ইএসসিএপি
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০২২ সালের দুর্যোগে ৭৫০০ জনের মৃত্যু: ইএসসিএপি
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল জলবায়ু-পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ের মোকাবিলায় একটি জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এই সতর্কতার কথা বলা হয়েছে।
ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইএসসিএপি) -এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে এই অঞ্চলটিতে ১৪০ টিরও বেশি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এতে সাড়ে ৭ হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এশিয়া-প্যাসিফিক দুর্যোগ রিপোর্ট-২০২৩ -এ ধারণা করা হয়েছে ২ -ডিগ্রি-সেন্টিগ্রেড উষ্ণায়নের পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলটি ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার জিডিপির ৩ শতাংশের কাছাকাছি বার্ষিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এই বিপর্যয় এড়াতে এবং দুর্যোগের ঝুঁকি অভিযোজিত ক্ষমতা অতিক্রম করার হুমকির কারণে উন্নয়নকে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর্মিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানা, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল এবং ইএসসিএপি-এর নির্বাহী সেক্রেটারি বলছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপর্যয়ের নতুন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল সৃষ্টি হচ্ছে এবং বিদ্যমানগুলোও তীব্রতর হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি জরুরি দুর্যোগ অবস্থা চলছে এবং আমাদের অবশ্যই সহনশীলতা তৈরিতে দৃষ্টিভঙ্গিকে মৌলিকভাবে রূপান্তর করতে হবে।’
ইএসসিএপি বহুমাত্রিক বিপদের প্রারম্ভিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, যা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সম্ভাবনা রাখে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫, আহত ১৪৫
এটি ২০২৭ সালের মধ্যে সকলের জন্য প্রাথমিক সতর্কতা অর্জনের জন্য একটি আঞ্চলিক কৌশলের সঙ্গে লক্ষ্যযুক্ত রূপান্তরমূলক অভিযোজন ব্যবস্থাকে একত্রিত করার এবং সমর্থন করার জন্য অঞ্চলটিকেও আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার জুলাইয়ের প্রথম দিকের ভবিষ্যদ্বাণী ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এল নিনো অব্যাহত থাকার ৯০ শতাংশ সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করে। যা সম্ভাব্যভাবে তাপমাত্রার রেকর্ড ভঙ্গ করবে এবং মহাসাগরসহ বিশ্বের অনেক অংশে চরম তাপ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’: মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান
১ বছর আগে