ক্লিনিক
চুয়াডাঙ্গায় যৌথ অভিযানে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সিলগালা, জরিমানা
চুয়াডাঙ্গায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করাসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশা নিধন অভিযান: লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা
এর আগে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান জেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এরমধ্যেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও অবৈধভাবে নিয়ম না মেনে চলা ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলে।
জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমাও অভিযান পরিচালনা করতে নির্দেশনা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার যৌথ অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
অভিযানে, সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের বিআরএম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম পাওয়া যায়।
এর মধ্যে রয়েছে- মানহীন অপারেশন থিয়েটার, সিজারিয়ানে একই চিকিৎসক এনেসথেসিয়া দেওয়া ও অপারেশন করা, ল্যাবের ব্যবস্থপনা সঠিক না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির আরোপিত জরিমানার ১৩৭১৩৯২ টাকা পরিশোধ করেছে ঢাকা ওয়াসা
এসব অনিয়মে ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রতিষ্ঠানটিকে মেডিকেল প্রাকটিস ও বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮০ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বন্ধ করে সিলগালা করা হয়।
এছাড়াও, সরোজগঞ্জ বাজারের মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও বন্ধ ঘোষণা করে সিলগালা করা হয়।
এর আগে অভিযানিক দল সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান চালায়। সেখানে মেসার্স ক্রিসেন্ট ফার্মেসিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানেরই পাশের আরেকটি শাখাকে চূড়ান্ত সতর্ক করে প্রশাসন।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম আশিস মোমতাজ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সকর্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডিএনসিসির ৬ ভবন মালিককে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা
৪ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনিয়মের অভিযোগে ২ ক্লিনিককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুই ক্লিনিককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর মধ্যে আল-মদিনা ক্লিনিককে ৫০ হাজার ও জমজম নার্সিং হোমকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকার পুরাতন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত আনজুম।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হামিদুর রহমান।
নিশাত আনজুম জানান, রহনপুর পৌর এলাকার আল-মদিনা ক্লিনিককে ভোক্তা অধিকার আইনের ৫৩ ধারায় ও জমজম নার্সিং হোমে চিকিৎসার পরিবেশ না থাকাসহ নানা অনিয়মে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া তাদের সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে অনিয়ম হলে ক্লিনিক বন্ধসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অতিরিক্ত মদপানে একজনের মৃত্যু
৮ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের ১০২টি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন হয়নি
ঠাকুরগাঁও জেলায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১০২ টি। কিন্তু এর মধ্যে একটিরও লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১০২টির মধ্যে লাইসেন্স নবায়নের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছে মাত্র ১৩টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল। এমনকি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৬টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়নের জন্য কাগজপত্র জমা দিলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অজ্ঞাত কারণে তা আটকে রেখেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
আরও জানা যায়, আগের বছরগুলোতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কারও লাইসেন্স নবায়ন করেনি। তবে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিছু কিছু করে লাইসেন্স দিচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও শহরে ও বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্য ক্লিনিক ও হাসপাতাল গঁজিয়েছে। মান বজায় রাখার বালাই নেই বেশিরভাগ ক্লিনিকের।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিসের সংশ্লিষ্ট মেডিকেল অফিসার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় ৮/১০টির মতো অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এগুলো শিগগিরই বন্ধ করা হবে। এই সপ্তাহে হরিপুরের পশ্চিম বনগাঁ ও যাদুরাণী হাটের ২টি ক্লিনিক সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, শহরের সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে কক্ষে গোডাউন, রাফী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার ও গ্রিণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ল্যাবের পাশে ল্যাট্রিন থাকায় জরিমানা করা হয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জের ৫টি ক্লিনিক অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য উপজেলাতেও অভিযান শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে
তিনি আরও বলেন, ‘গোটা জেলায় অভিযান পরিচালনার জন্য লোকবল নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগেরও দায়িত্ব পালন করা দরকার। তাছাড়া অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের সমন্বিত সহযোগিতাও প্রয়োজন।’
এদিকে শতাধিক ক্লিনিক ও হাসপাতালের বর্জ্য বিশেষ করে রোগীদের রোগ জীবাণুযুক্ত তুলা, গজ- ব্যান্ডেজ অপারেশনকৃত দূষিত পদার্থ, ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও কেমিকেল ইত্যাদি ধ্বংস করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এগুলো যত্রতত্র ফেলে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা হচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা (ইনসিনেরেটর) থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাস্তবে শুধু ঠাকুরগাঁও ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও ইনসিনেরেটর নেই। এমনকি ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ইনসিনেরেটরটি নষ্ট হয়ে রয়েছে বহু বছর থেকে।
তবে জুলফিকার আলী ভুট্টো জানান, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন মেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এখানকার বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল দুই দশক ধরে বন্ধ
৯ মাস আগে
খুলনায় ২৭০ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে লাইসেন্স আছে ৯৮টির
খুলনা মহানগরীতে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১০টি। এছাড়া অনলাইনে শুধু আবেদনের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন সংখ্যা ১৪।
লাইসেন্স পেলেও বছরের পর বছর নবায়ন না করেই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে এমন সংখ্যাও কম নয়। স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ এবং সঠিক তদারকি না থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির ব্যাপারে ছাড় না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এসব অননুমোদিত ও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে হবে।’
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খুলনা শহরে ২৭০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে। এর মধ্যে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন রয়েছে ৯৮ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। এছাড়া নবায়ন হয়নি এমন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৫৭। এর মধ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১০২টি ও ক্লিনিক ৫৫টি। এগুলোর মধ্যে ৪ বছর ধরে নবায়ন হয়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরের অভয়নগরে ৩টি ক্লিনিককে ১.৫৫ লাখ টাকা জরিমানা
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে, নগরীতে কোনো আবেদন ছাড়াই এমন লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা শিশু হাসপাতাল (ক্লিনিক), খুলনা শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (ডায়াগনস্টিক), খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ডায়াবেটিক সমিতি খুলনা (ডায়াগনস্টিক), সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক-১ (ডায়াগনস্টিক), সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক-২ (ডায়াগনস্টিক), জাপান মেডিকেল সেন্টার (খুলনা শাখা-১) এবং নিউ পথ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র।
এছাড়া নগরীতে শুধু অনলাইনে আবেদন করেই বছরের পর বছর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করছে কিন্তু লাইসেন্স নেই এমন অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৪। এর মধ্যে রয়েছে- বয়রা সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বয়ো ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, নূরজাহান ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, কালিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কালিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পাল্প ডেন্টাল সেন্টার, স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগণস্টিক সেন্টার, স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগণস্টিক সেন্টার, মাই মেডিকেল ল্যাব ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, জেনারেল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রির্সোস সেন্টার, বেস্ট কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার-১, বেস্ট কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার-২, রহিমা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার এবং শাবাব ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার।
আরও পড়ুন: খুলনায় নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা করছে সিভিল সার্জন অফিস
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৮২ সালের মেডিক্যাল অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালানোর সুযোগ নেই। এসব বৈধ-অবৈধ অনেক হাসপাতালে প্রায়ই ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে।
ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে জড়িত এমন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্লিনিকের জন্য লাইসেন্স প্রতি বছর নবায়ন করতে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা এবং ভ্যাট দিতে হয় ৭ হাজার ৫০০ টাকা। সব মিলে নবায়নে খরচ পড়ে ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন করতে খরচ পড়ে ২৫ হাজার টাকা। যার ভ্যাট হয় ৩ হাজার ৭৫০ টাকা। এর বাইরে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশগত ছাড়পত্র, নারকোটিক পারমিট, কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট এবং ফায়ার সার্ভিসের ক্ষেত্রে নবায়নে আলাদা টাকা খরচ করতে হয়। সেই হিসাবে ওই দুইটি নবায়নের জন্য খরচ ধরলে এক বছরে ১৫৭ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মোট সরকার রাজস্ব আয় হবে ৫৭ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টাকা।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, ‘লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমান বলেন, ‘খুলনা জেলায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়ায় এ পর্যন্ত ৫-৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৪টি
লাইসেন্সবিহীন ও অবৈধ ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারেরর বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি যাদের লাইসেন্স আছে কিন্তু শর্ত অনুযায়ী পরিচালনা করছেন না তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, খুলনা জেলায় অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কতগুলো আছে সে বিষয়ে খোঁজ নিতে একটি টিম মাঠে কাজ করছে।
খুলনা জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘খুলনায় চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, অনুমোদনহীন ল্যাব পরিচালনা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অপারেশন পরিচালনার নগরীতে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও লাইসেন্সের কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা যায়, একটি হাসপাতাল পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বৈধ সনদ, নিয়মিত নবায়ন, নারকোটিক পারমিট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), পরিবেশগত ছাড়পত্র, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ক্ষতিকর ও অক্ষতিকর) সংক্রান্ত ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি সংরক্ষণ করতে হয়।
বিশেষ সেবার ক্ষেত্রে প্রতিটির শয্যা সংখ্যা, সেবা প্রদানকারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের নাম-ঠিকানা, ছবি, বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন, বিশেষজ্ঞ সনদ, নিয়োগ ও যোগদান বা সম্মতিপত্রের প্রয়োজন হবে।
এছাড়া, চিকিৎসা সাহায্যকারীদের তালিকা, যন্ত্রপাতির তালিকা, বর্তমানে যেসব অস্ত্রোপচার ও এ সম্পর্কিত যন্ত্রপাতির তালিকা হাসপাতাল প্রধানের সইসহ সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠা সব ধরনের অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগস্টিক সেন্টারসহ অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাল্যবন্ধু শেখ কামালসহ অন্য শহীদদের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছি দেশে কতগুলো অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। যতগুলোই থাকুক, সব বন্ধ করে দিতে আমাদের অভিযান শিগগিরই শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ডায়াগনসিস সেন্টার, ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা নিজেরাই যদি বন্ধ করে দেন ভালো, নাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এবার স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে কাজ করব। ঢাকা মেডিকেলে যে মানের ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছে সেই মানের ডাক্তার জেলা-উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো গেলে তো কাজটি সহজ হয়ে যায়। আর ডাক্তারদের সুযোগ-সুবিধা ভালো করলে তারাও নিশ্চয়ই জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী হবেন। সব মিলিয়ে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে কাজ করা এবং সেটা আমরা করব।
আরও পড়ুন: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাল্যবন্ধু জাতির পিতার বড় ছেলে শেখ কামাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার বড় ছেলে শেখ কামাল বেঁচে থাকলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাত নিঃসন্দেহে আরও অনেক বেশি শক্তিশালী হতো। শেখ হাসিনা সেই শক্ত হাতে বাংলাদেশকে আরও দ্রুততম সময়ে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারতেন। কিন্তু ঘাতকরা অনেক বড় ক্ষতি করে দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্মৃতিচারণা করে বলেন, শেখ কামাল দেশকে নিয়ে অনেক ভাবতেন। আমরা কয়েকজন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম। আমরা দেখেছি, তিনি (শেখ কামাল) খেলাধুলার উন্নতির প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। বাংলাদেশ যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে পারেন, সে জন্য তিনি খেলাধুলায় উৎসাহ দিতেন এবং পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে খেলাধুলাসহ সব দিকে বাংলাদেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যেত।
আরও পড়ুন: নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন
১১ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে ১১টি হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ
লাইসেন্সবিহীন সকল হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের মোট ১১টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জেন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সবজি বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
সিভিল সার্জন জানান, আমাদের কাছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্দেশনা এসেছে। সারা জেলার মোট ২০০টি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মধ্যে ১১টির হালনাগাদ করা হয়নি।
তিনি আরও জানান, আমরা তাদের বুধবার বিকালে হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছি। এছাড়া তালিকার বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ট্রাক মেরামত করতে গিয়ে প্রাণ গেল চালক ও হেলপারের
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে সারা দেশে লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে ককটেলের বিস্ফোরণ, যুবক আটক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের ভুক্তভোগী। সুতরাং আমি কখনোই এ বিষয়ে ছাড় দেব না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, এরই মধ্যে আমি বলেছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে, তেমনি অনুমোদনবিহীন হাসপাতালের ব্যাপারেও ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে মাঠে ছিলেন প্রার্থীদের স্ত্রীরা
১১ মাস আগে
অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ডায়াগনসিস সেন্টার, ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ডায়াগনসিস সেন্টার, ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতাল-ডায়াগনসিস সেন্টার, ক্লিনিকগুলোকে নিজেদেরই বন্ধ করতে হবে। নয়তো কঠিন পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের ভুক্তভোগী। সুতরাং আমি কখনই এবিষয়ে ছাড় দেব না। আপনারা জানেন, এরই মধ্যে আমি বলেছি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে, তেমনি অনুমোদন বিহীন হাসপাতালের ব্যাপারেও ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় আয়ানের মৃত্যুর বিষয় উল্লেখ করি তিনি বলেন, শিশু আয়ানের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যতটুকু জানি আগামীকালই আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবে। চিকিৎসায় যদি কোনো অবহেলা থাকে তাহলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে আয়ান হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিসহ চার দফা দাবি নিয়ে সকালে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ ও তার পরিবার। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আয়ানের বাবা আয়ানের মৃত্যুর ঘটনার বর্ননা দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
করোনার নতুন সংক্রমণ প্রতিরোধে এবছর এক কোটি ২৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আর দুই বছরে আড়াই কোটি মানুষকে চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন
১১ মাস আগে
চট্টগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুতে ক্লিনিক ভাঙচুর
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার পেটের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে সেবা হাসপাতাল ও মেটারনিটি ক্লিনিকে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীর নাম জান্নাতুল মাওয়া রনি (২২)।
ক্লিনিকে ভাঙচুরের সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে রাত ৮টার দিকে ওই নারীর মৃত্যুর পর পরই হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় ডাক্তার, নার্সসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।
নিহত জান্নাতুল মাওয়া উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মানিকপুর গ্রামের পুকুরপাড় এলাকার রোমান উদ্দীনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ভুল চিকিৎসায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
নিহতের স্বামী রোমান উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে ডেলিভারি করানোর জন্য তার স্ত্রীকে বেসরকারি সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে সিজার করানোর জন্য চিকিৎসকরা ইনজেকশনের ডাবল ডোজ প্রয়োগ করার পর পরই তার মৃত্যু হয়। এটি হত্যা। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে যান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সুদীপ্ত সরকার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং রাত দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফটিকছড়ি থানা পুলিশ হাসপাতালটি ঘিরে রাখে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাসুদ জানান, একজন রোগীর মৃত্যু হওয়াতে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু, আহত ৩
১ বছর আগে
