সাবেক এসপি
মিতু হত্যা: সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এই আদেশের ফলে বাবুল আক্তারের মুক্তিতে আর কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ‘৩ বছর ৭ মাস কারাগারে থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত বাবুলকে জামিন দিয়েছেন। তাকে জোর করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন যা চলমান। ওই মামলায় বিজয়ী হলে তার চাকরিতে যোগ দিতে বাধা থাকবে না।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম জিইসি এলাকায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার। তবে মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।
২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। মামলায় ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।
পরে সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে গত বছরের ১৩ মার্চ বিচার শুরুর আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাইবার মামলায় জামিন পেলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
৩ সপ্তাহ আগে
বনজ কুমারের মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল ও তার বাবা
মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনাল থেকে ব্যারিস্টার সুমনের পদত্যাগ
এছাড়া মামলার শুরু থেকে পলাতক থাকায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এবং বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
আগামী ৩১ আগস্ট দুই আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বাবুল আকতার, ইলিয়াস হোসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
১১ মে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
১ বছর আগে