লাখ বৃক্ষের চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল, সেটিও বিএনপি মেনে নেয়নি। তারপর থেকে বিগত ১৪ বছর ধরে বিএনপি একই কোরাস গেয়ে চলেছে এবং হরতাল আর আন্দোলন করে যাচ্ছে। সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে কিন্তু তারা সেটি মানবে না। এখন আবার হরতালের ভয় দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত ও শক্তিশালী দল। বিএনপিকে মোকাবিলা করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির সন্ত্রাস মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছে।
সংলাপের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আলোচনার আগে বিএনপিকে স্বীকার করতে হবে- তারা নির্বাচনে আসবে, সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন, তাহলেই চিন্তা করা যাবে আলোচনার কথা।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে সেটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচন বানচালকারীদের আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে মোকাবিলা করবে। কেউ যদি সহিংসতা করে, তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দমন করবে।
আরও পড়ুন: নিজেদের খোঁড়া কবর থেকে উঠতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশের ফসল উৎপাদনের সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে