তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
পলকের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোরদারে প্রযুক্তি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত গণতন্ত্রের প্রসারে প্রযুক্তির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের বাংলাদেশি কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
বরিশাল 'হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বরিশাল শহরের কাশিপুর মৌজায় ‘বরিশাল আইটি/ হাই-টেক পার্ক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি /হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় বরিশালে এ হাই-টেক পার্কটি প্রায় সাড়ে ৬ একর জায়গার ওপর ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পার্কটি চালু হলে প্রতিবছরে এক হাজার তরুণ প্রশিক্ষণ গ্ৰহন ও তিন হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ হাই-টেক পার্ক বরিশাল অঞ্চলকে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নগরীতে পরিণত করবে। বরিশালের তরুণ প্রজন্ম তাদের মেধার যথাযথ বিকাশ ঘটিয়ে কর্মসংস্থানের জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারবে। পাশাপাশি অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।
বরিশাল নগরী সিলিকন নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ ,বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ।
এ উপলক্ষে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক আব্দুল্লাহ বলেন, এ হাই-টেক পার্কটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার মাধ্যমে বরিশালের জনগণের দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হলো। এর মাধ্যমে এলাকায় তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা ‘হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
রংপুরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
২ বছর আগে
খুলনা ‘হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
খুলনা শহরের টুটপাড়ায় ‘আইটি হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক যৌথভাবে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এই সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই হাই-টেক পার্ক খুলনা শিল্পাঞ্চলকে প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পাঞ্চলে পরিণত করবে। এটি হবে খুলনার তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা।
আরও পড়ুন: রংপুরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, এই আইটি পার্কটি প্রযুক্তিজ্ঞান সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে সহায়তা করবে। এছাড়া বাংলাদেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞান- নির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান,ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় খুলনাতে এ হাই-টেক পার্কটি প্রায় চার একর জায়গার ওপর ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পার্কটি চালু হলে প্রতিবছর এক হাজার তরুণ প্রশিক্ষণ নেয়াসহ তিন হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
আরও পড়ুন: সিলেট হাই-টেক পার্কে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে
এসময় অন্যান্যের মধ্যে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম,বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, খুলনায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত সহকারী হাইকমিশনার অসীম কুমার সানতা, জেলা প্রশাসক মো মনিরুজ্জামান তালুকদার,আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
দেশে ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মেটা ভার্সন কিংবা ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ীর পক্ষেই সরাসরি গিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। সে কারণে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে না গিয়ে বিদেশ থেকেই বাংলাদেশের মাটিতে ব্যবসা বা বিনিয়োগ করতে পারবেন।
সোমবার নিউইয়র্কের ট্রাম্প ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল কৌশলপত্র প্রণয়ন করছে ইউএনডিপি: পলক
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি সেক্টরে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শতভাগ ই-সার্ভিস প্রদান, ২০৩১ সালের মধ্যে ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক, অগ্রসরমান অর্থনীতি, উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা এবং মাথাপিছু ১২ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি।
এই সময় জুনাইদ আহমেদ পলক সম্মেলনে প্রবাসী বাংলাদেশি ববি বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কে ১৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা বিনির্মাণে দুই দেশ একসাথে কাজ করতে পলকের আহ্বান
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.বিকর্ণ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক ও নাহিদ খান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম, নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ইউএসের আইটি ও আইটিইএস খাতের ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
২ বছর আগে
বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল কৌশলপত্র প্রণয়ন করছে ইউএনডিপি: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল কৌশলপত্র প্রণয়ন করছে ইউএনডিপি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে উদ্ভাবনের সংস্কৃতি এবং ডিজিটাল রূপান্তরকে আরও শক্তিশালী করতে ডিজিটাল কৌশলপত্র প্রণয়ন করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি। কীভাবে এই কৌশলপত্রটি বাস্তবায়িত হবে তা উপস্থাপন করেছেন ইউএনডিপির চিফ ডিজিটাল অফিসার রবার্ট ওপ ও ডিজিটাল পলিসি অ্যান্ড গ্লোবাল পার্টনারশিপের প্রধান ইয়োলান্ডা মা।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা বিনির্মাণে দুই দেশ একসাথে কাজ করতে পলকের আহ্বান
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের অবস্থিত ইউএনডিপি হেড কোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে এটুআই প্রোগ্রাম, পিটিআইবি, এইচআরপি, ইয়ুথ কোল্যাব এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়সহ ডিজিটাল সমাজ গঠনে ইউএনডিপির দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
বৈঠকে ইউএনডিপি, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও এটুআই যৌথভাবে এজেন্সি টু ইনোভেট এবং ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি গঠন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় এটুআই পলিসি এডভাইজার অনির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ইউএনডিপি’র এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলের প্রধান ক্লেয়ার ভ্যান ডের ভেরেনের সঙ্গে ইউএনডিপি বাংলাদেশ প্রতিদলকে নিয়ে বৈঠক করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে যুব ও শিশুদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকারের অংশীদারিত্বে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ প্রবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: মাহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ার আহ্বান পলকের
বৈঠকে ইউএনডিপি বাংলাদেশের বেসরকারি সেক্টর পার্টনারশিপ বিশেষজ্ঞ জ্যোতিষ তালুকদার, স্পেশাল সেক্টর পার্টনারশিপ বিশেষজ্ঞ দেবাশিস রায়, কোল্যাকের কো লিয়াজোঁ ও সমন্বয় বিশেষজ্ঞ জ্যাকব স্কিম, জেপিও প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট ভেরেনা ভাদ আলোচনায় অংশ নেন।
২ বছর আগে
মাহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ার আহ্বান পলকের
মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে শান্তিপূর্ণ, উন্নত, আধুনিক, নান্দনিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার নাটোর উত্তরা গণভবনে পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতে মৈত্রী ও বন্ধুত্বের সুবর্ণজয়ন্তীতে আয়োজিত উৎসবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ৫০ বছরে ভারতের সাথে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বই মানুষকে সৃজনশীল হতে সহায়তা করে: পলক
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের যে রাজনৈতিক সম্পর্ক, এর সাথে অর্থনৈতিক ও সমৃদ্ধির সম্পর্ক ত্বরান্বিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
পলক বলেন, ভারতের সহায়তায় আমাদের নাটোরে হাইটেক পার্ক, বাংলাদেশ ভারত ডিজিটাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার হচ্ছে। এছাড়া আমরা নাটোরসহ ৬৪ জেলায় এডুকেশন, ট্রেনিং অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করছি।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হচ্ছে ইউবিআইডি: পলক
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, নাটোর-নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ, সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব ভাটি, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
বই মানুষকে সৃজনশীল হতে সহায়তা করে: পলক
জ্ঞানভিত্তিক, সৃজনশীল বাংলাদেশ গড়তে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বই মানুষের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি ও সৃজনশীল হতে সহায়তা করে। একটি বই বা কবিতা মানুষকে যতটুকু প্রভাবিত করতে পারে অন্য কিছু তা পারে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল বুক আর্কাইভ’ অ্যাপ ‘বই চিত্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পর আামাদের পরবর্তী লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার কথা উল্লেখ করে পলক বলেন, যেখানেই সমস্যা, সেখানে সমাধান; সেখানেই সম্ভাবনা, সেখানেই উদ্ভাবন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনে ভাষা শহীদেরা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ভাষার মর্যাদার আসন অধিষ্ঠিত করেছে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হচ্ছে ইউবিআইডি: পলক
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ছাত্র অবস্থায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতিত্ব করে বাংলা ভাষার আন্দোলন শুরু করেন এবং গ্রেপ্তার হন।
ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি (ইউএনবি)- জ্ঞানভিত্তিক, সৃজনশীল বাংলাদেশ গড়তে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বই মানুষের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি ও সৃজনশীল হতে সহায়তা করে। একটি বই বা কবিতা মানুষকে যতটুকু প্রভাবিত করতে পারে অন্য কিছু তা পারে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল বুক আর্কাইভ’ অ্যাপ ‘বই চিত্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পর আামাদের পরবর্তী লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার কথা উল্লেখ করে পলক বলেন, যেখানেই সমস্যা, সেখানে সমাধান; সেখানেই সম্ভাবনা, সেখানেই উদ্ভাবন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনে ভাষা শহীদেরা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ভাষার মর্যাদার আসন অধিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ছাত্র অবস্থায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতিত্ব করে বাংলা ভাষার আন্দোলন শুরু করেন এবং গ্রেপ্তার হন।
পলক বলেন, আইসিটিতে বাংলাকে সমৃদ্ধ করার লক্ষে আইসিটি বিভাগের বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে অপটিক্যাল ক্যারেকটার রিকগনাইজার (ওসিআর), টেক্সট টু স্পিসসহ ১৫টি টোল তৈরি করা হচ্ছে। সারাদেশে ৭১টি লাইব্রেরিকে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। একটি ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি করা হবে যেখানে মানুষ লাখ লাখ বই নিজ নিজ গ্রামে বসে সাবসক্রাইব করতে পারবে বলে।
তিনি আলোকিত মানুষ হতে বই পড়ার অভ্যাস গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্লিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমী কায়সার।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু একজন দার্শনিক ছিলেন: পলক
পলক বলেন, আইসিটিতে বাংলাকে সমৃদ্ধ করার লক্ষে আইসিটি বিভাগের বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে অপটিক্যাল ক্যারেকটার রিকগনাইজার (ওসিআর), টেক্সট টু স্পিসসহ ১৫টি টোল তৈরি করা হচ্ছে। সারাদেশে ৭১টি লাইব্রেরিকে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। একটি ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি করা হবে যেখানে মানুষ লাখ লাখ বই নিজ নিজ গ্রামে বসে সাবসক্রাইব করতে পারবে বলে।
তিনি আলোকিত মানুষ হতে বই পড়ার অভ্যাস গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্লিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমী কায়সার।
২ বছর আগে
২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রাম ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলে যুক্ত করা হবে
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামকে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলে সংযুক্ত করে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন।
তিনি বলেন, ইন্টারনেটকে সহজ ও সুলভ করার পাশাপাশি এর সচেতনতার ওপরও গুরুত্বারোপও করে ইন্টারনেট সেবাকে পঞ্চম মৌলিক সেবা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে আইএসপিএবিসহ আইসিটি পরিবারকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হচ্ছে ইউবিআইডি: পলক
সোমবার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভা কক্ষে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইএসপিএবি পরিচালক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইএসপিএবি’র সভাপতি মো. এমদাদুল হক, আইএসপিএবি’র মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, সহ সভাপাতি আনোয়ারুল আজিম, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আব্দুল কাইয়্যুম রাশেদ, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান, পরিচালক সাকিফ আহমেদ প্রমুখ।
গ্রামকে শহরে পরিণত করতে ‘ডিজিটাল ইকোনমির লাইফ লাইন’ ইন্টারনেট উল্লেখ করে পলক বলেন, বিদ্যুত যে ভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে, সেভাবে প্রতিটি ঘরে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে চাই। এই লাস্টলাইন সল্যুশনটি আইএসপিএবি’র সদস্যদের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে আজ আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউল মকছুদ জাহেদীকে প্রধান করে একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটিতে সমন্বয়ক হিসেবে থাকবেন আইএসপিএবি সভাপতি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৪ গ্রেপ্তার
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকলের কাছে সুলভে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ইন্টারনেট সেবাদাতারা। তাই উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা এক পরিবার হয়ে কাজ করবো। অল্পদিনের মধ্যেই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসের অধীনে ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রামে গ্রামে ফাইবার অপটিক ক্যাবল পৌঁছে দিতে আইএসপিএবি’র সদস্যদের মাধ্যমে এক লাখ ৯ হাজার এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ লাখ কানেক্টিভিটি স্থাপন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্টারনেট সেবাদাতা সংগঠন আইএসপিএবি’র নবনির্বাচিত কমিটির চারটি প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
২ বছর আগে
ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হচ্ছে ইউবিআইডি: পলক
ই-কমার্স খাতকে বিশ্বস্ত করতে ফেব্রুয়ারিতে ইউনিক বিজনেস আইডি (ইউবিআইডি) চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে এই খাতে স্থিতিশীলতা আনয়ন এবং অনলাইন কেনা-বেচাকে ত্বরান্বিত্ব করার ক্ষেত্রে সমাধানের পথ হিসেবে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ডেটাবেজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউনিক বিজনেস আইডি’র নিবন্ধন এবং ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এটুআই, ভোক্তা অধিকার ও ই-ক্যাব মিলে তৈরি কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি সিস্টেম আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করা হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের কারিগরি সহায়তায় বুধবার আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এই সব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৪ গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতেও কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি সিস্টেম (সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-সিসিএমএস) এবং ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ চালু করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে ঘিরে উৎপাদক, বিক্রেতা, ক্রেতা, উদ্যোক্তা সবকিছু মিলে দেশে একটা ইকোসিস্টেম তৈরি হয়েছে। নতুন উদ্ভাবন ও নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই ই-কমার্সে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি হয়েছে। অনলাইনে দেশের আড়াই হাজারের অধিক ই-কমার্স এবং ৫০ হাজারের বেশি এফ-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বেচা-কেনা হচ্ছে।’