ঢাকা শহরে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রাজধানীতে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই। রবিবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অননুমোদিত প্রাইভেট ক্লিনিক পাওয়া গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ক্লিনিকের কার্যক্রম স্থগিত করাসহ নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বয়স্কদের চিকিৎসার জন্য জেরিয়াট্রিক বিভাগ চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এই বিভাগে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্বদের করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ৪৮৪টি।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, উপজেলা হাসপাতালকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী ৫০ শয্যার সব উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হাতে নিয়েছে যেখানে শিশুসহ সব বয়সের ক্যান্সার রোগীদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসায় ডেঙ্গু রোগীদের মৃত্যু বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিদেশফেরত কর্মীদের এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
কক্সবাজারে ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন
স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা সম্প্রসারণে বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কক্সবাজারে নির্মাণাধীন ১০০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১২টির কাজ সম্পন্ন করেছে।
রবিবার কক্সবাজারে নবনির্মিত ১২টি ক্লিনিক উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে ব্যাপক বাড়িয়েছে এবং আইওএম-এর সহযোগিতায় কক্সবাজারসহ সারা দেশে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম চালু করেছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে একসঙ্গে কাজ করছি। কক্সবাজারে নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনেক সরকারি পদক্ষেপের মধ্যে একটি।
তিনি আরও বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মৌলিক অবকাঠামো এবং পরিষেবাগুলোতে সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। ইতোমধ্যেই জাতীয় পরিষেবাগুলোর গড় তুলনায় অনেক কম ছিল। বিদ্যমান স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর মধ্যে অনেকগুলো দুই দশক আগে নির্মিত হয়েছিল এবং বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের কারণে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্ভাগ্যবশত শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা নেই: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আইওএম পুরনো ক্লিনিকগুলো ভেঙে ফেলে এবং বৃহত্তর, পরিবেশগতভাবে টেকসই বিল্ডিং তৈরি করে যার মধ্যে রয়েছে সৌর-চালিত সিস্টেম, নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা।
বাংলাদেশে আইওএম চিফ অব মিশন আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেছেন, ‘শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের বহুমাত্রিক চাহিদা একই সাথে তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে মানবিক উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালনকারীর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংক এবং আইওএম-এর মধ্যে এই সহযোগিতা কিভাবে মানবিক-উন্নয়ন সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী ফলাফলে রূপান্তর করা যায় তার একটি দৃঢ় উদাহরণ উপস্থাপন করে।’
প্রথমত এই সম্প্রদায়গুলোর যত্ন নেয়া, এই ক্লিনিকগুলো প্রজনন এবং পারিবারিক ওষুধের সঙ্গে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে; স্বাস্থ্য স্ক্রীনিং, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার প্রতিক্রিয়া এবং পুষ্টি পরামর্শ।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেন বলেন, ‘আমরা মানবিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
‘অন্যান্য নেতৃত্বের মধ্যে আইওএমকে মোট ১৫ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান সহায়তার মাধ্যমে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণে এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আইওএম জেলার একমাত্র মাধ্যমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সদর হাসপাতালের চেয়েও আপগ্রেড কর্মী ও সজ্জিত করেছে। ২৫০-শয্যার সুবিধা সম্পন্ন বিশেষ হাসপাতালটিতে নবজাতকের যত্ন, জরুরি, নিবিড় পরিচর্যা এবং করোনারি কেয়ার ইউনিট সহ বিশেষায়িত পরিষেবা প্রদান করে; কোভিড-১৯ চিকিৎসা; রক্ত সঞ্চালন এবং এইচআইভি এবং অন্যান্যের মধ্যে এইডস রোগের জন্য স্বেচ্ছাসেবী পরামর্শ এবং পরীক্ষার সুবিধা আছে।
সদর হাসপাতালের ৬০ বছর বয়সী স্থানীয় রোগী আবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের যে ওয়ার্ড থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে তার চেয়ে সম্প্রতি নির্মিত রোগীর ওয়ার্ডটি ভালো। ‘হাসপাতালটি সম্পূর্ণ সংস্কার হয়ে গেলে আমরা অনেক উপায়ে উপকৃত হব।’
অবশিষ্ট ক্লিনিকগুলোর নির্মাণ এবং জেলা হাসপাতালের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে একং ২০২৩ সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাক-নির্মাণ পর্যায়ে আইওএম স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলোতে অব্যাহত সুবিধা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করেছিল।
আরও পড়ুন: বিদেশি রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ যেন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না হয়: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে