এবি পার্টি
নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
বর্তমান সরকারের পদত্যাগে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে রাজধানীর কাকরাইল ও পল্টন এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে ‘লাল কার্ড’ দেখিয়ে বিক্ষোভ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টি।
বুধবার রাতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াহাব মিনার, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং দলের আইনজীবী ও যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আব্দুল ওয়াহাব মিনার বলেন, বর্তমান ইসি রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়াই নির্বিচারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে জনগণ ও গোটা জাতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আগের নির্বাচনী শাসনামলের মতোই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি প্রহসনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে বর্তমান ইসি।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশ চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের উপর ক্রমাগত দমন-পীড়ন ভয় ও ভীতির পরিবেশ তৈরি করে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মেজাজ অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসি। জনগণ এবার কোনো একদলীয় নির্বাচন হতে দেবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আরও পড়ুন: একতরফা তফসিল ঘোষণা জাতির সঙ্গে ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন: এবি পার্টি
বেআইনি গ্রেপ্তার বন্ধ করুন, রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন: এবি পার্টি
১ বছর আগে
একতরফা তফসিল ঘোষণা জাতির সঙ্গে ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন: এবি পার্টি
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা উপেক্ষা করে একতরফা তফসিল ঘোষণাকে জাতির সঙ্গে সরকার ও ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন বলে ক্ষোভ জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
একতরফা তফসিল প্রত্যাখ্যান ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী ইসির পদত্যাগ দাবি করে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় দলের বিজয়নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলটি।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনী তফসিল দেশে অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
জনগণকে যার যার অবস্থান থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহল যে সংলাপের চিঠি দিয়েছে তাকে আমরা সমর্থন জানাই। আমরা আশা করব, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং প্রহসনমূলক নির্বাচনের অশুভ চক্রান্ত পরিত্যাগ করে সংলাপের মাধ্যমে তারা বর্তমান সংকট উত্তরণের দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
এই সংলাপে বিরোধী দলগুলো যাতে মুক্ত, অবাধ ও কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য বিরোধী দলগুলোর সব নেতা-কর্মীকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় এবি পার্টি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে আমরা গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কারো সঙ্গে নেই। আমরা বাংলাদেশকে আরেকটি উত্তর কোরিয়া হতে দিতে পারি না। আমরা গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে আছি, যারা আমাদের উন্নয়ন অংশীদার, স্ট্রাটেজিক পার্টনার।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত
পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, দেশের মানুষের প্রাণের দাবি একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যে দাবিতে এবি পার্টিসহ দেশের প্রধান বিরোধী সব রাজনৈতিক দল আজ আন্দোলন করছে। গত ২৮ অক্টোবর বিরোধীদলগুলোর সমাবেশে আওয়ামীলীগ ও তার সহোযোগী সব সংগঠন এবং পুলিশ একত্রে হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে পুঁজি করে সারাদেশে প্রায় ১৫ হাজারের অধিক বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাবন্দি করা হয়েছে। শান্তি সমাবেশের নামে সরকারি দল পুলিশ পাহারায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের উপর হামলা চালিয়ে দেশকে সহিংসতার পথে ঠেলে দিয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ ও সরকারি দলের গুণ্ডা বাহিনী হামলা করে, গুলি করে হত্যার নিন্দা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য চলমান যে আন্দোলন, সংগ্রাম ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি তার প্রতি এবি পার্টির সংহতি ও সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় দলটি।
একই সঙ্গে নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে লালকার্ড প্রদর্শন ও মিছিল করবে দলটি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, বিএম নাজমুল হক, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
আরও পড়ুন: বেআইনি গ্রেপ্তার বন্ধ করুন, রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন: এবি পার্টি
১ বছর আগে
বেআইনি গ্রেপ্তার বন্ধ করুন, রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন: এবি পার্টি
সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি দাবি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয় ৭১ চত্বরে দেশব্যাপী অবরোধের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আয়োজিত প্রতীকী অনশনে এ দাবি জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনা এই ‘স্বৈরাচারী’ সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত নাশকতা।
তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা আসন্ন নির্বাচনকে ক্ষুণ্ন করার একটি সুস্পষ্ট প্রয়াস। বর্তমানে আমাদের কারাগারগুলোয় তিলমাত্র ধারণক্ষমতা নেই, তারপরও প্রতিনিয়ত রাতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার চেষ্টা করলে, জাতি তা প্রত্যাখ্যান করবে এবং এই সাজানো নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে গণ্য করবে।’
আরও পড়ুন: ইসির সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
গণফোরামের সভাপতির পদ ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ড. কামাল
১ বছর আগে
গণ অধিকার পরিষদসহ ১০টি দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল ইসি
আলোচিত গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও নাগরিক ঐক্যসহ ১০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চিঠিতে কেন তারা নিবন্ধন দেয়া হয়নি সেই কারণও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৬ জুলাই) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. আবদুল বাতেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইসির যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বলেন, প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২ দলের মধ্যে ১০টিই বাদ পড়ে উপজেলা কমিটির সঠিকতা না পাওয়ায়। তবে তাদের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটি সঠিক আছে। তালিকায় থাকা দুটি দলের বিরুদ্ধে কয়েকটি আপত্তি জমা পড়েছে। এখন শুনানি হবে। এক্ষেত্রে শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিবন্ধন পাবে না, আর প্রমাণিত না হলে নিবন্ধন পাবে।
নির্বাচন কমিশন নতুন দলের নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে আবেদন আহ্বান করলে ৯৩টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে ১২টি প্রাথমিক বাছাইয়ে টেকে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
এই ১২ দলের মধ্যে অধিকতর তদন্তে বাদ পড়ে আটটি দল।
আর গণ অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বিএনএম) ও এবি পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় ইসি।
সেই কমিটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দিলে বিএনএম ও বিএসপি দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সংস্থাটি।
এক্ষেত্রে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে দুই দল নিয়ে আপত্তি আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তিও দেয় ইসি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবে না: আনিসুর রহমান
ইসি অবাধ, নিরপেক্ষ পরিচ্ছন্ন নির্বাচন করতে চায়: নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব
১ বছর আগে