পলক বলেন, ‘ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। আগামী মার্চে উদ্বোধনের পর বিনিময় প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপের মাধ্যমে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফিজিক্যাল শপকে ডিজিটালে নিয়ে যেতে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোকে আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর করতে হবে। কেনা-বেচায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য এসব লেনদেনকে ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ে আসতে হবে। সঠিক পলিসি, টেকনোলজি ও স্ট্রাটেজি নেয়ার মাধ্যমে ই-কর্মাসকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করা সম্ভব। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ডিজিটাল কোরবানির হাট।’
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, এটুআই-এর গ্রামীণ ই-কমার্স ও হেড অব কমার্সিলাইজেশন রেজওয়ানুল হক জামি ও ই-ক্যাব পরিচালক ও চালডালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা, এটুআই এবং আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরাসহ, প্ল্যাটফর্মগুলো প্রস্তুতে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সামনে আরেকটি যুদ্ধ অপেক্ষমান। আর সেটি হচ্ছে সাইবার যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি সাইবার জগতে নানা মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের মহান স্বাধীনতার অর্জনকে ধূলিস্যাৎ করতে চাইছে। সরকারের বিরুদ্ধে ভূয়া ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল যোদ্ধা হিসেবে এই অপশক্তিকে সাইবার যুদ্ধে পরাজিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এলআইসিটি প্রকল্প আয়োজিত আমার মুজিব ক্যাম্পেইনের আওতায় ‘আমাদের মুজিব’ শীর্ষক রচনা ও ‘মুজিবের কাছে চিঠি’ লেখা প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তরুণ প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত ও দেশপ্রেম জাগ্রত করা, সুনাগরিক এবং দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমার মুজিব ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এলআইসিটি প্রকল্পের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ‘দুর্বার’এর মাধ্যমে।
বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর মানবিকতা, শোষণ-বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংগ্রাম, সাহস, দূরদর্শিতা ও নৈতিকতার গুণাবলির মধ্যে নিহিত রয়েছে একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষা।
পলক বলেন, যিনি বঙ্গবন্ধু মুজিবের লেখা তিনটি বই- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী,’ ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ পড়বেন তিনি মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা পাবেন। তিনি ‘মুজিব গ্রাফিক নভেল’ কে প্রাথমকি স্কুল পর্যায়ে পড়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদ, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাক্কো’র মহাসচিব তৌহিদ হোসেন, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু, উই ফোরামের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা। অনুষ্ঠানে ‘মুজিবের কাছে চিঠি’ লেখা প্রতিযোগিতায় ৯ম ও ১০ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে চ্যাম্পিয়ন নন্দী মজুমদার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর চিঠিটি পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন এলআইসির প্রকল্পের ডিজিটাল কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ হাসান বেনাউল ইসলাম।
উল্লেখ্য, সর্বমোট ৮১৪ রচনা এবং ৩৪১টি চিঠি বিচারকমন্ডলীর মাধ্যমে বাছাই করে শ্রেণিভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে মোট ১৫ জনকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে ৯ জন রচনায় এবং ৬ জন চিঠিতে। মুজিবের কাছে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন: ১ম ও ২য় শ্রেণি ক্যাটেগরিতে ব্রাম্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মডেল একাডেমির ফাইজা তাবাসসুম নুসরাত (চ্যাম্পিয়ন) ও ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নওশীন আজাদ (রানার আপ), ৪র্থ থেকে ৫ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে রংপুরের শঠিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লামিয়া মারজান (চ্যাম্পিয়ন) ও সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নিহাল আহমদ ও মতিঝিল সরকারি মডেল স্কুল থেকে মেধা সরকার (যুগ্মভাবে রানার আপ), ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের রণিত অধিকারী (চ্যাম্পিয়ন) ও ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে সাফওয়ান আজমাঈন (রানার আপ), ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে গোপালগঞ্জের সরকারি কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের নন্দী মজুমদার (প্রথম) ও ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের মো. মুনতাজিম রহমান সায়মন (রানার আপ) এবং আমাদের মুজিব রচনা প্রতিযোগিতায় একাদশ থেকে দ্বাদশ ক্যাটাগরিতে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের তাসনীম তিশা (চ্যাম্পিয়ন) ও ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্রান্ড কলেজের ইকরা আলম রেজা এবং একই প্রতিষ্ঠানের অথৈ দাস শৈতী (যুগ্মভাবে রানার আপ) এবং স্নাতক ১ম ও শেষ বর্ষ ক্যাটেগরিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. সাগর হোসেন চ্যাম্পিয়ন ও ঢাকা কলেজের আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল কাইউম যুগ্মভাবে রানার আপ ।
উল্লেখ্য, ১৫ জন বিজয়ীদের মধ্যে ৮ জনই মেয়ে এবং তূলনামূলকভাবে ঢাকার বাইরের অংশগ্রহণকারীরা অনেক ভালো করেছে।
৩ বছর আগে